১৮. পাঞ্জে সূরা (১৮তম খণ্ড)

১৮তম খণ্ড –- পাঞ্জে সূরা

বিশেষ বিশেষ সূরাসমূহ যা পাঞ্জে সূরা নামে পরিচিত

কোরআন শরীফের পাঁচটি সূরা সর্বসাধারণের কাছে পাঞ্জে সূরা নামে বহুল পরিচিত। পাঁচটি সূরা হচ্ছেঃ সূরা ইয়াসীন, সূরা আররহমান, সূরা মুযযাম্মিল, সূরা ওয়াক্বেয়া ও সূরা মুলক।

এ পাঁচটি সূরার বৈশিষ্ট্য, ফযীলত ও পড়ার সওয়াব আমরা এ বইয়ের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় অধ্যায়ে বিস্তারিতভাবে হাদীসের কিতাবের বরাত দিয়ে লিখেছি। সম্মানিত পাঠক-পাঠিকাবৃন্দ সেখানে এ সূরাসমূহের ফযীলত দেখে নেবেন। আমরা এখানে শুধু পাঞ্জে সূরার উচ্চারণ : অর্থ লিখবো।

.

পাঞ্জে সূরা তেলাওয়াতের নিয়ম

 ফজরের পর সূরা ইয়াসীন, যোহূরের পর সূরা আরাহমান, আছরের পর মুযযাম্মিল, মাগরিবের পর সূরা ওয়াকেয়া এবং এশার পর সূরা মুলক (তাবারাকাকাল্লাযী) তেলাওয়াত করাই

সূরা ইয়াসীনঃ

প্রথম মুবীন

بسم الله الرحمن الرحیم۔ يس (۱) والقرآن الحكيم (3) إنك لمن المرسلين (۴) على چراط مستقيم () تنزيل العزيز الرجيم () لتثور قوما مما أثر أباؤهم فهم غفلون (6) لقد حق القول على أكثرهم فهم لا يؤمنون (۷) إنا جعلنا في أعناقهم أغلقهى إلى الأذقان فهم مقمون (۸) وجعلنا من بين ايديهم سدا ومن خلفهم سدا فأغشيتهم فهم

يثين (1) وسواء عليهم عانذرتهم ام لم تنورهم يؤمنون (۱۰) ثمانين من اتبع التحرش الرحمن پاليب بشره بمغفرة

ما قدموا واثارهم ، وكل شي

واجرگریم (11) إنا نحن نحي الموتی ونگ أحصينه في امام مبین (۱۲)

উচ্চারণ : (১) ইয়া-সীন–(২) ওয়াল কোরআ-নিল্ হাকীম (3) ইন্নাকা লামিনাল মুরসালীন (৪)আলা–ছিরা-ত্বিম্ মুস্তাকীম (৫) তানযীলা আযীযি রূরাহীম (৬) লিতুযিরা কাওমাম্ মা উযিরা আ-বা-উঁহুম ফাহুম গা-ফিকূন (৭) লাকা হাল্কা কাওলু আলা–আকছারিহিম ফাহুম লা–ইউমিনূন (৮) ইন্না জাআলনা–ফী আনা-ক্বিহিম আলালা ফাহিয়া ইলাল আযকৃা-নি ফাহুম মুকুমায়ূন (৯) ওয়া জাআলনা–মিম্ বাইনি আইদীহিম্ ছাদ্দাওঁ ওয়া মিন্ খাফিহিম্ ছাদ্দা ফাআশাঈনা-হুম ফাহুম লা–ইউবৃছিরূন (১০) ওয়া সাওয়া-উন আলাইহিম আআন্যরতাহুম আম লাম তুনযিরহুম লা–ইউ’মিনুন। (১১) ইন্নামা–তুনযিরু মানি ত্তাবাআ যযিকরা ওয়া খাশিয়া রাহমা-না বিগাইবি ফাবাশিরুহু বিমাগফিরাতিওঁ ওয়া আজরিন কারীম (১২) ইন্না–নাহনু নুহয়ি মাওতা–ওয়া নাতুবু মা–কাদ্দামু ওয়া আ-ছা-রাহুম ওয়া কুল্লা শাইই আহছ-ইনা-হু ফী ইমা-মিম্ মুবীন।

অর্থ : (১) ইয়া-সীন (২) প্রজ্ঞাময় কোরআনের কসম। (৩) নিশ্চয় আপনি প্রেরিত রাসূলদের একজন। (৪) সরল পথে প্রতিষ্ঠিত। (৫) কোরআন পরাক্রমশালী পরম দয়ালু আল্লাহর তরফ থেকে অবতীর্ণ। (৬) যাতে আপনি এমন এক জাতিকে সতর্ক করেন, যাদের পূর্ব পুরুষদেরকে সতর্ক করা হয়নি, ফলে তারা গাফেল। (৭) তাদের অধিকাংশের জন্যে শাস্তির বিষয় অবধারিত হয়েছে, সুতরাং তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না। (৮) আমি তাদের গর্দানে চিবুক পর্যন্ত বেড়ি পরিয়েছি, ফলে তাদের মস্তক ঊর্ধ্বমুখী হয়ে গেছে। (৯) আমি তাদের সামনে ও পিছনে প্রাচীর স্থাপন করেছি, অতঃপর তাদেরকে আবৃত করে দিয়েছি, ফলে তারা দেখে না। (১০) আপনি তাদেরকে সতর্ক করুন বা না করুন তাদের পক্ষে উভয়ই সমান, তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না। (১১) আপনি কেবল তাদেরকেই সতর্ক করতে পারেন, যারা উপদেশ অনুসরণ করে এবং দয়াময় আল্লাহকে না দেখে ভয় করে, অতএব আপনি তাদেরকে সুসংবাদ দিন ক্ষমা ও সম্মানজনক পুরস্কারের। (১২) আমিই মৃতদেরকে জীবিত করি ও তাদের কর্মসমূহ লিপিবদ্ধ করি এবং আমি প্রত্যেক বস্তু স্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষিত রেখেছি।

দ্বিতীয় মুবীন

واضرب لهم مثلا أحب القرية و جاها الموتون (۱۳) اث ارسلنا إليهم اثنين فكذبوهما عززنا بثالث فقالوا إنا اليكم مرسلون (14) قالوا ما أنتم الا بشر مثلنا دوما انزل الرحمن من شيد ان انتم

و (16) وما علينا الا

) قالوا ربنا يعلم انا اليكم لمرسل

إلا تكذب

উচ্চারণ : (১৩) ওয়ারি লাহুম মাছালান আছ্হা-বা কারইয়াহ্। ই জা-আহা মুরসালুন। (১৪) ই আসানা–ইলাইহিমু স্নাইনি ফাঁকাৰ্য্যবৃহুমা–ফাআযযাযনা বিছা-লিছি ফাঁকা-নূ ইন্না ইলাইকুম্ মুসান (১৫) কালু মা–আন্তুম ইল্লা–বাশারুম মিছলুনা–ওয়ামা–আনলার রাহমানু মিন্ শাইই ইন্ আন্তু ইল্লা–তাকযিকূন (১৬) কা রব্রুনা–ইয়ালামু ইন্না ইলাইকুম্ লামুরূসান। ওয়ামা–আলাইনা–ইল্লা বালা-গুল্ মুবীন।

অর্থ : (১৩) আপনি তাদের কাছে সে জনপদের অধিবাসীদের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করুন, যখন সেখানে রাসূলগণ আগমন করেছিলেন। (১৪) আমি তাদের কাছে দু’জন রাসূল প্রেরণ করেছিলাম, অতঃপর তারা তাদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল, তখন আমি তাদেরকে শক্তিশালী করলাম তৃতীয় একজনের মাধ্যমে, তাঁরা সবাই বললেন, আমরা তোমাদের প্রতি প্রেরিত হয়েছি। (১৫) তারা বলল, তোমরা আমাদের মতই মানুষ, রহমান আল্লাহ্ কিছুই নাযিল করেননি, তোমরা কেবল মিথ্যাই বলে যাচ্ছ। (১৬) রাসূলগণ বললেন, আমাদের পরওয়ারদেগার জানেন, আমরা অবশ্যই তোমাদের প্রতি প্রেরিত হয়েছি। (১৭) পরিষ্কারভাবে আল্লাহর বাণী পৌঁছে দেয়াই আমাদের দায়িত্ব।

তৃতীয় মুবীন

قالوا انها تطيرنا پگم، إن لم تنتهوا لنجمنگم ولیمسنگم ما عذاب أليم. قالوا طائركم معكم أن ترتم د بل أنتم قوم مشرون (۱۹) وجاء من أقصا الميتة رجل شعيط قال يقوم اتبعوا المرسلين (۲۰) اتبعوا من يشكم أجزا وهم مهدون (۲۱) ومالی لا أعبد البنى قطرني وإليه ترجعون (۲۳) الخ من دونه إله إن يردن الرحمن بضر تغني عيني شفاعتهم شيئا ولا ينقذون (۲۶) إني إذا لفی ضلل بين

উচ্চারণ : (১৮) কা-নূ ইন্না তাত্ব-ইইয়ার্না–বিকুম্ লা ইল্ লাম তাহূ লানার্জুমান্নাকুম ওয়ালা ইয়ামাচ্ছান্নাকুম্ মিন্না–আযাবুন আলীম (১৯) কালু ত্বোয়া-ইরুকূম মা’আকুম আইন যুকিতু বা আনতুম কাওমুম্ মুসরিফুন। (২০) ওয়া জা-আ মিন আকুছোঁয়াল্ মাদীনাতি রাজুলুহঁ ইয়াআ, কা-লা ইয়া-কাওমি ভাবিউ’ মুরসালীন (২১) ইত্তাবিউ’ মাল লা ইয়াস্আলুকুম্ আজরাওঁ ওয়া হুম্ মুহ্তাদূন। (২২) ওয়ামা–লিয়া লা–আ’বুদু লাযী ফাত্বোয়ারানী ওয়া ইলাইহি তুজাউনি (২৩) আআত্তাখিযু মিন্ দূনিহী আ-লিহাতান ইই ইউরিনির রাহমানু বিদুরি লা–তুগনি আন্নী শাফা-’আতুহম শাইআওঁ ওয়ালা–ইউঁকিয়ূন। (২৪) ইন্নী ইযা লাফী দ্বলা-লিম্ মুবীন।

অর্থ : তারা বলল, আমরা তোমাদেরকে অশুভ অকল্যাণকর দেখছি, যদি তোমরা বিরত না হও তবে অবশ্যই তোমাদেরকে প্রস্তর বর্ষণে হত্যা করব এবং আমাদের পক্ষ থেকে তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি স্পর্শ করবে। (১৯) রাসূলগণ বললেন, তোমাদের অকল্যাণ তোমাদের সাথে, এটা কি এজন্যে যে, আমরা তোমাদেরকে সৎ উপদেশ দিয়েছি:বস্তুত তোমরা সীমালংঘনকারী সম্প্রদায় বৈ তো নও। (২০) অতঃপর শহরের প্রান্তভাগ থেকে এক ব্যক্তি দৌড়ে এসে বলল, হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা রাসূলগণের অনুসরণ কর। (২১) অনুসরণ কর তাঁদের যারা তোমাদের কাছে কোন বিনিময় কামনা করে না, অথচ তারা সুপথপ্রাপ্ত। (২২) আমার কি হল, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং যার কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে, আমি তাঁর এবাদত করব না:(২৩) আমি কি তাঁর পরিবর্তে অন্যদেরকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করব:করুণাময় যদি আমাকে কষ্টে নিপতিত করতে চান তবে তাদের সুপারিশ আমার কোনই কাজে আসবে না এবং তারা আমাকে রক্ষাও করতে পারবে না। (২৪) এরূপ করলে আমি প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হব।

চতুর্থ মুবীন

, ۸ مه ش نه, مر ه ۸ و ۸ / م م

وه هه مه ره

وان كل لما جميع لدينا محضرون ۳۲ واية لهم الارض

إلى أمنت برم

فاسمعون ۲۰ قيل ادخل الجنة ، قال لياليت قومی يعلمون ۲۹ بما غفرلى ربي وجعلني من المكرمين ۲۷ وما أنزلنا على قومه من بعده من جثير من الماء وماگا منزلين ۲۸ إث كانت الأصيحة واحدة فإذا هم ځامون ۲۹ يحشرة على العباد ع مائتيهم من رسول اه كانوا په يستهزون ۳۰ ألم يروا كم اهلكا قبلهم من القرون انهم اليهم

الميتة أحييها واخرجنا منها حبا فمنه يأكلون ۳۳ وجعلنا فيها جنت من نخيل واعنا وفجرنا فيها من العيون ۲۶ إياكلوا من مره و وما عملته أيديهم د ا يشگون ۳۰ سبحن الذي خلق الأزواج كلها مما تثبت الأرض ومن أنفسهم وبما لا يعلمون ۳۲ واي تهم اليل ذلك تقوي العزيز العليم ۳۸ والقمر قدره منازل حلى اد كالعجوني القديم ۳۹ الشمس يثبغي لها أن تترك القمر و اليل سابق النهار ، وكل في فلن يسبحون وأية لهم أثا حملنا ذريتهم في الفلبي المشحوني 1، وقنا لهم من ثيو ما يركبون 40 وإث ث تغرقهم

ق ريخ لهم وهم ينقذون ۶۳ إلا رحمة منا ومتاعا إلى حين 44 وإذا قيل لهم اتقوا مابين ايډيگم وما خلفكم لعلكم ترحمون 45 وما تأتيهم من أية من أيت ربهم إلا كانوا عثها معرضين 41 وإذا قيل لهم أنفقوا ما

.. و

نسل

م و ة ،، . نه النه

لون ۳۷ والشمس تجری

لها 4

. ر م

ا

م

رزقكم

،م م م ه م . ت . م :قك الله لا قال ال

, م ا م م و م رہی بن لو يشاء الله اطعمه

فإن انتم إلا في ضل مبين 47

উচ্চারণ : (২৫) ইন্নী আ-মান্তু বিরব্বিকুম ফাসমাউন (২৬) কীলা দুখুলিল জান্নাতা কা-লা ইয়ালাইতা কাওমী ইয়ালামূন (২৭) বিমা গাফারা লী রব্বী ওয়া জা’আলানী মিনাল মুক্রামীন (২৮) ওয়ামা–আ্যানা–আলা কাওমিহী মিম্ বাদিহী মিন জুদিম্ মিনা সামা-ই ওয়ামা–কুন্না–মুযিলীন (২৯) ইন্ কা-নাত ইল্লা–ছোঁয়াইহাতাওঁ ওয়াহিদাতান ফাইযা–হুম খা-মিদূন (৩০) ইয়া–হাতান আলা ইবা-দি মা–ইয়া’তীহিম মির রাসূলি ইল্লা–কা বিহী ইয়াস্তাযিঊন (৩১) আ লাম্ ইয়ারাও কাম্ আহ্লা–কালাহুম মিনাল কুরূনি আন্নাহুম ইলাইহিম লা–ইয়ারজিউন (৩২) অইন কুলুল্লাম্মা–জামীউ’ লাদাইনা–মুহদোয়ারূন। (৩৩) ওয়া আ-ইয়াতুল লাহুমুল আরদ্দুল মাইতাতু আহইয়াইনা-হা–ওয়া আখরাজনা মিনহা হাব্বান ফামিহু ইয়াকুন (৩৪) ওয়া জা’আল্না–ফীহা–জান্না-তিম্ মিন নাখীলিওঁ ওয়া আনা-বিওঁ ওয়া ফাজ্জার্না–ফীহা–মিনাল্ উইয়ূন (৩৫) লিয়াকুলু মিন্ সামারিহী ওয়ামা আমিলাতহু আইদীহিম আফালা–ইয়াকুরূন। (৩৬) সুবহা-না লাযী খালাকাল আওয়া-জা কুল্লাহা–মিম্মা–তুম্‌বিতুল আরদু ওয়া মিন আফুসিহিম ওয়া মিম্মা-লা–ইয়া’লামূন (৩৭) ওয়া আ-ইয়াতু লাহুমুল লাইলু নালাখু মিনৃহু নাহা-রা ফাইযা–হুম্ মুলিমূন (৩৮) ওয়া শামসু তাজ্বরী লিমুস্তাকারি লাহা–যা-লিকা তাক্বদীরুল আযীযিল আ’লীম (৩৯) ওয়ালকামারা কৃাদ্দারূনা-হু মানা-যিলা হাত্তা–আ-দা কাউ’জুনিল ক্বাদীম (৪০) লাশশামসু ইয়াবাগী লাহা আন তুরিকাল কামারা ওয়ালা লাইলু সা-বিকুন্নাহা-রি ওয়া কুলু ফী ফালাকিই ইয়াবাহ্ন (৪১) ওয়া আ-ইয়াতুল লাহুম আন্না–হামানা–যুররিয়্যাতাহুম ফি ফুলকি মাশহুন (৪২) ওয়া খালানা–লাহুম মিম্ মিসূলিহী মা–ইয়াকাকূন (৪৩) ওয়া ইন্না শা’ নুরিক্বহুম ফালা–ছরীখা লাহুম ওয়ালা–হুম ইউঁকিয়ূন (৪৪) ইল্লা–রাহ্মাতা মিন্না–ওয়া মাতা-’আন ইলা–হীন (৪৫) ওয়া ইযা–কীলা লা হুমু তৃতাকু-মা–বাইনা আইদীকুম ওয়ামা খালফাকুম লাআল্লাকুম তুহামূন (৪৬) ওয়ামা–তা’তীহিম মিন্ আ-ইয়াতিম্ মিন্ আ-ইয়া-তি রব্বিহিম ইল্লা–কা-নূ আহা মুরিদীন (৪৭) ওয়া ইযা–কীলা লাহুম আক্কি মিম্মা রাযাক্কাকুমুল্লা-হু ক্বা-লা লাযীনা কাফারূ লিল্লাযীনা আ-মানূ আনুত্বই’মু মা লাও ইয়াশা-উ ব্লা-হু আত্বআমাহু ইন আনৃতুম ইল্লা–ফী দ্বলা-লি মুবীন।

