প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব

উদাসী রাজকুমার – ১.৬

মহামন্ত্রী জীবককে কারাগারে নিক্ষেপ করে মহারাজ মহাচূড়ামণি নিশ্চিন্তে ঘুমোতে গেলেন। তিনি জাগলেন পরদিন বিকেলে। এর মধ্যে যে কত কাণ্ড ঘটে গেল, তার কিছুই তিনি টের পেলেন না। সকালবেলা রাজকুমার দু’জন চলে গেল অস্ত্রশিক্ষা করতে। রানি তলতাদেবী স্নান সেরে নিয়ে কিছুক্ষণ দেবতাদের পূজা করলেন। তারপর তিনি রাজপ্রাসাদ ছেড়ে নেমে এলেন উদ্যানে। 

এই উদ্যানের এক কোণে আশ্রয় নিয়েছে শিল্পী জয়পাল। এর মধ্যেই সে একটা কুঁড়েঘর বানিয়ে নিয়েছে। একটা বড় পাথরের চাঁই কেটে কেটে সে বানাতে শুরু করেছে রানির মূর্তি। 

তলতাদেবী সেখানে এসে একটুক্ষণ দাঁড়ালেন। এ রাজ্যের যে-কোনও প্রজাই রানিকে দেখলে মাটিতে মাথা ঠেটিয়ে প্রণাম করে। কিন্তু শিল্পী জয়পাল নিজের কাজে এমনই নিমগ্ন যে, সে মুখ ফিরিয়ে রানিকে একবার দেখল বটে, কিন্তু কাজ থামাল না। 

রানি একটু হাসলেন। 

তারপর তিনি বললেন, “শিল্পী জয়পাল, তোমার কাছে আমার একটা অনুরোধ আছে। শব্দ বন্ধ করে একবার একটু শোনো।” 

জয়পাল পাথরের ওপর লোহার বাটালি রেখে হাতুড়ি দিয়ে ঠুকছিল। লোহা আর পাথরের সংঘর্ষে মাঝে-মাঝে ফুলকি দিয়ে উঠছে আগুন। শব্দও হচ্ছে খুব। 

কাজ থামিয়ে অবাকভাবে সে বলল, “কী আজ্ঞা, মহারানি?” 

তলতাদেবী জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি এই পাথর কেটে কার মূর্তি গড়ছ?”

জয়পাল বলল, “কেন, আপনার? ভুরুঙ্গা গ্রামে বসে আমি আপনারই মূর্তি গড়ছিলাম। আগুনে সেটা নষ্ট হয়ে গেল। এবার, এখানে আপনার আশ্রয়ে বসে আরও সুন্দর মূর্তি গড়ব।” 

রানি তলতাদেবী বললেন, “তুমি আমার মূর্তি গড়ছ কেন?” 

জয়পাল এবার খানিকটা যেন ধাঁধায় পড়ে গেল। আমতা-আমতা করে বলল, “আপনার মূর্তি গড়ছি, কারণ, আপনি এই রাজ্যের মহারানি, আপনাকে একবার দেখেই আমার মনে হয়েছিল, আপনার খুব সুন্দর একটা মূর্তি গড়িয়ে রাখলে প্রজারা সবাই দেখবে।” 

রানি তলতাদেবী বললেন, “আমার বদলে তুমি দেবতাদের মূর্তি গড়ছ না কেন? মানুষের মূর্তি দিয়ে কী হবে? দেবতাদের মূর্তি গড়লে প্রজারা তা পূজা করতে পারবে?” 

জয়পাল বলল, “দেবতাদের মূর্তি? কোন দেবতার মূর্তি?” 

রানি বললেন, “ইন্দ্র, মহাদেব, বিষ্ণু এইসব দেবতার মূর্তি বানাতে পারো।” জয়পাল বলল, “মহারানি, সেই দেবতাদের তো কখনও আমি চোখে দেখিনি। কী করে তাদের মূর্তি বানাব?” 

রানি বললেন, “দেবতাদের কি সামনাসামনি কখনও চোখে দেখা যায়? দেবতাদের দেখতে হয় মনের চোখ দিয়ে। কল্পনায়। শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্মধারী বিষ্ণুর মূর্তি তুমি কল্পনা করতে পারো না? কিংবা বাঘছাল পরা শিব?” 

জয়পাল বলল, “নাঃ, ওসব আমার দ্বারা হবে না। বানিয়ে বানিয়ে দেবতাদের মূর্তি গড়ে, এমন শিল্পী অনেক আছে। আমি ওসব পারি না।” 

রানি বললেন, “ঠিক আছে, তুমি যদি চোখে দেখে মানুষেরই মূর্তি গড়তে চাও, তা হলে আগে মহারাজের মূর্তি গড়োনি কেন?” 

জয়পাল এ-প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারল না। চুপ করে রইল।

রানি আবার বললেন, “মহারাজের মূর্তি আগে না গড়ে তুমি আমার মূর্তি গড়তে পারো না। সেটা অন্যায়।”

জয়পাল একটুক্ষণ চুপ করে থাকার পর নখ খুঁটতে-খুঁটতে লাজুকভাবে বলল, “ন্যায়-অন্যায়ের কথা চিন্তাই করিনি, মহারানি। আমি তো টাকা-পয়সার জন্য মূর্তি গড়ি না। আপনাকে দেখে আমার মনে হয়েছিল…” 

রানি এবার দৃঢ় গলায় বললেন, “আগে তুমি মহারাজের মূর্তি গড়ায় মন দাও। খুব সুন্দর করে, খুব বড় করে মহারাজের একটা মূর্তি বানাও। মহারাজকে আগে কিছু জানানো হবে না। কাজটা শেষ হলে হঠাৎ একদিন মহারাজকে চমকে দিতে হবে। সেই মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে নগরের ঠিক মাঝখানে।” 

এই কথা বলে রানি তলতাদেবী পেছন দিকে ফিরতেই দেখতে পেলেন, একটু দূরে দাঁড়িয়ে আছেন রাজপুরোহিত ছম্ভী। 

তলতাদেবী এগিয়ে গিয়ে রাজপুরোহিতের পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন। 

ছম্ভী হাত তুলে আশীর্বাদ করলেন রানিকে। তারপর হাসিমুখে জিজ্ঞেস করলেন, “ওই শিল্পী মহারানির মূর্তি গড়ছিল, তাকে নিষেধ করলেন কেন?” 

তলতাদেবী বললেন, “আগে মহারাজের মূর্তি হবে। এই শিল্পী যদি মহারাজের মূর্তি খুব সুন্দরভাবে গড়তে না পারে, তা হলে এখানে ওর স্থান হবে না। আমার মূর্তি গড়ার কোনও প্রয়োজন নেই এখন।” 

রাজপুরোহিত ছম্ভী দু’বার মাথা নাড়লেন। তারপর একটু দূরে সরে গিয়ে একটি গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “মহারাজ নাকি কাল রাত্তিরে খুব রাগারাগি করছিলেন?” 

তলতাদেবী বললেন, “হ্যাঁ, তিনি কোনও কারণে আমার ওপরে রেগে গিয়েছিলেন।” 

একদিকের ভুরু তুলে তিনি বললেন, “আপনার ওপরে? শুনলাম, তিনি মহামন্ত্রী জীবককে প্রহার করে কারাগারে পাঠিয়েছেন?” 

তলতাদেবী মৃদু কণ্ঠে বললেন, “মহামন্ত্রী মিথ্যে কথা বলেছিলেন মহারাজের কাছে। তাই মহারাজ ওঁর ওপর খুব ক্রুদ্ধ হয়েছেন।” 

রাজপুরোহিত ছম্ভী মহারানির মুখের দিকে স্থির দৃষ্টি রেখে বললেন, “সেনাপতি চম্পককে মহারাজ তাড়িয়ে দিয়েছেন। মহামন্ত্রী জীবককে প্রাণদণ্ড দিয়েছেন। এই রাজ্যে এই মুহূর্তে সেনাপতিও নেই, মন্ত্রীও নেই।” 

তলতাদেবী বললেন, “সেনাপতি চম্পককে আমি অভয় দিয়েছি। তাকে বলেছি, কয়েকদিনের জন্য গ্রামে গিয়ে লুকিয়ে থাকতে। মহারাজের রাগ বেশিদিন থাকে না। রাগ পড়ে গেলেই আমি মহারাজকে বুঝিয়ে বলব। তিনি তখন চম্পককে নিশ্চয়ই ফিরিয়ে নেবেন। চম্পক খুবই যোগ্য সেনাপতি।” 

রাজপুরোহিত ছম্ভী বললেন, “হুঁ!” 

তলতাদেবী বললেন, “অল্প দোষে মহারাজ বেশি শাস্তি দিয়ে ফেলেন। মহামন্ত্রীকে তিনি শূলে চড়াবার আদেশ দিয়েছেন। মহারাজ তো এখন ঘুমোচ্ছেন। তাঁর ঘুম ভাঙলে আপনি আর আমি দুজনে মিলে অনুরোধ করলে তিনি নিশ্চয়ই মহামন্ত্রীকে ক্ষমা করে দেবেন।” 

রাজপুরোহিত ছম্ভী বললেন, “মহামন্ত্রী আর সে সুযোগ পাবেন না। তিনি আর বেঁচে নেই।” 

দারুণ চমকে গিয়ে তলতাদেবী বললেন, “অ্যাঁ? এ কী বলছেন আপনি? মহামন্ত্রী জীবক বেঁচে নেই?” 

ছম্ভী দু’ দিকে মাথা নাড়তে নাড়তে বললেন, “সেই সংবাদ শুনেই আমি আপনার কাছে ছুটে এসেছি। আজ ভোরেই কারাগারের মধ্যে কেউ মহামন্ত্রীর গলা টিপে হত্যা করেছে। আমি নিজে দেখে এসেছি তাঁর মৃতদেহ। অবশ্য এমনও হতে পারে, লজ্জায়, দুঃখে মহামন্ত্রী নিজেই আত্মহত্যা করেছেন।” 

অবিশ্বাসের সুরে তলতাদেবী জিজ্ঞেস করলেন, “নিজের গলা টিপে কেউ কি আত্মহত্যা করতে পারে? না, তা সম্ভব না।” 

ছম্ভী বললেন, “তা হলে নিশ্চিত অপদেবতার হাতে মহামন্ত্রীর মৃত্যু ঘটেছে। তাঁর মুখে অস্বাভাবিক ভয়ের চিহ্ন দেখেছি।” 

তলতাদেবী আবার অবিশ্বাসের সুরে বললেন, “অপদেবতা?” 

তলতাদেবী ভুরু কুঁচকে ভাবলেন, রাজপুরোহিত যখন বলছেন, তখন নিশ্চয়ই মহামন্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এ-ঘটনা ছম্ভী তাঁর আগে জানলেন কী করে? মহারাজ যখন ঘুমন্ত থাকেন, তখন রাজ্যের সব ঘটনা আগে মহারানিকেই জানানো হয়। 

ছম্ভী বললেন, “আরও একটা দুসংবাদ আপনাকে জানাতে এসেছি, মহারানি।” 

তলতাদেবী মুখ তুলে উদ্বিগ্ন চোখে তাকালেন। 

ছম্ভী বললেন, “সেনাপতি চম্পককে আপনি একটা গ্রামে গিয়ে লুকিয়ে থাকতে বলেছিলেন, সে সেই গ্রামে নেই। আমার গুপ্তচরেরা পাকা খবর নিয়ে এসেছে।” 

তলতাদেবী বললেন, “চম্পক সেখানে নেই? তা হলে সে কোথায় আছে?” 

ছম্ভী বললেন, “সে একটা জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে। মহারাজ তাকে জুতো পরাবার কাজ দিতে চেয়েছিলেন বলে সে দারুণ অপমানিত বোধ করেছে। সেও তো উচ্চ বংশের সন্তান। শোনা যাচ্ছে, সে একটা দলবল জুটিয়ে মহারাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে।” 

তলতাদেবী দারুণ হতাশভাবে চেয়ে রইলেন রাজপুরোহিতের দিকে। 

ছম্ভী বললেন, “এর ফলাফল কী হবে, নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, মহারানি? চম্পকও আত্মহত্যা করতে চলেছে। এই বিদ্রোহের সংবাদ পেলেই মহারাজ দারুণ ক্রুদ্ধ হয়ে উঠবেন। সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে পড়বেন যুদ্ধযাত্রায়। মহারাজ যুদ্ধ করতে ভালবাসেন। সামান্য কিছু সৈন্য নিয়ে চম্পক মহারাজ মহাচূড়ামণির বিরুদ্ধে লড়াই করে কতক্ষণ টিকতে পারবে? চম্পকের ছিন্ন মুণ্ড নিয়ে মহারাজ ফিরে আসবেন রাজধানীতে। এ দৃশ্য আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি। আহা, চম্পক ছেলেটি বড় ভাল ছিল!” 

তলতাদেবী ব্যথিত কণ্ঠে বললেন, “চম্পককে বাঁচাবার কোনও উপায়ই কি নেই?” 

রাজপুরোহিত ছম্ভী কয়েকবার নিঃশব্দে পদচারণা করলেন। তারপর ঘুরে দাঁড়িয়ে বললেন, “চম্পককে একমাত্র আপনিই রক্ষা করতে পারেন।” 

তলতাদেবী বললেন, “আমি? আমি এই অবস্থায় কী করে তাকে বাঁচাব?”

ছম্ভী বললেন, “চম্পক আপনাকে শ্রদ্ধা করে। আপনার কথা মানে। সে যে-জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে, তা অশ্বারোহণে মাত্র দু’ ঘণ্টার পথ। মহারাজের ঘুম ভাঙার আগেই আপনি যদি সেখানে গিয়ে তাকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে বশ্যতা স্বীকার করাতে পারেন, তা হলেই সে প্রাণে বাঁচতে পারে।” 

তলতাদেবী বললেন, “চম্পক আমার কথা শুনবে কি না জানি না। তবে চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে। কিন্তু আমি ফিরে আসার আগেই যদি মহারাজ জেগে ওঠেন?” 

ছম্ভী বললেন, “মহারাজ কাল অনেক রাতে ঘুমিয়েছেন। আজ সন্ধ্যার আগে তাঁর জেগে ওঠার সম্ভাবনা খুবই কম। তবু যদি দৈবাৎ জেগে ওঠেন, আমি তাঁকে ভুলিয়ে রাখব।”

তলতাদেবী তবু দ্বিধার সঙ্গে বললেন, “আমি একা যাব চম্পকের কাছে?”

ছম্ভী বললেন, “আপনি সৈন্য-সামন্ত সঙ্গে নিয়ে গেলে চম্পক সন্দেহ করবে। সে সহজে ধরা দেবে না। আগেই যুদ্ধ লেগে যাবে। তাতে কোনও লাভ নেই। আপনি বড়জোর আপনার দু-চারজন নারী দেহরক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন। আর-একজন গুপ্তচর আপনার পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে। আপনি আর দেরি করবেন না, মহারানি। আপনাকে কিন্তু যেতে হবে খুব গোপনে।” 

তলতাদেবী একটুক্ষণ চিন্তা করলেন। এ ছাড়া আর কোনও পথ নেই। চম্পক বিদ্রোহ করলে মহাচূড়ামণির হাতে সে নিহত হবেই। কিন্তু সৈন্যবাহিনীর অনেকেই চম্পককে খুব ভালবাসে। বিদ্রোহের আগুন একবার জ্বলে উঠলে সহজে থামবে না। তা ছাড়া চম্পকের কোনও দোষ ছিল না। বিপদের সময় সে রাজাকে জুতো পরিয়ে দিতে গিয়েছিল, সেটা তো কিছু অন্যায় নয়। 

চলে যেতে উদ্যত হয়েও তলতাদেবী ফিরে দাঁড়ালেন। 

দ্বিধার সঙ্গে বললেন, “কিন্তু যদি মহারাজের ঘুম ভেঙে যায়, যদি তিনি জানতে পারেন যে আমি চম্পকের সঙ্গে দেখা করতে গেছি, তা হলে তিনি ভাবতে পারেন যে আমিও বিদ্রোহীদের দলে যোগ দিয়েছি।” 

হা-হা করে প্রবলভাবে হেসে উঠে ছম্ভী বললেন, “এ কী কথা বলছেন, মহারানি? মহারাজ মহাচূড়ামণি সন্দেহ করবেন আপনাকে? তিনি আপনাকে অবিশ্বাস করবেন? তা কখনও হতে পারে? আপনি এই রাজ্যের সৌভাগ্যলক্ষ্মী। আপনার বুদ্ধিতেই তো এই রাজ্য চলে। আপনি যা-কিছু করবেন, তা সবই এই রাজ্যের মঙ্গলের জন্য। মহারাজ কি তা বোঝেন না?” 

তলতাদেবী আর দেরি করলেন না। তিনি দ্রুত চলে গেলেন প্রস্তুত হবার জন্য। অল্পক্ষণ পরেই চারজন দেহরক্ষী নিয়ে অশ্বারোহণে যাত্রা করলেন তলতাদেবী। রওনা হবার আগে তিনি ছম্ভীকে আবার প্রণাম করে বললেন, “গুরুদেব, আর্শীবাদ করুন যেন সার্থক হয়ে শীঘ্র ফিরে আসতে পারি।” 

রাজপুরোহিত ছম্ভী তাঁর মাথায় হাত রেখে বললেন, “আপনি অবশ্যই সার্থক হবেন। আপনি সর্বত্র জয়ী হবেন।” 

তলতাদেবী চলে যাবার পর হস্তী কিছুক্ষণ একা একা ঘুরতে লাগলেন রাজ-উদ্যানে। তাঁর মুখে খুশির আভা। 

এক জায়গায় রাজকুমার দৃঢ় আর তীক্ষ্ণ অস্ত্রশিক্ষা করছে। ছম্ভী একটুক্ষণ দেখলে। ওদের। এক সময় তিনি ছোটকুমার তীক্ষ্ণকে কোলে তুলে নিয়ে আদর করলেন। 

ছম্ভী বিবাহ করেননি। এই দুই রাজকুমারকে তিনি নিজের সন্তানের মতো ভালবাসেন। 

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *