গৌতমী

শান্তিপরায়ণ বৃদ্ধা ব্রাহ্মণী যাঁর একমাত্র পুত্রের সর্পদংশনে মৃত্যু হয়। এক ব্যাধ সেই সর্পকে ধরে এনে গৌতমীকে বলেন যে, এই সর্পই গৌতমীর সন্তানকে বধ করেছে। তারপর সেই ব্যাধ গৌতমীকে জিজ্ঞেস করেন যে, কিভাবে সেই সর্পটিকে বধ করা উচিত – অগ্নিতে বিসর্জন দিয়ে না অস্ত্র দিয়ে ছেদন করে। গৌতমী বললেন যে, সর্পকে বধ করলেও ওঁর পুত্রের পুনর্জীবন হবে না, আর সর্প বেঁচে থাকলেও – তার থেকে ওঁর কোনও ক্ষতি হবে না। সুতরাং অকারণে সর্পকে বধ করে ব্যাধ শুধু শুধু অন্যায়ের ভাগী হবেন। তাও যখন ব্যাধ এই নিয়ে বাদানুবাদ করলেন, তখন গৌতমী বললেন যে, সর্প কাল বা মৃত্যু ওঁর পুত্রের বিনাশের কারণ নয়, নিজের কর্মদোষে ওঁর পুত্রের মৃত্যু হয়েছে, আর উনি নিজেও আপনার কর্মবশত পুত্রশোক পেয়েছেন। অতএব, ব্যাধ যেন সর্পটিকে মুক্তি দেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *