ঈশানের মেঘ
১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় তরুণ সিংহশিশুরা যখন শিক্ষক ডিরোজিও প্রেরণায় সামাজিক মিথ্যাচার, অনাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে মানিকতলায় ‘অ্যাকাডেমিক সভার’ গুহাভ্যন্তর থেকে তর্জন—গর্জন করতে আরম্ভ করেছিলেন, তখনও নবযুগের অধিনায়ক রামমোহন রায় পূর্ণগৌরবে কলকাতার সামাজিক সিংহাসনে অধিষ্ঠিত। ডিরোজিওর তরুণ শিষ্যদের কার্যকলাপ ও ধ্যানধারণা সম্বন্ধে তাঁর মনে কীরকম প্রতিক্রিয়া হচ্ছিল তা তিনি ব্যক্ত করেননি। এমন সময় ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দের ৪ ডিসেম্বর অনেক টালবাহানা করে উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক সতীদাহপ্রথা আইনত নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেন। তার ফলে রক্ষণশীল বিরাট হিন্দুসমাজ প্রচণ্ড বিক্ষোভে সমাজের পাঁজর পর্যন্ত কাঁপিয়ে তোলেন। সংঘবদ্ধভাবে প্রতিবাদ—আন্দোলন করার জন্য তাঁরা ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দের ১৭ জানুয়ারি ‘ধর্মসভা’ স্থাপন করেন। প্রতিক্রিয়ার সুসংহত রূপের এই প্রথম প্রকাশ হয় সমাজে। ‘ধর্ম গেল, জাত গেল’ কলরবে মুখর হয়ে ওঠে সমাজ, ধর্মধ্বজীদের চিৎকারে কলকাতার আকাশ ফাটবার উপক্রম হয়। তাঁদের সমস্ত আক্রোশ হিন্দু কলেজের নব্যশিক্ষিত তরুণদের লক্ষ্য করে ধাবিত হতে থাকে। স্বাধীন চিন্তা ও পাশ্চাত্যবিদ্যা যে সমস্ত অনর্থের মূল, এ ধারণাও তাঁদের মনে বদ্ধমূল হয়ে যায়।
এমন সময় ১৮৩০, ২৭ মে পাদরি আলেকজান্ডার ডাফ সস্ত্রীক কলকাতায় এসে পৌঁছোলেন খ্রিস্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে। আসার মাস দুয়ের মধ্যে তিনি রামমোহনের সহযোগিতায় ১৮৩০, ১০ জুলাই ‘জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইনস্টিটিউশন’ প্রতিষ্ঠা করলেন। তাঁর ছাত্র ও মন্ত্রশিষ্য লালবিহারী দে’র ভাষায় ডাফের এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাই হল ‘foundation of Christian education in India.’ জোড়াসাঁকোর ফিরিঙ্গি কমল বসুর বাড়িতে ডাফ সাহেবের স্কুল খোলা হল, যে বাড়িতে প্রথমে হিন্দু কলেজ এবং রামমোহনের ব্রাহ্মসভা স্থাপিত হয়েছিল। ডাফ দেখলেন, খ্রিস্টধর্ম প্রচারের চমৎকার ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়েছে কলকাতায়, কারণ ইংরেজি—শিক্ষিত বাংলার তরুণরা স্বাধীন চিন্তা ও যুক্তির উপর নির্ভর করতে শিখেছেন। কিন্তু হিন্দু কলেজ হল ডাফের ভাষায় ‘The very beau-ideal of a system of education without religion’—সুতরাং প্রথমে তিনি ধর্মভিত্তিক শিক্ষার অভাব পূরণ করলেন নিজে স্কুল প্রতিষ্ঠা করে। তারপর সামনে ধর্মের ঘোলাটে আকাশের দিকে চেয়ে তাঁর কামনার বহ্নি প্রজ্বলিত হয়ে উঠল। অশিক্ষিত ও অনগ্রসরদের মধ্যে আর ধর্মপ্রচারকার্য সীমাবদ্ধ রাখতে হবে না ভেবে মনে—মনে উল্লসিত হলেন। শহরের শিক্ষিত যুক্তিবাদী তরুণদের কাছে খ্রিস্টধর্মের মাহাত্ম্য ব্যাখ্যানের সম্ভাবনা বিপুল। এই আশায় উদ্ভাসিত হয়ে তিনি লিখেছেন, ‘We hailed the circumstance as indicating the approach of a period for which we had waited and longed and prayed.’ সেই প্রতীক্ষা, বাসনা ও প্রার্থনা বহুদিন পরে পূর্ণ হবার সুযোগ এল। ধর্মপ্রাণ ডাফ আর বিলম্ব না করে খ্রিস্টধর্ম বিষয়ে প্রকাশ্য বক্তৃতার ব্যবস্থা করলেন। হিন্দু কলেজের কাছে যে বাড়িতে তিনি থাকতেন, তার একতলার হলঘরে বক্তৃতা হবে ঠিক হল, একটি বক্তৃতা নয়, বক্তৃতামালা। শ্রোতারা বক্তাকে যেরকম খুশি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং বক্তৃতার পরে বিষয় নিয়ে বিতর্ক হতে বাধা নেই। বুদ্ধিমান ডাফ কেন যে এই বক্তৃতার আয়োজন করেছিলেন তা তাঁর স্থানকাল নির্বাচন ও শ্রোতাদের বিতর্কের সুযোগদানের সংকল্প থেকে বোঝা যায়। তাঁর লক্ষ্য ছিল হিন্দু কলেজের তরুণ ছাত্ররা, বিশেষ করে অবাধ চিন্তার অগ্রদূত ডিরোজিওর শিষ্যরা। ডাফ জানতেন, এই সংস্কারমুক্ত বুদ্ধিদীপ্ত তরুণদের মনে কোনো বিশেষ ধর্মগোঁড়ামি নেই। উর্বর মানসক্ষেত্র তাদের নির্মল যুক্তির রৌদ্রস্পর্শে কর্ষণের প্রত্যাশা করছে। তারই আকর্ষণে পাদরি ডাফ দিশাহারা হয়ে গেলেন। তিনি ভাবলেন, তরুণদের মনের সেই সোনার খেতে যদি খ্রিস্টধর্মের বীজ সযত্নে ছড়িয়ে দেওয়া যায় তাহলে ফসলের ভাবনা আর ভাবতে হবে না, আশ্চর্য ফসল ফলবে সেখানে। তা ছাড়া তাঁর মনে হল, অশিক্ষিত ও অনুন্নত জাতির লোকজনকে দলে—দলে ধর্মান্তরিত করার চেয়ে কলকাতা শহরের একজন সদবংশের সুশিক্ষিত তরুণকে খ্রিস্টধর্মে দীক্ষা দিতে পারলে শতগুণ সুফল ফলবে। হিন্দুসমাজের কুসংস্কার ও জড়ত্বের দুর্ভেদ্য প্রাচীর ভাঙতেও তা অনেক বেশি সাহায্য করবে।
এই বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে ডাফ তাঁর সংকল্পসাধনের পথে অগ্রসর হলেন। প্রথম বক্তৃতা দিলেন পাদরি হিল সাহেব। ভয়ংকর গরম বক্তৃতা। যেমন আবেগের উগ্রতা, তেমনি যুক্তির তীক্ষ্নতা। ভূমিকম্পে মেদিনী কেঁপে ওঠার মতো তাঁর বক্তৃতায় কলকাতার হিন্দুসমাজের অন্তর কেঁপে উঠল। ডাফ সাহেবের নিজের ভাষায় : ‘The whole town was literally in an uproar.’ লালবিহারী দে লিখেছেন, ‘That lecture fell like a bombshell among the College authorities.’ India and India Missions গ্রন্থে ডাফ নিজে এই বক্তৃতায় সামাজিক প্রতিক্রিয়ার যে বিবরণ দিয়েছেন, তার মর্ম এই : ‘বক্তৃতার সঙ্গে—সঙ্গে সারা হিন্দুসমাজের মধ্যে একটা গুজব দুরন্তবেগে রটতে আরম্ভ করল এবং রীতিমতো হইচই পড়ে গেল শহরে। বাস্তবিক সেই বৈদ্যুতিক প্রতিক্রিয়ার স্বরূপ যাঁরা না স্বচক্ষে দেখেছেন, তাঁদের বর্ণনা করে বুঝিয়ে বলা তা সম্ভব নয়। বক্তৃতার পর হিন্দুদের মনে একটা বদ্ধমূল ধারণা হল এই যে, আমরা খ্রিস্টান পাদরিরা যে—কোনো প্রকারে হোক, ভয় বা লোভ দেখিয়ে এ দেশের হিন্দু যুবকদের ধর্মান্তরিত করার সংকল্প করেছি। শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত সভা ডেকে হিন্দুসমাজের কর্ণধাররা আমাদের হীন চক্রান্তের কথা জনসাধারণকে বোঝাতে আরম্ভ করলেন। পাদরিদের কবল থেকে কী উপায়ে তরুণদের রক্ষা করা যায়, সে সম্বন্ধে প্রকাশ্য জনসভায় ও সংবাদপত্রে উত্তেজিত আলোচনা চলতে থাকল। হিন্দু কলেজের ছাত্রদের অভিভাবকদের মধ্যে অনেকে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলেন এই বলে যে, কলেজের ধর্মনীতিহীন বিজাতীয় শিক্ষার ফলেই যুবকদের নৈতিক চরিত্রের স্খলন হচ্ছে। প্রতিদিন এই ধরনের অভিযোগ এসে জমতে থাকল কলেজে। পরিচালকরা রীতিমতো ভীত হয়ে উঠলেন। ব্যস্ত হয়ে কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকে এই মর্মে তাঁরা এক প্রস্তাব পাশ করলেন যে, কলেজের ছাত্রদের অসংযত আচরণে অধ্যক্ষ ও অভিভাবকরা সকলেই অতিশয় ক্ষুব্ধ ও বিচলিত হয়েছেন এবং সেইজন্য ধর্ম বিষয়ের কোনো আলোচনাসভায় বা বক্তৃতায় ছাত্রদের যোগ দিতে তাঁরা নিষেধ করছেন।’
পরিষ্কার বোঝা যায়, পাদরি হিলের বক্তৃতাটি কামানের গোলার মতো ফেটে পড়েছিল হিন্দুসমাজের মাথার উপর, এবং তার সমস্ত আঘাতটা সহ্য করতে হয়েছিল এই কলেজকে। অভিভাবকরা ভীত হয়ে ছেলেদের কলেজ ছাড়তে বাধ্য করছিলেন। জনৈক ‘হিন্দুকালেজছাত্রস্য পিতুঃ’ লিখেছেন, ”প্রায় সকল ছেলেগুলি একগুঁয়ে অবশ অধৈর্য এবং অনেক বিষয় বিপরীত ইহারা স্থানে—স্থানে সভা করিয়াছে তাহাতে আচার—ব্যবহার ও রাজনিয়মের বিবেচনা করে এই সকল দেখিয়া পুত্রের কলেজে যাওয়া রহিতকরণের চেষ্টা করিলাম।” ‘ছাত্রস্য পিতুঃ’ যে সভার কথা এখানে উল্লেখ করেছেন তা, স্পষ্টই বোঝা যায়, ডিরোজিয়ানদের অ্যাকাডেমিক সভা। কলেজে যাওয়া, ‘রহিতকরণের’ চেষ্টা করেও সকল পিতা সফল হননি, কারণ ছেলেরা কেউ সহজে কলেজ ছাড়তে চায়নি। তাহলেও কলেজের ছাত্রসংখ্যা ১৮২৯ থেকে ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বেশ দ্রুতহারে কমে গিয়েছিল। এই সংখ্যাহ্রাসের কারণ ‘a panic among the natives caused by a supposed interference with the religion of the boys’ বলে কের (J. Kerr) সাহেব পরিষ্কার ইঙ্গিত করেছেন।
একদিকে বেন্টিঙ্কের সতীদাহ—নিবারণ আইন, আর একদিকে ডাফ—হিল প্রমুখ অত্যুৎসাহী পাদরিদের খ্রিস্টধর্মাভিযান, এই দুই আঘাতের প্রচণ্ড সামাজিক প্রতিঘাত হিন্দু কলেজ ও তার একজন শিক্ষককে সহ্য করতে হল। হিন্দুদের সমস্ত আক্রোশ ধূমায়িত হতে থাকল ডিরোজিওকে কেন্দ্র করে। ডিরোজিওর একটি অপরাধ নয়, অনেক অপরাধ। প্রথম অপরাধ, তিনি বয়সে তরুণ, অতএব তরুণ ছাত্রদের স্বাধীনতার মন্ত্রে দীক্ষা দেওয়া ও খেপিয়ে তোলা তাঁর পক্ষে সবচেয়ে সহজ। দ্বিতীয় অপরাধ, তিনি গতানুগতিক পদ্ধতিতে ছাত্রদের শিক্ষা দেন না। প্রাণহীন যন্ত্রের মতো দিনের পর দিন পাঠ বলে দিয়ে চর্বিতচর্বণ করাতে পারলে শিক্ষকতার যে গুরুদায়িত্ব স্বচ্ছন্দে পালন করা যায়, তা না করে ডিরোজিও অবাধ আলোচনা, প্রশ্নোত্তর ও তর্কবিতর্কের ভিতর দিয়ে ছাত্রদের নিজস্ব মতামত ও যুক্তি প্রকাশের ক্ষমতা জাগিয়ে তুলে অনর্থক তার অপব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছেন। অর্থাৎ তরুণরা স্বাধীন চিন্তার মর্যাদা রক্ষা করতে না পেরে স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠেছে। তৃতীয় অপরাধ, শিক্ষক হিসেবে ডিরোজিওর নিজের মতামত আপত্তিকর, কারণ তা গতানুগতিক বিশ্বাস ও প্রচলিত ধ্যানধারণার বিপরীত। তাঁর মতে যা যুক্তিগ্রাহ্য নয়, বুদ্ধিগম্য নয়, তা বেদ—কোরান—বাইবেলের আপ্তবচন হলেও গ্রাহ্য ও বিবেচ্য নয়। শিক্ষক নিজে যদি এত দূর বিদ্রোহী হন এবং বয়সেও তরুণ হন, তাহলে তাঁর তরুণ ছাত্ররা স্বাধীনতা মনে করে স্বেচ্ছাচারিতায় গা ভাসিয়ে দেওয়া ছাড়া আর কী করতে পারে? অতএব সমস্ত অপরাধ ডিরোজিওর।
এর মধ্যে আর—একটি ব্যাপারে হিন্দুরা আরও বেশি উত্তেজিত হলেন। ডাফ সাহেব লিখেছেন, হিন্দু কলেজের অধ্যক্ষরা ছাত্রদের সভাসমিতিতে যোগদান করা নিষেধ করে যে আদেশ জারি করেছিলেন তা ‘presumptuous’, ‘tyrannical’, ‘absurd and ridiculous’ ইত্যাদি বলে ইংরেজি পত্রপত্রিকায় নিন্দিত হয়েছিল। ডাফ অবশ্য কোনো বিশেষ পত্রিকার নাম উল্লেখ করেননি। মনে হয়, এইসব পত্রিকার মধ্যে নির্মম সমালোচনা করা হয়েছিল India Gazette পত্রিকার সম্পাদকীয় প্রবন্ধে। পত্রিকায় সম্পাদক ছিলেন গ্র্যান্ট সাহেব, ডিরোজিওর অন্যতম পৃষ্ঠপোষক। ডিরোজিও নিজে ‘ইন্ডিয়া গেজেট’ পত্রিকায় সহকারী সম্পাদকের কাজ করতেন। বাইরের শিক্ষিত পাঠকবর্গ এবং হিন্দু কলেজের অধ্যক্ষদের এ কথা অজানা ছিল না। তাই পত্রিকার সমালোচনা সম্বন্ধে গুজব রটে গেল যে ডিরোজিওই তার লেখক। কেউ—কেউ লেখার স্টাইল দেখেও সে কথা বলতে লাগলেন। রচনার নমুনা এই :
We regret much to see the names of such men as David Hare and Rassomoy Dutt attached to a document which presents an example of presumptuous, tyrannical and absurd intermeddling with the right of private judgement on political and religious questions. The interference is presumptuous for the Managers as Managers have no right whatever to dictate to the students of the Institution, how they shall dispose of their time out of College. it is tyrannical, for although they have not the right, they have the power, if they will bear the consequences to inflict their serious displeasure on the disobedient. It is absurd and ridiculous, for if the students know their rights and had the spirit to claim them the Managers would not verture to enforce their own order, and it would fall to the ground, and abortion of intolerance.
কলেজের অধ্যক্ষদের এই রূঢ় ভাষায় সমালোচনা করে ‘ইন্ডিয়া গেজেট’ পত্রিকা ডাফ সাহেবকে খ্রিস্টধর্ম বিষয়ে বক্তৃতা চালিয়ে যেতে অনুরোধ করেন এবং কলেজের ছাত্রদেরও নির্দেশ দেন, নির্ভয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাদরিদের সভায় যোগদান করতে। ডিরোজিও লিখুন আর গ্র্যান্টই লিখুন, এই সম্পাদকীয় প্রবন্ধের ভাবে ও ভাষার বিলক্ষণ সংযমের অভাব ঘটেছিল। এ কথা অনস্বীকার্য যে, ভাবের উচ্ছ্বাস ও ভাষায় খানিকটা অসংযম থেকে মনে হয় প্রবন্ধের লেখক ডিরোজিও নিজে। তরুণদের বিরুদ্ধে প্রবীণদের চক্রান্তে মনে হয় যেন তরুণ গুরুর আত্মভিমানের বারুদস্তূপে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, তাই সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় প্রবন্ধটি হয়েছে কোনো গোপন বিপ্লবীচক্রের উত্তপ্ত ইস্তেহার।
এরপরেও যদি ঝড় না ওঠে, তাহলে এতদিন ধরে তরুণদের মাথার উপর স্তরে—স্তরে যে মেঘ জমল, তার মুক্তি হবে কী করে?