শতবর্ষ পরে রামমোহন
[ওসিআর ভার্সন, প্রুফ্ররিড করা হয়নি]
রামমোহনের তিরোধানের পরে ১১৬ বৎসর গত হলো। এই কালে তার জন্মভূমি বাংলায় বহু শক্তিমানের জন্ম হয়েছে; ধর্ম সাহিত্য স্বদেশসেবা প্রভৃতি ক্ষেত্রে অসাধারণ কৃতিত্বের পরিচয় দিয়ে গেছেন। তাঁদের কয়েকজন শুধু বাংলায়। ভারতে নয়, জগতে বরেণ্য হয়েছেন। যে কোনো দেশ বা জাতির জন্য এম। একটা যুগ গৌরবের যুগ।
এই মহাগৌরবময় যুগের প্রবর্তয়িতা রামমোহন। সে-সম্মান তাকে সবাই অকুণ্ঠিতচিত্তে নিবেদন করে থাকেন। আজকার এই স্মরণ-বাসরে, যদি শুধু এই ব্যাপারটাই আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি তবে তাতেও তাঁর মহিমা-কীর্তন ক হবে না। কাল তো চির পরিবর্তনশীল। বহুকাল পূর্বে গ্রীক দার্শনিক বলেছিলেন, আমরা একই নদীতে দুইবার স্নান করি না। জীবনের সব ক্ষেত্রেই এ স্বীকৃত সত্য। তাই রামমোহন যদি বাংলার ও ভারতের এই গৌরবযুগের প্রবর্তয়িতা মাত্র হন, অন্য কথায়, তার দেশ যদি কর্মে ও চিন্তায় কালে কালে এতখানি ব্যাপকতা ও গভীরতা লাভ করে থাকে যে তার সেই শতবর্ষ পূর্বের নির্দেশ তার জন্য আর সার্থক নির্দেশ বলে গণ্য করা সম্ভবপর না হয়, তবে তাও তার জন্য শোচনীয় নয়, বরং শ্লাঘনীয় পুত্র ও শিষ্যের কাছে পরাজিত হওয়া তো মানুষের সৌভাগ্যের কথা।
কিছুদিন থেকে আমাদের কোনো কোনো খ্যাতনামা লেখক রামমোহনের সাধনার এই ধরনের মূল নিরূপণে ব্যাপৃত আছেন। তাঁদের চেষ্টার ফলে যদি জাতির সাধনা ও সম্ভাবনার ছবি স্পষ্টতর হয়, নব নব সার্থকতার পথে তার প্রেরণা লাভ হয়, তবে তারা জাতির ধন্যবাদাহঁ হবেন নিঃসন্দেহ। তাদের প্রধান বক্তব্য দাঁড়িয়েছে এই রামমোহন শক্তিমান নিঃসন্দেহ; খ্যাতিমানও যথেষ্ট; কিন্তু জাতির হৃদয়-সিংহাসনে তার আসন লাভ ঘটেনি। সেই আসন বাংলাদেশে বিশেষভাবে লাভ হয়েছে বঙ্কিমচন্দ্রের ও রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের, আর বিশাল ভারতে মহাত্মা গান্ধীর। জাতির মন-প্রাণ-আত্মার সত্যকার নেতৃত্ব এঁদেরই লাভ হয়েছে, যদিও দেশের একালের জাগরণ সূচিত হয়েছিল রামমোহনের দ্বারা।
এঁদের বিচার উপেক্ষণীয় নয়। যে সমস্ত নেতার জনপ্রিয়তার কথা এঁরা বলেন তাঁরা যে দেশের আপামর সাধারণের সমাদর রামমোহনের চাইতে অনেক বেশী লাভ করেছেন তা অনস্বীকার্য। তাছাড়া এঁরা অপেক্ষাকৃত আধুনিক কালের, অসাধারণ শক্তিমানও বটে। এঁদের মধ্যে তিন জন তো বিশ্ববরেণ্য। কাজেই এঁদের মতো পূজনীয় ব্যক্তি যদি জাতির সত্যকার সমাদর লাভ করে থাকেন তবে রামমোহনের বিদেহ আত্মার প্রসন্নতার কারণই তো সেটি হয়েছে, কেননা তা হলে জাতি উন্নতির পথে নিশ্চিতরূপেই অগ্রসর হচ্ছে।
কিন্তু এইখানেই যে সমস্যা। বৃক্ষঃ ফলেন পরিচীয়তে সেই ফলের পরিচয় এই নূতন মূল্য-নিরূপয়িতাদের অনুকূলে নয়। কিছুদিন পূর্বে দেশে মন্বন্তর দেখা দিয়েছিল; সেদিনে দেশের অনেক-শিক্ষিত অশিক্ষিত নির্বিশেষে-কালোবাজারী মুনাফায় দেহ মন উৎসর্গ করেছিল; এই সব মহাপুরুষের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা সেই দুর্গতি থেকে তাদের রক্ষা করতে পারে নি। তারপর এসেছে দেশের স্বাধীনতা। সে-স্বাধীনতা আজো যে দেশের সর্বসাধারণের জন্য সার্থক হয়ে উঠলো না তার মূলে অবশ্য এমন কতকগুলো কারণও আছে যার উপরে দেশের লোকের হাত নেই। কিন্তু এমন অনেকগুলো কারণও আছে যার প্রতিকার দেশের লোকের করায়ত্ত। সেই কল্যাণ-চেষ্টা, জনগণের প্রতি দায়িত্ব, সর্বসাধারণের কথা থাকুক দেশের শিক্ষিতদের মনেও কি সক্রিয় হয়েছে। যে শিক্ষিত-সমাজ ইংরেজের সঙ্গে লড়াই কম করেনি, আর বঙ্কিমচন্দ্র রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ ও মহাত্মা গান্ধীর প্রতি যাদের অনুরাগের অকৃত্রিমতায় সন্দেহ করবার কোনো হেতু নেই! কেন এমন হয়েছে তার কারণ অনুসন্ধান করতে গেলে বুঝতে দেরী হয় না, এই সব বরেণ্যের এমন জনপ্রিয়তা লাভের মূলে তাদের ধর্মবোধ মনীষা বা মহাপ্রাণতা নয়, এর মূলে বরং তাদের কোনো কোনো কথায় ও আচরণে দেশের শিক্ষিত-সমাজের এবং কখনো কখনো অশিক্ষিত-সমাজের আত্ম-অভিমান যে লালিত হবার সুযোগ পেয়েছে সেই ব্যাপারটি। এ ব্যাখ্যা ভিন্ন পরীক্ষার দিনে তাদের অনুরাগীদের এমন শোচনীয় পরিচয়ের আর কোনো হেতু খুঁজে পাওয়া দুঃসাধ্য। বায়ুমণ্ডলের কার্যক্ষমতার উপরে নির্ভর করে তার চারপাশের শিক্ষিত-সমাজের গুণগ্রাহিতার উপরে। আমাদের দেশের শিক্ষিত-সমাজ আমাদের একালের বরেণ্য নেতাদের তপস্যা কি ভাবে ব্যর্থ করেছে সে-সম্বন্ধে কয়েকটি কথা কিঞ্চিত বিস্তৃত করে’ বললে হয়ত অসঙ্গত হবে না।
রামমোহনের কথা ধরা যাক। কি নির্দেশ তিনি রেখে গেলেন দেশের লোকদের সামনে? সৌভাগ্যক্রমে তার রচনা দুষ্প্রাপ্য নয়; তাই কোনো ব্যাখ্যা তার উপরে নির্ভর না করে যে কেউ ইচ্ছা করলে তাঁর মতামতের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে। সংক্ষেপে বলতে গেলে তাঁর নির্দেশ এই : (ক) পৌরাণিক দেবদেবীর আরাধনার পরিবর্তে উপনিষদের নিরাকার ব্রহ্মের উপাসনা ও যুক্তিযুক্ত কল্যাণ ক্রমের অনুষ্ঠান; (খ) প্রাচীন শাস্ত্র অশ্রদ্ধেয় নয় কিন্তু তার ব্যাখ্যা করতে হবে। বিচারবুদ্ধি ও লোকশ্রেয়ের আলোকে– অনিষ্টকর আচার প্রাচীন হলেও বর্জনীয়। কিন্তু তাঁর নির্দেশের প্রতিক্রিয়া দেশের শিক্ষিতদের উপরে কি হলো? তাদের মধ্যে যারা তার বিরোধী হলো–তারাই সংখ্যায় অনেক বেশী তারা সোজা বললে চিরাচরিত আচার বিসর্জন সম্ভবপর নয়, বিসর্জন দিলে সমাজখলায় ব্যাঘাত হবার সম্ভাবনা। আর যারা তাঁর অনুরাগী হলো তাদের উপরে প্রতিক্রিয়া এই হলো যে তারা প্রতীক-চর্চার প্রতি বিমুখ হলো সোসাহে, কিন্তু উন্মুখ হলো লোকশ্রেয়ের দিকে তত নয় যত ভগবদ্ ভক্তির আতিশয্যের দিকে। রামমোহনের ঈশ্বরানুরাগের অথবা ব্রহ্মানুরাগের সঙ্গে লোকশ্রেয় নিত্যযুক্ত, সেই চিরন্তন উদার পথ তার অনুরাগীদের জগতে এই ভাবে বেঁকে গেল।
রামমোহনের পরে মহাসাধক রামকৃষ্ণ। রামমোহন পৌরাণিক ধর্ম পরিত্যাগ করবার নির্দেশ দিয়েছিলেন; রামকৃষ্ণ নিজের অপূর্ব সাধনায় নিঃসন্দেহ হলেন পৌরাণিক ধর্ম পরিত্যাগের কিছুমাত্র প্রয়োজন নেই। কিন্তু রামকৃষ্ণের সাধনা কি সত্যই প্রচলিত পৌরাণিক ধর্মের সাধনা? যে দেবতার আরাধনা তিনি করলেন তাঁর কাছে কি বর তিনি চাইলেন ভক্ত তার দেবতার কাছে সাধারণত যে সব বর চায় সেই ধন জন মান স্বর্গ এমন কি মুক্তিও তিনি চাইলেন না, তিনি চাইলেন অচলা ভক্তি। দেশের লোক চমৎকৃত হলো তার এমন তপস্যা দেখে। কিন্তু চমৎকৃত হয়ে এই মহাতাপসের কাছ থেকে কোন দীক্ষা তারা গ্রহণ করলে? তাঁরই মতো আচলা ভক্তির দীক্ষা কি না, তা নয়। তারা চলচ্চিত্ত হয়েছিল সংস্কারকদের সমালোচনায় একে দেখে নতুন করে তারা প্রতিষ্ঠিত হলো সনাতন ধারায়, নিঃসন্দেহ হলো সংস্কারকদের চেষ্টায় অপ্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে। আর বিবেকানন্দের অপূর্ব আবিস্কার দরিদ্র-নারায়ণ’ তার অগণিত দেশবাসীর জন্য এটি হলো একটি সুন্দর কথা মাত্র; সে প্রমাণ তারা নিঃশেষে দিলে গত পঞ্চাশের মন্বন্তরে। তার যে সব কথা সত্যই তাদের মর্ম স্পর্শ করল তার একটি এই ভারতকে ইয়োরোপের আচার্য হতে হবে। এদের পরে বাংলার শ্রেষ্ঠ চিন্তা-নেতা বঙ্কিমচন্দ্র ও রবীন্দ্রনাথ। বঙ্কিমচন্দ্রকে তাঁর অনুরাগীরা দেখলে হিন্দুত্বের নবসংস্থানরূপে তাঁর হিন্দুত্বের অন্তরে যে ছিল সুনিবিড় মানবিকতা, সুগভীর ধর্মবোধ, সে-সব তদের চোখে কমই পড়লো। আর রবীন্দ্রনাথের বিশ্বমুখিতাকে তাঁর অনুরাগীরা বুঝলে ইয়োরোপমুখিতা বলে তার বিশ্বমুখিতার অর্থ সে সত্যমুখিতা, প্রকৃতি ও মানুষের সঙ্গে নিবিড় মৈত্রী-বন্ধন, মানুষের জন্য সুগভীর কল্যাণ-কামনা, সে-সব অর্থ পূর্ণ হলো না তাদের চিন্তায়। পরিশেষে মহাত্মা গান্ধীর জনশ্রদ্ধালাভের কথা ভাবা যাক। তাঁর সাধনার প্রধানত দুটি স্তর। প্রথম স্তরে তিনি সব ধর্মকেই জানতেন স্বয়ংসম্পূর্ণ বলে। দ্বিতীয় স্তরে তিনি ভগবান বলতে বুঝলেন সত্য : প্রত্যেক কর্মকেই জানলেন কিছু কিছু ত্রুটিপূর্ণ আর সেজন্য প্রত্যেক ধর্মের মহত্তর বিকাশ প্রয়োজনীয় জ্ঞান করলেন, ধর্ম বলতে তিনি বুঝলেন নিরবচ্ছিন্ন ও নিষ্কলুষ সত্য-প্রীতি ও জগৎ-হিত সাধনা, কোনো সাম্প্রদায়িক বা আচারপরায়ণ জীবন নয়। কিন্তু অগণিত জনচিত্তে তিনি লাভ করলেন কী রূপ? তাঁর অপূর্ব সত্য-প্রীতি, মানবপ্রীতি, জীবপ্রীতি তার অনুরাগীদের অনুধাবনের বিষয় হলো •। তাদের জন্য সত্য হলো তার মূর্তির ও স্মৃতির সাড়ম্বর পূ-প্রদক্ষিণ, তার ওপাড়া খ্যাতির অংশীদার এইভাবেই তারা হলো।
কিন্তু কেন এমন হলো? বলা কঠিন। দেখা যাচ্ছে কয়েক শত বৎস পাল কবীর দুঃখ করে বলছেন দেশের হিন্দু ও মুসলমানের সত্যওি হোক এও শং চেষ্টাই তিনি করলেন, কিন্তু।
হিন্দু পূজে দেবতা
তুর্ক কাহু না হোঈ
হিন্দু কেবল দেবতারই পূজো করে, আর মুসলমানের কারো জন্য মায়া মমতা নেই। অথবা সমস্যাটা এর চেয়ে গুরতর। বর্তমানকালে বৃহত্তর জগতে দেখা যাচ্ছে মানুষের এত কালের জ্ঞান বিজ্ঞান ও মনুষ্যত্বের সাধনার পরে মানুষের ভিতরকার আদিম বর্বরই প্রবল হয়ে উঠেছে–ভোগ ও প্রধান্য-স্পৃহা, চক্রান্ত, জিঘাংসা আজ অত্যন্ত ব্যাপকভাবে মানুষের কাম্য হয়ে উঠেছে।
তা বৃহত্তর জগতের কথা থাকুক। যারা কাজ করতে চায় তাদের সংহত হতে হয় বিভিন্ন কেন্দ্রে। যারা বিশ্বাস করে দেহই মানুষের বড় ব্যাপার, তার প্রয়োজন মিটিয়ে যদি সময় পাওয়া যায় তবে ‘আত্মা’ ‘সত্য’ এ সব কথা ভেবে দেখা যেত পারে, তাদের পথ তারা অনুসরণ করে চলেছে। কিন্তু আমরা যারা বিশ্বাস করি আত্মা, অর্থাৎ মনোজীবন, যদি সক্রিয় না হয়, সত্য যদি সম্পূজিত না হয়, তবে কোনো প্রাচুর্যেই মানুষের কল্যাণ নেই, তাদের কি কর্তব্য। তারা কোন কেন্দ্রে সংহত হবে?
অতন্ত্রিত জ্ঞান ও লোকশ্রেয়ের পথের মহাপথিক রামমোহনের স্মরণ-দিনে আমরা, তাঁর অনুরাগীরা, যদি এই প্রশ্নটি যথাযথভাবে নিজেদের অন্তরাত্মার সামনে উপস্থাপিত করতে পারি তবে তাতে করেই সেই অমরবীর্য সাধকের প্রতি আমাদের সত্যকার শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে: আমরা নিজেরাও সার্থকতার পথে সুনিশ্চিত পা বাড়াবো। কেননা বড় কথা দলে ভারী হওয়া নয়, বড় কথা অন্তরাত্মাকে সক্রিয় করে তোলা সত্যদৃষ্টি ও দৃঢ় সংকল্পের দ্বারা। রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ ও মহাত্মা গান্ধীর মতো মহাজন দেশে বিপুলভাবে আদৃত হয়েও ব্যর্থ হচ্ছেন এই বড় কারণে যে তাঁদের তপস্যা সক্রিয় হতে পারে নি তাঁদের অনুরাগীদের অন্তরাত্মায়, তারা বরং ব্যবহৃত হয়েছেন তাদের অভিমান, মুখ্যত স্বধর্মের অভিমান, চরিতার্থতার কাজ। কিন্তু অভিমান তাদের জীবনে অনর্থ না ঘটিয়ে কি আর করবে? অভিমান কেন, স্বদেশ-প্রীতির মতো মূল্যবান ভাবও মানুষকে সত্যকার কল্যাণ-পথে বেশী দূর এগিয়ে নিতে পারে না যদি সেই দেশ-প্রীতি গূঢ়ভাবে যুক্ত না থাকে সত্য-প্রীতি ও সর্বমানব-প্রীতির সঙ্গে। রামমোহনের নিরাকার পরব্রহ্ম ও লোকশ্রয়ের সাধনা স্বৰূপত অতন্দ্রিত সেই ও কল্যাণ-সাধনা, কোনো মোহকেই তা প্রশ্রয় দেয় না– না সাম্প্রদায়িক মোহবে, অতীতের মোহকে, না অতিপ্রাকৃত মোহকে, জড়বাদ ও ভোগবাদে অন্ধতাকে ত নয়ই– তাই বহু পুরাতন ও বহুজটিল ভারতীয় জীবনের সার্থক নেতৃত্বের অধিকার তারই তা যত বিলম্বে ও যত বিড়ম্বনার ভিতর দিয়েই দেশ সেকথা বুঝুক। কিন্তু আমাদের একালের অপূর্ব নব-জাগরণ আজ যখন ব্যর্থ হতে দাঁড়িয়েছে তখন আমাদের বিড়ম্বনা ভোগ যথেষ্ট হয়েছে ভাবা যেতে পারে; আশা করা যায় এবার দেশ তার পরমনির্ভরযোগ্য জ্ঞান-সাধক ও কল্যাণ-সাধকের মর্যাদা যথাযোগ্যভাবে বুঝবে; তার ফলে একালের অন্যান্য সব সাধকই যোগ্য সার্থকতা লাভ করবেন, যোগ্য মর্যাদায় ভূষিত হবেন।
সাধারণ ব্রাহ্মসমাজে কথিত, ১৯৪৯