ইসলামে রাষ্ট্রের ভিত্তি

ইসলামে রাষ্ট্রের ভিত্তি

[ওসিআর ভার্সন, প্রুফ্ররিড করা হয়নি]

দেশ বিভক্ত হলো। এর ফলে ভারতবর্ষের পূর্বে ও পশ্চিমে মুসলমানদের স্বতন্ত্র স্বাধীন ভূখণ্ড লাভ হলো। এই স্বাধীন ভূখণ্ড মুসলমানরা কিভাবে শাসন করবে, কিভাবে তার শ্রীবৃদ্ধি সাধন করবে, আজ সে-কথা বিশেষভাবে ভাবা তাদের পক্ষে স্বাভাবিক।

সংবাদপত্রে দেখা যাচ্ছে, পূর্ব পশ্চিম দুই অঞ্চলেই কথা উঠেছে মুসলমানদের এই নৃতন রাষ্ট্র ‘শরীয়ত’ অর্থাৎ কোরআন-হাদিসের বিধিবিধান অনুসারে শাসিত হওয়া চাই। এই মত প্রবল হয়ে উঠবে মনে হয় কেননা, মুসলমানরা নূতন রাষ্ট্র লাভ করেছে স্বতন্ত্র জাতীয়তার দাবিতে।

কিন্তু এযুগে প্রাচীন শরীয়তের পুনঃপ্রবর্তনের পথে বাধাও কম নেই। সেই-সব বাধা দুই প্রধান ভাগে ভাগ করে দেখা যেতে পারে : প্রথমত, শরীয়তের ও একালের বিধিবিধানের মধ্যে পার্থক্য; দ্বিতীয়ত, নৃতন মুসলিম রাষ্ট্রে অ-মুসলমানেরা সংখ্যাশক্তিতে নগণ্য নয়, তারা শরীয়তের বিধান অনুসারে শাসিত হতে রাজী হবে কি না।

প্রথম শ্রেণীর কথাই আগে ভাবা যাক। কোনো কোনো অপরাধের জন্য অপরাধীর হাত পা কেটে ফেলা কিংবা তাকে পাথর মেরে মেরে ফেলার বিধান শরীয়তে আছে। মুসলমানদের নূতন রাষ্ট্রে সে-সবের পুনঃপ্রবর্তন হবে? অপরাধের প্রতি একালের মানুষের মনোভাবে বড়-রকমের পরিবর্তন ঘটেছে– অপরাধকে একালে দেখা হয় প্রধানত সামাজিক ব্যাধি হিসাবে; তাই অপরাধী ব্যক্তিকে কঠোর শাস্তি দেবার কথা তেমন না ভেবে একালে ভাবা হয় শিক্ষা দীক্ষার সাহায্যে তাকে একজন স্বাভাবিক সাধারণ মানুষ করে গড়ে তোলার কথা। শরীয়তপন্থীরা কি এই নূতন সম্ভাবনাপূর্ণ সমাজদর্শন অস্বীকার করবেন? একে ইসলামের প্রতিকূল জ্ঞান করবেন? (পাথর মারার মত শাস্তি হজরত মোহাম্মদ যথেষ্ট অনিচ্ছুক হয়ে বিধান করছেন হাদিস গ্রন্থে এমন প্রমাণ বিরল নয়।)

দ্বিতীয় শ্রেণীর বাধাও কম প্রবল নয়, বরং এক-হিসাবে প্রথম শ্রেণীর চাইতেও গুরুতর, কেননা, সংখ্যালগিষ্ঠদের প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠদের আচরণের উপরই নির্ভর করবে ভারতবর্ষের মুসলমান ও হিন্দু উভয় রাষ্ট্রেরই শান্তি-শৃঙ্খলা–হয়ত বা তাদের অস্তিত্ব। তবে অন্য দিক থেকে এ সমস্যাটা একটু হাল্কা করে ভাবা যায়। মুসলমানরা যদি এ বিষয়ে নিঃসন্দেহ হয় যে শরীয়তের পুনঃপ্রবর্তনই তাদের রাষ্ট্রের জন্য প্রধান কাম্য, আর মুসলিম রাষ্ট্রের অ-মুসলমানরা যদি শরীয়তের শাসন অস্বীকার করতে অসম্মত হয়, তবে অতি দুরূহ লোক– বিনিময়ের দ্বারা মুসলমানেরা এ সংকট থেকে উদ্ধার পেতেও পারে।

