৩. একলা রাত

. একলা রাত

মাস তিনেক পরের কথা। টুশি আর তপু তাদের পড়ার টেবিলে বসে পড়ছে। তপুর আব্ব আর আম্মু বাসায় নেই, বিকেলবেলা তাড়াহুড়ো করে বের হয়ে গেছেন। বের হওয়ার সময়ে দুজনেই নিচু গলায় ফিসফিস করে চিন্তিত মুখে কথা বলছিলেন– কী নিয়ে এরকম চিন্তা সেটা তাদের বলে যান নি। তাদেরকে বলে যাবেন টুশি আর তপু সেরকম আশাও অবশ্যি করে নি। তাদেরকে এই বাসায় মানুষ বলেই বিবেচনা করা হয় না–টুশি বাইরের মানুষ, তাকে মানুষ বলে বিবেচনা না করলে অবাক হবার কিছু নেই। কিন্তু তপুকেও যেন হিসেবের মাঝেই নেয়া হয় না। চাচা-চাচির কথাবার্তা কাজকর্ম দেখে মনে হয় তপু যেন একটা জীবাণু, পারলে ফিনাইল দিয়ে ধুয়ে তাকে যেন নর্দমায় ফেলে দেয়া হবে! বেচারা তপুর দোষটা কোথায় সেটা টুশি এখনও বুঝতে পারে নি, তার কথাবার্তায় একটু তোতলামো আছে কিন্তু সেটা তো আর কারও অপরাধ হতে পারে না। এমনিতে তপুর মতো মিষ্টি স্বভাবের ছেলে পাওয়া কঠিন, এই বাসায় যদি তপু না থাকত তা হলে টুশি বহু আগে পালিয়ে জমিলার মায়ের কাছে চলে যেত।

পড়ার টেবিলে কয়েকটা যোগ অঙ্ক করে তপু বলল, “টু-টু-টুশি আপু, খি খিদে পেয়েছে।”

টুশি মাথা চুলকাল, তার নিজেরও খিদে পেয়েছে। চাচা-চাচি যাবার সময় কিছু বলে যান নি, তাই তারা ধরেই নিয়েছে যে বেশি রাত হবার আগে চলে আসবেন। কিন্তু মোটামুটি রাত হয়ে আসছে তারা এখনও আসছেন না–রাতের খাবারের কী হবে টুশি বুঝতে পারছে না। টুশি জিজ্ঞেস করল, “বেশি খিদে পেয়েছে?”

তপু মাথা নাড়ল। টুশি বলল, “আয় দেখি ফ্রিজে কী আছে।” ফ্রিজ খুলে দেখা গেল সেখানে কিছু নেই একটা বাটিতে শুকনো কয়েকটা চিমসে হয়ে থাকা পটলভাজি–সেটা দিয়ে তো আর রাতের খাবার হতে পারে না। ফ্রিজে কোনো খাবার নাই দেখে তপুর খিদে মনে হয় এক লাফে আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেল।

টুশি বলল, “তুই কোনো চিন্তা করিস না। চাচা-চাচি আসতে দেরি করলে আমি রান্না করে ফেলব।”

তপু চোখ বড় বড় করে বলল, “তু-তু-তুমি রান্না করতে পার?”

“পারি না আবার!” টুশি তপুকে সান্ত্বনা দেবার জন্যে একটু বাড়িয়ে চাড়িয়ে বলল, “আমি সবকিছু রাঁধতে পারি। ভাত ডাল ডিমভাজি খিচুড়ি।” কথাটা বিশ্বাসযোগ্য করার জন্যে বলল, “জমিলার মা আমাকে সবকিছু শিখিয়ে দিয়েছে।”

“স-স-সত্যি?”

“সত্যি নয়তো মিথ্যা? দেখাব রান্না করে?”

আব্ব আম্মু না এলেও তপুকে না খেয়ে থাকতে হবে না জেনে তপু খানিকটা ভরসা পেল, সে জ্বলজ্বলে চোখে টুশির দিকে তাকিয়ে বলল, “তু-তু-তুমি কী রান্না করবে?”

“সেটা নির্ভর করে বাসায় কী আছে তার উপর। যেমন মনে কর বাসায় আছে শুধু চাল ডাল আর ডিম। তা হলে মনে কর”

টুশি কথা শেষ করার আগেই টেলিফোন বাজল, টুশি চোখ বড় বড় করে বলল, “এটা নিশ্চয়ই চাচা নাহয় চাচি।” সে দৌড়ে গিয়ে টেলিফোন ধরল, “হ্যালো।”

“হ্যালো। কে টুশি?”

 তপুর আম্মুর গলার স্বর, টুশি বলল, “জি চাচি, আমি।”

“আমরা একটা ঝামেলায় আটকে গেছি। এমনও হতে পারে যে আজ রাতে আমরা নাও আসতে পারি।”

“নাও আসতে পারেন?”