অর্থ : (২৫) আমি নিশ্চিতভাবে তোমাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম, অতএব আমার কাছ থেকে শুনে নাও, (২৬) তাকে বলা হল, জান্নাতে প্রবেশ কর; সে বলল! হায় আমার সম্প্রদায় যদি কোনক্রমে জানতে পারত (২৭) যে, আমার পরওয়ারদেগার আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং আমাকে সম্মানিতদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। (২৮) তারপর আমি তার সম্প্রদায়ের উপর আকাশ থেকে কোন বাহিনী অবতীর্ণ করিনি এবং আমি (বাহিনী) অবতরণকারীও ছিলাম না। (২৯) বস্তুতঃ এ ছিল এক মহা নাদ, অতঃপর সঙ্গে সঙ্গে সবাই স্তব্ধ হয়ে গেল। (৩০) বান্দাদের জন্যে আক্ষেপ, তাদের কাছে এমন কোন রাসূলই আগমন করেনি যাদের প্রতি তারা বিদ্রূপ করেনি (৩১) তারা কি প্রত্যক্ষ করেনি, তাদের পূর্বে আমি কত সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছি যে, তারা তাদের মধ্যে আর ফিরে আসবে না। (৩২) ওদের সবাইকে সমবেত অবস্থায় আমার দরবারে উপস্থিত হতে হবে। (৩৩) তাদের জন্য একটি নিদর্শন মৃত পৃথিবী, আমি একে সঞ্জীবিত করি এবং তা থেকে উৎপন্ন করি শস্য, তারা তা থেকে ভক্ষণ করে, (৩৪) আমি তাতে সৃষ্টি করি খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান এবং প্রবাহিত করি তাতে নিঝরিণী। (৩৫) যাতে তারা তার ফল খায়, তাদের হাত এগুলো সৃষ্টি করেনি অতঃপর তারা কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করে না। (৩৬) পবিত্র তিনি যনি যমীন থেকে উৎপন্ন উদ্ভিদ ও মানুষকে এবং যা তারা জানে না তাদের প্রত্যেককে জোড়া জোড়া করে সৃষ্টি করেছেন। (৩৭) তাদের জন্যে এক নিদর্শন রাত্রি, আমি তা থেকে দিনকে অপসারিত করি, তখনই তারা অন্ধকারে থেকে যায়। (৩৮) সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে, এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ। (৩৯) চন্দ্রের জন্য আমি বিভিন্ন মন্‌যিল নির্ধারিত করেছি, অবশেষে সে পুরাতন খর্জুর শাখার অনুরূপ হয়ে যায়। (৪০) সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে দিনের, প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষ পথে সন্তরণ করে। (৪১) তাদের জন্যে একটি নিদর্শন হচ্ছে আমি তাদের সন্তান সন্ততিকে বোঝাই নৌকায় আরোহণ করিয়েছি (৪২) এবং তাদের জন্যে। নৌকার অনুরূপ যানবাহন সৃষ্টি করেছি, যাতে তারা আরোহণ করে। (৪৩) আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে নিমজ্জিত করতে পারি, তখন তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই এবং তারা পরিত্রাণও পাবে না (৪৪) কিন্তু আমারই পক্ষ থেকে ক্বপা এবং তাদেরকে কিছুকাল জীবন উপভোগ করার সুযোগ দেয়ার কারণে তা করি না। (৪৫) আর যখন তাদেরকে বলা হয়, তোমরা সামনের আযাব ও পিছনের আযাবকে ভয় কর, যাতে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করা হয়, তখন তারা তা আগ্রাহ্য করে। (৪৬) যখনই তাদের পালনকর্তার নির্দেশাবলীর মধ্য থেকে কোন। নির্দেশ তাদের কাছে আসে, তখনই তারা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। (৪৭) যখন তাদেরকে বলা হয়, আল্লাহ তোমাদেরকে যা দিয়েছেন তা থেকে ব্যয় কর, তখন কাফেররা মু’মিনণগকে বলে, ইচ্ছা করলে আল্লাহই যাকে খাওয়াতে পারতেন আমরা তাকে কেন খাওয়াব?

পঞ্চম মুবীন

ويقولون متى هذا الوعد إن كنتم صدقين ۶۸ ماينظرون الأصيحة واحدة تأخذهم وهم يخصمون ، فلا يستطيعون توصية ولا إلى أهلهم يجعون .. وتفخ في الشور فإذا هم من الأجداث الى ربهم يثستون ۰۱ قالوا ويلنا من بعثنا من مرقينا سكته هذا ما وعد الرحمن وصدق المرسلون ۰۲ إن كانت إلا صيحة واحدة فاذا هم جميع لدينا محضرون ۰۳ فاليوم ثم تف شيئا وتجزين إلأ ما تم تثمن 4. إن اصحب الجثة اليوم في شغل فيهون ۰ه هم وازواجهم في ظل على الأرائك متون 56 لهم فيها فاكهة ولهم ما يدعون ۷شله د قوة من

جيم ۰۸ وامتازوا اليوم أيها المجرمون 59 ألم أعهد إليكم يبنى

و أنه أن لا تعبدوا القطن، إنه تم عد شي

উচ্চারণ : (৪৮) ওয়া ইয়াকূলুনা মাতা–হাযাল ওয়াদু ইন কুতুম ছোঁয়া-দিক্বীন। (৪৯) মা–ইয়াযুরূনা ইল্লা–ছইহাতাওঁ ওয়াহিদাতান তা’খুযুহুম ওয়া হুম ইয়াখিচ্ছিমূন। (৫০) ফালা ইয়াস্তাত্বী’উনা তাওছিয়াতাওঁ ওয়ালা–ইলা–আহলিহিম ইয়াজিউন। ওয়া নুফিখা–ফি ছছুরি ফাইযা হুম মিনাল্আদা-ছি ইলা–রাব্বিহিম ইয়াসিলুন। (৫২) কা-নূ ইয়াওয়াইলানা মাম বাআছানা–মিম্ মারকৃাদিনা–হা-যা–মা–ওয়াদার রাহ্মা-নু ওয়া ছদাক্বাল মুরূসান। (৫৩) ইন্ কা-নাত ইল্লা–ছইহাতাওঁ ওয়াহিদাতান ফাইযা-হুম জামীউ’ দাঈনা–মুহদোয়ারূন। (৫৪) ফাঁইয়াওমা লা–তুলামু নাসুন শাইআওয়ালা–তুজ্বযাওনা ইল্লা–মা–কুতুম তামান (৫৫) ইন্না আছহা-বাল জান্নাতি ইয়াওমা ফী শুগুলিন ফা-কিহুন। (৫৬) হুম ওয়া আওয়া-জুহুম ফী যিলা-লিন আলা আরা-ইকি মুত্তাকিউন। (৫৭) লাহুম ফীহা–ফা-কিহাতুওঁ ওয়া লাহুম মা–ইয়াদ্দাউন (৫৮) সালা-মুন কাওলা মৃমি বুরব্বি রাহীম। (৫৯) ওয়াতায়ূ ইয়াওমা আইয়ুহা লমুরিমূন (৬০) আলাম আহাদ ইলাইকুম ইয়া-বানী আ-দামা আল্লা তাবুদুশ শাইতত্বায়া-না ইন্নাহূ লাকুম আ’দুউ মমুবীন।

অর্থ : (৪৮) তারা বলে, তোমরা সত্যবাদী হলে বল, এ ওয়াদা কবে পূর্ণ হবে:(৪৯) তারা কেবল একটা ভয়াবহ শব্দের অপেক্ষা করছে, যা তাদেরকে আঘাত করবে তাদের পারস্পরিক বাকবিতণ্ডাকালে। (৫০) তখন তারা অসিয়ত করতেও সক্ষম হবে না এবং তাদের পরিবার পরিজনের কাছেও ফিরে যেতে পারবে না। (৫১) আর শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, তখনই তারা বলবে হায়! আমাদের দুর্ভোগ! কে আমাদেরকে আমাদের দ্ৰিাস্থল থেকে জাগ্রত করল:রহমান আল্লাহ্ তো এরই ওয়াদা দিয়েছিলেন এবং রাসূলগণ সত্য বলেছিলেন। (৫৩) এটা তো হবে কেবল এক মহা নাদ, সে মুহূর্তেই তাদের সবাইকে আমার সামনে উপস্থিত করা হবে। (৫৪) আজকের দিনে কারও প্রতি জুলুম করা হবে না এবং তোমরা যা করবে কেবল তারই প্রতিদান পাবে। (৫৫) এদিন জান্নাতীরা আনন্দে মশগুল থাকবে। (৫৬) তারা এবং তার স্ত্রীরা উপবিষ্ট থাকবে ছায়াময় পরিবেশে আসন হেলান দিয়ে। (৫৭) সেখানে তাদের জন্যে থাকবে ফল-মূল এবং যা তারা চাইবে। (৫৮) করুণাময় পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাদেরকে বলা হবে সালাম। (৫৯) হে অপরাধীরা! আজ তোমরা আলাদা হয়ে যাও। (৬) হে বনী আদম! আমি কি তোমাদেরকে বলে রাখিনি, শয়তানের এবাদত করো না, সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।

ষষ্ঠ মুবীন

واني اعبدوني د لهذا صراط مستقيم 11 ولقد أل نگم جب كثيرا أفلم تكونوا تعقلون ۱۳ هذه جهنم التى كنتم توعدون ۲ة إصلؤها اليوم بما كنتم تكفرون ۲۶ اليوم نختم على أفواههم وتكلمنا ايديهم وتشهد ارجلهم بما كانوا يكسبون ۲۰ ولو نشاء لطمشتا على أعينهم فاستبقوا

م نهم على مكانتهم فما

التيراط د قانى يبصرون ۱۲ ولوتشاء

ه

في الخلق د اقلا

استطاعوا منا ولا يرجون17–ومن عتيژه ت

ر و قژان بين 19

يعقلون ۸ وماعلمنة الشعر وما ينبغي له . إن هو ا

উচ্চারন : ((৬১) ওয়া আনি’ বুদূনী হা-যা ছিরা-তুম মুস্তাকীম (৬২) ওয়া লাক্কা আদ্বোয়াল্লা মিকুম জিবিল্লান কাসীরা-; আফালাম তাকূনূ তাকিন (৬৩) হা-যিহী জাহান্নামু

লাতী কুতুম আ’দূন (৬৪) ইছুলাওহা ইয়াওমা বিমা–কুতুম তাকফুরূন। (৬৫) আইয়াওমা নাখৃতিমু আলা–আওয়াহিহিম ওয়া তুকাল্লিমুনা–আইদীহিম ওয়া তাহাদু আরজুলুহুম বিমা–কা-নূ ইয়াসিনূন। (৬৬) ওয়া লাও নাশা-উ লাত্বোয়ামাস্না–আলা আ’ইউনিহিম ফাসতাবাকু ছছিরা-ত্বোয়া ফাআন্না–ইউছিরূন। (৬৭) ওয়া লাও নাশা-উ লামাসাঞ্ছনা-হুম আলা–মাকা-নাতিহিম ফামাস্তাত্বোয়া-উ’ মুদ্বিয়াওঁ ওয়ালা–ইয়াজিউন। (৬৮) ওয়া মান্ নুআমমিরূহু নুনাকিস্হু ফি খাকী আফালা–ইয়াকিন (৬৯) ওয়ামা আল্লামনা-হু শি’রা ওয়ামা–ইয়াবাগী লাহু, ইন হুওয়া ইল্লা–যিওঁ ওয়া কুরআ-নু মুবীন।

অর্থ : (৬১) এবং আমার এবাদত কর, এটাই সরল পথ। (৬২) শয়তান তোমাদের অনেক দলকে পথভ্রষ্ট করেছে, তবুও কি তোমরা বুঝ না:(৬৩) এই সে জাহান্নাম যার ওয়াদা তোমাদেরকে দেয়া হতো। (৬৪) তোমাদের কুফরের কারণে আজ এতে প্রবেশ কর। (৬৫) আজ আমি তাদের মুখে মোহর এঁটে দেব, তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে এবং তাদের পা তাদের ক্বতকর্মের সাক্ষ্য দেবে। (৬৬) আমি ইচ্ছা করলে তাদের দৃষ্টিশক্তি বিলুপ্ত করে দিতে পারতাম, তখন তারা পথের দিকে দৌড়াতে চাইলে কেমন করে দেখতে পেত? (৬৭) আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে স্ব-স্ব স্থানে আকার বিকৃত করতে পারতাম, ফলে তারা আগেও চলতে পারত না এবং পেছনেও ফিরে যেতে পারত না। (৬৮) আমি যাকে দীর্ঘ জীবন দান করি তাকে সৃষ্টিগত পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেই; তবুও কি তারা বুঝে না? (৬৯) আমি রাসূলকে কবিতা শিক্ষা দেইনি এবং তা তার জন্য শোভনীয়ও নয়; কারণ এটা তো এক উপদেশ ও প্রকাশ্য কোরআন।

সপ্তম মুবীন

يثيرر من كان حيا ويحق القول على الكفرين ۷۰ أولم يروا أنا خلقنا لهم ما عملت ايدينا أثعاما فهم لها ملگون ۷۱ ولها تهم قيثها گونهم وبثها يكون ۷۹ ولهم فيها منافع ومشارب د اقلا يشرف ۷۳ واتوا من دون اللواله لعلهم يثرون 74

حضرون ۷۰ فلايحزنك

لايشتطيعون نشرهم, وهم لهم جن قولهم إنا نعلم ما يسرون وما يعلنون ۷۹ أولم ير الإنسان أنا كفئه

اذا هو خصيم مبین ۷)

من نط

উচ্চারণ : (৭০) লিইউযিরা মান কা-না হাইয়াওঁ ওয়া ইয়াহিক্কাল কাওলু আলাল কা-ফিরীন (৭১) আওয়া লাম ইয়ারাও আন্না–খালাক্বনা–লাহুম মিম্মা–আমিলাত আইদীনা আন’আ-মান ফাহুম লাহা–মা-লিকুন। (৭২) ওয়া যাল্লাল্না-হা–লাহুম ফামিহা–রাকূবুহুম ওয়া মিহা–ইয়াকুন। (৭৩) ওয়া লাহুম ফীহা–মানা-ফিউ’ ওয়া মাশা-রিবু আফালা–ইয়াকুরূন। (৭৪) ওয়াত্তাখা মিন দূনিল্লা-হি আ-লিহাতা লা’আল্লাহুম ইউছোঁয়ারূন। (৭৫) লা ইয়াস্তাত্বিউ’না নাসরাহুম ওয়া হুম লাহুম জুনদুম মুহদ্বোয়ারূন (৭৬) ফালা–ইয়াহযুনকা কাওলুহুম। ইন্না–নালামু মা–ইউসিরূনা ওয়ামা–ইউ’লিনূন। (৭৭) আওয়া লাম ইয়ারা ইন্সা-নু আন্না–খালানা-হু মিন নুত্বফাতিন ফাইযা–হুওয়া খাসীমু মমুবীন।

অর্থ : (৭০) যাতে তিনি সতর্ক করেন জীবিতকে এবং যাতে কাফেরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। (৭১) তারা কি দেখে না, আমি তাদের জন্যে নিজ হাতে চতুষ্পদ জন্তু সৃষ্টি করেছি, অতঃপর তারাই এগুলোর মালিক। (৭২) আমি এগুলোকে তাদের অধীনস্থ করে দিয়েছি, ফলে এদের মধ্যে কতগুলো তাদের বাহন এবং কতগুলো তারা ভক্ষণ করে। (৭৩) তাদের জন্যে চতুষ্পদ জন্তুর মধ্যে অনেক উপকারিতা ও পানীয় রয়েছে; তবুও তারা শুকরিয়া আদায় করে না:(৭৪) তারা আল্লাহর পরিবর্তে অনেক উপাস্য গ্রহণ করেছে, যাতে তারা সাহায্য প্রাপ্ত হতে পারে। (৭৫) অথচ এসব উপাস্য তাদেরকে সাহায্য করতে সক্ষম হবে না। এবং এগুলো তাদের বাহিনীরূপে ধৃত হয়ে আসবে। (৭৬) অতএব তাদের কথা যেন আপনাকে দুঃখিত না করে। আমি জানি যা তারা গোপনে করে এবং যা তারা প্রকাশ করে। (৭৭) মানুষ কি দেখে না, আমি তাকে সৃষ্টি করেছি বীর্য থেকে:অতঃপর তখনই সে হয়ে গেল প্রকাশ্য বাকবিতণ্ডাকারী।

ورب لنا مثلا ونسى خلقه . قال من حي العظام وهي رميم ۷۸

لقي عليم ۸۹ في البني

قل يحييها التي أنشأها أول مرة ، وهو بك جعل لكم من الشجر الأخضر نارا فإذا انتم منه وقدون ۸۰ أوليس

ومثلهم ط بلی ق وهو الخلق

الذي خلق السموت والا

العليم ۸۱ إثما أمره اذا أراد شيا أن يقول له كن فيكون ۸۲ قبحن الذي بيده ملكوت كل شي والو ترجعون ۸۳

উচ্চারণ : (৭৮) ওয়া দ্বারাবা লানা–মাছালাওঁ ওয়া নাসিয়া খালক্কাহ্; কালা মাহঁ ইউহয়িল ইয়োয়া-মা ওয়া হিয়া রামীম (৭৯) কূল ইউহঈহা ল্লাযী আনশাআহা–আউওয়ালা মারাতিওঁ ওয়া হুওয়া বিকুল্লি খালকিন আলীম (৮০) আল্লাযী জা’আলা লাকুম্ মিনা শশাজারি আখদ্বোয়ারি না-রান্ ফাইযা–আন্তুম মিনহু তুকিদূন। (৮১) আওয়া লাইসাল্লাযী খালাক্কা সামাওয়াতি ওয়া আরূদ্বোয়া বিকা-দিরিন আলা আই ইয়াখলুকা মিছলাহুম বালা–ওয়া হুওয়াল খাল্লা-কুল আলীম (৮২) ইন্নামা–আমরুহু ইযা–আরা-দা শাইআন আই ইয়াকুলা লাহু কুন্ ফাঁইয়াকূন। (৮৩) ফাসুবহা-ল্লাযী বিইয়াদিহী মালাকূতু কুল্লি শাইইওঁ ওয়া ইলাইহি তুজাউন।

অর্থ : (৭৮) সে আমার সম্পর্কে এক অদ্ভুত কথা বর্ণনা করে, অথচ সে নিজের সৃষ্টি ভুলে যায়; সে বলে, কে জীবিত করবে অস্থিসমূহকে যখন সেগুলো পঁচে গলে যাবে:(৭৯) বলুন, যিনি প্রথম বার সেগুলো সৃষ্টি করেছেন, তিনিই জীবিত করবেন, তিনি সর্বপ্রকার সৃষ্টি সম্পর্কে সম্যক অবগত। (৮০) যিনি তোমাদের জন্যে সবুজ বৃক্ষ থেকে আগুন উৎপন্ন করেন, তখন তোমরা তা থেকে আগুন জ্বালাও। (৮১) যিনি নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল সৃষ্টি করেছেন তিনি কি তাদের অনুরূপ সৃষ্টি করতে সক্ষম নন? হাঁ, তিনি মহাস্রষ্টা, সর্বজ্ঞ। (৮২) তিনি যখন কোন কিছু করতে ইচ্ছা করেন, তখন তাকে কেবল বলেন, হও! তখনই তা হয়ে যায়। (৮৩) অতএব পবিত্র তিনি, যার হাতে সবকিছুর রাজত্ব এবং তারই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।

.

সূরা আররাহমানঃ

بسم الله الرحمن الرحیم۔ الرحم (1) علم القران (۲) خلق الإنسان (۲) علمة البيان (4) الشمس والقمر بحسبان () والتجم والشجر يشجان (1) والشماء رفعها ووضع الميزان (۷) الا تطغوا في الميزان (۸) و أقيموا الوزن

উচ্চারণ : (১) আর্রাহ্মা-ন (২) আল্লামাল কোরআ-ন (৩) খালাকা ইনসান (৪) আল্লামাহু বাইয়া-ন (৫) আশৃশামসু ওয়া ক্বামারু বিহুস্বান্ (৬) ওয়ান্‌নাজমু ওয়াশশাজারু ইয়াজুদা-ন (৭) ওয়া সৃসামাআ রাফাআহা ওয়া ওয়াদ্বোয়াআল্ মীযান (৮) আল্ লা তাঙ্গ ফি মীযান (৯) ওয়া আক্বীমুল্ ওয়ানা বিক্বিতি ওয়ালা–তুসিরুল্ মীযান।

অর্থ : (১) করুণাময় আল্লাহ্ (২) শিক্ষা দিয়েছেন কোরআন, (গ) সৃষ্টি করেছেন মানুষ (৪) তাকে শিখিয়েছেন বর্ণনা। (৫) সূর্য ও চন্দ্র হিসাবমত চলে (৬) এবং তৃণলতা ও বৃক্ষাদি সেজদারত আছে। (৭) তিনি আকাশকে করেছেন সমুন্নত এবং স্থাপন করেছেন তুলাদণ্ড, (৮) যাতে তোমরা সীমালংঘন না কর তুলাদণ্ডে। (৯) তোমরা ন্যায় ওজন কায়েম কর এবং ওজনে কম দিয়ো না।

والأرض وضعها ينام (۱۰) فيها فاكهة والخل ذات الأكمام (۱۱) والحب والعفو والريحان (۱۶) فبای الاء ربكما تكذبن (۱۳) خلق الإنسان من صلصال كالفار (14) وخلق الجان من مارج من نار (۱) قباي الاء ربكما تكبير (16)

উচ্চারণ : (১০) ওয়াল্ আদোয়া ওয়াদ্বোয়াআহা–লিআনা-ম্ (১১) ফীহা–ফাঁকিহাতুওঁ ওয়ান্ নাখলু যা-তুল আমা-ম্ (১২) ওয়াহাব্ব যুল-আসফি ওয়ার রাইয়হান (১৩) ফাবিআইয়্যি আ-লা-ই–রব্বিকুমা–তুকাযিবান (১৪) খালাক্কাল ইনসা-না মিন্ ছলছোঁয়ালি কালফাখ্খা-র (১৫) ওয়া খালাকৃাল জানো মিম্ মা-রিজিম্ মিন্ না-র (১৬) ফাবিআইয়্যি আ-লা-ই রব্বিকুমা–তুকাযিবান।

অর্থ : (১০) তিনি পৃথিবী স্থাপন করেছেন সৃষ্ট জীবের জন্যে (১১) এতে আছে ফলমূল এবং বহিরাবরণবিশিষ্ট খর্জুর বৃক্ষ। (১২) আর আছে খোসাবিশিষ্ট শস্য ও সুগন্ধ ফুল। (১৩) অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবেঃ (১৪) তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পোড়া মাটির ন্যায় শুষ্ক মৃত্তিকা থেকে (১৫) এবং জ্বিনকে সৃষ্টি করেছেন অগ্নিশিখা থেকে (১৬) অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবেঃ

بن (۱۸)

و المشرقين ورب المقربين (۱۶) فبای الاء ريما مرج البحرين يلتقين (۱۹) بينهما برز لايبغين (۰) فبای الاء ربما تكبربن (۲۱) يخرج منهما الؤلؤ والمرجان (۲) فبای الاء ربما تكبن (۲۳) وله الجوار المنشئت في البحر كالاعلام (4) فبراي الاء ربكماتك

.۰۰۹ راز

উচ্চারণ : (১৭) রব্দুল মাশরিকাঈনি ওয়া রব্দুল মাগরিবাইন (১৮) ফাবিআইয়্যি আ-লা-বার্খু ললা–ইয়াবৃগিয়ান (২১) ফাবিআইয়্যি আ-লা-ই রাব্বিকুমা–তুকাযিবান (২২) ইয়ারুজু মিহুমা ললু’লুওঁ ওয়াল মারজান (২৩) ফাবিআইয়্যি আ-লা-ই রব্বিকুমা

অর্থ : (১৭) তিনি দু’ উদয়াচল ও দু’ অস্তাচলের মালিক। (১৮) অতএব, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ অবদান অস্বীকার করবেঃ (১৯) তিনি পাশাপাশি দু’ দরিয়া প্রবাহিত করেছেন। (২০) উভয়ের মাঝখানে রয়েছে এক অন্তরাল, যা তারা অতিক্রম করে না। (২১) অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ অবদান অস্বীকার করবেঃ (২২) উভয় দরিয়া থেকে উৎপন্ন হয় মতি ও প্রবাল। (২৩) অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ অবদান অস্বীকার কবে:(২৪) দরিয়ায় বিচরণশীল পর্বত সদৃশ জাহাজসমূহ তাঁরই (নিয়ন্ত্রণাধীন)। (২৫) অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন্ অবদান অস্বীকার করবে।

كل من عليها فان (۲۹) ويبقى وجه ربك والجير والإكرام (۲۷) فبای الاء ربكما تكبن (۲۸) يشته من في السموات والأرض ممل يوم هو في شي (۲۹) قباي أو ربما تكبن (۳۰) شنق لكم أيه الثقلين (3) فبای الاء ربكما كان (۳۲) مقشر الجني والإش إن استطعتم

فمن ا لطين (۳۳)

أن تنفنوا م قطار السموات والأرض فاقدوا

حاش فلا

فبای الاء ربكما تكون (۳۶) يرضى عليكما شواظ من تا

ت ران (۳۵) قيا الاء ربكما تكتبين (۳۹) قانا انشقت الشماه

فكانت وردة كالوهان (33) قبای الاء ربكما تكذبي (۳۸)

উচ্চারণ : (২৬) কুলু মা আলাইহা–ফা-ন (২৭) ওয়া ইয়াক্কা–ওয়াজহু রব্বিকা যুল জালালি ওয়াল ইকরাম (২৮) ফাবিআইয়্যি আ-লা-ই রব্বিকুমা–তুকাযিবান (২৯) ইয়াস্আলুহু মান ফি সৃসামা-ওয়াতি ওয়াল আক্বদ্বি কুল্লা ইয়াওমিন হুওয়া ফী শা’নিন। (৩০) ফাবিআইয়্যি আ-লা-ই রব্বিকুমা–তুকাযিবান। (৩১) সানাফরুগু লাকুম আইয়ুহা চ্ছাকৃালা-ন (৩২) ফাবিআইয়্যি আ-লা-ই রব্বিকুমা–তুকাযিবা-ন (৩৩) ইয়া-মা’শারা জিনি ওয়া ইনসি ইনি স্তাত্বোয়াতুম আন্ তানুফুযূ মিন আক্বত্বোয়া-রি সসামা-ওয়াতি ওয়াল আরদ্বি ফাফুফু লা–তাফুযূনা ইল্লা–বিসুলত্বোয়া-ন (৩৪) ফাবিআইয়্যি আ-লা-ই রাব্বিকুমা তুকাযিবান। (৩৫) ইউরূসালু আলাইকুমা–শুওয়াযুম মিন না-রিওঁ ওয়া নুহা-সুন ফালা-তাতাছিরা-ন। (৩৬) ফাবিআইয়্যি আ-লা-ই রব্বিকুমা-তুকাযিবান (৩৭) ফাইযা নৃশাকাতি সৃসামা-উ ফাঁকা-নাত্ ওয়ারদাতান কাদিহান-ন (৩৮) ফাবিআইয়্যি আ-লা-ই রব্বিকুমা–তুকাযযিবান।

অর্থ : (২৬) ভূপৃষ্ঠের সবকিছুই ধ্বংসশীল। (২৭) একমাত্র আপনার মহিমাময় মহানুভব পালনকর্তার সত্তা ছাড়া। (২৮) অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ অবদান অস্বীকার করবেঃ (২৯) নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের সবাই তার কাছে প্রার্থী, তিনি সর্বদাই কোন না কোন কাজে রত আছেন। (৩০) অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ অবদান অস্বীকার করবে। (৩১) হে জ্বিন ও মানব! আমি শীঘ্রই তোমাদের জন্য কর্মমুক্ত হয়ে যাব। (৩২) অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ অবদান অস্বীকার করবেঃ (৩৩) হে জ্বিন ও মানবকুল, নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের প্রান্ত অতিক্রম করা যদি তোমাদের সাধ্যে থাকে তবে অতিক্রম কর, কিন্তু ছাড়পত্র ব্যতীত তোমরা তা অতিক্রম করতে পারবে না। (৩৪) অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ অবদান অস্বীকার করবেঃ (৩৫) ছাড়া হবে তোমাদের প্রতি অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ও ধূম্রপুঞ্জ, তখন তোমরা সে সব প্রতিহত করতে সক্ষম হবে না। (৩৬) অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ অবদান অস্বীকার করবেঃ (৩৭) যেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে তখন সেটি রক্ত বর্ণে রঞ্জিত চামড়ার মত হয়ে যাবে। (৩৮) অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ অবদান অস্বীকার করবে?

يسئل عن به انس و جا (۳۹) فبای الاء ربما

فيومي تكبير (40) يعرف المجرمون بسيمهم فيؤخد بالواوى والأقدام

& (69)

42 << <

:14 (5)

২ (44)–

ও (51) il (sr)

 (০) ১-১.

ولمن خاف مقام ربه جثتين ( ) ياي أو ربما كتربن (47) توانا قبای الاء ربما كترني (۱۱)

৪ (৪৭)

উচ্চারণ : (৩৯) ফাইয়াওমাইযি লা–ইউসআলু আন যাবিহী ইনসুওঁ ওয়াল–জান্। (৪০) ফাবিআইয়্যি আ-লা-ই রব্বিকুমা–তুকাযিবান (৪১) ইউ’রাফুল মুজরিমূনা বিসীমাহুম ফা ইউখায় বিনাওয়া-ছী ওয়ালআক্বদাম (৪২) ফাবিআইয়্যি আ-লা-ই রব্বিকুমা তুকাযিবান। (৪৩) হা-যিহী জাহান্নামু ল্লাতী ইউকাযিবু বিহাল মুজরিমূন। (৪৪) ইয়াত্ফুনা বাইনাহা–ওয়া বাইনা হামীমিন আ-ন (৪৫) ফাবিআইয়্যি আ-লা-ই রব্বিকুমা–তুকাযযিবান (৪৬) ওয়া লিমান খা-ফা মাকৃা-মা রব্বিহী জান্নাতা-ন (৪৭) ফাবিআইয়্যি আ-লা-ই রব্বিকুমা তুকাযিবান (৪৮) যাওয়া-তা–আফনান (৪৯) ফাবিআইয়্যি আ-লা-ই রব্বিকুমা তুকাযিবান। (৫০) ফীহিমা–আইনানি তাজুরিয়া-ন (৫১) ফাবিআইয়্যি আ-লা-ই রব্বিকুমা তুকাযিবান।

অর্থ : (৩৯) সেদিন মানুষ না তার অপরাধ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে, না জ্বিন। (৪০) অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ অবদান অস্বীকার করবেঃ (৪১) অপরাধীদের পরিচয় পাওয়া যাবে তাদের চেহারা থেকে, অতঃপর তাদের কপালের চুল ও পা। ধরে টেনে নেয়া হবে (৪২) অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ অবদান অস্বীকার করবেঃ (৪৩) তারা জাহান্নামের অগ্নি ও ফুটন্ত পানির মাঝখানে প্রদক্ষিণ করবে। (৪৫) অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ অবদান অস্বীকার করবেঃ (৪৬) যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে পেশ হওয়ার ভয় করে, তার জন্য রয়েছে দু’টি উদ্যান (৪৭) অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ অবদান অস্বীকার করবেঃ (৪৮) উভয় উদ্যানই ঘন শাখা পল্লববিশিষ্ট (৪০) অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ অবদান অস্বীকার করবেঃ (৫০) উভয় উদ্যানে আছে বহমান দুই প্রস্রবণ (৫১) অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ অবদান অস্বীকার করবেঃ

فيها من كل فاكهة زوجين (أه) فبای الاء ربما تتبن (۵۳) متين على فرش بطانتها من استبرق دوجا الجين دان (۵۶) قبای الأربما تبين (۱۰) فيه قوات الطرق لا لم يطمثهن اش قبلهم ولاجان (56) فبای الاء ربكما تكبن (۵۷) كانت الياقوت والمرجان

بين (۱۸) هل جزاء الإحسان الإ الإحسان (6)

(4) فبای الاء ربكما قبای او ربما تكبن (11) ومن دونهما جنتن (۱۲) فبای الاء ربما

بي () فيهما عين

بن (۳۲) مدهامتين (1) بي الا بكم

و

 (11) 12.5 (৫২) ফীহিমা–মিন কুল্লি ফা-কিহাতিন যাওজান (৫৩) ফাবিআইয়্যি আ-লা-ই রব্বিকুমা–৪ তুকাযযিবা-ন (৫৪) মুত্তাকিনা আলা–ফুরুশিম বাতত্বোয়া-ইনুহা–মিন ইস্তাবরা; ওয়া জানাল জান্নাতাইনি দা-ন। (৫৫) ফাবিআইয়্যি আ-লা-ই রব্বিকুমা–তুকাযিবান। (৫৬)

১–২০ মোমিন–৪৫/ ২

ফীহিন্না কা–ছিরা-তু ওরুফি লাম্ ইয়ামিহুন্না ইন্সুন কাবলাহুম ওয়ালা–জা-। (৫৭) ফাবিআইয়্য আ-লা-ই রব্বিকুমা–তুকাযিবান। কাআন্নাহুন্না ইয়া-কুতু ওয়া মারজান (৫৯) ফাবিআইয়্যি আ-লা-ই রব্বিকুমা–তুকাযিবান। (৬০) হাল জাযা-উল ইহ্সা-নি ইল্লাল ইহসান (৬১) ফাবিআইয়্যি আ-লা-ই রব্বিকুমা–তুকাযিবান (৬২) ওয়া মিন দূনিহিমা জান্নাতা-ন (৬৩) ফাবিআইয়্যি আ-লা-ই রব্বিকুমা-তুকাযিবান। (৬৪) মুদহা-স্মাতা-ন (৬৫) ফাবিআইয়্যি আ-লা-ই রব্বিকুমা–তুকাযিবান (৬৬) ফীহিমা–আইন-নি নান্দোয়া-খাতা-ন।

অর্থ : (৫২) উদ্যান দু’টিতে প্রত্যেক ফল দু’ দু’ রকমের হবে। (৫৩) অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ অবদান অস্বীকার করবেঃ (৫৪) তারা এমন বিছানায় হেলান দেয়া অবস্থায় থাকবে যার আভ্যন্তরীণ আবরণ পুরু রেশমের হবে; আর অতি নিকটেই হবে। (৫৫) অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ অবদান। অস্বীকার করবেঃ (৫৬) তথায় থাকবে আনত নয়না রমণীগণ, কোন জিন ও মানব পূর্বে তাদেরকে স্পর্শ করেনি। (৫৭) অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ অবদান অস্বীকার করবেঃ (৮) প্রবাল ও পদ্মরাগ সদৃশ রমণীগণ, (৫৯) অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ অবদান অস্বীকার করবেঃ (৬০) এহসানের প্রতিদান কি এহসান ব্যতীত আর কিছু হতে পারে:(৬১) অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ অবদান অস্বীকার করবেঃ (৬২) এ দু’টি ছাড়া আরও দুটি উদ্যান রয়েছে। (৬৩) অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ অবদান অস্বীকার করবেঃ (৬৪) সেই উদ্যান দু’টি গাঢ় সবুজ বর্ণের। (৬৫) অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ অবদান অস্বীকার করবেঃ (৬৬) তথায় উদ্বেলিত হতে থাকবে দু’ প্রস্রবণ।

فبای الاء ربكما تكبن (۹۷) فيهما فاكهة ونخل وژمان (۹۸) قبائی الاء ربكما تكبن (۹۹) فيهن خير جان (۴) فبای الاء ربكما تكن (۱۷) حور مقصورا في الخيام (۴۴) قبای اوربكما تكبن

بين (۷۰)

(۷۳) لم يطمثه إن قبلهم ولاجان (۷۶) قيا أكريما متكئين على رفرفي شر وعبقري حسان (۷۷) فبای الاء ربكما تكبن (۷۹) تبرك اسم ربك ذى الجلال والإكرام (۶۸)

উচ্চারণ : (৬৭) ফাবিআইয়্যি আ-লা-ই রব্বিকুমা–তুকাযিবান। (৬৮) ফীহিমা ফা-কিহাতুওঁ ওয়া নাখলুওঁ ওয়া রুম্মান। (৬৯) ফাবিআইয়্যি আ-লা-ই রব্বিকুমা তুকাযিবান। (৭০) ফীহিন্না খাইরাতুন্ হিসা-ন। (৭১) ফাবিআইয়্যি আ-লা-ই রব্বিকুমা তুকাযিবান। (৭২) হুরুম মাছুরা-তুন ফি খিয়া-ম। (৭৩) ফাবিআইয়্যি আ-লা-ই রব্বিকুমা–তুকাযিবান। (৭৪) লাম ইয়াবৃমিসূহুন্না ইনসুন কালাহুম ওয়ালা–জান্। (৭৫) ফাবিআইয়্যি আ-লা-ই রব্বিকুমা–তুকাযিবান (৭৬) মুত্তাকিনা আলা–রাফিন খুদরিওঁ ওয়া আব্বারিয়্যিন হিসা-ন। (৭৭) ফাবিআইয়্যি আ-লা-ই রব্বিকুমা–তুকাযিবান। (৭৮) তাবারাকাসমু রব্বিকা যিলজালালি ওয়া ই-ম।

অর্থ : (৬৭) অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ অবদান অস্বীকার করবেঃ (৬৮) তথায় আছে ফল-মূল, খেজুর ও আনার। (৬৯) অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ অবদান অস্বীকার করবেঃ (৭০) সেখানে থাকবে সচ্চরিত্রা সুন্দরী রমণীগণ। (৭১) অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ অবদান অস্বীকার করবেঃ (৭২) তাবুতে অবস্থানকারিণী সুনয়না হুরীগণ। (৭৩) অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ অবদান অস্বীকার করবেঃ (৭৪) কোন জ্বিন ও মানব পূর্বে তাদেরকে স্পর্শ করেনি। (৭৫) অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ অবদান অস্বীকার করবেঃ (৭৬) তারা সবুজ নকশাদার অতি সুন্দর বিছানায় হেলান দিয়ে বসবে। (৭৭) অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ অবদান অস্বীকার করবেঃ (৭৮) কত পুণ্যময় আপনার পালনকর্তার নাম, যিনি মহিমাময় ও মহানুভব।

.

সূরা মুযযামিল

بسم الله الرحمن الرحیم۔ ايها المزي (1) قم الي الا قيد (۲) بصقه أو انقص منه قليلا (۲) او زه له ورتل القرآن ترتيلا (4) رانا تلقى عليك قوة ثقي (5) ان تاشئة اليل هى اشد وطأ و اقوم قيد (1) إ لك في النهار سبحا طويلا (۷) وانگر اشم ربك وتبتل اليو تبي (4) رب المشرق والمغرب لا إله إلا هو قائده وكي (1) واصبر على ما يقولون واهجرهم ما جميا

উচ্চারণ : (১) ইয়া-আইয়ুহাল মুয্যাম্মিলু, (২) কুমি লাইলা ইল্লা–কালীলা (৩) নিস্ফাহু আওয়ি কুস মিনহু কালীলা–(৪) আও যিদ আলাইহি ওয়া রাতিলিল কোরআ-না তারতীলা–(৫) ইন্না–সানুলব্ধী আলাইকা কাওলান ছাক্বীলা-। (৬) ইন্না না-শিয়া তালাইলি হিয়া আশাদু ওয়াতৃআওঁ ওয়া আওয়ামু কীলা–(৭) ইন্না লাকা ফি নাহা-রি সাবহান ত্বওঈলা। (৮) ওয়াকুরি স্মা রব্বিকা ওয়া তাবাত্তাল ইলাইহি তাতীলা-। (৯) রব্দুল মাশরিক্কি ওয়া মাগরিবি লা–ইলা-হা ইল্লা–হুওয়া ফাত্তাখিহু ওয়াকীলা (১০) ওয়ছবির আলা–মা–ইয়াকূর্না ওয়াহজুরহুম হাজরান্ জামীলা-।

অর্থ : (১) হে বস্ত্রাবৃত, (২) রাতে দণ্ডায়মান হোন কিছু অংশ বাদ দিয়ে, (৩) অর্ধ রাত অথবা তদপেক্ষা কিছু কম। (৪) অথবা তদপেক্ষা বেশি এবং কোরআন আবৃত্তি করুন খুব স্পষ্টভাবে। (৫) আমি খুব শিগগিরই আপনার প্রতি অবতীর্ণ করব গুরুত্বপূর্ণ বাণী। (৬) নিশ্চয় (ইবাদতের জন্যে) রাতে উঠা অন্তর ও শব্দের সংযমের পক্ষে বিশেষ ক্রিয়াশীল এবং শব্দ যথার্থ উচ্চারিত হয়। (৭) নিশ্চয় দিবাভাগে রয়েছে আপনার দীর্ঘ কর্মব্যস্ততা। (৮) আর নিজ পালনকর্তার নাম যিকির করুন এবং একাগ্রচিত্তে তাঁর প্রতিই মগ্ন হোন। (৯) তিনি পূর্ব ও পশ্চিমের রব তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, অতএব তাকেই গ্রহণ করুন কর্মধায়করূপে।  (১০) কাফেররা যা বলে, তার উপর আপনি সবর করুন এবং সুন্দরভাবে তাদেরকে পরিহার করে চলুন।

ان لدينا انكا

نعمة ومهلهم قا

وذرني والمكذبي

ت وعذاب الیما (۱۴) يوم ترجف الأرض

وجحيما (۱۲) و طعاما ذا والجبال وكانت الجبال كثيبا مهيد (۱۶) إنا أرسلنا إليكم رشوة شاهدا عليگم كما أرسلنا إلى فرعون روڈ (15) قصى فرعون الرسول فاخذنه أخذا وبيلا (۱۹) كيف تثقون إن كفرتم يوما يجعل الولدان شيبا (۱۷) بن الماء منفطريه كان وعده مفعوه (۱۸) ان هزم تذكرة فمن شاء ائخ إلى زبه بيد (۹) إن ربك يعلم انك تقوم ادنی

ه

وطائفة من الذين معك . والله يقر اليل

من ثلثي اليلي ونصفه و والنهار د علم أن ثن تحصوه فتاب عليگم دقاقروا ما تیشرمن القران علم أن سيگو منكم مری واخرون يشربون في الأرض يبتون م فضل الله د واخرون يقاتلون في سبيل الله فاقرؤا ماتشربيثة د وأقيموا الصلوة واوا الثروة واقروا الله قرضا حسنا وما تقوموا القسم

من خير تجدوه جثة الله هو خيرا وأعظم أجزا د

واشتغفروا الله إن الله غفور رحيم (۲۰)

، و

و ۸ م ت

, الله من

উচ্চারণ : (১১) ওয়া যানী ওয়া মুকাযিবীনা উলিন্ নামাতি ওয়া মাহিহুম গুচ্ছাতিওঁ ওয়া আযা-বান আলীমা–(১৪) ইয়াওমা তাজুফুল আছু ওয়া জিবা-লু ওয়া কা-নাতি জিবা-লু কাসীবাম মাহীলা–(১৫) ইন্না–আসানা–ইলাইকুম রাসূলা শা-হিদান আলাইকুম কামা–আসানা–ইলা–ফিআউনা রাসূলা-। (১৬) ফাআছোঁয়া ফিআউনুর রাসূলু ফাআখানা-হু আখ্যাওঁ ওয়াবীলা-। (১৭) ফাঁকাইফা তাত্তাকুনা ইন কাফারতুম ইয়ামাহঁ ইয়াজআলুল ওয়িদা-না শীবা–(১৮) নিস্সা-মা-উ মুফা-ত্বিরুম বিহী কা-না ওয়া’দুহু মাঊ’লা–(১৯) ইন্না হা-যিহী তাকিরাতুন ফামান শা-আ ত্তাখাযা ইল্লা–রব্বিহী সাবীলা-। (২০) ইন্না রব্বাকা ইয়ালামু আন্নাকা তাকুমু আন্না–মিন ছুলুছাইয়ে গ্লাইলি ওয়া নিম্ফাহ্ ওয়া ছুলুছাহু ওয়া ত্বো-ইফাতুম্ মিনা ব্লাযীনা মা’আক; ওয়াল্লা-হু ইউক্বাদ্দিরু লাইলা ওয়া নাহা-রা আলিমা আল্লান তুহছুহু ফাতা-বা আলাইকুম–ফারাউ মা–তাইয়াচ্ছারা মিনাল কোরআ-নি আলিমা আন সাইয়াকূনু মিকুম্ মারূদ্বোয়া–ওয়া আ-খারূনা ইয়াদ্বরিকূনা ফি আবৃদ্ধি ইয়াবৃতাগুনা মিন ফাদ্বলিল্লা-হি ওয়া আ-খারূনা ইউকা-তিনা ফী সাবীলিল্লা-হি ফাকুরাউ মা তাইয়াসসারা মিনহু; ওয়া আকীমু ছলা-তা ওয়া আ-তু যযাকা-তা ওয়া আক্বরিদুল্লা-হা কারদ্বোয়ান হাসানাওঁ–ওয়ামা–তুকাদ্দিমূ লিআনফুছিকুম মিন খাইরিন তাজিদূহু ই’দাল্লা-হী হুওয়া খাইরাওঁ ওয়া আ’যামা আজরা-; ওয়াছতাগফিরুল্লা-হ; ইন্নাল্লা-হা গাফুরুর রাহীম।

অর্থ : (১১) আর বিত্ত বৈভবের অধিকারী মিথ্যারোপকারীদেরকে (আমার হাতে ছেড়ে দিন। এবং তাদেরকে কিছু অবকাশ দিন। (১২) নিশ্চয় আমার কাছে আছে শিকলসমূহ ও অগ্নিকুণ্ড। (১৩) এবং গলায় আটকানোর মত খাদ্য ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। (১৪) যে দিন পৃথিবী ও পর্বতমালা প্রকম্পিত হবে এবং পর্বতসমূহ উড়ন্ত ধূলাবালুকায় পরিণত হবে। (১৫) নিঃসন্দেহে আমি তোমাদের প্রতি এমন একজন রাসূল প্রেরণ করেছি যিনি তোমাদের জন্যে সাক্ষী হবেন, যেমন প্রেরণ করেছিলাম ফেরআউনের কাছে একজন রাসূল। (১৬) অতঃপর ফেরআউন সেই রাসূলকে অমান্য করল, ফলে আমি তাকে কঠিন শাস্তি দিয়েছি। (১৭) অতএব, তোমরা যদি কুফরী কর তবে সে দিন তোমরা কিরূপে আত্মরক্ষা করবে যে দিন বালকদেরকে বৃদ্ধ করে দেবে। (১৮) সে দিন আকাশ বিদীর্ণ হবে; তার প্রতিশ্রুতি অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে। (১৯) এটা উপদেশ; অতএব যার ইচ্ছা সে তার পালনকর্তার দিকে পথ অবলম্বন করুক। (২০) আপনার পালনকর্তা জানেন, আপনি (এবাদতের জন্যে) দণ্ডায়মান হন রাতের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ, অর্ধাংশ ও তৃতীয়াংশ এবং আপনার সঙ্গীদের একটি দলও দণ্ডায়মান হয়, আল্লাহ্ দিবা-রাত্রি পরিমাপ করেন; তিনি জানেন তোমরা এর পূর্ণ হিসাব রাখতে পারবে না; অতএব তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমাপরায়ণ হয়েছেন; কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ ততটুকু আবৃত্তি কর। তিনি জানেন তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হবে, কেউ কেউ আল্লাহর অনুগ্রহের সন্ধানে দেশে-বিদেশে যাবে এবং কেউ কেউ আল্লাহর পথে জিহাদে নিহত হবে; কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ ততটুকু আবৃত্তি কর; তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও; তোমরা নিজেদের জন্যে যা কিছু অগ্রে পাঠাইবে তা আল্লাহর কাছে উত্তম ও মহা পুরস্কার হিসাবে পাবে; তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর; নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, দয়াময়।

.

সূরা ওয়াকেয়া

بسم الله الرحمن الرحیم۔ إذا وقعت الواقعة (۱) ليس وقتها كاذب (۲) خافضة رافعة (۳)

إذا جير الأرض ربنا (4) وبين الجبال با (5) فكانت هباء منبثا ( وكنت ازواجا ثلثة (۷) فاضح الميمنة ما أضحت الميمة (۸) واحب المشمولما أصح المشتمة (۹) والشبقون الشيقون (۱۰) أولئك المقربون (۱۱) فيجي العيم (۱۲) ثلة من الأولين (۱۳)

উচ্চারন : (১) ইযা–ওয়াক্কা’আতিল ওয়া-কিআহ (২) লাইসা লিওয়াআতিহা–কা-যিবাহ্ (৩) খা-ফিদোয়াতুর রা-ফি আহ (৪) ইযা–রুজ্জাতিল আবৃদু রাজ্জা–(৫) ওয়া বুসসাতিল জিবা-লু বাস্সা–(৬) ফাঁকা-নাত হাবা-আ মুম্বাচ্ছা–(৭) ওয়া কুনতুম আওয়া-জান ছালা-ছাহ্ (৮) ফাআছহা-বুল মাইমানাতি মা–আছহাবুল মাইমানাহ্। (৯) ওয়া আছহাবু মাশআমাতি মা–আচ্হা-বু মাআমাহ। (১০) ওয়া সৃসাবিকুনা সৃ-বিকুন (১১) উলা-ইকা মুকাররাবুন (১২) ফী জান্নাতি নাঈম (১৩) ছুলাতু মিনাল আউওয়ালীন।

অর্থ : (১) যখন কেয়ামত সংঘটিত হবে। (২) যার বাস্তবতায় কোন সংশয় নেই। (৩) তা নীচু করে দেবে, সমুন্নত করে দেবে। (৪) যখন প্রবলভাবে প্রকম্পিত হবে পৃথিবী। (৫) এবং পর্বতমালা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে। (৬) অতঃপর তা উৎক্ষিপ্ত ধূলিকণা হয়ে যাবে। (৭) এবং তোমরা তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়বে। (৮) যারা ডান দিকের, কত ভাগ্যবান তারা (৯) এবং যারা বাম দিকের, কত হতভাগা তারা। (১০) অগ্রবর্তীরা তো অগ্রবর্তীই। (১১) তারাই নৈকট্যশীল। (১২) এরাই শান্তির উদ্যানসমূহে থাকবে। (১৩) তাদের বৃহৎ একদল পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে হবে।

تطوف عليهم ولدان مخلدون (

لايصدعون عنها

وقليل بين الأخرين (۱۲) على شرموون (۱۰) مكين عليها

متقبلين (16) يطوف عليهم ولدان مختون (۱۷) پاگواب واباريق وكأس من معين (۱۸) لايصدون عثها ولا ينزفون (۱۹) وفاكهة ما يتخيرون (۲۰) ولحم طير ما يشتهون (۲۱) ووزعي (۲۲) گامثال اللؤلؤ

شمعون فيها لثوا

المكون (۲۳) جزاء بما كانوا يعملون (۲۶) ولاتایما (35) الأقيد سلما سلما (۲۹) واصحب اليمين ما أحب اليميني (۲۲) في سترئوي (۳۸) وطلح منویر (۲۹) ولي محمود (۳۰) وماء شوب (۳۱) فاكهة كثيرة (۳۲) مقطوعة و ممنوعة (۳۳) فرش مرفوعة (34) أنا أنشأنه انشاء (۳۰) فجعله أبكارا (۳۱) عربا اترابا (۳۷) وضحي اليمين (۳۸) ثلة من الأولين (۳۹) وثلة من الأخرين (40)

উচ্চারণ : ওয়া কালী মূমিনা আ-খিরীন (১৫) আলা–সুরুরিম মাউদ্নাতিম (১৬) মুত্তাকিনা আলাইহা–মুতাকাবিলীন (১৭) ইয়াহ্ফু আলাইহি ওয়িদা-মুম্ মুখাল্লাদূন (১৮) বিআওয়া-বিওঁ ওয়া আবারীকা ওয়া কাসিম্ মিম্ মাঈন (১৯) লা–ইউছদ্দাউ’না আনহা ওয়ালা–ইউযিফুন। (২০) ওয়া ফা-কিহাতিম্ মিম্মা–ইয়াতাখাইয়ারুন (২১) ওয়া লামি ইরি মিম্মা–ইয়াহুন (২২) ওয়া হুরুন্ ঈ’ন (২৩) কাআ-লি ললু’লুই মাকনূন (২৪) জাযা-আম বিমা–কানূ ইয়ামান (২৫) লা–ইয়ামাউনা ফীহা–লাওয়াওঁ ওয়ালা-তা’সীমা–(২৬) ইল্লা–কীলান সালা-মান সালা-মা–(২৭) ওয়া আছ্হা-বুল ইয়ামীনি মা আছ্হা-বু লইয়ামীন। (২৮) ফী সিদৃরিম মাখদূদ। (২৯) ওয়া ত্বোয়াহিম্ মানদূদ। (৩০) ওয়া যিলি মামদূদ। (৩১) ওয়া মা-ই মাস্কূব (৩২) ওয়া ফাঁকিহাতিন্ কাছীরাহ্। (৩৩) লা মাক্বতুআতিওঁ ওয়ালা–মানুআহ (৩৪) ওয়া ফুরুশিম্ মাফুআহ (৩৫) ইন্না আশা’নাহুন্না ইন্শা-আন (৩৬) ফাজাআলনা-হুন্না আবৃকা-রা–(৩৭) উ’রুবান্ আা–বা (৩৮) লিআস্হা-বি ইয়ামীন (৩৯) সুল্লাতু মিনাল্ আউওয়ালী (৪০) ওয়া সুন্নাতু মিনা আ-খিরীন।

অর্থ : (১৪) এবং অল্প সংখ্যক পরবর্তীদের মধ্য থেকে (১৫) স্বর্ণ খচিত সিংহাসনে (১৬) তারা তাতে হেলান দিয়ে বসবে পরস্পর মুখোমুখি হয়ে (১৭) তাদের কাছে ঘোরাফেরা করবে চির কিশোররা। (১৮) পানপাত্র ও খাঁটি সূরাপূর্ণ পেয়ালা হাতে নিয়ে, (১৯) যা পান করলে তাদের শিরঃপীড়া হবে না এবং তারা বিকারগ্রস্তও হবে না। (২০) আর তাদের পছন্দমত ফলমূল নিয়ে (২১) এবং তাদের রুচিসম্মত পাখীর গোশত নিয়ে (২২) তথায় থাকবে আনত নয়না হুরগণ (২৩) আবরণে রক্ষিত মতির ন্যায়, (২৪) তারা যা কিছু করত তার পুরস্কার স্বরূপ। (২৫) তারা তথায় কোন অবান্তর ও খারাপ কথা শুনবে না। (২৬) কেবল শুনবে সালাম আর সালাম (২৭) যারা ডান দিকে থাকবে তারা কত ভাগ্যবান। (২৮) তারা সেই উদ্যানসমূহে অবস্থান করবে। যেখানে থাকবে কাঁটাবিহীন কুল বৃক্ষসমূহ (২৯) এবং থাকবে ছায়ায় (৩০) আর প্রবাহিত পানিতে (৩১) ও প্রচুর সারি সারি কলাগাছ থাকবে (৩২) যা শেষ হবার নয় এবং নিষিদ্ধও নয়। (৩৩) আর থাকবে সমুন্নত শয্যা (৩৪) আমি জান্নাতী রমণীদেরকে বিশেষরূপে সৃষ্টি করেছি। (৩৬) অতঃপর তাদেরকে করেছি চির কুমারী। (৩৬) কামিনী সমবয়স্কা। (৩৭) ডান দিকের লোকদের জন্য (৩৮) তাদের একদল হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে (৩৯) এবং একদল পরবর্তীদের মধ্য থেকে।

واصحب الشمال ما أضحت الشمال (۶۱) في سموم وحميم (۶۲) وظل من يحموم (۶۳) لا بارد ولا كريم (44) إنهم كانوا قبل ذلك مترفين (45) وكانوا يصرون على الجثث العظيم (46) وكانوا يقولونا ثنا وهنا رابا عظامكاء الا لمبعوثون (۶۷) أو أباؤنا الأوتون (۶۸) قل إن الأولين والأخري (41) لمجموعون إلى ميقات يوم معلوم (۵۰) ثم انگم أيها القانون المگبون (1) كون من شجرٹن رقوم (۰۲) فماليون منها البطن (۱۳) فشربون عليه من الحميم (54) فشربون (০৩)।

উচ্চারণ : (৪১) ওয়া আছহাবু শশিমা-লি মা–আছহা-বু শিমা-ল। (৪২) ফী সামূমিও ওয়া হামীমি। (৪৩) ওঁওয়া যিল্লি মৃমিই ইয়াহমূমি। (৪৪) লা–বা-রিদিওঁ ওয়ালা–কারীম। (৪৫) ইন্নাহুম কা-নূ কালা যা-লিকা মু ফীন। (৪৬) ওয়া কা-নূ ইউসিরুরূনা আলা হিসিল আযীম। (৪৭) ওয়া কা-নূ ইয়াকূলুনা আ ইযা–মিনা–ওয়া কুন্না-তুরাবাওঁ ওয়া ইযা-মান আইন্না–লামাঊ’ছুন (৪৮) আওয়া আ-বা-উল আউওয়ান। (৪৯) কুল ইন্নাল আউওয়ালীনা ওয়া আ-খিরীন (৫০) লামাজমূউ’না ইলা–মীকা-তি ইয়াওমি মা’ম (৫১) ছুম্মা ইন্নাকুম আইয়ুহা দ্বদ্বোয়া-ললুনাল মুকাযযিনূন। (৫২) লাআ-কি–না মিন শাজারি মৃমি যাকুম (৫৩) ফামা-লিউনা মিহাল বুন। (৫৪) ফাশা-রিকূনা আলাইহি মিনা হামীম (৫৫) ফাশা-রিবৃনা শুবাল হীম।

অর্থ : (৪১) আর বাম পার্শ্বস্থ লোকেরা, তারা কত না হতভাগা! (৪২) তারা থাকবে অগ্নি ও ফুটন্ত পানিতে। (৪৩) আর কাল ধুম্রকুঞ্জের ছায়ায়। (৪৪) যা শীতলও নয় এবং আরামদায়কও নয়। (৪৫) তারা ইতিপূর্বে (দুনিয়াতে) সুখ সম্পদে ছিল। (৪৬) তারা গুরুতর পাপ কর্মে ডুবে ছিল। (৪৭) তারা বলত, আমরা যখন মরে মাটি ও হাড়ে পরিণত হয়ে যাব তখনও কি পুনরুত্থিত হব:(৪৮) এবং আমাদের পূর্বপুরুষরাও:(৪৯) বলুন, পূর্ববর্তী ও পরবর্তীগণ, (৫০) সবাই একত্রিত হবে এক নির্দিষ্ট দিনের নির্দিষ্ট সময়ে। (৫১) অতঃপর হে পথভ্রষ্ট মিথ্যারোপকারীরা! তোমরা অবশ্যই ভক্ষণ করবে যাকূম বৃক্ষ থেকে, (৫৩) অতঃপর তা দ্বারা উদর পূর্ণ করবে। (৬৪) অতঃপর তার উপর পান করবে উত্তপ্ত পানি (৫৫) পান করবে পিপাসিত উটের ন্যায়;

قاتمقتولا تصدقون (۱۷)

هذا نزلهم يوم الدين (۵۶) نحن أفريتم ما تمنون (۱۸) انتم ت قونة ام نحن الخليقون (۱۹) نحن قدرنا بينكم الموت وما نحن بمشبوقين (۱۰) على أن قبول أمثالكم و تنشئگم في ما لا تعلمون (11) ولقد علمتم الشاة الأولى فلؤة تنگین (۹۲) أفرءيتم اتخرون (۲۳) انتم تزرعونه أم نحن الزارعون (14) كونشا جعلنة حطاما ظنتم تفقهون (10) رثا المغرمون (16) بل نحن محرومون (۹۷) أفرميم الماء الذي تشربون

উচ্চারণ : (৫৬) হা-যা নুযুলুহুম ইয়াওমা দূদীন। (৫৭) নাহনু খালাক্বনা-কুম্ ফালাওলা তুছদ্দিকুন। (৫৮) আফারাআইতুম্ মা–তুমনূন। (৫৯) আআনতুম তালুকূনাহু আম্ নাহ্নু খা-লিকুন। (৫০) নাহনু ক্বাদ্দারূনা–বাঈনাকুমুল মাউতা ওয়ামা–নাহনু বিমাস্কূক্বীন। (৬১) আলা–আন্ নুবাদ্দিলা আচ্ছা-লাকুম ওয়া নুশিআকুম ফী মা–লা–তা’লামূন। (৬২) ওয়া লাক্বাদ আলিমৃতুমু নাআতাল ঊলা–ফালাওলা–তাযাক্কারুন। (৬৩) আফারাআইতুম্ মা তাহ্রুছুন। (৬৪) আআতুম তাহ্রাউনাহু আন্ নাহনু যা-রিউন। (৬৫) লাও নাশা-উ লাজা’আল হুত্বোয়া-মান্ ফাযোয়াতুম তাফাক্কাহুন। (৬৬) ইন্না–লামুগরামূন। (৬৭) বাল নাহনু মাহরূমূন। (৬৮) আফারাআইতুমু মা-আ লাযী তাায়ূন। (৬৯) আ-আতুম আন্তু মূহু মিনা মুযনি আম নাহ্নুল মুযিলুন।

অর্থ : (৫৬) কেয়ামতের দিন এটাই হবে তাদের আপ্যায়ন। (৫৭) আমি সৃষ্টি করেছি তোমাদেরকে, অতঃপর কেন তোমরা তা সত্য বলে বিশ্বাস কর না:(৫৮) তোমরা কি ভেবে দেখেছ:তোমাদের বীর্যপাত সম্পর্কে (৫৯) তোমরা তা সৃষ্টি কর না আমি সৃষ্টি করি:(৬০) আমি তোমাদের মৃত্যুকাল নির্ধারিত করেছি এবং আমি এতে অক্ষম নই। (৬১) এ ব্যাপারে যে, তোমাদের পরিবর্তে তোমাদের মত (মানুষ) সৃষ্টি করি এবং তোমাদেরকে এমন আক্বতিতে পরিবর্তন করে দেই, যা তোমরা জান না। (৬২) তোমরা অবগত রয়েছ প্রথম সৃষ্টি সম্পর্কে, তবে তোমরা অনুধাবন কর না কেন:(৬৩) তোমরা যে বীজ বপন কর সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি:(৬৪) তা তোমরা উৎপন্নকারী না আমি:(৬৫) আমি ইচ্ছা করলে তা খড়কুটা করে দিতে পারি, অতঃপর হয়ে যাবে তোমরা বিস্ময়াবিষ্ট। (৬৬) বলবে:আমরা তো এবার ক্ষতিগ্রস্তই হয়ে গেলাম। (৬৭) বরং আমরা হৃতসব হয়ে পড়লাম। (৬৮) তোমরা যে পানি পান কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি:(৬৯) তোমরা তা মেঘ থেকে নামিয়ে আন, না আমি বর্ষণ করি:

لو نشاء جعلته أجاجا قلوة تشكرون (۷۰) أفريت النار التي تورون (۷۱) انتم انشتم شجرتها أم نحن المشئون (۷۲) تحن جعلها تذكرة ومتاعا لمقوين (۷۳) فتح پاشم رب العظيم (۷۶)

فلا أقسم بمواقع الجوم (۷۰) واته لقسم لو تعلمون عظیم (۷۹) إنه قران كريم (۷۷) في كتب متون (۲۸) لايمشه إلا المطهرون (۷۹) تنزيل من رب العلمين (۸۰) فبهذا الحويني اثتم مديرون (۸۱) وتجعلون رزقكم انكم تكبون (۸۲) فلولا إذا بلغت الحلقوم (۸۳) وانتم جينئذ تنظرون (۸۶)

উচ্চারণ : (৭০) লাও নাশা-উ জা’আল্নাহু উজা-জান্ ফালাওলা–তাকুরূন। (৭১) আফারাআইতুমু না-রা লাতী তূরুন। (৭২) আআন্তুম আশা’তুম শাজারাতাহা আম্‌ নাহনুল মুশিউন। (৭৩) নাহনু জা’আলনা-হা–তাকিরাতাওঁ ওয়া মাতা-’আ লিলমুক্বউঈন। (৭৪) ফাসাব্বিহ্ বিসৃমি রব্বিকাল আযীম। (৭৫) ফালা–উসিমু বিমাওয়া-কিই’ নুজুম্। (৭৬) ওয়া ইন্নাহু লাক্কাসামু ও তা’লামূনা আযীম। (৭৭) ইন্নাহু লাকোআ-নুন কারীম। (৭৮) ফী কিতা-বিম্ মান। (৭৯) লা–ইয়ামাস্সুহু ইল্লা মুত্বোয়াহ্হারুন। (৮০) তাযীলু মির রব্বিল আলামীন। (৮১) আফাবিহা-যাল হাদীসি আনতুম মুদৃহিনূন। (৮২) ওয়া তা’আল্না রিকাকুম আন্নাকুম তুকাযিরূন। (৮৩) ফালাওলা–ইযা–বালাগাতিল হুলকুম। (৮৪) ওয়া আনতুম হীনাইযিন তানযুরূন।

অর্থ : (৭০) আমি ইচ্ছা করলে তা লোনা করে দিতে পারি, অতঃপর তোমরা কেন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর না:(৭১) তোমরা যে অগ্নি প্রজ্বলিত কর সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি:(৭২) তোমরা কি এর বৃক্ষ সৃষ্টি করেছ না আমি সৃষ্টি করেছি:(৭৩) আমিই সেই বৃক্ষকে করেছি স্মরণিকা এবং মরুবাসীদের জন্য সামগ্রী। (৭৪) অতএব আপনি আপনার মহান পালনকর্তার পবিত্রতা ঘোষণা করুন। (৭৫) সুতরাং আমি তারকারাজির অস্তাচলের শপথ করছি। (৭৬) নিশ্চয় এটা এক মহা শপথ, যদি তোমরা জানতে! (৭৭) নিশ্চয় এটা সম্মানিত কোরআন। (৭৮) যা লিখিত আছে এক সুরক্ষিত কিতাবে। (৭৯) যারা পাক-পবিত্র, তারা ব্যতীত অন্য কেউ একে স্পর্শ করবে না। (৮০) এটা বিশ্ব পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ। (৮১) তবুও কি তোমরা এ বাণীর প্রতি শৈথিল্য প্রদর্শন করবেঃ (৮২) এবং এ মিথ্যা বিশ্বাসকেই তোমরা তোমাদের জীবিকায় পরিণত করবেঃ (৮৩) অতঃপর যখন কারো প্রাণ কণ্ঠাগত হয়। (৮৪) এবং তোমরা তাকিয়ে থাক।

ونحن أقرب اليه منكم وأن لا تبصرون (۸۰) فلولا إن كنتم غير ميريزين (۸۶) ترجونها ان گنتم ميروين (۸۷) فأما إن كان من

نعيم (۸۹) وأما راث كان من أحب

المقربين (۸۸) فروح قريان و و اليميني (۹۰) قلم لك من أحب اليمين (95) وأما إن كان من

® (45),

(৭৮)–১-02 (৭) 52jLa। ১২। (৭৭) ৭.ji a, , –(৭০) ১ 1। 251।

উচ্চারণ : (৮৫) ওয়া নাহনু আকরাবু ইলাইহি মিনকুম ওয়ালা-কিল্লা–তুবছিরূন। (৮৬) ফালাওলা–ইন্ কুতুম্ গাইরা মাদীনীন। (৮৭) তাজিউ’নাহা–ইন্ কুনতুম ছোঁয়া-দিক্বীন। (৮৮) ফাআম্মা–ইন্ কা-না মিনাল মুকারাবীন। (৮৯) ফারাওহুওঁ ওয়া রাইহানুওঁ ওয়া জান্নাতু নাঈম। (৯০) ওয়া আম্মা–ই কা-না মিন্ আহ্হা-বি ইয়ামীন। (৯১) ফাসালা-মু লাকা মিন্ আস্হা-বিল ইয়ামীন। (৯২) ওয়া আম্মা–ইন কা-না মিনা লমুকাযিবীনা দৃদ্বোয়াল্লীন। (৯৩) ফানুযুলুম মিন হামীম। (৯৪) ওয়া তাসূলিয়াতু জাহীম। (৯৫) ইন্না হা-যা–লাহুওয়া হাক্কুল ইয়াক্বীন। (৬) ফাসাব্বিহ্ বিসৃমি রব্বিকাল আযীম।

অর্থ : (৫) তখন আমি তোমাদের অপেক্ষা তার অধিক নিকটে থাকি; কিন্তু তোমরা দেখ না। (৮৬) যদি তোমাদের হিসাব-কিতাব না হওয়াই ঠিক হয়, (৮৭) তবে তোমরা এই আত্মাকে ফিরাও না কেন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও:(৮৮) অনন্তর সে নৈকট্যশীলদের একজন হবে। (৮৯) অতএব তার জন্য আছে সুখ, উত্তম রিযিক এবং নেয়ামতভরা উদ্যান। (৯০) আর যদি সে ডান পার্শ্বস্থদের একজন হয়, (৯১) তবে তাকে বলা হবে, তোমার জন্য ডান পার্শ্বস্থদের পক্ষ থেকে সালাম। (৯২) আর যদি সে পথভ্রষ্ট মিথ্যারোপকারীদের একজন হয়, (৯৩) তবে তার আপ্যায়ন হবে উত্তপ্ত পানি দ্বারা। (৯৪) এবং সে নিক্ষিপ্ত হবে অগ্নিতে। (৯৫) এটা ধ্রুব সত্য। (৯৬) অতএব আপনি আপনার মহান পালনকর্তার পবিত্রতা ঘোষণা করুন।

.

সূরা মুলক

بسم الله الرحمن الرحيم تبرك الذي بيده الملك وهو على كل شئ قديرو (3) الذي خلق الموت والحيوة ليبلوكم أيكم أحسن عملا وهو العزيز الغفور (۲) الذي خلق

ع موي طباقا ط ما ترى في خلق الرحمن من تفوت د فارجع البصر هل ترى من فطور (۳) ثم ارجع البصر كرتين ينقلب إليك (3) ৬.১১এ।

উচ্চারণ : (১) তাবারাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলকু ওয়া হুওয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। (২) আল্লাযী খালাক্কা মাউতা ওয়ালহাইয়া-তা লিইয়াবলুওয়াকুম্ আইয়ুকুম্ আহ্সানু আমালা; ওয়া হুওয়াল্ আযীযুল গাফুর। (৩) আল্লাযী খালাক্কা সা’আ সামা-ওয়া-তিন্ তিবা-কা-; মা তারা–ফী খার্কির রাহমা-নি মিন্ তাফাউত; ফারুজিই’ল বাছোঁয়ারা হাল্ তারা–মিন্ ফুতুর। (৪) ছুম্মা বৃজি’ বছোঁয়ারা কারুরাতাইনি ইয়ানকালি ইলাইকা বাছোঁয়ারু খা-ছিআওঁ ওয়া হুওয়া হাছীর।

অর্থ : (১) পুণ্যময় তিনি, যার হাতে রাজত্ব; তিনি সবকিছুর উপর শক্তিমান। (২) যিনি সৃষ্টি করেছেন মরণ ও জীবন, যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন–কে তোমাদের মধ্যে কর্মে শ্রেষ্ঠ; তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল। (৩) তিনি সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন, তুমি করুণাময় আল্লাহ্ তা’আলার সৃষ্টিতে কোন খুঁত দেখতে পাবে না, আবার দৃষ্টি ফিরাও, কোন ত্রুটি দেখতে পাও কি:(৪) অতঃপর তুমি বার বার তাকিয়ে দেখ, তোমার দৃষ্টি ব্যর্থ পরিশ্রান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে।

ولقد زين السماء الدنيا بمصابيح وجعلها رجوما الشيطين ط

واعتدنا لهم عذاب الشعير (1) والذين كفروا بربهم عذاب جهنم د وي المصير (۲) اذا ألقوا فيها وعوا تها شهيقا وهى تفور (۷) تكاد

شام

تميز من الغيظ ط كلما القى فيها فوج سالهم خزنتها الم ياتكم نذير (۸)

উচ্চারণ : (৫) ওয়া লাক্কা যাইয়্যান্না সৃসামা-আ দুদুনইয়া বিমাছোঁয়া-বীহা ওয়া জাআলনা-হা–রুজুমা ল্লিশশাইয়াতীনি; ওয়া আ’তানা–লাহুম্ আযা-বা সসাঈ’র (৬) ওয়া ল্লাযীনা কাফারূ বিরব্বিহিম আযা-বু জাহান্নামা ওয়াবি’ছা মাছীর। (৭) ইযা–উল ফীহা সামিউ’ লাহা–শাহীক্বাওঁ ওয়া হিয়া তাফুর। (৮) তাকা-দু তামাইয়াযু মিনাল্ গাইয; কুল্লামা উঁকিয়া ফীহা–ফাওজু সাআলাহুম্ খাযানাতুহা–আলাম্ ইয়া’তিকুম নাযীর।

অর্থ : (৫) আমি সর্বনিম্ন আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুসজ্জিত করেছি, সেগুলোকে শয়তানের জন্য ক্ষেপণাস্ত্রবৎ করেছি এবং প্রস্তুত করে রেখেছি তাদের জন্য জ্বলন্ত অগ্নির শাস্তি। (৬) যারা তাদের পালনকর্তাকে অস্বীকার করছে তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি, তা কতই না নিকৃষ্ট স্থান। (৭) যখন তারা তথায় নিক্ষিপ্ত হবে, তখন তার উৎক্ষিপ্ত গর্জন শুনতে পাবে। (৮) ক্রোধে জাহান্নাম যেন ফেটে পড়বে, যখনই তাতে কোন সম্প্রদায় নিক্ষিপ্ত হবে তখন তাদেরকে তার সিপাহীরা জিজ্ঞেস করবে, তোমাদের কাছে কি কোন সতর্ককারী আগমন করেনি!

قالوا بلى قد جاء تا نذير فكبنا وقلنا ما نزل الله من شی جراث انتم الآ في ضلو گیر (۹) وقالوا لؤگتا تشمع أو نعقل ما كنا فى أحب الشعير (۱۰) فاعترفوا بذنبهم فسحقا لاصحب الشعير (11) إن الذين يخشون ربهم بالغيب لهم مغفرة وأجر کبیر (۱۲) وأسروا قولكم او اجهوا په درانه عليم بذات الصدر (۱۳) ا يعلم من خلق ط وهو اللطيف الخبير (۱۶) هو الذي جعل لكم الأرض و قامشوا في مناكبها وكلوا من وثقه د واليه الشور (۱۰)

উচ্চারণ : কা-নূ বালা–কান্ জা-আনা নাযীরুন্ ফাঁকাবৃনা–ওয়া–কুলনা–মা–নালা ল্লাহু মিন্ শাইয়িন, ইন্ আন্তুম ইল্লা–ফী দ্বলালি কাবীর। (১০) ওয়া কা–লাও কুন্না নামাউ’ আও নাকিলু মা–কুন্না–ফী আছহা-বি সূসাঈ’র। (১১) ফাতারাফু বিযামবিহিম ফাছুহক্কাল লিআছ্হা-বি সসাঈ’র। (১২) ইন্না ল্লাযীনা ইয়াশাওনা রব্বাহুম বিগাইবি লাহুম্ মাগফিরাতুওঁ ওয়া আরুন কাবীর। (১৩) ওয়া আছিরূ কাওলাকুম আওয়িজ্বহারা বিহ; ইন্নাহু আলীমুম্ বি-তি ছছুদূর। (১৪) আলা–ইয়া-লামু মান খালা; ওয়া হুওয়াল্লাতীফুল খাবীর। (১৫) হুওয়াল্লাযী জা’আলা লাকুমুল আরূদ্বোয়া–যাল্লা ফা-মশূ ফী মানা-কিবিহা ওয়া কুলু মি রিত্ত্বিহ; ওয়া ইলাইহি ননুশূর।

অর্থ: তারা বলবে, হাঁ আমাদের কাছে সতর্ককারী আগমন করেছিল, তখন আমরা মিথ্যারোপ করেছিলাম এবং বলেছিলাম, আল্লাহ্ তা’আলা কোন কিছু নাযিল করেননি, তোমরা মহাবিভ্রান্তিতে পড়ে রয়েছ। (১০) তারা আরও বলবে:যদি আমরা শুনতাম অথবা বুদ্ধি খাটাতাম, তবে আমরা জাহান্নামবাসীদের মধ্যে থাকতাম না। (১১) অতঃপর তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করবে, জাহান্নামীরা দূর হোক। (১২) নিশ্চয় যারা তাদের পালনকর্তাকে না দেখে ভয় করে, তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা এবং মহাপুরস্কার। (১৩) তোমরা তোমাদের কথা গোপনে বল অথবা প্রকাশ্যে বল, তিনি তো অন্তরের বিষয় সম্পর্কে সম্যক অবগত। (১৪) যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি করে জানবেন না:তিনি সূক্ষ্ম জ্ঞানী, সম্যক জ্ঞাত। (১৫) তিনি পৃথিবীকে তোমাদের বশীভূত করেছেন, অতএব, তোমরা তাঁর পথসমূহে বিচরণ কর এবং তাঁর দেয়া রিযিক আহার কর; তাঁরই কাছে পুনরুজ্জীবত হয়ে যেতে হবে।

اونم من في الماء أن يخسف بكم الأرض فإذا هي تمور (۱۹) آم

تعلمون كيف تؤير

انتم من في السماء أن يرسل عليكم حابا د (۱۷) ولقد كذب الذين من قبلهم فكيف كان نكير (18) أولم يروا إلى الطير فوقهم قت ويبشن ما يمسه إلا الرحمن مع إنه بك

(

(১৭)

أن هذا الذي هو جند لكم ينصركم من دون الرحمن مران الفرون الا في مرور (۲۰) امن هذا الزي يرزقكم إن أمك ژقه بلوا في

تو ونفور (۲۱) أفمن يمشي مكبا على وجهه أهدی امن يمشى سويا

على صراط مستقيم (۲۲)

উচ্চারণ : (১৬) আআমিনতুম মান ফি সৃসামা-ই আই–ইয়াসিফা বিকুমু আরূদ্বোয়া ফাইযা–হিয়া তামূর। (১৭) আম্ আমিতুম্ মান্ ফি সৃসামা-ই আই ইউসিলা আলাইকুম হাছিবা-; ফাসাতা’লামূনা কাইফা নাযীর। (১৮) ওয়া লাকা কা’বাল্লাযীনা মিন্ কাবৃলিহিম ফাঁকাইফা কা-না নাকীর। (১৯) আওয়া লাম্ ইয়ারাও ইলা ত্বত্বইরি ফাওক্কাহুম ছোঁয়া-ফুফা-তিওঁ ওয়া ইয়াক্ববিনা; মা–ইউসিকুহুন্না ইল্লা রাহমান; ইন্নাহ্ বিকুল্লি শাইই বাছীর। (২০) আম্ মান হা-যা লাযী হুওয়া জুনদু লাকুম ইয়াছুরুকূম মিন দূনি ব্রহ্মা-ন, ইনি কা-ফিরূনা ইল্লা-ফী গুরুর। (২১) আম্মান হা-যা লাযী ইয়ারযুকুকুম ইন আসাকা রিব্বাহু বা লাঙ্কু ফী উ’তুওয়িওঁ ওয়া নূফুর। (২২) আফামাহঁ ইয়াশী মুকিব্বান আলা–ওয়াজুহিহী আদা–আম্ মাই ইয়াশী সাওয়িইয়ান আলা–ছিরা-তি মমুসতাক্বীম।

অর্থ : (১৬) আকাশে যিনি আছেন তোমরা কি তার সম্পর্কে ভাবনামুক্ত হয়ে গেছ যে, তিনি তোমাদেরকে ভূগর্ভে বিলীন করে দেবেন, অতঃপর তা কাঁপতে থাকবে। (১৭) না তোমরা নিশ্চিত হয়ে গেছ যে, আকাশে যিনি আছেন তিনি তোমাদের উপর এক প্রচণ্ড বায়ু প্রেরণ করবেন, অতঃপর অচিরেই তোমরা জানতে পারবে কেমন ছিল আমার সতর্কবাণী (১৮) আর এদের পূর্ববর্তীরাও মিথ্যারোপ করেছিল; অতঃপর কত কঠোর হয়েছিল আমার শাস্তি। (১৯) তারা কি লক্ষ্য করে না, তাদের মাথার উপর উড়ন্ত পক্ষীকুলের প্রতি, সেগুলো পাখা বিস্তার করে ও সংকোচন করে লয়; রহমান আল্লাহ্ই তাদেরকে স্থির রাখেন; তিনি সর্ববিষয়ই দেখেন। (২০) রহমান আল্লাহ্ তা’আলা ছাড়া তোমাদের কোন সৈন্য আছে কি যে তোমাদের সাহায্য করবেঃ কাফেররা বিভ্রান্তিতেই পতিত আছে। (২১) তিনি যদি তোমেদেরকে স্বপ্রদত্ত রিযিক বন্ধ করে দেন তবে কে আছে যে তোমাদেরকে রিযিক দেবে; বরং তারা অবাধ্যতা ও বিমুখতায় দৃঢ় হয়ে রয়েছে। (২২) যে ব্যক্তি উপুড় হয়ে পড়তে পড়তে চলছে সে-ই গন্তব্যস্থলে অধিক পৌঁছতে পারে না সে ব্যক্তি, যে সমতল পথে চলে?

قل هو الي أنشأكم وجعل لكم الشمع والأبصار والأفيدة ط قلي ما تشكرون (۲۳) قل هو الذي دراگم في الأرض وإليه تحشرون (۲۶) ويقولون متى هذا الوعد ان گنتم يقين (۲۰) قل إنما الولم يرث اللود وإنما أنا نزير مبين (۲۹) فلما رأوه زلفة سيئث وجوه الذين كفروا وقيل هذا الذي كنتم به تعوت (۲۷) قل أرئيتم إن أهلكزى الله ومن شوى او رمتا و فمن يجير الكفرين من عذاب الیم (۲۸) قل هو الرحمن أمثابه وعليه تنتاج فتعلمون من هو في ضلل بين (۲۹) قل أرئيتم إن اب ماؤگم غورا فمن يأتيكم بماء معين (۳۰)

উচ্চারণ : (২৩) কুল হুওয়া লাযী আশাআকুম ওয়া জা’আলা লাকুমুসসাআ ওয়াল আছোঁয়া-রা ওয়াল আইদাতা কালীলা মা–তাশকুরূন। (২৪) কুল হুওয়া লাযী যারাআকুম ফিল আরদ্বি ওয়া ইলাইহি তুশারূন (২৫) ওয়া ইয়াকুনা মাতা–হা-যা ওয়া’দু ইন কুনতুম ছোঁয়া-দিক্বীন। (২৬) কুল ইন্নামা ইমু ইন্নাল্লা-হি ওয়া ইন্নামা–আনা নাযীরু মুবীন। (২৭) ফালাম্মা রাআওহু যুলফাতান ছীআত উজুহু ল্লাযীনা কাফারূ ওয়া কীলা হা-যাল্লাযী কুতুম বিহী তাদ্দাউন (২৮) কুল আরাআইতুম ইন আহলাকানিয়া গ্লা-হু ওয়া মাম্ মাইয়্যা আও রাহিনা–ফামাহঁ ইউজীরুল কা-ফিরীনা মিন আযা-বিন আলীম। (২৯) কুল হুওয়া বৃরাহ্মা-নু আ-মান্না বিহী ওয়া আলাইহি তাকওয়াক্কালনা–ফাসাতা’লামূনা মান হুওয়া ফী দ্বলা-লি মুবীন। (৩০) কুল আরাআইতুম ইন আহ্বাহা মা-উকুম গাওরান ফামাহঁ ইয়া’তীকুম বিমা-ইম্ মাঈন।

অর্থ : (২৩) বলুন, তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং দিয়েছেন কান, চোখ ও অন্তর; তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর, (২৪) বলুন, তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে বিস্তৃত করেছেন এবং তাঁরই কাছে তোমরা সমবেত হবে:(২৫) কাফেররা বলে:এ প্রতিশ্রুতি কবে বাস্তবায়িত হবে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও। (২৬) বলুন, এর জ্ঞান আল্লাহ্ তা’আলার কাছেই আছে; আমি তো কেবল প্রকাশ্য সতর্ককারী। (২৭) যখন তারা সেই প্রতিশ্রুতি আসন্ন দেখবে, তখন কাফেরদের মুখমণ্ডল মলিন হয়ে পড়বে এবং বলা হবে : এটাই তো তোমরা চাইতে (২৮) বলুন, তোমরা কি ভেবে দেখেছ, যদি আল্লাহ্ তা’আলা আমাকে ও আমার সঙ্গীদেরকে ধ্বংস করেন অথবা আমাদের প্রতি দয়া করেন, তবে কাফেরদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে কে রক্ষা করবে? (২৯) বলুন, তিনি পরম করুণাময়, আমরা তার উপর বিশ্বাস রাখি এবং তাঁরই উপর ভরসা করি, সত্বরই তোমরা জানতে পারবে কে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় আছে। (৩০) বলুন, তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি তোমাদের পানি ভূগর্ভের গভীরে চলে যায় তবে কে তোমাদেরকে সরবরাহ করবে পানির স্রোতধারা।

.

সূরা নূহ

بسم الله الرحمن الرحيم إنا أرسلنا وا الى قؤه أن أثير قوم ممث قبل أن يتهم عذاب اليم (1) قال يقوم اتى لكم تی بی (۲) آن اعبدوا الله واتوه وأطيعون (۳) يفوتكم من ويگم ويؤخرگم إلى أجل ئی د ا أجل الله إذا جاء يؤخرج لوكنتم تعلمون (4) قال برای دعوت قوى تيد ونهارا (0) فلم يزدهم ایا فرارا (1) قاتی گلما دعوتهم فراهم جعلوا أصابعهم فى أذا هم واشتفشوا ثيابهم وأصروا واستكبروا اشتبارا (۷) ثم اني دعوتهم جهارا (۸) ثم انى اعلنت لهم وأسررت لهم اشرارا (۹) فقلت اشتفروا ربكم إنه كان غفارا (۱۰) سل الشماء عليكم مدرارا (۱۱) ويمددكم بأموال وبنين ويجعل لكم جثت ويجعل لكم اثها (۱۲) مالكم لاترجون لله وقارا (۱۳) وقد خلقكم اطوارا (14) الم تروا كيف خلق الله سبع سموات طباقا (۱۰) جعل القمر فيه ورا وجعل الشمس سراجا (۱۹) والله انكم من الأرض نباتا (۱۷) ثم يعيدكم فيها ويرجگم اخراجا (۱۸) والله جعل لكم الأرض بساطا (۱۹) تسلكوا يرثها شب فجاجا (۲۰) قال نوح و ائهم عموني واثبتوا من لم يزده ماله وولده الاخارا (۲۱) ومكروا مگرا

کیارا

, وه ۲: ۶ و ۸, م ن ه ه ، و لاتذرن الهتكم ولا تذرن ودا و لا سو واعا ولايغوث ويعو

ق ونسرا (۲۳) وقد أضوا كثيرا ، ولا تزد الظلمين مملة (۲۶) مما خطيئتهم أغرقوا قالوا تارا فلم يجدولهم من دون اللو اثارا (۲۰) وقال نوع ب لا تؤثر على الأرض من الكفرين دينارا (۲۶) إنك إن تذرهم يضلوا عبادك ولا يبدوا إلا فاجرا كفارا (۲۷) رب اغفرلي ولوالدي ولمن دخل بيتي مؤمنا وللمؤمنين والمؤمنټ د ولا تزد الظلمين

 উচ্চারণ : (১) ইন্না–আছালনা–নূহা ইলা–কাওমিহী, আন আনৃষির কৃাউমাকা মিন কাবৃলি আই ইয়া’তিয়াহুম আযা-বুন আলীম। (২) কৃা-লা ইয়া-কাউমি ইন্নী লাকুম্ নাযীরুম্ মুবীন। (৩) আনি’ বুদুল্লা-হা ওয়াত্তাকুহু ওয়া আত্বীউ’ন (৪) ইয়াগৃফির লাকুম মিন যুবিকুম ওয়া ইউওয়াখিরকুম ইলা–আজালিম্ মুহাম্মা-; ইন্না আজালাল্লা-হি ইযা–জা-আ লা ইউওয়াখখারু, লাও কুনতুম তালামুন (৫) কালা রব্বি ইন্নী দা’আওতু কাউমী লাইলাওঁ ওয়া নাহা-রা–(৬) ফালাম ইয়াযিদৃহুম দুআ-ঈ ইল্লা-ফিরা-রা–(৭) ওয়া ইন্নী কুল্লামা–দা’আওতুহুম লিতাগফিরা লাহুম জা’আলু আছোঁয়া-বি’আহুম ফী আযা-নিহিম ওয়াতাগশাউ ছিয়া-বাহুম ওয়া আছোঁয়ারুরূ ওয়াতাব্বারু আসৃতি-রা–(৮) সুম্মা ইন্নী দা’আওতুহুম জিহা-রা–(৯) ছুম্মা ইন্নী আ’লান্তু লাহুম ওয়া আ রতু লাহুম ইস্রা-রা–(১০) ফাকুলতু স্তাগফিরূ রব্বাকুম ইন্নাহু কা-না গাফফা-রা–(১১) ইউসিলিস্ সামা-আ আলাইকুম মি-রা–(১২) ওয়া ইউমদিকুম বিআওয়া-লিওঁ ওয়া বানীনা ওয়া ইয়াআল্ লাকুম জান্নাতিওঁ ওয়া ইয়াজআল লাকুম আহা-রা–(১৩) মা–লাকুম লা–তারজুনা লিল্লা-হি ওয়াক্কা-রা–(১৪) ওয়া কাদ খালাক্বাকুম আওয়া-রা–(১৫) আলাম তারাও কাইফা খালাক্বাল্লা-হু সাবআ সামা-ওয়া-তিন ত্বিবান্ধা (১৬) ওয়া জা’আলাল কামারা ফীহিন্না নুরাওঁ ওয়া জা’আলাশ শামসা সিরা-জা–(১৭) ওয়াল্লাহু আবাতাকুম মিনাল আবৃদ্ধি নাবা-তা–(১৮) ছুম্মা ইউঈদুকুম ফীহা ওয়া ইউরিজুকুম ইস্থা-জান-। (১৯) ওয়াল্লা-হু জা’আলা লাকুমুল আরূদোয়া–বিছা-তত্বায়াল (২০) লিতাসলুকূ মিহা–ছুবুলান ফিজা-জা–(২১) কা-লা নূহুর রব্বি ইন্নাহুম আছোঁয়াওনী ওয়াত্তাবাউ মাল্ লাম্ ইয়াযিদৃহু মা-লুহু ওয়া ওয়ালাদুহু ইল্লা–খাছা-রা–(২২) ওয়া মাকারূ মাকরান কুব্বা-রা–(২৩) ওয়া কা–লা–তারুন্না আ-লিহাতাকুম ওয়ালা–তারুন্না ওয়াদ্দাওঁ ওয়ালা–সুওয়াআওঁ ওয়ালা–ইয়াছা ওয়া ইয়াউকা ওয়া নাছরা–(২৪) ওয়া কাদ আদ্বোয়ান্নু কাছীরান; ওয়ালা তাযিদি যোয়া–লিমীনা ইল্লা–দ্বলা-লা–(২৫) মিম্মা–খাত্বীআ-তিহিম উগরিকু ফাউদখি -রান ফালাম ইয়াজিদূ লাহুম মিন দূনিল্লা-হি আনছোঁয়ারা–(২৬) ওয়া ত্বা-লা নূহুর রব্বি লা তার আলাল আক্বদ্বি মিনাল কা-ফিরীনা দাইয়্যা-রা–(২৭) ইন্নাকা ইন তাযারহুম ইউদ্বিল্ল ইবাদাকা ওয়ালা–ইয়ালিদূ ইল্লা–ফা-জিরান কাফ্ফারা–(২৮) রব্বি গৃফির লী ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়া লিমান দাখালা বাই তিয়া মু’মিনাওঁ ওয়া লিলমু’মিনীনা ওয়াল মু’মিনা-ত্ িওয়ালা–তাবৃদিযোয়া-লিমীনা ইল্লা–তাবারা।

অর্থ : (১) আমি নূহকে প্রেরণ করেছিলাম তার সম্প্রদায়ের প্রতি একথা বলে : তুমি তোমার সম্প্রদায়কে সতর্ক কর, তাদের প্রতি কঠিন শাস্তি আসার আগে। (২) সে বলল : হে আমার সম্প্রদায়! আমি তোমাদের জন্য স্পষ্ট সতর্ককারী। (৩) তোমরা আল্লাহ্ তা’আলার এবাদত কর, তাঁকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর। (৪) আল্লাহ্ তা’আলা তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবকাশ দেবেন। নিশ্চয় আল্লাহ্ তা’আলার নির্দিষ্টকাল যখন হবে, তখন অবকাশ দেয়া হবে না, যদি তোমরা তা জানতে। (৫) সে বলল : হে আমার পালনকর্তা! আমি আমার সম্প্রদায়কে দিবারাত্রি দাওয়াত দিয়েছি, (৬) কিন্তু আমার দাওয়াত তাদের পলায়নই বৃদ্ধি করেছে। (৭) আমি যতবারই তাদেরকে দাওয়াত দিয়েছি যাতে আপনি তাদেরকে ক্ষমা করেন, ততবারই তারা কানে আঙ্গুল দিয়েছে, মুখমণ্ডল বস্ত্রাবৃত করেছে, জেদ করেছে এবং খুব ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করেছে। (৮) অতঃপর আমি তাদেরকে প্রকাশ্যে দাওয়াত দিয়েছি, (৯) অতঃপর আমি ঘোষণা সহকারে প্রচার করেছি এবং গোপনে চুপিসারে বলেছি। (১০) অতঃপর বলেছি : তোমরা তোমাদের পালনকর্তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর; তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। (১১) তিনি তোমাদের উপর অজস্র বৃষ্টিধারা বর্ষণ করবেন, (১২) তোমাদের ধন সম্পদ ও সন্তান সন্ততি বাড়িয়ে দেবেন, তোমাদের জন্য উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদীনালা প্রবাহিত করবেন। (১৩) তোমাদের কি হল, তোমরা আল্লাহ্ তা’আলার শ্রেষ্ঠত্ব আশা করছ না। (১৪) অথচ তিনি তোমাদেরকে বিভিন্ন রকমে সৃষ্টি করেছেন। (১৫) তোমরা কি লক্ষ্য কর না যে, আল্লাহ্ কিভাবে সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন (১৬) এবং সেখানে চন্দ্রকে আলোরূপে এবং সূর্যকে প্রদীপরূপে রেখেছেন। (১৭) আল্লাহ্ তা’আলা তোমাদেরকে মৃত্তিকা থেকে উদগত করেছেন। (১৮) অতঃপর তোমাদেরকে তাতে ফিরিয়ে নিবেন এবং আবার পুনরুত্থিত করবেন। (১৯) আল্লাহ্ তা’আলা তোমাদের জন্যে ভূমিকে করেছেন বিছানা (২০) যাতে তোমরা চলাফেরা কর প্রশস্ত পথে। (২১) নূহ বলল : হে আমার পালনকর্তা, আমার সম্প্রদায় আমাকে অমান্য করেছে, আর অনুসরণ করছে এমন লোকের, যার ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততি কেবল তার ক্ষতিই বৃদ্ধি করছে। (২২) আর তারা ভয়ানক চক্রান্ত করছে। (২৩) তারা বলছে, তোমরা তোমাদের উপাস্যদেরকে ত্যাগ করো না এবং ত্যাগ করো না ওয়াদ, সুয়া, ইয়াগুছ, ইয়াউক ও নসরকে। (২৪) অথচ তারা অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে। অতএব, আপনি জালেমদের পথভ্রষ্টতাই বাড়িয়ে দিন। (২৫) তাদের গোনাহসমূহের দরুন তাদেরকে নিমজ্জিত করা হয়েছে, অতঃপর দাখিল করা হয়েছে জাহান্নামে। অতঃপর তারা আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত কাউকে সাহায্যকারী পায়নি। (২৬) নূহ আরও বলল : হে আমার এ পালনকর্তা, আপনি পৃথিবীতে কোন কাফের গৃহবাসীকে রেহাই দেবেন না। (২৭) যদি আপনি তাদেরকে রেহাই দেন, তবে তারা আপনার বান্দাদেরকে পথভ্রষ্ট করবে এবং জন্ম দিতে থাকবে কেবল পাপাচারী কাফের (২৮) হে আমার পালনকর্তা! আপনি আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, যারা মু’মিন হয়ে আমার গৃহে প্রবেশ করে তাদেরকে এবং মু’মিন পুরুষ ও মু’মিন নারীদেরকে ক্ষমা করুন এবং জালেমদের কেবল ধ্বংসই বৃদ্ধি করুন।

.

সূরা জ্বিন

بسم الله الرحمن الرحيم قل أوحى إلى أنه اشتمع تف بين الجن فقالوا إنا سوغا قژائا عجبا (۱) تهوي إلى الشبي قامت به د ولن تشرك برښنا أحدا (۲) وانه

على جد ربنا مااتخذ صاحبة ولا ولدا (۳) وانه كان يقول سويهنا على الو شططا (4) واثا ظنا أن تقول الإشت والچ على الله كذبا (0) وانه گان رجال بين الإثس يؤئون برجال من الجين فاتوهم رهنما (1) وانهم

توا كما ظننتم أن تثيب الله احدا (۷) انا لمسنا الشماء فوجدها ملئت ترسا شديدا وشها (3) واتا گنا ت يرثها مقاعد الشمع فمن يستمع الأن يجد له شهابا وما (3) وانا لانثری اشر اريد بمن في الأرض أم أراد بهم ربهم رشدا (۱۰) وانا ما الشحون وثا دون ذلك ثا طرائق قدا (۱۹) وانا لها أن لن تنجز الله في الأرض ولن تعجزه ها(۱۴) واثا كما سمعنا الهدی امثابه من يؤمن ربه فيخاف بخستا ورهقا (۱۳) وانا منا المسلمون ومتا القسطون من اسلم فأولئك توقا رشدا (۱۶) واما القسطون فكانوا إجهثم حطبا (۳۵) توان و استقاموا على الطريقة لاقينهم ماء دقا (16) لنفتنهم فيه ومن يعرض عن كره شكه عذابا وذا (۱۷) وان المجد الله ق تعوا مع الله أحدا (۱۸) وانه لما قام عبد الله يدعوه كانوا يكونون عليه بدا (14) قل اثما أدعوا ربي و أشرك به أحدا (۲۰) قل إتي لا امي لكم مثالا رشدا (۲۱) قل إتي كن يجيرني من الله أحد ، ولن أجد من دونه ملندا (۲۲) إلا بلا من الله ورسله ومن يبي الله ورسوله قا له تار جهثم لدين فيها أبدا (۲۳) حتى إذا رأوا مايون فيلمون من أشق ناصرا وأقل عددا (۲۶) قل إن ادرى أقريب ما تؤتون ام يجعل له ربى أما (۲۰) علم الغيب فلا يظهر على غيبه أحدا (۲۹) الأمن اژتضی من ژسول فانه يسل من بين يديه ومن خلفه وهذا (۲۷) ليعلم أن قد ابلغوا رسلت ربهم واحاط بمالديهم واحصی گل شیعددا (۲۸)

উচ্চারণ : (১) কুল ঊহিয়া ইলাইয়্যা আন্নাহু তামা’আ নাফারুম মিনা জিনি ফাক্কা ইন্না–সামিনা–কুরআ-নান আজাবা–(২) ইয়াহূদী ইলার রুশদি ফাআ-মান্না বিহী; ওয়া লান নূশরিকা বিরব্বিনা–আহাদা–(৩) ওয়া আন্নাহু তা’আলা জাদু রব্বিনা–মাত্তাখা ছোঁয়া-হিবাতা ওঁ ওয়ালা–ওয়ালাদা (৪) ওয়া আন্নাহু কা-না ইয়াকুলু সাফীহুনা আলাল্লা-হি শাত্বোয়াত্বোয়া (৫) ওয়া আন্না যনান্না–আল্লাহ্ তাকুলা ইছু ওয়াল জিন্ন আলাল্লা-হি কাযিবা–(৬) ওয়া আন্নাহু কা-না রিজা-লুম্ মিনাল ইন্‌ছি ইয়াঊযুনা বিরিজা-লিম্ মিনাল জিন্নি ফাযা-দূহুম রাহাক্কা-। (৭) ওয়া আন্নাহুম যোয়ানু কামা–যনান্তুম আল্ লাই ইয়াবৃ’আছাল্লা-হু আহাদা–(৮) ওয়া আন্না লামাস্নাস্ সামা-আ ফাওয়াজানা-হা মুলিআত হারাসান শাদীদাওঁ ওয়া শুহুবা–(৯) ওয়া আন্না–কুন্না–নাকউ’দু মিহা–মাক্বা-ইদা লিস্সাই’ ফামাহঁইয়াস্তামিই’ল আ-না ইয়াজিদ লাহু শিহাবার রাছোঁয়া-দা–(১০) ওয়া আন্না–লা–নারী আশারুন উরীদা বিমা ফিল আরদ্বি আম্ আরা-দা বিহিম রব্লুহুম রাশাদা–(১১) ওয়া আন্না-মিন্নাচ্ছোয়া-লিনা ওয়া মিন্না–দূনা যা-লিকা কুন্না ত্বরা-ইক্কা ক্বিদাদা–(১২) ওয়া আন্না–যনান্না–আল্লান্ নুজিযাল্লা-হা ফিল আ-রুদ্বি ওয়া লা নুজিযাহু হারাবান–(১৩) ওয়া আন্না–লাম্মা–সামিনাল হুদা-আ-মান্না-বিহী ফামাই ইউমিম্ বিরব্বিহী ফালা–ইয়াখা-ফু বাসাওঁ ওয়ালা–রাহাকান–(১৪) ওয়া আন্না মিন্না মুসৃলিমূনা ওয়া মিন্নাল ক্বা-সিনা ফামা আস্লামা ফাউলা-ইকা তাহাাউ রাশাদান। (১৫) ওয়া আম্মা কা-ছিনা ফাঁকা-নূ লিজাহান্নামা হাত্বোয়াবা–(১৬) ওয়া আল্ লাওয়িসতাকা-মূ আলাত্ব ত্বরীকাতি লাআকাইনাহুম মাআন্ গাদাকা–(১৭) লিনাতিনাহুম ফীহি ওয়া মাই ইউরিদ্ব আন যিরি রব্বিহী, ইয়াসলুহু আযা-বান ছ’অদা–(১৮) ওয়া আন্নাল মাসা-জিদা লিল্লা-হি ফালা–তাদৃঊ’ মাআল্লা-হি আহাদা–(১৯) ওয়া আন্নাহু লামা–কা-মা আব্দুল্লা-হি ইয়াউঁহু কাদূ ইয়াকূনূনা আলাইহি লিবাদা-। (২০) কুল ইন্নামা–আদউ’ রব্বি ওয়ালা উশরিকু বিহী আহাদা–(২১) কু ইন্নী লা–আলিকু লাকুম দ্বরুরাওঁ ওয়া লা–রাশাদা (২২) কুল্ ইন্নী লাহঁ ইউজীরানী মিনাল্লা-হি আহাদুওঁ ওয়া লান আজিদা মিন্ দূনিহী মুস্তাহাদা (২৩) ইল্লা–বালাগাম মিনাল্লা-হি ওয়া রিসা-লা-তিহী; ওয়া মাহঁ ইয়াছিল্লা-হা ওয়া রাসূলাহু ফাইন্না লাহু না-রা জাহান্নামা খালিদীনা ফীহা–আবাদা–(২৪) হাত্তা–ইযা-রাআও মা ইউআদূনা ফাসা ইয়ালামূনা মা আআফু না-সিরাওঁ ওয়া আক্কালু আদাদা–(২৫) কুল ইন্ আরী আক্বারীবুম মা–আদূনা আম্ ইয়া’আলু লাহ্ রব্বী আমাদা–(২৬) আলিমুল গাইবি ফালা–ইউহিরু আলা–গাইবিহী আহাদা–(২৭) ইল্লা–মানি বৃদ্বো মিরু রাসূলি ফাইন্নাহু ইয়াসলুকু মিম্ বাইনি ইয়াদাইহি ওয়া মিন্ খালফিহী রাছোঁয়াদা–(২৮) লিইয়া’লামা আন কাদ আবলাধূ রিসা-লা-তি রব্বিহিম ওয়া আহাত্বোয়া বিমা–লাদাইহি ওয়া আহ্ছােয়া কুল্লা শাইয়িন্ আদাদা-।

অর্থ : (১) বলুন, আমার প্রতি ওহী নাযিল করা হয়েছে যে, জ্বিনদের একটি দল কোরআন শ্রবণ করেছে, অতঃপর তারা বলেছে : আমরা বিস্ময়কর কোরআন শ্রবণ করেছি, (২) যা সৎপথ প্রদর্শন করে, ফলে আমরা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করেছি; আমরা কখনও আমাদের পালনকর্তার সাথে কাউকে শরীক করব না (৩) এবং আমরা আরও বিশ্বাস করি, আমাদের পালনকর্তার মহান মর্যাদা সবার ঊর্ধ্বে, তিনি কোন পত্নী গ্রহণ করেননি এবং তাঁর কোন সন্তান নেই। (৪) আমাদের মধ্যে নির্বোধেরা আল্লাহ্ তা’আলা সম্পর্কে বাড়াবাড়ির কথার্বাতা বলে (৫) অথচ আমরা মনে করতাম, মানুষ ও জ্বিন কখনও আল্লাহ্ তা’আলা সম্পর্কে মিথ্যা বলতে পারে না। (৬) অনেক মানুষ অনেক জ্বিনের আশ্রয় নিত, ফলে তারা জ্বিনদের আত্মম্ভিরতা বাড়িয়ে দিত। (৭) তারা ধারণা করত, যেমন তোমরা মানবেরা ধারণা কর, মৃত্যুর পর আল্লাহ্ তা’আলা কখনও কাউকে পুনরুত্থিত করবেন না। (৮) আমরা আকাশ পর্যবেক্ষণ করেছি, অতঃপর দেখতে পেয়েছি, কঠোর প্রহরী ও উল্কাপিণ্ড দ্বারা আকাশ পরিপূর্ণ। (৯) আমরা আকাশের বিভিন্ন ঘাঁটিতে সংবাদ শ্রবণার্থ বসতাম, এখন কেউ সংবাদ শুনতে চাইলে সে জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ড ওঁৎ পেতে থাকতে দেখে। (১০) আমরা জানি না পৃথিবীবাসীদের অমঙ্গল সাধন করা অভীষ্ট, না তাদের পালনকর্তা তাদের মঙ্গল সাধন করার ইচ্ছা রাখেন। (১১) আমাদের কেউ কেউ সৎকর্মপরায়ণ এবং কেউ কেউ এরূপ নয়; আমরা ছিলাম বিভিন্ন পথে বিভক্ত। (১২) আমরা বুঝতে পেরেছি, আমরা পৃথিবীতে আল্লাহ তা’আলাকে পরাস্ত করতে পারব না এবং পলায়ন করেও তাকে অপারগ করতে পারব না। (১৩) আমরা যখন সুপথের নির্দেশ শুনলাম, তখন তাতে বিশ্বাস স্থাপন করলাম, অতএব যে তার পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস করে সে লোকসান ও জোর জবরের আশংকা করে না। (১৪) আমাদের কিছু সংখ্যক আজ্ঞাবহ এবং কিছু সংখ্যক অন্যায়কারী; যারা আজ্ঞাবহ তারা সৎপথ বেছে নিয়েছে। (১৫) আর যারা অন্যায়কারী তারা তো জাহান্নামের ইন্ধন; (১৬) আর এই প্রত্যাদেশ করা হয়েছে যে, তারা যদি সত্য পথে কায়েম থাকত, তবে আমি তাদেরকে প্রচুর পানি বর্ষণে সিক্ত করতাম। (১৭) যাতে এ ব্যাপারে তাদেরকে পরীক্ষা করি; পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তিনি তাকে উদীয়মান আযাবে পরিচালিত করবেন। (১৮) এবং এ ওহীও করা হয়েছে যে, মসজিদসমূহ আল্লাহ্ তা’আলাকে স্মরণ করার জন্য, অতএব, তোমরা আল্লাহ্ তা’আলার সাথে কাউকে ডেকো না। (১৯) আর যখন আল্লাহ্ তা’আলার বান্দা তাঁকে ডাকার জন্যে দণ্ডায়মান হল তখন অনেক জ্বিন তাঁর কাছে ভিড় জমাল। (২০) বলুন, আমি তো আমার পালনকর্তাকেই ডাকি এবং তার সাথে কাউকে শরীক করি না। (২১) বলুন, আমি তোমাদের ক্ষতি সাধন করার ও সুপথে আনয়ন করার মালিক নই। (২২) বলুন, আল্লাহ্ তা’আলার কবল থেকে আমাকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না এবং তিনি ব্যতীত আমি কোন আশ্রয়স্থল পাব না। (২৩) কিন্তু আল্লাহ্ তা’আলার বাণী পৌঁছানোই আমার কাজ; যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করে, তার জন্যে রয়েছে জাহান্নামের অগ্নি, তথায় তারা চিরকাল থাকবে। (২৪) এমনকি যখন তারা প্রতিশ্রুত শাস্তি দেখতে পাবে, তখন জানতে পারবে কার সাহায্যকারী দুর্বল এবং কার সংখ্যা কম। (২৫) বলুন, আমি জানি না তোমাদের প্রতিশ্রুত বিষয় আসন্ন, না আমার পালনকর্তা এর জন্যে কোন মেয়াদ স্থির করে রেখেছেন। (২৬) তিনি অদৃশ্যের জ্ঞানী, পরন্তু তিনি অদৃশ্য বিষয় কারও কাছে প্রকাশ করেন না (২৭) তাঁর মনোনীত রাসূল ব্যতীত, তখন তিনি তার অগ্রে পশ্চাতে প্রহরী নিযুক্ত করেন। (২৮) যাতে আল্লাহ্ তা’আলা জেনে নেন, রাসূলগণ তাদের পালনকর্তার পয়গাম পৌঁছিয়েছেন কিনা, রাসূলদের কাছে যা আছে তা তাঁর গোচরে, তিনি সবকিছুর সংখ্যার হিসাব রাখেন।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *