রাজা কংসনারায়ণ
‘আমার কোন কূলে আজ ভিড়ল তরী
এ কোন সোনার গাঁয়।
ভাটির তরী আবার কেন
উজান যেতে চায়?’
-নজরুল ইসলাম
রাজা কংসনারায়ণের কথা বলতে হলে তাঁর সুযোগ্য পূর্বপুরুষ রাজা গণেশনারায়ণের কথাও বলা একান্ত প্রয়োজন। তখনকার কালে এই রাজা গণেশই একমাত্র হিন্দুরাজা ছিলেন যিনি একাদিক্রমে সাত সাত বৎসর কাল দোর্দণ্ড প্রতাপে হিন্দু রাজত্ব পরিচালনা করে গিয়েছিলেন।
কেহ কেহ বলেন এই রাজা গণেশ সাহাবুদ্দীন বায়েজিদ নাম ধারণ করে শাসনদণ্ড পরিচালনা করেছিলেন। তিনি কঠোর, কর্তব্যপরায়ণ রাজা বলে বিখ্যাত ছিলেন। হিন্দু-মোসলমান নির্বিশেষে সবার প্রতি যথাযথ শাস্তির বিধান করতেন বলে অনেক স্বার্থান্ধ ঐতিহাসিক তাঁর শত শত নিন্দা করে গেছেন। সম্প্রতি সাহাবুদ্দীন বায়েজিদ নামে রাজা গণেশের অনেক মুদ্রাও পাওয়া গেছে। তার একান্ত প্রীতিভাজন সুলতান ছিলেন সাহাবুদ্দীন বায়েজিদ, হয়তো সেই জন্যই তিনি এরূপ ব্যবস্থা করেছিলেন বলে অনেকে অনুমান করেন। এই রাজা গণেশের একমাত্র ছেলে ছিলেন জালাল উদ্দিন। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল যদুনারায়ণ, জিতমল্ল বা জয়ম। এই যদুনারায়ণের পুত্র ছিলেন অনুপনারায়ণ। তিনি একটাকিয়া জমিদারির মালিক হন বলে ইতিহাসে লেখা আছে।
রাজা গণেশ যে নির্ভীক ছিলেন তাতে আর সন্দেহ নেই। তিনি শেখ নূর কুতুব-উল-আলমের পুত্র শেখ আনোয়ারকে এবং শেখ জাহিরকে কোনো বিশেষ অপরাধে কারারুদ্ধ করেছিলেন। তারই আদেশে শেখ নূর কুতুব-উল-আলমের অনুচরদের সম্পত্তি লুট হয়। উক্ত শেখ সাহেব একজন বিখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন, তদানীন্তন গৌড়ীয় মুসলিম সমাজে শেখ নূর আলমের প্রভাব ও প্রতিপত্তি ছিল অসাধারণ, সুতরাং রাজা গণেশের সামরিক বল ও প্রভাব যে অত্যন্ত বেশি ছিল তাতে আর সন্দেহ নেই। তিনি যে মোসলমান হয়েছিলেন একথা বিশ্বাস করা যায় না।
রাজা গণেশের নাম, ধাম, কীর্তিকলাপ নিয়ে এক একজন ঐতিহাসিক, এক এক কথা বলেছেন। তাঁর বিস্তারিত বিবরণ লিখেছেন, মোসলমান ঐতিহাসিক গোলাম হোসেন, তাঁর ‘রিয়াজ-উস্-সালাতীন’ গ্রন্থে। তাছাড়া অপরাপর মোসলমান ঐতিহাসিকদের প্রণীত তারিখ-ই-ফেরেস্তা, তবকাৎ-ই-আকবরী’তেও রাজা গণেশের কথা আছে, কয়েকখানি হিন্দু কুলগ্রন্থেও রাজা গণেশের কথা অম্লাধিক পাওয়া যায়।
সুপ্রাচীন রেনেলের মানচিত্রে বাংলার এক বিস্তীর্ণ ভূভাগকে ভাতুড়িয়া পরগণা বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার পশ্চিমে দেওয়া হয়েছে মহানন্দা নদী এবং পুনর্ভবা নদী, দক্ষিণে দেওয়া হয়েছে গঙ্গা, পূর্বে করতোয়া। নাটোরও এই ভাতুড়িয়া পরগণার অন্তর্গত ছিল বলে জানা যায়। বুকানন হ্যামিলটন সাহেব বলেন: — এই রাজা গণেশ ছিলেন দিনাজপুরের হাকিম। নগেন্দ্রনাথ বসু প্রাচ্যবিদ্যামহার্ণব মহাশয় তাঁর বঙ্গের জাতীয় ইতিহাসের রাজন্যকাণ্ডে রাজা গণেশের নিবাস স্থান দিনাজপুর জেলার রাইগঞ্জ থানার গণেশপুরে বলে নির্দেশ করেছেন। তিনি বলেন:- রাজা গণেশই এই গণেশপুর হতে পাণ্ডুয়া অবধি এক রাজপথ নির্মাণ করে দিয়েছিলেন। এখনো সে রাস্তা আছে। প্রাচ্যবিদ্যামহার্ণব মহাশয়ের মতে রাজা গণেশ উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থ। তার এক নাম ছিল দত্তখাস বা দত্তখান।
রাজা গণেশ তখনকার দিনে অনেক টাকা ব্যয় করে দিনাজপুর জেলার রাইগঞ্জ থানা হইতে পাণ্ডুয়া পর্যন্ত এক বড় রাস্তা তৈয়ারী করাইয়াছিলেন। এই কথা আরও অনেকে বলেন।
তিনি প্রথম জীবনে, গিয়াসউদ্দীন আজম শার আমলে রাজস্ব এবং শাসন-বিভাগের কর্তৃত্ব করতেন। আজম শা’কে তিনি নিহত করেছিলেন এবং তাঁর পৌত্র সুলতান সমস উদ্দীনকেও তিনি নিহত করেন বলে প্রসিদ্ধ আছে। যুদ্ধে সমস উদ্দীনকে পরাভূত করে তিনি গৌড়-বঙ্গের অধীশ্বর হন। হিজরী ৮১৭ সাল অবধি তিনি জীবিত ছিলেন। তাঁর নামাঙ্কিত এ সময়ের রজতমুদ্রাদি যে পাওয়া গিয়েছে তা তো আগেই বলেছি। ৮১৮ হিজরায় অর্থাৎ ৪১৪ খৃষ্টাব্দে এই রাজা গণেশনারায়ণের পুত্র যদুনারায়ণ সুলতান। জালালউদ্দীন মোহম্মদ শা নাম ধারণ করে গৌড়-বঙ্গের সিংহাসনারোহণ করেন বলে মোসলমান ঐতিহাসিকগণের অনেকেই বলেছেন।
শেখ মইনুদ্দীন আব্বাসের পুত্র শেখ বদর-উল-ইসলাম এই রাজা গণেশকে তাঁর পদমর্যাদানুরূপ সম্মান না করায় রাজা গণেশ তাঁর প্রাণদণ্ডের আজ্ঞা দান করেন।
‘তারিখ-ই-ফেরেস্তা’ গ্রন্থে রাজা গণেশের ভূয়সী প্রশংসা পাঠ করা যায়। সকল মোসলমান ঐতিহাসিকই একবাক্যে রাজা গণেশ যে একাদিক্রমে ৭ বৎসর রাজত্ব করেছিলেন তা বলেছেন।
১৪১৪ খৃষ্টাব্দে তাঁর মৃত্যু হলে বহু গৌড়ীয় মোসলমান তাঁকে প্রকৃত মোসলমানের ন্যায় গোর দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। হিন্দু-মোসলমান যে কেউ ঔদ্ধত্য প্রকাশ করলেই যে তিনি কঠোর শাস্তি দিতেন, প্রকৃত দোষীকে যে তিনি কদাচ ক্ষমা করতেন না, এসব কথাও মোসলমানদের ইতিহাসে পাওয়া যায়।
তাঁর অভ্যুদয়কালে গৌড়-বঙ্গে সংস্কৃত গ্রন্থ রচিত হতে থাকে। মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় বলেছেন পঞ্চদশ শতাব্দীতে, বঙ্গদেশে রাঢ়ীশ্রেণীর মহিন্তাখাই বৃহস্পতি নামে একজন বড় পণ্ডিত রাজা গণেশ ও তাঁর মোসলমান উত্তরাধিকারীর নিকট ‘রায় মুকুট’ উপাধিপ্রাপ্ত হন। ইনি একখানি স্মৃতি গ্রন্থ, অনেকগুলি কাব্যের টীকা ও অমর কোষের একখানি টীকা লিখেন। উহার এক একখানি এক এক প্রামাণিক গ্রন্থ। রাজা গণেশের আমলে বাংলা-সাহিত্যেরও উন্নতি হয়েছিল। রাজা গণেশ ব্রাহ্মণগণের বহু অনাচার নিবারণেরও চেষ্টা করেছিলেন।
রাজা গণেশ নিজে মোসলমান হননি বলে অনেকেই বলেছেন। তবে তার ছেলে যদুনারায়ণ আজম শার রূপবতী কন্যার রূপে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে বিয়ে করবার জন্যই মোসলমান হয়েছিলেন বলে ঐতিহাসিকদের অনেকেই বলে থাকেন।
আজম শার এই মেয়ের নাম ছিল আসমানতারা। কেউ কেউ কিন্তু বলেন যদু নারায়ণের মোসলমান পত্নীর নাম ছিল ফুলজানি বেগম, যদুর সঙ্গে বিয়ের পরও এ নামান্তর হওয়া আশ্চর্য্য নয়।
যদুর মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে সামসুদ্দীন আহম্মদ শা বঙ্গের সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন।
রাজা গণেশ সম্পর্কে বহু মত। এক এক ঐতিহাসিক এক এক কথা বলেন। ‘রিয়াজ-উস-সালাতীন’ তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত লিখলেও তাঁর লিখিত বিবরণ যুক্তিসহ নয় বলে অনেকের ধারণা।
আমরা অনেক অনুসন্ধান করে যে সত্যের উদ্ধার করতে পেরেছি, এখানে মোটামুটি তাই বললাম।
রাজা গণেশনারায়ণ যে একজন শ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন তাতে আর সন্দেহ নেই। এত করে চাপা দেবার চেষ্টা করলেও তার অমরকীর্ত্তি নানাভাবে, নানা ঐতিহাসিকের লেখনিতে ফুটে উঠেছে। তিনি সাতগড়ার প্রসিদ্ধ ভাদুড়ী বংশোদ্ভূত ছিলেন। তাঁর সময়ে পাণ্ডুয়া বাংলার রাজধানী ছিল। সৈয়দ সুলতান আসলতানের পালিত পুত্র আলিম শা অত্যন্ত অত্যাচারী ছিলেন, এই পাঠানদের অত্যাচার হতে স্বীয় প্রজাগণকে রক্ষা করবার জন্য রাজা গণেশনারায়ণ প্রাণপণ চেষ্টা করেন। এতে তিনি আলিম শার চক্ষুঃশূল হন, তাকে বধ করবার জন্য আলিম শা অনেক চেষ্টা করেন, কিন্তু কোনোক্রমেই কৃতকার্য হন না।
সুলতান আসলতানের মৃত্যু হলে আলিম শা সামসুদ্দীন সানি নাম ধারণ করে সিংহাসনে আরোহণ করলেন। সিংহাসনে আরোহণ করেই তিনি অনবরত দেশের উপর অত্যাচার আরম্ভ করে দিলেন।
রাজা গণেশনারায়ণের এসব অসহ্য হলো। তিনি বিদ্রোহী হলেন। সুলতানের সঙ্গে তাঁর প্রলয় যুদ্ধ হলো। সুলতান রাজা গণেশের নিকট পরাভূত হলেন।
গণেশনারায়ণ দুর্গ অধিকার করে, বাংলায় হিন্দু রাজত্ব সংস্থাপন করেছিলেন।
এই যুদ্ধে রাজা গণেশের স্ত্রী করুণাময়ীও রাজার এই সমুদয় কার্যে প্রভূত সহায়তা করেছিলেন। ইনিই রাজা কংসনারায়ণের পূর্বপুরুষ।
পাঠান বাদশারা মোগলদের হাতে হেরে গেছেন, তাঁদের রাজ্য গেছে, বাংলায় এমন সময় রাজত্ব করছিলেন রাজা কংসনারায়ণ। তিনি ছিলেন শুধু রাজা নন, সমাজপতিও। তাঁর প্রতাপের ছিল না অন্ত। পাঠান মোগল বাদশারা এত দুর্দান্ত হলেও সব সময় তার কাছ থেকে খাজনা আদায় করতে পারতেন না। সুযোগ পেলেই তিনি খাজনা বন্ধ করে দিয়ে স্বাধীন রাজা বলে ঘোষণা করতেন। রাজা কংসনারায়ণের এক মন্ত্রী ছিলেন, তাঁর নাম ছিল রমেশ শাস্ত্রী।
রাজার সঙ্গে মন্ত্রীর নানা শাস্ত্র নিয়ে আলাপ-আলোচনা হতো। দুজনেই ধর্ম শাস্ত্র অধ্যয়ন করতেন ও সেই সব নিয়ে গবেষণা করতে ভালোবাসতেন।
একদিন কথা উঠল, দুর্গাপূজা নিয়ে, মন্ত্রী শাস্ত্রী মহাশয় বললেন: – কলিকালে অশ্বমেধ যজ্ঞ নিষিদ্ধ হয়েছে বলে সেই যজ্ঞের তুল্য ফল লাভের প্রত্যাশায় অনেকে শারদীয়া দুর্গাপূজা করে থাকেন। ভেবে দেখেন না যে যে কারণে অশ্বমেধ করা নিষিদ্ধ হয়েছে, সেই কারণেই দুর্গাপূজাও হতে পারে না। যথাশাস্ত্র না হলে পূজা করে লাভ কী? এই দেখুন না, শাস্ত্রানুযায়ী দুর্গাপূজা করতে হলে যোগাড় করতে হয় চার সমুদ্রের জল, পর্বতশৃঙ্গের মাটি, এমনই কত কিছু সে সব কি কেউ সংগ্রহ করে পূজা করেন? যত সব বিকল্প আর অনুকল্পের পালা ও সবে কি আর পূজা হয় না ঐসব পূজায় শ্রদ্ধাভক্তি কিছু থাকে?
রাজা কংসনারায়ণ শাস্ত্র-গর্ব্বী, মন্ত্রী মশাইয়ের কথাগুলি কান পেতে শুনলেন।
তিনি বড় বংশের ছেলে— খাঁটি ব্রাহ্মণ সন্তান, তাঁর পূর্বপুরুষ কাশ্যপ গোত্রীয় সুষেণ ঠাকুর মহাশয়কে বঙ্গেশ্বর আদিশূর সযত্নে এনেছিলেন কান্যকুব্জ হতে। এত বড় বংশে জন্ম, নিজে অর্থশালী, প্রতাপশালী, জনবলে বলীয়ান হয়েও মায়ের পূজা যথাশাস্ত্র করতে পারবেন না? তাঁর বড় অভিমান হলো। তিনি মন্ত্রী ও পণ্ডিত রমেশ শাস্ত্রী মহাশয়কে বললেন- “আপনি যথাশাস্ত্র একটি ফর্দ দিন— যেমন করেই হোক আমি যোগাড় করে আপনার বিধান মতো মার পূজা করব।”
পণ্ডিত মহাশয় ফর্দ দিলেন। তখন সব শস্তায় পাওয়া যেত তবু একুনে হয়ে উঠল ছয় লাখ টাকা।
শুধু পূজাতেই এই ব্যয়। আনুষঙ্গিক খাওয়া-দাওয়া, আমোদ উৎসবের জন্য অন্তত আরও দুই-তিন লাখ টাকার দরকার।
রাজা কংসনারায়ণের হুকুম হলো, তাই হবে, আমি আট লাখ লাগে, ন’লাখ লাগে, খরচ করে পূজা করব। আপনি পূজা করুন। পূজা হলো।
এইরূপ যার ছিল ঐশ্বর্য সেই রাজা কংসনারায়ণ যে কিরূপ রাজা ছিলেন তা সহজেই অনুমান করা যেতে পারে।
রাজা কংসনারায়ণকে মহাড়ম্বরে পূজা করতে দেখে, তাঁর সমসাময়িক, সমস্পর্ধাসম্পন্ন কুসুম্ভি ও প্রতাপবাজু পরগণার রাজা জগৎনারায়ণ নয় লাখ টাকা ব্যয় করে পূজা করলেন। রাজা কংসনারায়ণ করলেন দুর্গোৎসব, আর জগনারায়ণ করলেন, বাসন্তী।
তাঁদের দেখাদেখি সাতোরের রাজা ও অন্যান্য জমিদারগণ দুর্গা ও বাসন্তী উভয় পূজাই করতে থাকেন।
কথিত আছে, সম্রাট, শাহজাহান তার অধীন রাজাদের এইরূপ আড়ম্বর দেখে নিজে মোসলমান হয়েও এই পূজায় উৎসাহ দিতেন। তিনি অসামান্য সৌখিন ছিলেন। সখের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করতেও কখনো পশ্চাৎপদ হননি। তাঁর তাজমহল, ময়ূর সিংহাসন প্রভৃতি এসব কথার জ্বলন্ত সাক্ষ্য দিচ্ছে।
সাতোরের রাজকুমার গঙ্গাধর সান্যাল মহাশয় ও দিনাজপুরের রাজভ্রাতা গোপীকান্ত রায় মহাশয়ও বহু ব্যয় বাহুল্য করে এই পূজা করেছিলেন বলে শোনা যায়।
পাঠান ও মোগলে যখনই যুদ্ধ বাঁধে তখনই রাজা কংসনারায়ণ মোগলদের পক্ষে যোগদান করেন। তিনি পাঠানদের পরাজয় অবশ্যম্ভাবী বলে স্থির করে নিয়েছিলেন। কিন্তু এতে অনেক পরগণার রাজারা বিদ্বেষবশে পাঠানদের সঙ্গে যোগ দেন।
মোগলেরা জয়লাভ করলেন। কিন্তু যথেষ্ট সাহায্য করতে সম্মত হলেও রাজা কংসনারায়ণ নিজে সাহায্য করা ভিন্ন মোগলের বশ্যতা স্বীকার করেননি।