 “হ্যাঁ। তোমরা খেয়ে ঘুমিয়ে যেয়ো। দরজা বন্ধ করে রেখো।”

 “ঠিক আছে চাচি।”

 “ভয় পাবে না তো?”

টুশির হঠাৎ করে ভয় ভয় লাগতে থাকে কিন্তু সেটা তো আর বলা যায় না, তাই চি-চি করে বলল, “না চাচি ভয় পাব না।”

“কিছুতেই দরজা খুলবে না।”

“ঠিক আছে চাচি, দরজা খুলব না।”

“আজ যদি খুব বেশি রাত হয়ে যায় তা হলে কাল সকালে আসব। কাল তো তোমাদের স্কুল নাই?”

“না চাচি।”

“গুড।”

তারা আজ রাতে কী খাবে সেটা জিজ্ঞেস করতে চাইছিল কিন্তু তার আগেই অন্য পাশ থেকে চাচি টেলিফোনটা রেখে দিলেন। টুশি টেলিফোন রেখে তপুর দিকে তাকিয়ে বলল, “চাচা-চাচি আজ রাত্রে নাও আসতে পারেন।”

“না-না-না-নাও আসতে পা-পা-পারেন?” হঠাৎ করে তপুর তোতলামি বেড়ে গেল। টুশি সান্ত্বনা দিয়ে বলল, “তুই ভয় পাচ্ছিস কেন? ভয় পাবার কী আছে?”

“রাত্রে যদি ভূ-ভূ-ভূত আসে?”

ভূতের কথা শুনে টুশির পেট ভয়ে মোচড় দিয়ে উঠল, কিন্তু সে মুখে সেটা বুঝতে দিল না। সাহসের ভাব দেখিয়ে বলল, “ধুর! ভূত আবার কিছু আছে নাকি। আয়াতুল কুরসি বললে ভূত ধারেকাছে আসে না।”

“তু-তু-তুমি আয়াতুল কুরসি জান?”

“একেবারে মুখস্থ, কণ্ঠস্থ ঠোঁটস্থ। পড়ে তোকেও একটা ফুঁ দিয়ে দেব।”

টুশির কথা শুনে তপু একটু সাহস পেল। টুশি জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে বলল, “তা ছাড়া ঢাকা শহরে যত গাড়ি, লাইট শব্দ আর ধোঁয়া–এখানে ভূত কেন ভূতের বাবাও আসবে না!”

তপু ভয়ে ভয়ে বলল, “কে-কেন টুশি আপু?”

“জিন ভূতেরা লাইট ধোয়া শব্দ এইসব খুব ভয় পায়।”

“ও।”

 টুশি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলল, “আয় আমরা রান্না করে ফেলি।”

তপুর চোখেমুখে খানিকটা উৎসাহ ফুটে উঠল, বলল, কী-কী মজা হবে, তা তা-তাই না টুশি আপু?”

টুশি এ ব্যাপারে খুব নিশ্চিত ছিল না কিন্তু সেটা তপুকে বুঝতে দিল না। বলল, “হ্যাঁ অনেক মজা হবে!”

খাবারের মেনুকে খুব সহজ করার চেষ্টা করা হল, খিছুড়ি এবং ডিমভাজা। চাল এবং ডাল মেপে ডেকচিতে ঢালা হল। কীভাবে রান্না করতে হয় সেটা নিয়ে টুশির ভাসাভাসা একটা ধারণা ছিল, কিন্তু কতটুকু রান্না করতে হয় সেটা সম্পর্কে তার কোনো ধারণা ছিল না। রান্না করার আগে যে জিনিসটা থাকে অল্প একটু, রান্না করার পর সেটা ফুলে ফেঁপে এত বিশাল আকার নিয়ে নেয় যে সেটা টুশি কল্পনাও করে নি। তাই প্রায় ঘণ্টাখানেক পর যখন রান্না শেষ হয়েছে তখন টুশি এবং তপু। আবিষ্কার করল যেটুকু রান্না হয়েছে সেটা তারা চোখ বুজে সপ্তাহখানেক খেতে পারবে। তপু ভয়ে ভয়ে বলল, “এ-এ-এতগুলো কে খাবে?”

টুশি একটু বিরক্ত হয়ে বলল, “আমি তো আরও কম রাঁধতে চেয়েছিলাম, তুই না বললি বেশি করে রাধার জন্যে। তোর নাকি অনেক খিদে পেয়েছে। এখন বেশি করে খা।”

কাজেই দুজনেই বেশি করে খেল। খিদে বেশি পেয়েছিল বলেই কি না জানা নেই দুজনের কাছেই নিজেদের রান্নাকে মনে হল প্রায় অমৃত। খাওয়া শেষ করে হাত ধুয়ে দুজনে রান্নাঘরের দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল–রান্না করা ব্যাপারটি সহজ হতে পারে কিন্তু রান্নার প্রস্তুতির অংশটা সহজ না। সারা রান্নাঘরে চাল, ডাল, বাটি, চামুচ, পেঁয়াজ, পেঁয়াজের খোসা, ডিম, ডিমের ছিলকে, কাঁচামরিচ, শুকনো মরিচ তেল লবণ বাসন পাতিল ছড়ানো–হঠাৎ দেখলে মনে হয় এখানে একটা টর্নেডো হয়ে গেছে। টুশি রান্নাঘরের দিকে তাকিয়ে বলল, “চাচি আসার আগে এটা পরিষ্কার করতে হবে। না হলে চাচি খুব রাগ করবে।”

তপু মাথা নাড়ল, বলল, “ঠি-ঠি-ঠিক বলেছ।”

“আয় আগে একটু বিশ্রাম নিয়ে নিই। রান্না করে খেতে খুব পরিশ্রম হয়েছে।”

টুশি যে-কথাই বলে তপু কোনোরকম যুক্তিতর্ক ছাড়াই সেটা মেনে নেয় কাজেই এবারেও সেটা মেনে নিল, কাজেই দুজনেই বিশ্রাম নেবার জন্যে নিজেদের বিছানায় লম্বা হয়ে শুয়ে পড়ল।

টুশি ছাদের দিকে তাকিয়ে বলল, “চাচা-চাচি কোথায় গেছে জানিস তপু?”

“আ-আ-আমার মনে হয় নানি-বাড়ি।”

 “তোর নানি-বাড়ি?”

 “হ্যাঁ।”

 “তা হলে সেটা নিয়ে এত ফিসফিস কেন?”

 “জা-জা-জানি না। টা-টা-টাকা পয়সার ব্যাপার আছে মনে হয়।”

টুশি কোনো কথা বলল না, তপু পর্যন্ত বুঝে গেছে টাকাপয়সার ব্যাপার থাকলে তার আব্ব আম্মু খুব ব্যস্ত হয়ে পড়ে। টুশি আরও একটা কিছু জিজ্ঞেস করতে চাইছিল, কিন্তু তার আগেই হঠাৎ করে তপু উঠে বসে টুশির টেবিল থেকে বিচিত্র আকারের বোতলটা হাতে নিয়ে বলল, “টু-টুশি আপু চলো এই বো-বো বোতলটা খুলি।”

“খুলবি?”

“হ্যাঁ। মনে নেই তুমি বলেছিলে এ-এটা খুললে খুব আ-আনন্দ হবে। চ-চলো খুলি।”

টুশি উঠে বলল, “চল।”

প্রথমে দুজনে হাত দিয়ে খোলার চেষ্টা করল, কিন্তু ছিপিটা অসম্ভব শক্তভাবে লাগানো। তখন তপু খুঁজে খুঁজে তার আব্দুর টুল-বক্সটা নিয়ে আসে। সেখান থেকে একটা প্লায়ার্স বের করে দুজনে খোলার চেষ্টা করে খুব একটা সুবিধে করতে পারল না। ছিপিটা মনে হয় ঝালাই করে লাগানো, তাই শেষ পর্যন্ত হ্যাঁক-স বের করে ঝালাইয়ের অংশটা কেটে ফেলল, তখন শেষ পর্যন্ত ছিপিটা খুলে এল। টুশি খুব সাবধানে ছিপিটা খুলে ফেলে ভিতরে উঁকি দেয়, কিছু দেখা যায় না। সাবধানে সেটা টেবিলে উপুড় করে–ভিতর থেকে কিছুই বের হল না। সে কয়েকবার ঝকাল তারপর বোতলে •ক লাগিয়ে শুঁকে দেখল ভেতরে আঁঝালো এক রকমের গন্ধ। তপু জিজ্ঞেস করল, “ভি-ভ-ভিতরে কী টু-টুশি আপু?”

টুশি মাথা নাড়ল, বলল, “কিছু নাই।”

“দেখি।”

টুশি বোতলটা তপুর হাতে দিল। তপু সেটা হাতে নিয়ে ঝাঁকিয়ে দেখে, চোখে লাগিয়ে দেখে এবং নাকের কাছে নিয়ে শুঁকে বলল, “প-পচা গন্ধ।”

“হ্যাঁ। অনেকদিন থেকে বন্ধ তো সেইজন্যে।”

“কিন্তু ভি-ভিতরে কিছু না-নাই কেন?”

টুশি এত সহজে এরকম রহস্যময় একটা বোতলের এই পরিণতি মেনে নিতে রাজি হল না। গম্ভীর গলায় বলল, “এর মাঝে হয়তো আনন্দ ঠেস ভরা ছিল, সেটা বের হয়ে এখন ঘরে ছড়িয়ে পড়ছে।”

“য-য-যদি আনন্দ না হয়ে অ-অন্য কিছু হয়?”

“অন্য কী হবে?”

“ভূ-ভূ-ভূত?”

 “ধুর গাধা! ভূত কি বোতলের ভিতরে থাকে। ভূত থাকে শোনে। গাবগাছে।”

“কিন্তু–”

তপু ভূতসংক্রান্ত আরও একটা প্রশ্ন করতে চাইছিল কিন্তু টুশি তাকে সুযোগ দিল না। বলল, “আয় আগে রান্নাঘরটা পরিষ্কার করে ফেলি।”

“চ-চলো।”

দুজনে রান্নাঘরে গিয়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়ে থাকা জিনিসগুলো পরিষ্কার করতে থাকে।

.

ঠিক সেই সময় টুশি আর তপুর ঘরে খুব বিচিত্র একটা জিনিস ঘটতে থাকে। ছিপি খুলে রাখা বোতলটার ভিতর থেকে প্রথমে ভালো করে দেখা যায় না এরকম সূক্ষ্ম একটা ধোঁয়ার রেখা বের হয়ে আসতে থাকে। ধীরে ধীরে সেই ধোঁয়া বাড়তে থাকে, তারপর একসময় কুণ্ডলী পাকিয়ে ধোঁয়া বের হতে শুরু করে। ধোয়াটুকু সারা ঘরে ছড়িয়ে না পড়ে বোতলের উপরে ছাদের কাছাকাছি জমাট বাঁধতে থাকে। জমাটবাধা ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখে প্রথমে কিছু বোঝা যায় না, কিন্তু ধীরে ধীরে সেখানে একটা মানুষের মূর্তি স্পষ্ট হতে থাকে। প্রথমে মাথা শরীর আর পাতাপর সেখানে খুঁটিনাটি জিনিস ফুটে ওঠে–চোখ নাক মুখ, হাত, হাতের আঙুল। মানুষের মূর্তির রংটুকু হয় ধূসর, আস্তে আস্তে সেখানে রঙের ছোঁয়া লাগতে থাকে। লম্বা দাড়ি আর চুলে-ঢাকা একজন মানুষ, মাথায় উজ্জ্বল একটা পাগড়ি। লম্বা জরিদার আচকান–লাল রঙের পায়জামা, কোমর থেকে একটা বিশাল তরবারি ঝুলছে। দুই কানে দুটি বড় বড় রিং, গলায় রঙিন পাথরের মালা। পায়ে হাঁটুসমান উঁচু নকশিদার জুতো। মানুষটার বড় বড় গোল গোল চোখ, ফোলা গালে লালচে আভা।

মানুষটা ধীরে ধীরে নিচে নেমে আসে এবং ধোঁয়ার কুণ্ডলী তাকে পাক খেয়ে ঘোরাতে থাকে। মানুষের মূর্তিটা দুই হাত দুই পাশে ছড়িয়ে ধোয়ার সাথে সাথে ঘুরতে থাকে এবং একসময় টেবিলে আঘাত খেয়ে প্রচণ্ড শব্দ করে মেঝেতে আছাড় পড়ল। মানুষের মূর্তিটা যন্ত্রনার একটা শব্দ করে চোখ খুলে তাকালো তারপর কোনোমতে টেবিল ধরে উঠে দাঁড়াল।

রান্নাঘরে প্লেট ধুতে ধুতে টুশি এবং তপু স্পষ্ট শুনতে পেল তাদের ঘরের ভিতরে ধড়াম করে কিছু-একটা আছড়ে পড়েছে, দুজনে একসাথে চমকে উঠল। তপু ভয়-পাওয়া গলায় বলল, “ও-ও-ওইটা কি-কি-কিসের শব্দ?”

টুশি সাহস দেওয়ার জন্যে বলল, “কিছু না। ইঁদুর হবে।”

 তপু বলল, “ক-ক-কত বড় ইঁদুর?”

টুশি উত্তর দিল না, ঘরের ভেতরে যে শব্দ হয়েছে সেরকম শব্দ করার জন্যে ইঁদুরটার একটা মোষের মতো বড় হওয়া দরকার। টুশি রান্নাঘরের আশেপাশে তাকিয়ে রুটি বানানোর বেলুনটা হাতে তুলে নিল, তারপর তপুকে বলল, “আয় আমার সাথে।” ।

দুজনে পা টিপে টিপে তাদের ঘরের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। ঠিক সেই সময় ঘরের ভেতর থেকে লম্বা চুল দাড়ি, বড় বড় চোখের বিচিত্র পোশাকের বিশালবপু প্রাণীটি বাইরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।

ঘরের দরজায় টুশি এবং তপুর সাথে সেই মূর্তির দেখা হল।