এবার পুজোয়

এবার পুজোয়

এবারে কিন্তু পুজোয় বেশি কিছুর বায়না করো না৷’’ মা বললেন৷

শুনে শান্তু বলল, ‘‘কেন মা?’’

‘‘যা বাজার পড়েছে না! তোমার বাবা একেবারে হিমশিম খাচ্ছেন৷ তুমি বড় হচ্ছো! বাবার সুবিধা-অসুবিধার কথা বুঝবে নিশ্চয়ই৷ কি, বুঝবে না?’’

‘‘হ্যাঁ৷’’

একটু চুপ থেকে শান্তু বলল, ‘‘এবার পুজোয় আমরা কোথাও যাবো না মা?’’

বেগুন কাটতে-কাটতে রান্নাঘরের জানালা দিয়ে বাইরে চেয়ে মুখ নীচু করেই মা বললেন, ‘‘বোধ হয় না৷’’

‘‘অনেকদিন আমরা কোথাও যাইনি, না?’’

‘‘অনেকদিন কোথায়? এই তো গতবছরের আগের বছরেই গেলাম না পুরীতে? এবারেও চিঠি তো লিখেছেন তোমার বাবা অমলকাকাকে, হাজারিবাগে৷ যদি একটা বাড়ি ভাড়া পাওয়া যায়, দিন পনেরোর জন্যে যাব৷’’

‘‘হাজারিবাগে! যাচ্ছি আমরা? অনেক বাঘ আছে, না মা?’’

মা হাসলেন৷ বললেন, ‘‘বাঘের জন্যে নাম হয়নি৷ বাঘ অবশ্য শুনেছি একসময় অনেকই ছিল৷ আসলে হাজারিবাগ মানে হাজার বাগিচা৷’’

‘‘তাই? ইশ্শ৷ আগে যদি জানতাম৷ কালই স্কুলে রণজয় হাজারবাঘের হাজারিবাঘের গল্প বলল৷ ওদের একটা বাড়ি আছে না, হাজারিবাগের ক্যানারি হিল রোডে৷ খুব সুন্দর বাড়ি৷ বাগান৷ ও খুব গল্প করে৷’’

‘‘নিশ্চয় ভালোই হবে৷ শুনেছি ক্যানারি হিল রোড খুব বড়লোকেদের পাড়া৷ তুই বড় হয়ে হাজারিবাগে একটা বাড়ি করিস শান্তু৷ আমার খুব ভালো লাগে লাল মাটি, কালো পাথর, শালবন, রুখু ভাব৷ জলও ভালো ওসব জায়গার৷’’

শান্তু মাকে হঠাৎ জড়িয়ে ধরল পেছন থেকে৷

মা বললেন, ‘‘আঃ করছিস কী, ছাড়-ছাড়৷’’

শান্তু বলল, ‘‘করে দেব, দারুণ একটা বাড়ি করে দেব মা তোমাকে৷ মস্ত বড় লোহার গেট থাকবে তাতে৷ পাগড়ি-পরা দারোয়ান থাকবে গেটে৷ বড়লোকদের বাড়িতে যেমন থাকে৷ কুকুর থাকবে৷ দুটো৷ মস্ত বড়৷ আর গাড়ি থাকবে৷ একটা৷ সাদা৷ ছোট্ট৷’’

‘‘গাড়িও? বাঃ, বাঃ!’’

মা হাসলেন ছেলের দিকে চেয়ে৷ সেই হাসিতে আনন্দ, গর্ব এবং ভয় মাখামাখি হয়ে গেল৷ শান্তুর দু’ চোখে দু’ চোখ রেখে চেয়ে রইলেন মা অনেকক্ষণ৷ শান্তু বলল, ‘‘তুমি দেখো, আমি খুব বড়লোক হব, মা৷’’

‘‘তাই-ই?’’ মা বললেন৷

‘‘হ্যাঁ৷ রণজয়দের চেয়েও বড়লোক৷’’

মা মুখ নীচু করে রইলেন৷ শান্তু বলল, ‘‘কলকাতায় বাড়ি করব, গাড়ি করব৷ হাজারিবাগে বাড়ি করব৷ বহরমপুরে আর থাকব না৷ বড্ড মশা এখানে৷’’

মা হেসে ফেললেন৷ বললেন, ‘‘বড়লোকই হবি? আর কিছু হবি না?’’

‘‘আর কী হব? রোজ-রোজ তোমাকে মণিমাসিমার মতো ইয়া চওড়া লাল পাড়ের গরদের শাড়ি কিনে দেব, টেপ-রেকর্ডার, কালার টি.ভি, আর…’’

‘‘বড়লোক হওয়া তো সোজা৷’’ মা বললেন৷

‘‘সোজা? তা হলে বাবা হচ্ছে না কেন?’’

‘‘কী জানি! হতে চান না হয়তো৷’’

‘‘চান না? কী যে বলো মা! বড়লোক হতে কে না চায় বলো? রোজ ইলিশমাছ আর মাংস খাওয়া যেত৷ আর ছানাবড়া৷ আসলে বড়লোক হতে হলে অনেক কষ্ট করতে হয়৷ মতি আগরওয়ালার মতো৷ নিজের ঘাড়ে গুড়ের বস্তা নিয়ে নাকি ব্যবসা শুরু করেছিল৷ এখন দ্যাখো৷’’

‘‘মানুষ হতে হলে তার চেয়েও অনেক বেশি কষ্ট করতে হয় শান্তু৷ বড়লোক হওয়া সোজা৷ খুবই সোজা৷ চোর-বদমাশ-গুন্ডা-ডাকাতরাও খুব সহজে বড়লোক হতে পারে৷ কিন্তু উপায় থাকতেও বড়লোক না হতে চাওয়ায় অনেকই বেশি কষ্ট৷ তুই তোর বাবার মতো মানুষ হোস৷ মানুষ হয়ে, মানুষ থেকেও যদি বড়লোক হতে পারিস, তবে খুবই ভালো৷ না পারলে মানুষই থাকিস৷ অমানুষ হয়ে বড়লোক হবার দরকার নেই৷’’

মায়ের সব কথা ও বুঝল না৷ সাদার উপর হালকা বেগুনি ডোরা-কাটা শাড়ি পরে আছেন মা৷ আঁচলের কাছটা ছেঁড়া৷ শরতের রোদ এসে পড়েছে জানালা দিয়ে শিউলি গাছের ফুল ঝাঁপিয়ে৷ মৌটুসি শিস দিচ্ছে রঙ্গনের ঝাড় থেকে৷ কাটগরের ঝোপে দুটো বুলবুলি ঝাপটা-ঝাপটি করছে৷

মিনুদের বাড়ির রেডিওতে কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গান হচ্ছে ‘‘শরৎ আলোর কমলবনে বাহির হয়ে৷ বিহার করে যে ছিল মোর মনে-মনে…’’

মনটা হঠাৎই খারাপ হয়ে গেল শান্তুর৷ পুজোর আগে যে রবিবার থেকে পুজোর কেনাকাটা শুরু হবে, সেই রবিবারেই! এই সকালের রোদ, মায়ের না-হাসি, না-কান্না মুখটি৷ মায়ের আঁচল-ছেঁড়া শাড়ি, মুসুরির ডালে কালোজিরে সম্বরা দেওয়ার গন্ধ৷

মা বললেন, ‘‘বাবার দাড়ি কামানোর ব্লেড নেই শান্তু৷ বাজার থেকে ফিরেই চানে যাবেন৷ পরেশের দোকান কি খুলেছে? কটা বাজে?’’

‘‘ওই যে রেডিওতে রবীন্দ্রসঙ্গীত হচ্ছে৷ এতক্ষণে খুলে গেছে৷’’

‘‘ডানদিকের ড্রয়ার থেকে পয়সা নিয়ে যা তো একবার৷ এক টাকার নোট আছে একটাই৷ খুচরা নিস-না কিন্তু৷ ওই এক টাকাটা নিয়েই যাস৷’’ শান্তু উঠল৷ মা বললেন, ‘‘কী ব্লেড জানিস তো?’’

‘‘জানি-জানি’’, বলে টাকা নিয়ে শান্তু বেরিয়ে গেল৷

গ্রান্ট হল রোডের বড়-বড় মেহগনি গাছগুলোকে ভীষণ ভালোবাসে শান্তু৷ বুড়ো ঠাকুর্দার চেয়েও অনেক বেশি বুড়ো এই গাছগুলো৷ বুড়ো মানুষরা খুব ভালোবাসতে জানে৷ তাদের কাছে গেলেই ভালো লাগে ওর৷

পেট্রোল পাম্পটার উলটোদিকে ছোট একটি ঝুপড়িমতো৷ আগে লক্ষ করেনি৷ সামনে তক্তা পাতা, দুটি খুঁটির উপর৷ একটা কালো কেটলি ভেজা কয়লার ধোঁয়া-ওগরানো উনুনের উপরে বসানো৷ কয়েকটি ছোট গ্লাস, নোন্তা আর মিষ্টি বিস্কুট৷ এই রাস্তা দিয়ে সাইকেল চড়েই যাতায়াত করে ও৷ কখনও মার সঙ্গে গেলে, সাইকেল-রিকশায়৷ নিজের পায়ে হেঁটে না চললে কোনো কিছুই ভালো করে নজর করা যায় না৷

দোকানটার সামনে পৌঁছতেই ও চিনতে পারল দোকানিকে৷ সূর্য রায়৷ ওদের সঙ্গে পড়ত৷ খুবই বন্ধু ছিল শান্তুর৷ থাকত খাগড়াতে কোথাও৷ শান্তু কখনও ওদের বাড়িতে যায়নি৷ গতবছর সূর্যর বাবা পলাশীর কাছে ট্রাক অ্যাসিডেন্টে মারা গেলেন হঠাৎ৷ তারপরই স্কুল ছেড়ে দেয় সূর্য৷ পড়াশোনাতে ভালো ছিল৷ বিশেষ করে ইংরিজি আর বাংলায়৷ সূর্যর গায়ে ‘এশিয়াড’ লেখা একটা নীলরঙা গেঞ্জি৷ খুবই ময়লা হয়ে গেছে সেটা৷ খাকি হাফপ্যান্ট৷ উবু হয়ে বসে উনুনে ফুঁ দিচ্ছিল ও৷ কয়লা৷ ওর চোখ ঠিকরে জল বেরিয়ে আসছিল, কিন্তু উনুন তবুও ধরছিল না৷ একজন সাইকেল-রিকশাওয়ালা বাঁ পায়ের সঙ্গে ডান পা জড়িয়ে তক্তার ওপর বসে ছিল চায়ের অপেক্ষায়৷ ‘ধুস’ বলে সে রাগ করে উঠে চলে গেল৷

একমাত্র খদ্দেরও চলে যেতে সূর্য মনমরা হয়ে সেদিকে একবার তাকাল৷ তারপর শান্তুকে বলল, ‘‘একটু বসুন বাবু৷ এক্ষুনি আগুন জ্বলে যাবে৷’’

শান্তু বলল, ‘‘কী রে সূর্য, চিনতে পারলি না?’

‘‘কে?’’ যেন ঘুম ভেঙে বলল সূর্য৷ তারপর শান্তুকে চিনতে পারল৷ মুখটা কালো হয়ে গেল৷ শান্তু খদ্দের নয়, বন্ধু৷ বউনি হল না এখনও৷ কেটলিটা নামিয়ে উনুনের সামনে উবু হয়ে বসে তালপাখার হাওয়া করতে লাগল৷ শান্তু বলল, ‘‘পড়াশোনা ছেড়ে দিলি? কোথায় হারিয়ে গেছিলি তুই?’’

‘‘সত্যিই হারিয়েই গেছিলাম৷’’ মাথা নোয়াল সূর্য, পাখা করতে-করতেই বলল, ‘‘কী হবে? পড়াশোনা করে কী হবে বল৷’’

শান্তু অবাক হয়ে বলল, ‘‘সে কী রে! পড়াশোনাই তো সব৷’’

সূর্য ডান হাতে হাওয়া করতে-করতে বাঁ হাতে কয়লাগুলো নেড়ে দিতে লাগল৷ শান্তু বলল, ‘‘কী রে, কথা বলছিস না যে? পড়াশোনা না করলে কী মানুষ হওয়া যায়? এই চা বিক্রি করে কী করবি? সারা জীবন?’’

সূর্য তবুও সে-কথার কোনো উত্তর দিল না৷ খানিক বাদে বলল, ‘‘কেমন আছিস রে? পুঁটে কেমন আছে? এ-বছরে ইংরাজি আর বাংলায় ফার্স্ট কে হল রে? মাস্টারমশাইরা আমার কথা বলে? তোরা সবাই ভুলে গেছিস?’’

শান্তু মাথা নেড়ে জানাল যে না, কেউই ভোলেনি৷ বলল, ‘‘তোরা এখনো খাগড়াতেই তো থাকিস? আমাদের বাড়ি তো কাছেই৷ একদিন চলে আয়৷ আমিও আসব এখানে যখনই সময় পাবো৷’’

‘‘তুই-আসিস৷ আমি সকাল ছ’টাতে এখানে আসি, রাত দশটাতে যাই৷ সবসময়ই এখানে৷’’

‘‘সে কী রে খাস কোথায়? চান করিস না? এক জামাকাপড়ে সারা দিন?’’

‘‘মা ভোরে চারটেতে উঠে রুটি বানিয়ে দেন৷ রুটি আর গুড় নিয়ে আসি৷ সব খদ্দের পুরো গেলাস চা খায় না৷ তাদের কাপের তলানি অনেক থাকে৷ চা বিনি পয়সাতে পেয়ে যাই…’’

শান্তুর খুব ইচ্ছে করল যে, বলে, সূর্য তুই রোজ দুপুরে আমাদের বাড়িতে খাবি, মাকে বলব আমি৷ কিন্তু তা না বলে বলল, ‘‘তোর কাকারা কেমন আছেন?’’

‘‘ভালো৷’’

‘‘ওখানেই থাকেন? মানে, খাগড়াতেই?’’

‘‘হ্যাঁ৷ মাকে আর আমাকে চলে যেতে বলেছিলেন৷ তাই…এখন আমরা আছি বড়মামার কাছে৷ নদীর দিকে, ঘাটে যাবার রাস্তা থেকে বেরিয়েছে গলি, সেই গলিতে৷ মস্ত অশ্বত্থগাছ আছে একটা…’’

শান্তু বলল, ‘‘আমি চলি রে৷ বাবার দাড়ি কামানোর ব্লেড আনতে যাচ্ছি৷’’

সূর্য হাসল, উনুনে হাওয়া করতে-করতেই৷ বলল, ‘‘আসিস আবার৷’’

তারপর বিড়বিড় করে আপনমনেই বলল, ‘‘কয়লাগুলো কাঁচা, ভিজে, আগুন ধরে না এতে৷ বাজে!’’

* * *

বাড়ি ফিরে গিয়ে শান্তু মাকে বলল সূর্যর কথা৷ শান্তুরা বড়লোক যে নয়, তা শান্তু জানে৷ কিন্তু কতখানি যে গরিব, তা জানে না৷ প্রত্যেকদিন দুপুরে সূর্যকে খাওয়ানোর কথা মাকে বলবে কি বলবে না বুঝতে পারল না৷ মা রান্নাঘরে চলে গেছেন রবিবারের সকালে জলখাবার করতে৷ রবিবার সকালে বিশেষ কিছু একটা করেনই মা৷ বাবা বাজার থেকে ফিরে এলেন৷ রবিবারের বাজার বাবা নিজে করেন৷ এসে ছোট্ট খাওয়ার টেবিলে বসে বললেন, ‘‘বল রিপোর্টার, সারা সপ্তাহের খবর শুনি৷’’

‘‘খবর?’’ বলেই শান্তু চুপ করে গেল৷

‘‘কী হল রে? মনে হচ্ছে, চেপে যাচ্ছিস কিছু৷ তা এবার পুজোয় কী-কী চাই? জিনসের প্যান্ট তো নিশ্চয়ই চাই৷ আর…’’

‘‘বাবা, সূর্য…সূর্য না…’’

‘‘সূর্য? সে কে?’’

‘‘আমার বন্ধু৷ তোমরা চেনো না৷ চায়ের দোকান দিয়েছে বড় রাস্তায়৷’’

‘‘চায়ের দোকান? পড়াশোনা ছেড়ে? ব্যবসা করে বড়লোক হতে চায় বুঝি?’’

‘‘ন-না৷ না৷’’ বলল শান্তু৷ ওর বুকের মধ্যে ভীষণ কষ্ট হচ্ছিল৷ অথচ সেই কষ্টের কথা বলতেও পারছিল না বাবা কিংবা মাকে৷ সূর্যকে যে ওঁরা কেউই চেনেন না৷ বাবা বললেন, ‘‘কী না?’’

‘‘নাঃ৷’’ শান্তু বলল৷ ‘‘সূর্য আসলে সূর্য, তার কোনো দোষ নেই৷ দোষ কয়লারই, সূর্যর নয়৷ বাজে কয়লা, ভেজা কয়লায় আগুন জ্বলে না কখনও৷ কয়লাটার ভালো হওয়াটাই আসল কথা৷ আসল কথা…৷’’

বাবা একদৃষ্টে শান্তুর মুখের দিকে চেয়ে রইলেন কিছুক্ষণ৷ তারপর বললেন, ‘‘ঠিক৷ কয়লাটাই আসল৷ এইজন্যেই চারদিকে এরকম হচ্ছে, চলছে, জানিস…আজকালকার কয়লা বড় বাজে হয়ে গেছে৷ স্বাধীনতার পর…’’

শান্তু ভাবছিল, এবার পুজোয় ও জিনিস নেবে না, টাকা চেয়ে নেবে মা-বাবার কাছ থেকে৷ সূর্য আর ও সমান ভাগে ভাগ করে জামাকাপড় কিনবে৷ সূর্যর মায়ের জন্যেও ওই টাকা থেকে শাড়ি কিনবে একটা৷ আজ সূর্যর যা হয়েছে, কাল শান্তুর নিজেরও তো তাই-ই হতে পারে! মা-বাবাকে কিছুই বলতে না পেরে আরও অস্বস্তি লাগতে লাগল ওর৷ মা বললেন, ‘‘বসে পড় শান্তু৷ আজ চিঁড়ের পোলাও করেছি৷ নিয়ে আসছি গরম-গরম৷’’

আজ সকালে চিঁড়ের পোলাও, দুপুরে কচি পাঁঠার মাংস, রাতে খিচুড়ি৷ আর সূর্য? সব দিক দিয়েই শান্তুর মতো হয়েও শুধু শুকনো রুটি আর গুড় আর খদ্দেরদের এঁটো চা…

‘‘পুজো তো এসে গেল শান্তুবাবু৷ হাজারিবাগে যাবে নাকি?’’ বাবা বললেন৷ উত্তর দিল না শান্তু৷ ওর মাথার মধ্যে চিঁড়ের পোলাও এবং হাজারিবাগ বড় গোলমাল করতে লাগল৷ পুজো এসে গেল৷ এবারের পুজোটা শান্তুর বড়ই খারাপ যাবে৷ কিংবা, কে জানে, হয়তো সবচেয়েই ভালো যাবে৷ এর আগে তো কখনও অন্য কারও সঙ্গে নিজেরটা ভাগ করে নেবার আনন্দ যে কী, তা ও জানেনি! এবারেই জানবে৷ এই প্রথম৷



Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *