ধাওয়া – ৩

তিন

রাত নামার পর অফিসে তালা দিয়ে বেরিয়ে এল জো মিলার্ড। বোর্ডিঙ হাউসের দিকে হাঁটতে লাগল ক্লান্ত দেহ টেনে। চিন্তা হচ্ছে ওর। মেয়র আর কোনও খবর পাঠায়নি, তবু অস্বস্তি মন থেকে দূর হচ্ছে না কেন যেন। খুব সহজেই ওর কথা মেনে নিয়েছে, সন্দেহ হচ্ছে, লোকটা কথা না-ও রাখতে পারে। অবশ্য অনেক চিন্তা করেও পাসি গঠনের ব্যাপারে মেয়র কোনও বাধা দিতে পারবে এমন সম্ভাবনা খুঁজে পায়নি সে। মার্শাল হিসেবে পাসি সংক্রান্ত ব্যাপার তার আওতাধীন, মেয়রের নয়।

মেয়র যতই রাগ করুক কিচ্ছু যায় আসে না, মনে মনে বলল জো মিলার্ড। নিজের দায়িত্বে লোকজন নিয়ে ম্যাকেনলিকে ধাওয়া করবে সে। বুঝতে পারছে ভুয়া খবর হলে সব দোষ ওর ঘাড়ে চাপানো হবে, কিন্তু ম্যাকেনলিকে গ্রেফতার করতে পারলে একা কৃতিত্ব নেবে মেয়র। তাই হোক, সিদ্ধান্ত নিল সে। মন থেকে দূর হয়ে গেল সমস্ত দুশ্চিন্তা। হাঁটার গতি বাড়াল, বিদায়ের আগে মেরিয়ান উডল্যাণ্ডের সঙ্গ একটু বেশিক্ষণ ধরে উপভোগ করতে চাইছে।

বোর্ডিঙ হাউসের মালিক মেরিয়ান উডল্যাণ্ড। বিধবা। অপূর্ব সুন্দরী। দেখে মনেই হয় না আট বছরের একটা ছেলে আছে ওর। একাই বোর্ডিঙ হাউস চালায় মহিলা। প্রশান্ত চেহারায় কী যেন আছে, কাছাকাছি থাকলে মিলার্ডের মাথা থেকে সমস্ত দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যায়। ভালবাসা কি’না জানে না মিলার্ড, তবে ভাললাগা আছে সন্দেহ নেই।

গেট খুলে দৃঢ় পায়ে আঙিনা পেরিয়ে দোতলা বড় বাড়িটায় ঢুকল মিলার্ড। অন্যান্য বোর্ডাররা মাত্র সাপার শেষ করেছে। ডাইনিঙ রূমে ওকে ঢুকতে দেখেই ভ্রূ কুঁচকে গেল মেরিয়ানের, নোঙরা বাসন টেবিলে নামিয়ে রেখে কোমরে দু’হাত দিয়ে কড়া চোখে তাকাল।

‘জো মিলার্ড,’ কপট রাগে ধমকে উঠল সে, ‘সাপারের জন্য আজও তুমি দেরি করে এসেছ। এখানে আমি রেস্টুরেন্ট খুলিনি যে চব্বিশ ঘণ্টা খাবার পাওয়া যাবে।’

‘আর এমন হবে না, মেরি,’ নরম গলায় বলল বাঘা মার্শাল। ‘আজ রাতে এমনিতেও আমার খাবার সময় হবে না। অবশ্য…’ টেবিলের ওপর প্লেটে রাখা বিস্কুটের দিকে হাত বাড়াল সে। ‘কয়েকটা বিস্কুট হলেই…’

‘না,’ থাবড়া দিয়ে মিলার্ডের হাত সরিয়ে দিল মেরিয়ান। ‘আমার বাড়িতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যা তা খাওয়া চলবে না। বসো, সাপার আনা হলে ভদ্রলোকের মত খাবে।’

প্রতিবাদ করার আগেই কিচেনের দিকে চলে গেল মেরিয়ান। শ্রাগ করে মাথা থেকে টুপি খুলে চেয়ার টেনে বসল মিলার্ড। কিচেনে মেরিয়ানকে গজগজ করতে শুনে চওড়া হাসি ফুটল তার তামাটে মুখে। বাসন কোসনের ঝনঝনানি শুনে বুঝল আজ একটু বেশিই বিরক্ত হয়েছে ওর ওপর।

দৌড়ে দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকল আট বছরের বাড উডল্যাণ্ড। ‘হাই, জো,’ মার্শালকে দেখে তার চোখ জোড়া চকচক করে উঠল। এসে দাঁড়াল ওর সামনে। মার্শালের সবচেয়ে বড় ভক্ত সে, সব সময় স্বপ্ন দেখে কবে জো মিলার্ডের মত হবে। বাবাকে দেখেনি, মিলার্ডকেই আদর্শ হিসেবে ধরে নিয়েছে বাচ্চা ছেলেটা।

‘মার্শাল মিলার্ড বলবে, বাড়,’ সাপারসহ ঘরে ঢুকে ছেলেকে বকা দিল মেরিয়ান।

কথা কানেই নিল না বাড়, মা আবার কিচেনে চলে যেতেই উত্তেজিত স্বরে বলল, ‘জো, তুমি যদি দেখতে আজ শহরে কী হয়েছে! মেয়রের কথা মত শহরের ভদ্রমহিলাদের ট্রেনে তুলে কোথায় যেন পাঠিয়েছে ওরা।’

এক চামচ সুস্বাদু স্টু গিলে মাথা ঝাঁকাল মিলার্ড। ‘আমি দেখেছি, বাড।’ একটা প্লেটে বিস্কুট নিয়ে ফিরে এল মেরিয়ান। ছেলেকে মৃদু স্বরে বকা দিল, ‘মার্শালকে বিরক্ত কোরো না, বাড, চুপচাপ খেয়ে উঠতে দাও।’

‘মহিলাদের কোথায় পাঠানো হলো?’ আগের প্রসঙ্গ থেকে সরে আসতে কিছুতেই রাজি না বাড।

‘অন্য কোনও শহরে,’ জবাব দিল অন্যমনস্ক মার্শাল।

‘কেন?’

‘বাড, আমি একবার না বলেছি মার্শালকে বিরক্ত না করতে!’

‘ওরা চলে যেতেই চেয়েছিল?’ মায়ের ধমক খাবার ভয়ের তুলনায় বাডের কৌতূহল অনেক বেশি।

আমার মনে হয় না কেউ ওদের ইচ্ছে অনিচ্ছে জানতে চেয়েছে, ‘ শাগ করল মিলার্ড।

‘ওরা খারাপ মানুষ ছিল না, তাই না? খারাপ হলে তো তুমি ওদের আগেই তাড়িয়ে দিতে?’

‘হ্যাঁ, বাড়, খারাপ হলে ওদের আমি আগেই তাড়িয়ে দিতাম।’

ঘটনা বুঝতে না পেরে খুব চিন্তিত দেখাল বাডকে। ‘তা হলে ওরা যদি খারাপ না-ই হয়, ইচ্ছে নেই তবু চলে যেতে হলো কেন ওদের?’

দু’টুকরো পাই নিয়ে কিচেন থেকে আবার ফিরে এসেছে মেরিয়ান। মিলার্ডের জবাব শোনার জন্য কৌতূহল নিয়ে তাকাল সে। মনে মনে বেশ খুশি হয়েছে বেকায়দায় পড়ে বেচারা অস্বস্তিতে ভুগছে দেখে।

‘বড় হলে বুঝবে, বাড়,’ কিছুক্ষণ চিন্তা করে বলল মিলার্ড। ‘আদিম পেশায় ছিল বলেই লোকজন ওদের তাড়িয়েছে।’

‘আমি তো ভেবেছিলাম মার্শালের কাজই সবচেয়ে আদিম পেশা!’

মেরিয়ানের দিকে তাকিয়ে অস্বস্তি মাখা চেহারায় হাসল মার্শাল। ‘না, বাড়, মার্শালের কাজ দ্বিতীয় প্রাচীন পেশা।’

‘তা হলে প্রথমটা কী? ওই মহিলারা কী করত? ‘

মিলার্ডের চেহারা লজ্জায় লাল হতে শুরু করল, সাহায্য প্রার্থনার দৃষ্টিতে তাকাল মেরিয়ানের দিকে। মাথা নেড়ে গম্ভীর স্বরে মেরিয়ান বলল, ‘তুমিই ওকে এসব ব্যাপারে আলাপ করার সুযোগ দিয়েছ, এখন তুমিই নিজেকে উদ্ধার করো।’

চিন্তা করার সময় আদায় করার জন্য কফিতে বড় একটা চুমুক দিল মার্শাল। ধীরেসুস্থে তরলটুকু গিলে ফেলে বলল, ‘বাড়, ব্যাপারটা আসলে কেমন যেন, বুঝলে? ঈশ্বর যখন নারী-পুরুষ বানালেন, তখন… আ…ঠিক, ঠিক একরকম করে তৈরি করেননি।’

নাক কোঁচকাল বাড়। ‘এটা তো আমি জানিই।’

‘জানো?’ বিস্মিত মার্শাল আপনমনে বলল। মেরিয়ানের চেহারা দেখে বুঝল সাহায্য পাবার আশা নেই ওদিক থেকে। অন্য বুদ্ধি করল সে। প্লেটের বাকি পাই বাডের দিকে বাড়িয়ে ধরে বলল, ‘খাও?’

‘বাড, বারান্দায় যাও, মিস্টার বেনটন তোমাকে খুঁজছিলেন,’ মিলার্ডকে উদ্ধার করল মেরিয়ান। বাড চলে যাবার পর বলল, ‘মার্শাল মিলার্ড, আর কখনও তোমাকে উদ্ধার করব না।’

মিনিট দু’এক পরে ঘরে ঢুকল ডেপুটি উইলকার। মার্শালের সামনে এসে দাঁড়াল, চোখে চোখ রাখার সাহস পাচ্ছে না। কিছুক্ষণ ইতস্তত করে বলল, ‘মেয়র তোমাকে ডাকছে, মার্শাল।’

‘ঠিক আছে, উইল, মহানুভবকে গিয়ে বলো আমি আসছি,’ কফিতে চুমুক দিল মিলার্ড। ‘লোক জোগাড় শুরু করে দাও। আমি চাই কাল ভোরের আগেই ম্যাকেনলির আখড়ায় হাজির হয়ে যেতে।’

‘পাসির ব্যাপারে কথা বলছ মনে হয়?’ মিলার্ড উঠে দাঁড়ানোর পর জানতে চাইল মেরিয়ান।

‘ও কিছু নয়, মেরি, সাধারণ টহল।’

মিলার্ড দরজার কাছে পৌঁছে গেছে, পেছন থেকে মেরিয়ান বলল, ‘সাবধানে থেকো।’

ঘাড় ফিরিয়ে মাথা ঝাঁকাল মিলার্ড, উষ্ণ হাসি ফুটে উঠল তামাটে মুখে। ‘কাল রাতে ফিরে আসব। হয়তো তোমাকে সাপার খেতে নিয়ে যাব তখন।

বোর্ডিঙ হাউস থেকে বেরিয়ে মোড় ঘুরে মেয়রের অফিসের সামনে বিস্মিত চেহারায় থমকে দাঁড়াল সে। ছোট ছোট পতাকা দিয়ে সাজানো একটা স্টেজ তৈরি করা হয়েছে ব্যাংক ভবনের সামনে। লণ্ঠনের আলোয় আলোকিত স্টেজের ওপর দেখা যাচ্ছে ডেপুটি আর মেয়রকে। সামনের রাস্তা জুড়ে ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছে শহরের পুরুষরা।

হঠাৎ উৎফুল্ল চিৎকার ছাড়ল ভিড় করে থাকা লোকজন। কী ব্যাপারে এত আনন্দ বোঝার জন্য এদিক ওদিক তাকাল মিলার্ড। স্টেজের রেলিঙ ধরে মেয়র ঝুঁকে দাঁড়িয়েছে, মার্শালকে দেখে চকচক করে উঠল তার দু’চোখ। হাসি হাসি চেহারায় চেঁচাল, ‘এসো, জো বয়, স্টেজে উঠে এসো।’ ভিড়ের উদ্দেশে আহ্বান জানাল মেয়র, ‘তোমরা কয়েকজন আমাদের সম্মানিত অতিথিকে তুলে ধরে স্টেজে উঠিয়ে দাও।’

মিলার্ড বাধা দেয়ার আগেই ছ’সাতজন তাকে কাঁধে তুলে নিল। জনতার হাততালি শুনতে শুনতে দু’এক মুহূর্ত পরেই স্টেজে উঠে পড়তে বাধ্য হলো হতভম্ব মার্শাল। ভীত চেহারায় অভ্যর্থনার হাসি উপহার দিল ডেপুটি উইলকার। মেয়র হাত তুলতেই হঠাৎ থেমে গেল সমস্ত হৈ-হট্টগোল। কয়েক মুহূর্ত সবার ওপর চোখ বুলিয়ে গলায় নির্বাচনী আবেগ ঢেলে বক্তৃতা শুরু করল মেয়র:

‘আজ আমাদের জন্য একটা বিশেষ স্মরণীয় দিন। কারণ আজ আমরা এখানে সমবেত হয়েছি এমন এক লোককে শ্রদ্ধা জানাতে, যে জীবনের মূল্যবান বিশটি বছর একটানা কাজ করে গেছে এ শহরকে নিরাপদ আর বাসযোগ্য করে তুলতে। তার অবদান আমরা শ্রদ্ধা আর ভালবাসার সঙ্গে স্মরণ করি…করতে বাধ্য।’ লোকজনকে হাততালি দেয়ার সুযোগ দিতে কয়েক মুহূর্তের জন্য থামল মেয়র। তারপর আবার শুরু করল, ‘এ-শহরে মার্শাল জো মিলার্ড যখন আসে, আইন শৃঙ্খলা বলতে এখানে কিছুই ছিল না। সততা, কর্তব্যপরায়ণতা, সাহস আর বিবেচনা দিয়ে শত বিপদের মাঝেও জনতাকে রক্ষা করেছে সে গত বিশটি বছর। বলতে গেলে তার জন্যই আজ আমাদের শহরের এত উন্নতি।’

মেয়রের কথা আবছাভাবে কানে আসছে মার্শালের, অর্থ খুঁজে বের করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে মস্তিষ্ক। অর্থহীন বোবা দৃষ্টিতে সে দেখছে ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকা লোকগুলোকে। হাত তুলে তালি থামিয়ে আবার বক্তৃতা শুরু করল মেয়র।

‘আজ সময় এসেছে, অসমসাহসী মার্শাল মিলার্ডের কাছে ঋণী ছিলাম আমরা, ঋণ শোধ করতে হবে।’ লাল রিবনে মোড়া ছোট্ট একটা বাক্স বের করল মেয়র। ‘কৃতজ্ঞতা শেষ হবার নয়, তবু আমাদের সবার পক্ষ থেকে আজ এই ছোট্ট উপহার দিচ্ছি তোমাকে।

‘খোলো, জো বয়, খুলে দেখ কার্ডে কী লেখা আছে,’ বাক্সটা মিলার্ডের হাতে জোর করে গুঁজে দিয়ে বলল মেয়র।

মোহাবিষ্টের মত বাক্স খুলল মিলার্ড। ভেতরে সোনার ঘড়ির সঙ্গে সুতো দিয়ে বাঁধা আছে একটা কার্ড। ওতে লেখা: ‘প্রাক্তন মার্শাল জো মিলার্ডকে প্রোগ্রেসের সবার তরফ থেকে।’

হাসি হাসি চেহারায় মার্শালের হতভম্ব চেহারা দেখে মেয়র বলল, ‘আজ থেকে আর আমাদের জন্য খাটতে হবে না। রোদে শুয়ে বসে আরাম করে জীবন কাটাবে, মাছ ধরতে যাবে, বিশ্রাম নেবে। আমরা তোমার আজীবন পেনশনের ব্যবস্থাও করেছি।

‘আমাকে তা হলে চাকরিচ্যুত করা হলো?’ যেন ঘুম থেকে জেগে উঠে জিজ্ঞেস করল মিলার্ড।

‘ছিছি, জো বয়, চাকরিচ্যুত? অসম্ভব! তোমাকে অবসর দেয়া হলো। মানুষের জন্য অনেক করেছ, এখন নিজের জন্যে কিছু একটা করার সুযোগ করে দিল সবাই।’ কথা বন্ধ না রেখেই মিলার্ডের হাত ঝাঁকাচ্ছে মেয়র। একই সঙ্গে তার অন্য হাত ব্যস্ত ওর বুক থেকে মার্শালের ব্যাজ খুলে নেয়ায়। একটা কথাও না বলে ঘুরে দাঁড়াল মিলার্ড। সিঁড়ি বেয়ে স্টেজ থেকে নেমে অন্ধের মত এগোল ভিড় ঠেলে। মেয়র উইলিয়ামের ভরাট গলায় বক্তৃতা ওকে পিশাচের মত তাড়া করছে, পালাতে হবে এই ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর সভ্যতার হাত থেকে।

….মার্শাল মিলার্ডের অভাব পূরণ করার মত লোক আমাদের মধ্যে নেই, তবে চেষ্টা করতে রাজি হয়েছে ডেপুটি উইলকার। আমরা আশা করি সে ঠিক মত দায়িত্ব পালন করতে পারবে।’

ওর পুরানো অফিসে ঢুকে লণ্ঠন জ্বালল মিলার্ড। অনেকক্ষণ অনড় দাঁড়িয়ে রইল, বিশ বছরের সব স্মৃতির ঝড়ে মেঘ জমল মনে। অনেকক্ষণ পর সোনার ঘড়িটা পকেট থেকে বের করে নির্বিকার চেহারায় এক পলক দেখল। লণ্ঠনের পাশে ওটা নামিয়ে রেখে এগোল শেলফে রাখা ওর কারবাইনের জন্য। কারবাইন হাতে একটা ড্রয়ার খুলে হ্যাণ্ডকাফ বের করে হিপ পকেটে ঢোকাল। ওকে যারা এত ভালবাসে তাদের জন্য হয়তো ওকে আরেকবার ব্যবহার করতে হবে ওগুলো!

ড্রয়ার বন্ধ করে সোজা হওয়ার পর ঘড়ির টিকটিক শব্দ ওর মনোযোগ কেড়ে নিল। হাতে ঝলসে উঠল ভারী কোল্ট সিক্সগান। গর্জনের সঙ্গে ৪৫ বুলেটের আঘাতে শত সহস্র টুকরো হয়ে গেল সোনার ঘড়ি। ল্যাম্প নিভিয়ে দরজা ভিড়িয়ে বেরিয়ে এল মিলার্ড।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *