ভীম ও রাক্ষসী হিড়িম্বার পুত্র। পুত্রের মস্তক ঘটের আকার ও কেশ (কচ) শূন্য ছিল বলে ভীম ও হিড়িম্বা ওঁর নাম রেখেছিলেন ঘটোৎকচ। জন্মমাত্রই ঘটোৎকচ যৌবন প্রাপ্ত হন এবং স্মরণ করলেই পিতৃগণকে দেখা দেবেন বলে বিদায় নেন। ঘটোৎকচের পুত্রের নাম অঞ্জনপর্বা। বনবাসকালে পাণ্ডবরা ঘটোৎকচের অনেক সাহায্য পেয়েছেন। যুধিষ্ঠির স্মরণ করা মাত্র তিনি এসে পরিশ্রান্ত দ্রৌপদীকে বহন করে গন্ধমাদন পর্বতে নিয়ে গেছেন। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে ঘটোত্কচ কর্ণ দুর্যোধন ইত্যাদি বীরদের পর্যদুস্ত করেছেন,অলায়ুধ রাক্ষসকে বধ করেছেন। শেষে তাঁর পীড়ণ সহ্য করতে না পেরে কর্ণ ইন্দ্র-প্রদত্ত এক-পুরুষঘাতিনী অস্ত্র ঘটোৎকচের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছেন। এই অস্ত্র কর্ণ অর্জুনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবেন বলে এতদিন সযত্নে রেখে দিয়েছিলেন। ফলে ঘটোৎকচের মৃত্যু হল,কিন্তু অর্জুন রক্ষা পেলেন। যুধিষ্ঠির ঘটোৎকচকে বিশেষ স্নেহ করতেন। তাই তাঁর মৃত্যুতে ওঁকে শোকাপ্লুত হতে দেখা যায়।