ফোক গান – Page 34

শ্ৰী গুরু গৌরাঙ্গ ব্ৰজেন্দ্ৰ নন্দন

শ্ৰী গুরু বিনে এ তিন ভুবনে জীবনে মরণে আর কেহ নাই

শ্ৰী গৌরাঙ্গের আগমনে কলির ধন্য হইল

শ্ৰী চৈতন্য নিত্যানন্দ পতিতপাবন

শ্ৰী রাধার প্ৰেম সলিলে না ডুবিলে কালাচান্দ

শ্ৰী রাধার প্ৰেমবাজারে নিষবিকারে উজ্জ্বল রসের বেচাকিনি

শ্ৰীকৃষ্ণ চৈতন্য গৌরহরি

শ্ৰীগুরু গৌরাঙ্গা নদীয়ায় উদয়

শ্ৰীচরণে ভিক্ষা চাই, মান ভাঙ্গো গো কমলিনী রাই

শ্ৰীদাম তুই জানিয়া আয় রে ভাই

শ্ৰীরাধার রূপলাবণ্য হরি নব সুতারুণ্য

শ্ৰীহরিনামের তরী পার করিবে গো ভবাসিন্ধু রে মন

সংসার জুড়িয়া, দেখেছি ঘুরিয়া

সই আমি বসে রৈলাম করা আশায়

সই গো আমি রইলাম কার আশায়

সই গো, বলিয়া দে আমায়

সখি ও বকুলের তলে রে বংশী বাজায় কানাই রে

সখি গো বন্ধু রে দেখিবার মনে চায়

সখি চল যাই অজধ্যাতে রামসীতা যাইতা আজি নবীন গৃহেতে

সখি তোরা প্রেম করিও না পিরিত ভালো না

সখি বলো মোরে বলো গো তোরা

সখি রে, মন থাকে না ঘরে বন্ধুর বাঁশির সুরে

সখী আমার কি জ্বালা গো হইল

সখী আমি আগে জানি না : প্রেম করা যে এই লাঞ্ছনা

সখী উপায় কি করি প্ৰেম বিরহে অঙ্গ জ্বলে আর কতো বা ধৈর্য ধরি

সখী উপায় বল না গৌররূপের ঝলক দেখি প্ৰাণে ধৈর্য মানে না

সখী উপায় বল না পিরিতি বাড়াইয়া এবে ঘটিল যন্ত্রণা

সখী করি কি উপায় কলঙ্কিনী হইলাম ভবে

সখী করি কি উপায় শ্ৰীনন্দের নন্দন কানু রহিল কোথায়

সখী কি করি উপায় যার লাগি বৈরাগী হইলাম

সখী গো এমন শুভ দিন আমার কোনদিন হবে

সখী চল গো সুরধনী জলের ছলে দেখিয়া আসি কৃষ্ণ গুণমণি

সখী চল চল যমুনার জলে

সখী দেখো রঙ্গে কেলি কদম্বতলায় নাচে রাধাবনমালী

সখী বল কি উপায় প্ৰাণ প্রিয়ে বিনে হিয়া ধরনে না যায়

সখী বল গো উপায়

সখী বল বল গো উপায়

সখী যমুনা পুলিনে গো যাবে নি শ্যাম দরশনে

সখী যাও গো মথুরায় আমার খবর কইও গিয়া

সখী রাত্র হইল ভোর

সখী ললিতা বিশখা শ্ৰীকৃষ্ণ বিহনে প্ৰাণ দায় হইল রাখা

সখী শুন গো ললিতে

সখী হেরো রাধার বন্ধুয়ায় অগুরু চন্দন মাখা সোনার নেপুর পায়

সজনি আমি পাই না ধৈর্য ধরিতে

সজনি প্ৰাণবন্ধুরে কইও বুঝাইয়া

সজনি সই বল গো তোরা কই গেলে কোথায় পাই

সজনী আমি কি হেরিলাম গৌরাঙ্গরূপ মনোহরা

সজনী ও সজনী আইল না শ্যাম গুণমণি

সজনী গো গুরু ধন ধন চিনলাম না

সজনী গো নুতন প্রেম বাড়াইয়া নিল প্ৰাণি

সজনী গো, আমারে বন্ধুর মনে নাই

সজনী গো- আমি প্রাণবন্ধুর পিরিতে মরা

সজনী জলে গিয়াছিলাম একেলা

সজনী জলে গিয়াছিলাম একেলা

সজনী পিরিত কি ধন চিনিলায় না, পাতল স্বভাব গেল না

সজনী বল গো তোরা বাঁশি বাজায় কে

সজনী সই গো, আমি রইলাম কার আশায়

সজনী, আমি ভাবের মরা মইলাম না

সদায় পিঞ্জরে বসে রাধাকৃষ্ণ ভাবো না

সন্ধ্যাকালে ডাকি বসি খেওয়া ঘাটে গাঙ্গের কূল