প্রথম শ্রেণীর বাধা কিন্তু তেমন কঠিন মনে না হলেও আসলে খুব কঠিন, কেননা, এক্ষেত্রে বিরোধ কারোর সঙ্গে নয়, বিরোধ নিজেদের মনের সঙ্গে। ধর্মের বিধান কেন মানুষ মানবে? এই জন্য যে ধর্মের বিধান মানলে মানুষের যে শুধু পরকালে কল্যাণ হবে তাই নয়, ইহকালেও কল্যাণ হবে সেই জন্য মুসলমান তার প্রার্থনায় বলে : প্রভু দুনিয়ার ভালো দাও, পরকালেও ভালো দাও। কিন্তু তার বিচার বুদ্ধি যদি তাকে বলে : অপরাধ মানুষ করে শুধু তার কুপ্রবৃত্তির তাড়নায়ই নয় বরং অভাবের তাড়নায়, আর সব মানুষের অভাব অভিযোগ দূর করা এযুগের সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রধান কাজ– তবে হাত পা কাটা ও পাথর মেরে মেরে ফেলার মত কঠোর শাস্তি মেনে নেওয়া তার পক্ষে সহজ হবে না– কেবলই তার মনে হবে : সত্যই কি মানুষের উপকার হচ্ছে এমন সব বিধানের দ্বারা? তাই শরীয়তের পুনঃপ্রবর্তন যাঁরা চান তাদের একথা বললেই চলবে না যে শরীয়ত কোরআন হাদিসের বিধান, অতএব মান্য; তাঁদের বরং প্রমাণ করতে হবে যে শরীয়ত বলতে যে সব বিধিবিধান মুসলমানরা পুনরায় প্রবর্তিত করতে চায় সে-সব একালেও মানুষের সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রকৃত উন্নতির জন্য বাস্তবিকই কাম্য। কোরআনও কিন্তু এই কথাই বলেন : কোরআন আল্লাহর বাণী অতএব মানুষকে মানতে হবে, এইই কোরআনের প্রধান বক্তব্য নয় বরং কোরআনের প্রধান বক্তব্য এই যে কোরআন আল্লাহর বাণী, মানুষ তার বুদ্ধিকে সক্রিয় করে প্রকৃতির দিকে আর ইতিহাসের ঘটনাবলীর দিকে তাকিয়ে কোরআনের নির্দেশের সত্যতা উপলব্ধি করুক, আর সেই নির্দেশ অনুসারে জীবন যাপন করে ইহকালে ও পরকালে লাভবান হোক। কোরআনের ও হাদিসের মধ্যে একটি লক্ষণীয় পার্থক্য এই যে রূপে’র চাইতে ভাবের উপরে জোর কোরআনে কিছু বেশি।

বাস্তবিক মুসলমানের ধর্মগত সমস্যা সাধারণত যত সহজ ভাবা হয় আসলে তত সহজ নয়। মুসলমানের প্রধান ধর্মগ্রন্থ কোরআন। কোরআনের নিচে বিশ্বস্ত হাদিসের (হজরত মোহাম্মদের বাণীর ও চরিত্র-চিত্রের) স্থান। কোরআনের আকার বড় নয়। বিশ্বস্ত হাদিসও সংখ্যায় খুব বেশি নয়। কাজেই কোরআন-হাদিসের প্রকৃত বিধিবিধান কি সে সম্বন্ধে কাজ চালাবার যোগ্য একটা ধারণা করা কঠিন নয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায় বলা যায় :

ইসলামের নির্ভর অলিখিত অনির্দিষ্ট শাস্ত্রের উপরে নয়, বরং সুলিখিত সুনির্দিষ্ট শাস্ত্রের উপরে। মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনও এই সব সুস্পষ্ট নির্দেশের দ্বারাই চালিত। যে কোনো শাস্ত্রজ্ঞ আলেমকে যদি জিজ্ঞাসা করা যায়; একজন ধার্মিক মুসলমানের কি কর্তব্য? তিনি অকুণ্ঠিতচিত্তে উত্তর দেবেন : তাকে আল্লাহ তে ও রাসুলে বিশ্বাস করতে হবে, নামাজ রোজা হজ্ব যাকাত নিয়মিতভাবে নিষ্পন্ন করতে হবে। কিন্তু সেই আলেমকে যদি জিজ্ঞাসা করা যায় : এসব শাস্ত্রীয় বিধিবিধান-পালনকারীর সংখ্যা মুসলমান সমাজে নগণ্য নয়, কিন্তু কোরআনে যে বলা হয়েছে, “নামাজ পড় নামাজ কদর্যতা ও অকল্যাণ থেকে রক্ষা করে” এমন কল্যাণপথের প্রকৃত পথিক মুসলমান সমাজের বিধিবিধান পালনকারীদের মধ্যে তেমন লক্ষণীয় নয় কেন, তবে তার উত্তর দেওয়া তার পক্ষে প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। সমাজের এই দিকটা তার চিন্তাভাবনার বিষয় হয়নি বললেই চলে, কেননা, তার মনোযোগ আকৃষ্ট রয়েছে লিখিত বিধিবিধানের রকমারিত্বের দিকে, সমাজ মনের উপরে সে-সবের প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া কি হয়েছে সেই অপেক্ষাকৃত অস্পষ্ট ব্যাপারের দিকে নয়। ভিটামিন (খাদ্যপ্রাণ) আবিষ্কারের পর খাদ্য বিজ্ঞানীরা বুঝেছেন, খাদ্যে সূক্ষ্ম ভিটামিনের অভাব যদি হয় তবে স্কুল অন্যান্য উপকরণই তাতে থাকুক সে-সবের দ্বারা মানবদেহের প্রকৃত পুষ্টিসাধন হয় না; তেমনি ধর্মের বিচিত্র বিধিবিধানের মূল্য যে সূক্ষ্ম মনুষ্যত্ব-সাধন, অর্থাৎ জ্ঞান ও চরিত্র লাভ ও অশ্রান্ত ওত-সাধনা, সেই অতি প্রয়োজনীয় ব্যাপারটা ভুলে গেলে ধর্মের বিধিবিধান পালনের দ্বারাও কোনো সত্যকার লাভ সবপর নয় তা সে-সব বিধিবিধান যত বিচিত্র, যত কষ্টসাধ্য হোক। কোরআন বলেন :

তিনি জ্ঞান দেন যাকে ইচ্ছে করেন, আর যে জ্ঞান পায় সে মহাসম্পদ পায়, জ্ঞানী ভিন্ন আর কেউ বিচার করে দেখে না। (২:২৬৯)।
আল্লাহ একটি দৃষ্টান্ত দিচ্ছেন : একজন ক্রীতদাসের কথা ভাব, কোনো কিছুর উপরে তার কর্তৃত্ব নেই, আর ভাব অন্য একজনের কথা যাকে আমার তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে উৎকৃষ্ট জীবিকা, তা থেকে সে খরচ করে, চলে প্রকাশ্যে এবং গোপনে এই দুইজন কি তুল্য মর্যাদার……… (১৬:৭৫)

ধর্মের এই যে মূল কথা মনুষ্যত্ব-সাধন ব্যাপক ও গভীর মনুষ্যত্ব-সাধন এই ব্যাপারটি না বুঝে ধর্মের ব্যাখ্যা বা প্রয়োগ করতে গেলে যে নিতান্ত কাঁচা বনিয়াদের উপরে ইমারত তোলার চেষ্টা করা হয়, মুসলমান-সমাজের একালের শরীয়ত পন্থীদের সে-বিষয়ে হুশিয়ার হবার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। এ যুগ আত্মনিয়ন্ত্রণের বা জাতীয় বৈশিষ্ট্যসাধনের যুগ বটে, কিন্তু সেই সঙ্গে নিবিড় বিশ্বসংযোগের যুগও বটে। আত্মনিয়ন্ত্রণ-তত্ত্ব থেকে যে এ যুগের মুসলমানেরা নূতন করে লাভ হয়েছে শরীয়তের পুনঃপ্রবর্তনার স্বপ্ন তা বোঝা কঠিন নয়। কিন্তু যদি শুধু আত্মনিয়ন্ত্রণের স্বপ্নে সে বিভোর থাকে আর বিশ্বের সঙ্গে তার যোগ যদি শিথিল হয় তবে উনবিংশ শতাব্দীর ভারতীয় ওহাবীদের চাইতে তার ভাগ্য প্রসন্নতর হবার কথা নয়, কেননা ওহাবীদের মনোবল ছিল অপরিসীম আর বাইরের সঙ্গে সংযোগ দূরে থাকুক তাদের শত্রুপক্ষের বলবিক্রম সম্বন্ধে ধারণাও ছিল অদ্ভুত। একালের শরীয়তপন্থীরা ওহাবীদের অনুবর্তী না হয়ে বরং অনুবর্তী হোক মহাপ্রাণ স্যার সৈয়দের, ইসলাম সম্বন্ধে যিনি বলতে পেরেছিলেন : ‘যা সত্য নয় তা ইসলাম নয়’। যে কোন ধর্ম বা আদর্শ সম্বন্ধে এ সার কথা। যা সত্য অর্থাৎ সার্থক নয় তা ধর্ম বা আদর্শ হবার যোগ্য নয়। কোরআনের একটি বাণীর মর্ম এই; আল্লাহ যদি চাইতেন তবে সবাইকে এক জাতীয় লোক করতেন, কিন্তু তিনি মানুষের (বিচার-বুদ্ধির) পরীক্ষা করতে চান, তাই কল্যাণের পথে মানুষ পরস্পরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করুক (৫ : ৪৮)। কল্যাণের পথে প্রতিযোগিতা মানুষের দৈনন্দিন জীবনে এর উপর জোর দিতে ইসলাম যে কসুর করেনি দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের আলেমরা সে-কথা ব্যক্ত করতে পারেন নি। সেজন্য মুসলমান-সমাজের একালের চিন্তানেতাদের দায়িত্ব আরো বেড়ে গেছে। সব। সময়ে তাদের হুশিয়ার থাকতে হবে পূর্বের ভুল যেন আবার না করা হয়। তাঁরা গভীরভাবে বিভিন্ন যুগের শ্রেষ্ঠদের কথা, ভিন্ন দেশ জাতির শ্রেষ্ঠদেরও কথা, এসবের চাইতেও কঠিনতর প্রয়াস তারা করুণ চরিত্রে ও চেতনায় নিজের মহৎ হতে, কেননা যার নিজের চোখ নেই, সূর্যের ঔজ্জ্বল্যও তার জন্য ব্যর্থ; আর বিচিত্র শুভ-সাধনায় তারা সংসারে গড়ে তুলুন স্বর্গ–প্রত্যেক স্মরণীয় জাতি এমন সংসারে স্বর্গ গড়ার চেষ্টা করেছেন। এমন বিচিত্র ও বিপুল ঐহিক পাথেয়ের সাহায্যেই তারা আশা করতে পারেন এমন শত বৎসরের ব্যবধান অতিক্রম করে শরীয়তের মর্ম উপলব্ধি করতে। শরীয়তের পুনঃপ্রবর্তন অবশ্য অসম্ভব, কেননা অতীতে অস্তমিত–মৃত–তার যে অংশ সজীব সে তুমি ও আমি; অতীত পুনর্জীবিত হবে না, তবে তুমি ও আমি বিপুল সাধনায় নব মহিমা লাভ করতে পিরবো–সংসারে এক নতুন চাঁদের হাট বসাতে পারবো। আর যেহেতু আমরা ইসলামের উত্তরাধিকারী সেজন্য আমাদের মহিমা- লাভ হবে ইসলামের নতুন মহিমা লাভ।

নতুন মুসলিম রাষ্ট্রে অ-মুসলমানদের সমস্যার ইঙ্গিত মাত্র করা হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি বাস্তবিকই খুব জটিল। মুসলমানদের ইতিহাসে দেখা যায়, এটি বিভিন্ন যুগে বিভিন্নভাবে মীমাংসা করতে চেষ্টা করা হয়েছে। মদিনায় ও হোদায়বিয়ায় হজরত বিশেষ চেষ্টা করেছিলেন মুসলমান ও অ-মুসলমানের মধ্যে শান্তি স্থাপন করতে, পরস্পরের মধ্যেকার বিরোধিতা দূর করতে, সেজন্য নিজের প্রাধান্য অনেকখানি খর্ব করতেও তিনি প্রস্তুত। কিন্তু বিজয়ী ইসলাম স্বভাবতই বিজিতদের সঙ্গে সন্ধি করেছে তাদের আনুগত্য-স্বীকারের শর্তে। সেই আনুগত্য-স্বীকারের ধারাও এক থাকেনি। প্রথম যুগে অ-মুসলমানেরা আনুগত্য স্বীকার করে জিজিয়া দিয়ে তাদের ধর্মাদি আচরণের অবাধ অধিকার পেতো, সিন্ধুর হিন্দুরা বিন কাসিমের কাছ থেকে এমন অধিকার পেয়েছিল। কিন্তু পরে এ-অধিকার কিছু ক্ষুণ্ণ হয়েছিল মুসলিম রাষ্ট্রে নতুন করে দেবমন্দির নির্মাণের অধিকার স্বীকৃত হয়নি। প্রধানত এই ব্যাখ্যারই ফলে আওরঙ্গজেব বহু হিন্দু মন্দির ভেঙ্গেছিলেন। অ-মুসলমানদের প্রতি প্রাচীন মুসলিম রাষ্ট্রের এই নীতিবৈচিত্র্য একালের মুসলমানরা যথেষ্ট কাজে লাগাতে পারে। এক্ষেত্রেও স্যার সৈয়দের অপূর্ব ইসলাম-নীতি–যা সত্য নয়, অর্থাৎ সার্থক নয়, তা ইসলাম নয় তারা প্রয়োগ করতে পারে; কায়েদে আজমের যে সংখ্যালগিষ্ঠদের প্রতি অভয় দান তা সম্পূর্ণ ইসলাম অনুমোদিত জ্ঞান করতে পারে।

ইসলামে রাষ্ট্রের ভিত্তি কী– আইনজ্ঞেরা তার উত্তর দিতে চেষ্টা করবেন কোরআন হাদিস আর মুসলিম ইতিহাস মন্থর করে। কিন্তু যিনি জানেন মুসলমান হওয়ার অর্থ আল্লাহর, অর্থাৎ সত্য ও কল্যাণের, অনুগত হওয়া, আর সেইজন্য জগতের বন্ধু হওয়া,[১২] তিনি নিঃসংশয়ে বুঝবেন’– ইসলামে রাষ্ট্রের ভিত্তি কাণ্ডজ্ঞান ও মানবহিত।

১৯৪৮

১২. জগত আল্লাহর পরিবার। সে-ই আল্লাহর কাছে ভাল যে তার পরিবারের প্রতি ভাল। হাদি সে আল্লাহতে বিশ্বাসী নয়, সে আল্লাহতে বিশ্বাসী নয়, সে আল্লাহতে বিশ্বাসী নয় যার আঘাত থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয়।–হাদিস।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *