খাঁটি বাংলা ভাষা হয় না, খাঁটি বাংলা ভাষা চাই না: ভাষাদূষণ প্রসঙ্গে দু’চার কথা – গিরিধারী মণ্ডল

খাঁটি বাংলা ভাষা হয় না, খাঁটি বাংলা ভাষা চাই না: ভাষাদূষণ প্রসঙ্গে দু’চার কথা – গিরিধারী মণ্ডল

বাংলা ভাষার সংকরায়ন নিয়ে বিতর্ক নতুন কোন বিষয় নয়। গোঁড়া রক্ষণশীলেরা বিষয়টিকে আদৌ সুনজরে দেখেন না, আবার পরিবর্তনপন্থীরা অবলীলায় তাকে মেনে নেন।তবে হালে ব্যাপারটা এমন রূপ পরিগ্রহ করেছে যে, অদূর ভবিষ্যতে ভাষাটির অস্তিত্বই প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে! বর্তমান প্রজন্ম যেভাবে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে হিন্দি-ইংরেজি মিশ্রিত বিকৃত বাংলা ভাষা ব্যবহার করে, তাতে সত্যিই বিষয়টিকে নিয়ে নিবিড়ভাবে ভাববার অবকাশ আছে। মোদ্দা কথা হচ্ছে, শত চেষ্টা করেও এখন আমরা ভাষাদূষণ রোধ করতে পারব না। কিন্তু কিছুই কি করা যায়না? সমস্যার মূল সন্ধান করে সংস্কারের প্রয়াস তো করা যেতেই পারে। যে ভাষার জন্য বাঙালির রক্ত ঝরেছে, তার প্রতি বাঙালি মাত্রেরই ন্যূনতম দায়বদ্ধতা থাকা উচিৎ বইকি।

প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে একথা অবিসংবাদিত সত্য প্রমাণিত হয় যে বাঙালি জাতি মিশ্রজাতি আর তার ভাষা বাংলা মিশ্রভাষা। তবুও বাংলা ভাষার সংকরায়ন নিয়ে মাঝে মধ্যে হৈচৈ পড়ে যায়! আসলে ‘দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবে’ আমাদের ঐতিহ্যে। ভাষাও সে ঐতিহ্য প্রসূত। কাজেই অন্য ভাষার সংস্পর্শ-সান্নিধ্যের সাযুজ্যে বাংলা গ্রহণ তথা আত্তীকরণের ধারাপথে নিজেকে পরিপুষ্ট করবে— এ তো স্বাভাবিক। এখন এই মিথষ্ক্রিয়া কতটা পরিমাণে ঘটবে সেটা সম্পূর্ণ সামাজিক রাজত্বের আওতায়। ভাষার শুদ্ধতা রক্ষার বিষয়ে যারা যত্নশীল, তাদের শত হা-হুতাশেও এই সংকরায়নের অবলোপ সম্ভবে না।

শুধু বাংলা কেন, প্রত্যেক জীবন্ত ভাষাই কম-বেশি সংকর। একদিকে ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকার আজও আমরা বহন ক’রে চলেছি। অন্যদিকে বিশ্বায়নের ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে নব নব অভজ্ঞতা, নব নব ধারণা, নব নব বস্তুবিশ্বের হাত ধরে অহরহ অন্যান্য ভাষার সামগ্রী আমাদের বাংলা ভাষার কলেবর বৃদ্ধি করছে। অবশ্য বাংলা ভাষাভাষী মানুষেরা সেই শব্দগুলোর বদল ঘটিয়ে (ধ্বনিতাত্ত্বিক বদল) ব্যবহার করে। অপর ভাষার শব্দকে নিজের করা প্রতিটি জীবিত ভাষার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে গণ্য হয়। তাতে ভাষার প্রকাশ শক্তি বহুগুণে বৃদ্ধি হয়, খর্ব হয় না। ইংরেজ বা অন্যান্য পাশ্চাত্য জাতিগুলির এদেশে আগমনের বহু পূর্ব থেকেই মুসলমান যুগেও বাংলা বহু আরবি-ফারসি শব্দকে আত্মসাৎ করে নিজেকে সমৃদ্ধ করেছে।

রবীন্দ্রনাথের কথায় বাঙালির কাজের ভাষাকে ভাবের ভাষায় পরিণত করেছেন বঙ্কিমচন্দ্র; সেই বঙ্কিমচন্দ্র ‘ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের কবিতাসংগ্রহ – ভূমিকা’-য় বলছেন, ‘খাঁটি বাঙ্গালী কথায়, খাঁটি বাঙ্গালীর মনের ভাব ত খুঁজিয়া পাই না। …এখন আর খাঁটি বাঙ্গালী কবি জন্মে না – জন্মিবার যো নাই – জন্মিয়া কাজ নাই।’(১) অর্থাৎ এটা স্পষ্ট যে, ভাষার সংকরায়ন প্রসঙ্গে কোনো ছুঁতমার্গ বঙ্কিমের ছিল না। বোধগম্যতা যদি ভাষাপ্রয়োগের আবশ্যকীয় শর্তের মধ্যে পড়ে, তবে ভাষাদূষণ নিয়ে অধিক কচকচি না করাই শ্রেয়— এই ছিল তাঁর মত। ‘বিবিধ প্রবন্ধ’-এর অন্তর্গত ‘বাঙ্গালা ভাষা’ শীর্ষক রচনায় তিনি লিখছেন, ‘যাহা প্রচলিত হইয়াছে, তাহার উচ্ছেদে কোন ফল নাই এবং উচ্ছেদ সম্ভবও নহে।’(২) কেবল তাই নয়, সংকরায়নকে সাধুবাদ জানিয়ে তাঁর সিদ্ধান্ত, ‘বলিবার কথাগুলি পরিস্ফুট করিয়া বলিতে হইবে— যতটুকু বলিবার আছে, সবটুকু বলিবে— তজ্জন্য ইংরেজি, ফার্সি, আর্‌বি, সংস্কৃত, গ্রাম্য, বন্য, যে ভাষার শব্দ প্রয়োজন, তাহা গ্রহণ করিবে, অশ্লীল ভিন্ন কাহাকেও ছাড়িবে না।’(৩)

ভাষাকে হতে হবে ভাব প্রকাশের অনুকূল। কখনো কখনো কোনো জাতির জীবনে এমন সব ভাব বন্যার মতো এসে উপস্থিত হয়, সেই ভাবরাজিকে প্রকাশ করার সামর্থ্য সেই জাতির ভাষার থাকে না। তখন বাধ্য হয়ে অন্য ভাষার আশ্রয় নিতেই হয়। বাংলাদেশে যেমনটা ঘটেছিল ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে। এই সময় থেকেই আমাদের জাতীয় জীবনের উপর ইউরোপীয় সভ্যতার ঢেউ প্রবলবেগে আছড়ে পড়ে; আমাদের চিন্তা, চেতনা, মানসিকতা, জীবনযাপন- সবেতেই আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়। এই পরিবর্তনের একটা প্রধান সাক্ষ্য বহন করছে ভাষা। পাশ্চাত্য চিন্তা-চেতনা ও ভাবের সংঘাতে আমাদের ভাষাও দ্রুত বিবর্তিত হতে থাকে। সেই বিবর্তনের সিংহভাগ জুড়ে থাকল ইংরেজি-প্রাধান্য। নীরদচন্দ্র চৌধুরী তাঁর ‘বাঙালী জীবনে রমণী’ গ্রন্থের ভূমিকা অধ্যায়ের একস্থানে লিখছেন,

‘ইংরেজি ভাষা ব্যবহারের পিছনে একটা দুর্নিবার শক্তি ছিল, সুতরাং ব্যবহার না করিবার উপায় ছিল না। যেসব নূতন চিন্তা, ভাব ও জীবনযাত্রার ধারণা বাঙালি সে-যুগে অত্যন্ত দ্রুতবেগে ও বহুল পরিমাণে গ্রহণ করিতেছিল, বাংলা ভাষার এত ক্ষমতা ছিল না যে সেগুলিকে সম্পূর্ণভাবে, এমন কি অংশতও প্রকাশ করিতে পারে।’(৪)

একথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে, কোনো একটি ভাষা যদি অন্যান্য ভাষার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সহবাস করে, তবে অনিবার্যভাবে সেই ভাষা ওই ভাষাগুলি কর্তৃক পরিপুষ্টি লাভ করে। তাহলে দেখা গেল, যুগপ্রবণতা অনুযায়ী অপর ভাষার শব্দ বাংলায় আপনা হতেই প্রবেশ করবে, প্রচলন তথা ক্রমব্যবহারের সূত্রে বাংলায় সেগুলি অবস্থান করবে; আবার অব্যবহারে সেগুলি বাংলা থেকে বেড়িয়েও যেতে পারে। এখানে আমি পাঠক সাধারণের উদ্দেশে ‘প্রচলন’ শব্দটির প্রতি নিবিড় অভিনিবেশ করার আবেদন রাখছি। উদাহরণ স্বরূপ, সম্প্রতি করোনা-কালে ‘লক্‌ ডাউন’ কথাটি বহুল প্রচলিত হয়ে গেল, এমনকি কথাটির অর্থ অশিক্ষিত মূর্খদেরও গোচরে এসেছে, অথচ কথাটা বাংলা নয়। প্রচলনের সূত্রেই তা আপামর বাঙালির মুখে বসে গেল। যুগরুচি অনুসারে যেসব কথা প্রচলনের সৌভাগ্য লাভ করে, তা-ই ভাষার মধ্যে আপন স্থান করে নেয়। অতএব, ভাষার বাহ্যিক প্রকাশরূপ দর্শনে ভাষাদূষণ নিয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে সমস্যার কেন্দ্রে পৌঁছাতে হবে। যুগরুচির পরিবর্তন ব্যতিরেকে এ-অবস্থা বদলের প্রত্যাশা করা অলীক কল্পনা মাত্র। বিবেকানন্দ ‘বাঙ্গালা ভাষা’-য় লিখছেন,

‘যেটা ভাবহীন প্রাণহীন— সে ভাষা, সে শিল্প, সে সঙ্গীত কোনো কাজের নয়। এখন বুঝবে যে, জাতীয় জীবনে যেমন যেমন বল আসবে, তেমন তেমন ভাষা শিল্প সঙ্গীত প্রভৃতি আপনা-আপনি ভাবময় প্রাণপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে।’(৫)

কোনো কিছুর প্রচলনে গণমাধ্যম-সামাজিক মাধ্যম গুলির জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু উক্ত মাধ্যম গুলিতে যেভাবে যে-ভাষায় প্রচার চলে, তাতে বাংলা ভাষার শ্রীবৃদ্ধি নিয়ে অধিক আশা পোষণ না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। বিশেষ প্রয়োজনে অন্য ভাষার দ্বারস্থ হওয়া যতটা যুক্তিযুক্ত, অপ্রয়োজনে অন্যভাষার শব্দ ব্যবহার ঠিক ততোটাই অযৌক্তিক ও মর্যাদা-হানিকর। এই-সময়ের বিজ্ঞাপনগুলির কথা নাই বা বললাম। বাঙালি-সংস্কৃতির শ্রাদ্ধের অতিরিক্ত সংকীর্তন পর্যন্ত— সবই সাধিত হয়েছে।

ভাষার সংকরায়ন প্রসঙ্গে সামাজিক মনস্তত্ত্বের বিষয়টিও অনেকটা জায়গা জুড়ে আছে। এখনকার ছেলেমেয়েদের কাছে স্মার্টনেস দেখানোর সমার্থক হয়ে উঠেছে বিকৃত মিশ্র-ভাষার প্রয়োগ। যৌন-সম্পর্কিত শব্দগুলোকে আমরা লজ্জার বশবর্তী হয়ে বাংলার পরিবর্তে ইংরেজিতে বলতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস জন্মেছে, বাংলা হীন ভাষা, কমজোর ভাষা। পক্ষান্তরে ইংরেজি শক্তিশালী ভাষা। বাংলা ভাষার প্রতি একধরনের হীনমন্যতা বোধ আমাদের জন্মে গেছে। বাংলার পরিবর্তে ইংরেজিতে গালাগালি দিলে তৃপ্তির মাত্রাটা অধিক হয়। মধুসূদনের ‘একেই কি বলে সভ্যতা’-য় নব কালীর উপর চরম রেগে গেছে, কারণ কালী তাকে ‘লায়ার’ বলেছে এবং সে বন্ধুদের স্পষ্টই জানিয়েছে, ‘মিথ্যেবাদী বললে কোন শালা রাগ করতো’। —এসবই মানসিক সংস্কার। এখন ছাত্রেরা বাঙলা পড়তে চায় না, অভিভাবকেরা বাঙলা পড়াতে চান না; যারা পড়েন, তাদেরকে কথা শুনতে হয়। এর পিছনে অবশ্য অন্য কারণ আছে। ইংরেজির মতো অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠা বাংলার নেই। ইংরেজি অর্থ উপার্জনের ভাষা, ইংরেজি উচ্চশিক্ষার ভাষা, ইংরেজি বিদেশ যাওয়ার সোপান, ইংরেজি প্রতিষ্ঠা অর্জনের চাবিকাঠি। মূল্যমানের নিরিখে বাংলা ইংরেজির মতো কৌলীন্য অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। স্বাভাবিক ভাবেই অভিভাবকেরা অর্থনৈতিক সামর্থ্য থাকলে ছেলে-মেয়েদের বাংলা-মাধ্যমে পড়াতে চান না। তাই ইউনেস্‌কো বাংলাকে ‘পৃথিবীর মধুরতম ভাষা’-র স্বীকৃতি দিলেও বাংলার প্রতি বাঙালির একধরণের উন্নাসিকতা থেকেই গেছে। বাঙালির এই ইংরেজি-প্রীতি প্রসঙ্গে বঙ্কিমচন্দ্রের মন্তব্য স্মরণ করা যেতে পারে,

‘ইহাতে কিছুই বিস্ময়ের বিষয় নাই। ইংরাজি একে রাজভাষা, অর্থোপার্জ্জনের ভাষা, তাহাতে আবার বহুবিদ্যার আধার, এক্ষণে আমাদের জ্ঞানোপার্জ্জনের একমাত্র সোপান; এবং বাঙ্গালীরা তাহার আশৈশব অনুশীলন করিয়া দ্বিতীয় মাতৃভাষার স্থলভুক্ত করিয়াছেন।’(৬)

ধ্রুবপদের মতো উচ্চারণ করি— কিন্তু কিছুই কি করা যায় না! যে ভাষার জন্য বাঙালির রক্ত ঝরেছে, তার প্রতি কি আমাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই? জানি, ভাষার সংকরায়ন একটি অত্যন্ত স্বাভাবিক প্রবণতা এবং সেটা সামাজিক আত্মার কাজ। দুই বাংলার বহুকোটি মানুষের মুখের ভাষা বাংলা। কিছু বহিরাগত শব্দ বা ভাব এসে এই ভাষাকে পরিপুষ্ট করতে পারে, একে বিনষ্ট করতে পারে না— একথাও হয়তো সত্য। তবুও বাংলার প্রতি বাঙালির অনীহা অত্যন্ত পীড়া দেয়। সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে বাংলা ভাষার পিঠ ক্রমাগত দেওয়ালে ঠেকে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের প্রয়াস তো করা যেতেই পারে। আমদের হৃদয় দিয়ে বাংলা পড়তে হবে, বাংলা বলতে হবে, বাংলা যাতে সমাজজীবনে আরো আরো বেশি প্রচলিত হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। সর্বপ্রথমে প্রয়োজন নিজের ভাষার প্রতি মমত্ববোধ। আমাদের গোড়াতেই গণ্ডগোল। ভাষার প্রতি কোনো মমতা নেই। দেখা যায়, অন্যান্য ভারতীয় ভাষাভাষী লোকজন তিন-চার পুরুষ ধরে বিদেশে থাকলেও তারা নিজেদের মাতৃভাষা ভোলেনা, আর আমাদের বাঙালিরা দু’পুরুষ বিদেশে থাকলেই মাতৃভাষার সঙ্গে সব সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলে। ভাষার প্রতি ভালবাসা না থাকাই এর মূল কারণ। সত্যজিৎ রায়ের ‘আগন্তুক’ ছবিতে উৎপল দত্তকে যখন বলা হচ্ছে, আপনি অনেক দিন বিদেশে ছিলেন, তবু বাংলাটা তো বেশ সুন্দর বলেন; উত্তরে তিনি বলছেন, মায়ের ভাষা— না চাইলে কি ভোলা যায়। এখন আমরা মা-কেই ভুলতে বসেছি, তো তার ভাষা। বর্তমান আত্মকেন্দ্রিকতার যুগে, মানবিক মূল্যবোধের সর্বাত্মক অবক্ষয়ের যুগে গুণোত্তর প্রগতিতে বেড়ে ওঠা বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা আমাদের কোন বার্তা প্রদান করে?

আপন ভাষার প্রতি হীনমন্যতাকে দূরে সরিয়ে রেখে একে সর্বস্তরে প্রয়োগের চেষ্টা করতে হবে। বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়, গণমাধ্যম, সর্বোপরি রাজ্য সরকারকে এ বিষয়ে কার্যকরী ভূমিকা নিতে হবে। নতুন নতুন ভাব ও বস্তুকে বাংলায় প্রকাশের জন্য পরিশব্দ নির্মাণের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। ভাষার অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠার দিকটিকেও এড়িয়ে গেলে চলবে না। অন্তিমে পাঠকবর্গের শুভচেতনা, শুভবুদ্ধির কাছে আমার নিবেদন এই— আসুন, আমরা বাংলা পড়ি, বাংলা বলি, বাংলা লিখি; বাংলাকে সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ হই।

তথ্যসূত্র:

(১) বঙ্কিম রচনাবলী, দ্বিতীয় খণ্ড, শুভম, কলকাতা, ২০১২, পৃ. ৯৯৬।

(২) তদেব, পৃ. ৪৪১।

(৩) তদেব, পৃ. ৪৪৪।

(৪) নীরদচন্দ্র চৌধুরী, ‘বাঙালী জীবনে রমণী’, মিত্র ও ঘোষ, কলকাতা, ১৪২৩, পৃ. ১৭।

(৫) বসন্ত ভট্টাচার্য (সম্পাদিত), বিবেকানন্দ রচনা সমগ্র, প্রথম খণ্ড, অশোক বুক এজেন্সী, কলকাতা, ২০১৯, পৃ. ১৬৯-১৭০।

(৬) তদেব ৪, পৃ. ১৭।

লেখক পরিচিতি: এম. ফিল গবেষক, রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির, বেলুড় মঠ।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *