জয়কে নিয়ে সংশয়

জয়কে নিয়ে সংশয়

 ভোরে অভ্যাসমতো কর্নেল প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে ছিলেন। বিজয় তখন গুটোপুটি মেরে ঘুমোচ্ছে। রাতে ও ঘুমোয়নি ভেবেই কর্নেল তাকে ডাকেননি আজ।-..

প্রধান ফটক দিয়ে বেরিয়ে রাস্তা ধরে গঙ্গার ধারে হাঁটতে হাঁটতে রাজবাড়ির আউটহাউসের ওপাশ ঘুরে যখন পূবের ভাঙা ফটকের কাছে পৌঁছলেন, তখন সূর্য উঠেছে। ফটকের এধারে প্রচুর পাথরের ভূপ। তার ফাঁকে গুল্মলতায় শরতের সজীবতা ঝিকমিক করছিল। শিশিরের ফোঁটায় প্রতিফলিত হচ্ছিল। রক্তাভ রোদ। গঙ্গার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে সৌন্দর্য দেখলেন। তারপর পাঁচিলের ভাঙা জায়গা দিয়ে রাজবাড়ির এলাকায় ঢুকলেন কর্নেল।

বাঁদিকে হরটিলা পর্যন্ত অসমান জমি জুড়ে আর ঝোঁপঝাড় শিশিরে চবচব করছে। সংকীর্ণ পায়ে চলা পথ ধরে হরটিলার দিকে যেতে জুতো-প্যান্ট ভিজে সপসপে হয়ে গেল। একখানে দাঁড়িয়ে বাইনোকুলারে চোখ রেখে মন্দিরটা। দেখতে দেখতে চমকে উঠলেন।

জয় মন্দিরের সামনে পাথরের ওপর বসে আছে একা। পাশে দাঁড়িয়ে তার। কুকুর সনি।

হরটিলার পাথরের ধাপে কর্নেল পা রাখতেই কুকুরটা ওপরে গরগর করে উঠল। কর্নেল যখন কাছাকাছি পৌঁছলেন, তখন শুনলেন, জয় সনিকে ডাকাডাকি করছে।

কর্নেলকে দেখে সে গম্ভীর হল। কোনো কথা বলল না। কর্নেল বললেন, “গুডমর্নিং জয়।” জয় তারও জবাব দিল না।

কর্নেল চূড়ায় উঠে একটু হেসে বললেন, “আশাকরি, তুমি সারারাত এখানে বসে নেই?”

জয় বলল, “আপনাকে দেখে সনি এত ভয় পায় কেন? কী ব্যাপার?”

কর্নেল বললেন, “ফর্মুলা-টোয়েন্টির পাল্লায় পড়লে সব কুকুরই ভড়কে পিছু হটে।”

“তার মানে? আপনার দেখছি সব তাতেই হেঁয়ালি?”

কর্নেল তার একটু তফাতে পাথরটার অন্যপ্রান্তে বসে বললেন, “কতক্ষণ এসেছ?”

জয় আস্তে বলল, “কতক্ষণ কী! আমি সারারাত এখানে আছি।”

“সে কী!”

“রমলার ডেডবডি খুনী সরিয়ে ফেলার জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। আমি তা টের পেয়েছি।”

“কিন্তু তুমি ধরে নিচ্ছ এখানেই ওর ডেডবডি আছে?”

“জয়ার কাছ থেকে শোনার পর থেকে মনে হচ্ছে–” সে হঠাৎ থেমে বলল, “আপনি যা সব জয়াকে বলেছেন, তা কি বিজয়কেও বলেছেন?”

“মোটামুটি আভাস দিয়েছি।”

“বিজয় কী বলল?”

“সে ডেডবডিতে বিশ্বাস করে না। কারণ রমলাকে চেনে না। পরিতোষকেও চেনে না।”

“বিজয় পরিতোষকে না চিনতেও পারে।”

 “রমলাকে?”

জয় রুক্ষস্বরে বলল, “বিজয় তো বলেছে রমলাকে চেনে না। আবার ওকথা কেন?”

“জয়! আমাকে একটা কথার জবাব অন্তত দাও। রমলার খোঁজে পরিতোষ কানাজোলে এসেছিল বলেছ। রমলা কবে তোমার কাছে এসেছিল?”

জয় একটু চুপ করে থাকার পরে বলল, “আজ তারিখ কত?”

“২৩ সেপ্টেম্বর।”

“শরদিন্দু খুন হয়েছে ১৩ সেপ্টেম্বর। রমলা এসেছিল ৯ সেপ্টেম্বর। কিছু বুঝলেন?”

“শরদিন্দু যেভাবেই হোক জানত রমলা এসেছে এবং তাকে খুন করা হয়েছে। তাই শরদিন্দুকে মরতে হয়েছে। বেঁচে থাকলে সে ১৪ সেপ্টেম্বর রাতেই ফাস করে দিত–”।

“সে তো বলেছ। আমি জানতে চাই, রমলা ৯ সেপ্টেম্বর কোথায় এল? সরাসরি রাজবাড়িতে তোমার কাছে তো?”

জয় একটু শ্বাস ছেড়ে বলল, “রমলা চিঠি লিখে জানিয়েছিল ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে-ছটায় আপ দিল্লি এক্সপ্রেসে পৌঁছুবে কানাজোল স্টেশনে। ছটার আগেই রেডি হয়ে বেরুতে যাচ্ছি, নানকু এসে খবর দিল ময়াল সাপটার খাঁচা খোলা–সাপটা পালিয়েছে। দৌড়ে স্যুতে গেলুম। একঘণ্টা তন্নতন্ন করে খুঁজে সাপটাকে পাওয়া গেল নালার কাঠের ব্রিজের তলায়। তাকে খাঁচায় পুরে স্টেশনে পৌঁছেছি প্রায় সওয়া সাতটা। ট্রেন মিনিট কুড়ি আগে ছেড়ে গেছে। খুঁজে-খুঁজে রমলাকে দেখতে পেলুম না।”

জয় থামলে কর্নেল বললেন, “তারপর?”

 “ক্ষমা করবেন কর্নেল, আর আমি বলব না।”

 “তুমি কলকাতা থেকে কেন হঠাৎ চলে এসেছিলেন জয়? কেন তুমি আর পড়াশুনা করতে চাওনি?”

“জীবনের ওপর ঘেন্না ধরে গিয়েছিল। আর কোনো কারণ নেই।”

“কেন ঘেন্না ধরেছিল?”

 “অত কেনর জবাব আমি দেব না। আপনি প্লিজ আমাকে বিরক্ত করবেন না। আমার মাথা ঘুরছে।”

“রমলার ব্যাপারটা কী?”

জয় খাপ্পা হয়ে উঠে দাঁড়াল। “আঃ! বড় জ্বালাতন করেন আপনি!”

বলে সে সনির খোঁজে মন্দিরের পূর্বপাশে গেল। সনি ঝোঁপের পাশে চুপচাপ দাঁড়িয়ে লেজ নাড়ছিল। দৌড়ে তার বকলেস ধরে গলায় পরানো চেন খুলে তাকে টানতে টানতে জঙ্গল ভেঙে নেমে গেল জয়।

কর্নেল গম্ভীরভাবে কিছুক্ষণ বসে থাকলেন। তারপর মন্দিরের ভেতর গুঁড়িমেরে ঢুকলেন। পরীক্ষা করে দেখলেন বেদির ওধারে ভাঙা চাবিটা তেমনি আটকানো আছে।

বেরিয়ে এসে পাথরটার কাছে দাঁড়িয়ে রইলেন কর্নেল।

 কর্নেল ভাবছিলেন, যদি সত্যি এই বেদির ভেতর রমলার লাশ লুকোনো থাকে এবং খুনী যদি এতদিন পরে লাশটা সরানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে ওঠে, তাহলে এই সিদ্ধান্ত করা যায়ঃ

(এক) সে খুন করেছিল কিন্তু লাশ ফেলে রেখে গিয়েছিল। অন্য কেউ লাশটা এই মন্দিরে বেদির তলায় লুকিয়ে রেখেছিল। এতদিনে সে লাশের খোঁজ পেয়েছে।

 (দুই) এতদিনে খোঁজ পেয়েছে বলেই বেদির চাবি চুরি করেছে ঝুঁকি নিয়ে এবং ওঁত পেতে বেড়াচ্ছিল। বিপ্রদাসের জয়াকে কৌটো দেওয়া সে দেখেছিল। কৌটোতে কী আছে সে জানতে পেরেছিল।

 (তিন) বিপ্রদাসই লাশটা এখানে লুকিয়ে ফেলেছিলেন। নিশ্চয় কাউকে বাঁচানোর জন্যই এ কাজ করেছিলেন।

(চার) রমলা খুন হয়েছিল কারুর প্রতিহিংসা বশে কিংবা তাকে রেপ করাও হয়ে থাকবে।

(পাঁচ) নিচের নির্জন জঙ্গলেই কোথাও রেপ এবং গুম করে লাশ ফেলে রেখে পালিয়েছিল কেউ।

কিন্তু এই পাঁচটা পয়েন্ট পুরো ঘটনাটা পরিষ্কার করছে না। প্রচুর ফাঁক থেকে যাচ্ছে। প্রশ্ন থাকছে অসংখ্য। কর্নেল আবার উদ্বিগ্ন হলেন বিপ্রদাসের জন্য। বিপ্রদাস অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে পারবেন। সবার আগে এখন তাকে দরকার।

টিলা থেকে নামতে চোখে পড়ল একটা সুন্দর প্রজাপতি সবে ঘুম ভেঙে গা থেকে শিশির ঝেড়ে উড়ে চলেছে। তাকে লক্ষ্য করে জোরে নামতে থাকলেন। কিন্তু নিচে এসে হারিয়ে ফেললেন প্রজাপতিটাকে। পুকুরের কাছে। আসতেই দেখা হয়ে গেল মাধবজির সঙ্গে। মাধবজি ঘাটের ধাপে বসে লোটা মাজছিলেন বললেন, “নমস্তে কর্নেলসাব!”

 “নমস্তে মাধবজি!”

“বেড়াতে বেরিয়েছি বুঝি?”

কর্নেল ঘাটের মাথায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে থাকলেন মাধবজির সঙ্গে। একথা সেকথার পর কর্নেল বললেন, “আচ্ছা মাধবজি, আপনার নজর তো সবদিকেই থাকে।”

মাধবজী হাসলেন। “সব সময়ে থাকে না। কালও বলেছি আপনাকে।”

“বলেছেন।” কর্নেল হাসলেন। কিন্তু ধরুন, বিশেষ কোনো ব্যাপার ঘটলে আপনার নজরে পড়তে পারে।”

“তা পারে।”

“ধরুন, কোনো বাইরের লোক রাজবাড়ির এই এলাকায় এলে আপনার চোখে পড়তেও পারে।”

“কী জানি।”

“ধরুন, সন্ধ্যার পর কোনো মেয়ে–”

“জয়াবেটির কথা বলছেন কি? সে মাঝেমাঝে এদিকে ঘুরতে আসে দেখেছি।”

“জয়াকে আবছা আঁধারে চিনতে পারেন নিশ্চয়?”

“পারি। কিন্তু এসব কথা জিজ্ঞেস করছেন কেন কর্নেলসাব?”

“প্রায় দুসপ্তাহ আগে এক সন্ধ্যাবেলায় কোনো মেয়েনা, জয়া নয়–বাইরের একটি মেয়ে এই বাগান আর জঙ্গলের ভেতর দিয়ে যাচ্ছিল। তাকে–”

মাধবজি চমকে উঠে তাকালেন। “আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করবেন না কৃপা করে। আমি কিছু জানি না।”

“আমি শুধু জানতে চাই, মেয়েটি একা ছিল, না তার সঙ্গে কেউ ছিল?”

“কর্নেলসাব, আপনি নিশ্চয় পুলিশ অফিসার! আমাকে মাফ করবেন। বিশবছর রাজবাড়ির নিমক খাচ্ছি। আমাকে আর কিছু জিজ্ঞেস করবেন না।”

“মাধবজি আমি পুলিশের অফিসার নই। আমি রাজবাড়ির হিতৈষী।”

“তাহলে আর কোনো কথা নয়। কথা তুললেই বিপদ।”

“আপনি শুধু বলুন ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এই এলাকায় কোনো বাইরের মেয়েকে দেখেছিলেন কি না?” কর্নেল চাপা স্বরে ফের বললেন, “আপনার কথার ওপর একজনের বাঁচা-মরা নির্ভর করছে।”

“সে কী!” অবাক হয়ে উঠে দাঁড়ালেন মাধবজি। “কৃপা করে বুঝিয়ে বলুন।”

“পরে বলব। আমার প্রশ্নের জবাব দিন আগে।”

মাধবজি এদিক-ওদিক তাকিয়ে চাপা স্বরে বলল, “ওই পূর্বের ফটক দিয়ে বড়কুমারসাবের সঙ্গে একটা অচেনা মেয়েকে ঢুকতে দেখেছিলাম। তখনও দিনের আলো সামান্য মতো ছিল। দুজনকে আউট-হাউসের টিলায় না গিয়ে দক্ষিণের জঙ্গল বরাবর আসতে দেখে অবাক হয়েছিলাম। তারপর আর তাদের দেখতে পেলাম না। খুব খারাপ লাগল, বড়কুমারসাব শেষে এমন লম্পট হয়ে গেছে দেখে খুব দুঃখ হচ্ছিল।”

“আপনি ঠিক দেখেছিলেন বড় কুমারসাবকে?”

“হ্যাঁ। পরনে প্যান্টশার্ট ছিল। বড় কুমারসাব প্যান্টশার্ট পরে। ছোটো কুমারসাব ধুতিপাঞ্জাবি পরে।”

“তারপর?”

“হুজুর, আমি সামান্য মানুষ। আর কিছু জিজ্ঞেস করবেন না।”

কর্নেল পা বাড়িয়ে কয়েক পা এগিয়ে দ্রুত ঘুরে বললেন, “মেয়েটির লাশ আপনি দেখতে পেয়ে বিপ্রদাসকে খবর দিয়েছিলেন?”

নেহাত অনুমানে ঢিল ছোঁড়া। নিছক একটা সম্ভাবনার যুক্তিতে। কিন্তু ঢিলটি লক্ষ্যভেদ করল। মাধবজির মুখ সাদা হয়ে গেল। ঠোঁট ফাঁক করে রইলেন।

“আপনারা দুজনে লাশটাকে হরটিলার মন্দিরে বেদির তলায় লুকিয়ে রেখেছিলেন।”

মাধবজির ঠোঁট কাঁপছিল। অতিকষ্টে বললেন, ‘বিপ্রদাসজি বলেছেন তাহলে?”

কর্নেল একটু হাসলেন শুধু।

মাধবজি এগিয়ে এলেন কাছে। শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে বললেন, “বড়কুমারসাব একাজ করবেন ভাবতে পারিনি, হুজুর কর্নেলসাব! ওকে কিছুক্ষণ পরে দৌড়ে চলে যেতে দেখে সন্দেহ হয়েছিল। তাই মেয়েটিকে খুঁজতে গিয়েছিলুম। গিয়ে দেখি পড়ে আছে ঠাণ্ডা হিম হয়ে। ওঃ! সে এক সাংঘাতিক ঘটনা।”

কর্নেল হনহন করে ঠাকুরদালানের সামনে দিয়ে চলতে থাকলেন। মাধবজি খড়িতে আঁকা মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে রইলেন।

কর্নেল গৌরীটিলার পাথরের ধাপ বেয়ে উঠতে শুরু করলেন।

দক্ষিণ-পশ্চিমকোণের এই টিলার মাথায় মন্দিরটা সামান্য বড় শিবমন্দিরটার চেয়ে। ভেতরে পাথরের ছোট গৌরীমূর্তি। সেখানে দাঁড়িয়ে বাইনোকুলারে রাজবাড়ি দেখতে থাকলেন কর্নেল।

জয় ব্যালকনিতে বসে কিছু খাচ্ছে। সারারাত সত্যিই কি সে হরটিলায় পাহারা দিচ্ছিল? মাধবজি তাকেই সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রমলার সঙ্গে দেখেছেন। পরে তাকে পালিয়ে যেতেও দেখেছেন, মেয়েটির লাশও আবিষ্কার করেছেন।

তাহলে বলতে হয়, জয় বড় দক্ষ চতুর অভিনেতা। কিন্তু কেন সে রমলাকে খুন করবে–যদি রমলা হয় তার প্রেমিকা?

বাইনোকুলারে রাজবাড়ির নিচের তলাও পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছিলেন কর্নেল। নিচের তলার বারান্দায় রঙ্গিয়া হেঁটে যাচ্ছে। নিজেদের ঘরে গিয়ে সে ঢুকল। দোতলার বারান্দায় জয়া দাঁড়িয়ে আছে। লেন্স অ্যাডজাস্ট করলে বিজয়ের ঘরের দরজার পর্দা ভেসে উঠল চোখে। মনে হল বিজয় তার ঘরে আছে।

হা। বুদ্বুরাম বেরিয়ে এল তার ঘর থেকে। নিশ্চয় এবার ভাগলপুর যাচ্ছে সে। তারদিকে লক্ষ্য রাখলেন কর্নেল। একটু পরে তাকে পোর্টিকোর তলা থেকে বেরিয়ে প্রধান ফটকের দিকে যেতে দেখা গেল। তারপর সে রাস্তা ধরে হনহন করে চলতে থাকল বাজারের দিকে।

কর্নেল বাইনোকুলারে উত্তর-পূর্বকোণে আউট-হাউস বা চিড়িয়াখানার টিলাটি দেখতে থাকলেন। হঠাৎ আউট-হাউসের শেষ জানালাটায় একটা মুখ দেখা গেল। তারপর নানকু যেন মাটি খুঁড়ে গজাল এবং জানালাটার কাছে গেল। কথা বলছে দুজনে। ভেতরকার লোকটা

কর্নে গৌরীটিলা থেকে নেমে বাগান ও ঝোঁপঝাড়ের ভেতর দিয়ে চলতে থাকলেন আউট-হাউসের টিলার দিকে। মাধবজি তখন ঠাকুরদালানে পুজোয় বসেছে। ঘণ্টার শব্দ শোনা যাচ্ছিল।..