মৃতেরা কথা বলে না – ২

০২.

ভুবনেশ্বর এয়ারপোর্ট থেকে প্লেন ছাড়ার কথা বিকেল সাড়ে পাঁচটায়। কিন্তু সেদিনই বিকেলে প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন জনসভায় ভাষণ দিতে। এয়ারপোর্ট পর্যন্ত সারা পথ পুলিশে ছয়লাপ। নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা কোনও মাছি গলতে দেয়নি। জেনিথ ফার্মাসিউটিক্যালসের চিফ এক্সিকিউটিভ শান্তশীল দাশগুপ্ত এয়ারপোর্টের দিকে রওনা হয়েই জ্যামে আটকে গিয়েছিল। কোম্পানির লোকাল ব্রাঞ্চের আনকোরা গাড়িতে এয়ারকন্ডিশনিং ছিল অবশ্য। নইলে এই শেষ মার্চেই আবহাওয়া যা তেজী, চামড়া ভাজা-ভাজা হয়। ড্রাইভার নেমে গিয়ে খবর আনল। অন্তত তিন ঘণ্টা আটকে থাকতে হবে। গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরে যাওয়া অসম্ভব।

কিন্তু শান্তশীলকে আজ রাতে কলকাতা ফিরতে হবে। কারণ পরদিন সকালেই স্ত্রী মধুমিতাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি বহরমপুরে যেতে হবে। শ্বশুরমশাই অসুস্থ। তাকে নিয়ে সেদিনই যেভাবে তোক কলকাতা আনতে হবে। নার্সিংহোমে বলা আছে। কার্মব্যস্ত একজন জামাইয়ের পক্ষে এটা একটা উটকো ঝামেলা। কিন্তু উপায় নেই। প্রেম করা বিয়ে।

রাত সাড়ে আটটায় রাস্তা মুক্ত হলো। প্লেনটাও প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে বাঙ্গালোরে অপেক্ষা করছিল। অবশেষে ভুবনেশ্বরে নেমে আবার যখন উড়ল, তখন রাত কাটায়-কাঁটায় পৌনে দশটা।

দমদমে পৌঁছে শান্তশীল একটু অবাক হয়েছিল। তার জিপসি মারুতিতে মউ(মধুমিতা) নেই। ড্রইভার আক্রাম একা এসেছে। সে সেলাম দিয়ে সবিনয়ে জানাল, মেমসাব আসতে পারেননি। কী সব জরুরি কাজ আছে। এবং সে সন্ধ্যা ছটা থেকে গাড়ি নিয়ে এখানে অপেক্ষা করছে।

সানশাইন হাউজিং কমপ্লেক্সের বি-মার্কা বাড়ির দোতলায় শান্তশীলের অ্যাপার্টমেন্ট। ওটার মালিক তার কোম্পানি। মউ দরজা খুলে বলল, এয়ারপোর্টে ফোন করেছি– অন্তত পাঁচবার। কী ব্যাপার?

তার মুখে গাম্ভীর্য ছিল। শান্তশীলের অনুমান, সেটার কারণ মউয়ের বাবার অসুখ। ভুবনেশ্বর যাওয়ার দিন থেকেই এই গাম্ভীর্য এবং অন্যমনস্কতা লক্ষ্য করেছে। শান্তশীল। এখন সে ভীষণ ক্লান্ত। অল্পকথায় দেশের নেতাদের বিরুদ্ধে কিছু বলার পর সে পোশাক না বদলেই সেলার খুলল। আগে এক চুমুক ব্র্যান্ডি।

মউ আস্তে বলল, প্রায় এগারোটা বাজে। কাল মর্নিংয়ে—

 জানি। একটু সামলে উঠতে দাও।

 মউ ঠোঁট কামড়ে ধরে তাকে দেখছিল।

 শান্তশীল বলল, কী? আবার কিছু খবর এসেছে নাকি?

 নাহ্।

তোমাকে বড় উদ্বিগ্ন দেখাচ্ছে মউ!

মউ ছোট্ট শ্বাস ফেলে বলল, ও কিছু না। তুমি দেরি করো না। আমি কিচেনে যাচ্ছি।

সে চলে গেল। শান্তশীল দ্রুত ব্র্যান্ডি শেষ করে চাঙ্গা বোধ করল। পোশাক বদলে সে বাথরুমে ঢুকল। বাথরুমের দরজা বন্ধ করার প্রশ্ন ওঠে না। এটা ড্রয়িংরুম সংলগ্ন বাথরুম। আরেকটা আছে বেডরুম সংলগ্ন। ড্রয়িংরুমে এবং বেডরুমে দুটো টেলিফোন আছে। বেডরুমেরটার নাম্বার একান্তই প্রাইভেট এবং ডাইরেক্টরিতে ছাপা থাকে না। কোম্পানির ব্যাপারে এটা হটলাইন বলা যায়। ড্রয়িংরুমের ফোনটা বেজে উঠতে শুনল শান্তশীল। এত রাতে কার ফোন? বহরমপুর থেকে ট্রঙ্ককল নাকি?

জ্বালাতন! জৈবকৃত্যের সময় বলেও নয়, প্রেমের দাম বড্ড বেশি আদায় করা হচ্ছে– শান্তশীল ইদানীং মউ সম্পর্কে এরকম ভাবে। অথচ মউকে ছেড়ে বাঁচুবে না এমন একটা বিশ্বাসও তাকে ছুঁয়ে আছে যেন। মউকে সে সত্যিই ভালবাসে এবং মউও তাকে প্রকৃতই ভালবাসে, তা নিজের পদ্ধতি অনুসারে সে যাচাই করে নিয়েছে। তবে মউ অভিনেত্রী ছিল, গ্রুপথিয়েটার থেকে কমার্শিয়াল থিয়েটার এবং শেষে টেলিসিরিয়ালে চান্স পেয়ে মোটমুটি নাম করেছিল। হিন্দি ফিল্ম অফার এসেছিল। কেরিয়ারের সেই বাঁকে, জিরো আওয়ারের দিকে এগিয়ে যাওয়ার মুহূর্তেই শান্তশীল তাকে আশ্চর্য দক্ষতায় করায়ত্ত করেছিল। কিংবা এটা প্রেমের চোরাবালিতে মউয়ের আকস্মিক পতন। অবশ্য শান্তশীলের পক্ষ থেকে কোনও বাধা ছিল না। অথচ মউ তাকে ছেড়ে এক পা কোথাও বাড়াতে চায়নি বা চায় না। কী অসামান্য সেই উচ্চারণ, বাইরে গেলে আমি নষ্ট হয়ে যাব!

নাহ্, অভিনয় মনে হয়নি। শান্তশীলের মধ্যে মেলশোভিনিজম আছে, যা সে সাবধানে চাপা দিয়ে রাখে এবং মউয়ের মধ্যে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ের মানসিকতাসঞ্জাত আত্মসমর্পণের ঝোঁক আছে, শান্তশীলের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি তা লক্ষ্য করেছিল। আসলে শান্তশীলের উত্থান ধাপে ধাপে। অনেক ঘা খেয়ে, অনেক অপমান দাঁত চেপে সহ্য করতে করতে এবং অনেক শ্রম বুদ্ধি-স্মার্টনেসের পরিণাম তার কেরিয়ারিস্ট জীবনের এই অবস্থান। সে নিজেকে মার্কিন ভঙ্গিতে বলে ইয়াপ্পি,ইয়ং আরবান অ্যামবিশাস প্রোফেশনাল পার্সন। মাত্র তিরিশ বছর বয়সে জেনিথ ওষুধ সংস্থার প্রধান কার্যনির্বাহক পদে বসা কেরিয়ারিস্ট মধ্যবিত্ত যুবকের পক্ষে একসময় তো অকল্পনীয় ছিল। এখন এটা হচ্ছে। তরুণ রক্ত শিল্প বাণিজ্য মহলে এখনকার স্লোগান।

কিন্তু মউয়ের উত্থানে আছে পর পর কিছু আকস্মিকতা। সেটা স্বাভাবিক অভিনয় জগতে। হঠাৎ কারও চোখে পড়ে যাওয়ার ব্যাপারটাই বেশি কাজ করে। মউ অভিনয়জগতের প্রভাবশালী কিছু লোকের চোখে পড়ে গিয়েছিল। তারা এখনও কেউ কেউ পিছু ছাড়েনি। কিন্তু শান্তশীলের ঝকমকে এবং দৃঢ় ব্যক্তিত্ব তাদের দমিয়ে দেয়।..

টেলিফোনের রিং বন্ধ হয়েছিল। শান্তশীল দাঁত ব্রাশ করতে করতে (খাওয়ার আগেই এত রাতে দাঁত ব্রাশ করার কারণ আজ ভুবনেশ্বরের ফাইভস্টার হোটেলে এ কাজের সময় পায়নি) পর্দার এক ইঞ্চি ফাঁক দিয়ে দেখল, মউ টেলিফোনে কথা বলছে। কণ্ঠস্বর চাপা। তাছাড়া তখনও কোমোডে জলের কলকল শব্দ। কিছু বোঝা গেল না।

শান্তশীল দাঁত ব্রাশ করে সাবান দিয়ে মুখ ধুয়ে নিল। ভুবনেশ্বরের যে প্রান্তে তার কোম্পানির নতুন কারখানা এবং অফিস, সেখানে প্রচণ্ড ধুলো। লনের ঘাস বৃক্ষলতাকুঞ্জ ধুলোয় লাল। মার্চের শেষে জোরালো হাওয়া দূরের একটা টিলার গায়ের রাস্তা থেকে ক্রমাগত লাল ধুলো উড়িয়ে নিয়ে আসছিল। ম্যানেজার। গোপাল দাস বলেছিলেন সাইট সিলেকশন ঠিক হয়নি। আমার বাংলোয় গেলে দেখবেন কী শোচনীয় অবস্থা! হোলি শেষ হয়নি হাঃ হাঃ হাঃ!

তোয়ালেতে মুখ মুছে ক্রিম ঘষে শান্তশীল বেরিয়ে এল। ড্রয়িংরুমে মউ নেই। খেয়ালবশে অর এক চুমুক ব্র্যান্ডি পান করে ধীরেসুস্থে সে কিচেন কাম ডাইনিংয়ে গেল। অবাক হলো, মউ নেই।

সে আস্তে ডাকল, মউ!

কোনও সাড়া পেল না। টেবিলে থালা সাজানো আছে। জলের গ্লাস খালি। খাদ্যের সুদৃশ্য পাত্রগুলি ঢাকা। শান্তশীল বেডরুমের পর্দা তুলল। মউ নেই। যষ্ঠেন্দ্রিয় তাকে সন্দিগ্ধ করল এ মুহূর্তে। এগিয়ে গিয়ে বাথরুমের পর্দা সরাল। দরজা বন্ধ। সে ডাকল, মউ!

সাড়া না পেয়ে দরজা খুলল। বাথরুমে মউ নেই। এক মিনিট? কিংবা তারও বেশি। শান্তশীল ড্রয়িংরুম থেকে আবার ডাইনিংয়ে ঘোরলাগা অবস্থায় ঘুরছিল। তারপর হঠাৎ চোখে পড়ল ডাইনিং টেবিলে একটুকরো কাগজ রাখা। কাগজটা তখন তার সহজেই চোখে পড়া উচিত ছিল। পড়েনি। কাগজে খুব তাড়াতাড়ি করে লেখা আছে :

পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করো। আমি আসছি। পাঁচ মিনিট পেরিয়ে গেলেই ই ব্লকের তিনতলায় যাবে। ফিরে এসে সব বলব। ফেরা না হলে–
–তোমার মউ

বাক্যগুলির সঠিক মানে বোঝার আগে তন্মুহুর্তের প্রতিক্রিয়ায় শান্তশীলের মুখ দিয়ে অশালীন একটা কথা বেরিয়ে গেল, ফাকিং হোর!

এমন কুৎসিত গাল মউকে সে আড়ালেও দেওয়ার কথা কল্পনা করেনি কোনও দিন। পরমুহূর্তে তার সম্বিৎ ফিরল। বাক্যগুলির দিকে তীক্ষ্ণদৃষ্টে তাকাল। এ একটা অবিশ্বাস্য ঘটনা। দুঃস্বপ্নের মতো।

অতর্কিতে মউয়ের নেপথ্যজীবন হিংস্র দাঁত বের করেছে যেন। আরও একটু পরে সে বুঝল, ফিরে এসে সব বলব বাক্যটা দ্বিতীয় বাক্য আমি আসছির পর লেখা উচিত ছিল। বেশি তাড়াতাড়ি করতে গিয়ে গণ্ডগোলটা ঘটেছে। কিন্তু ফেরা না হলে–

মাই গুডনেস! শান্তশীল কাগজটা যেমন রাখা ছিল তেমনিই রেখে ব্রান্ডিতে চুমুক দিল। ইদানীং সিগারেট কমিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এসময়ে সিগারেট জরুরি। সে ব্র্যান্ডির গ্লাস হাতে নিয়ে ড্রয়িংরুমে এল। শান্তভাবেই অবস্থার মুখোমুখি হবে স্থির করল।

ইজিচেয়ারে বসে সে সিগারেট ধরাল। বুঝতে পারল না মউ কখন বেরিয়ে গেছে যে তখন থেকে তাকে পাঁচ মিনিট গুনতে হবে? পাঁচ…চার…তিন…দুই…এক এইভাবে জিরো আওয়ারের দিকে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ। এতক্ষণ জিরো আওয়ার হয় তো পেরিয়ে গেছে। আবার শান্তশীলের মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল ফাকিং হোর!

কিন্তু তোমার মউ কথাটা বুকের ভেতর নখের আঁচড় কাটছে টের পেল সে। এই নাটকীয়তার অর্থ কী? ই ব্লকের তিনতলায় কার কাছে এভাবে ছুটে গেছে মউ? ওই ব্লকের কোনও বাসিন্দার সঙ্গে আলাপ নেই শান্তশীলের। মাসতিনেক আগে কোম্পানি তাকে এই অ্যাপার্টমেন্টটা দিয়েছে। তার আগে ক্যামাক স্ট্রিটের একটা পুরনো বাড়িতে ছিল। পদোন্নতির পর এখানে। সে সকাল নটায় বেরিয়ে যায়। ফিরতেও রাত প্রায় নটা-দশটা হয়ে যায়। মউ একা থাকে। তাই শান্তশীল কিছুক্ষণ অন্তর ফোন করে তাকে। বাড়িতে না থাকলে কাজের মেয়ে ললিতা ফোন ধরে জানায়, মেমসায়েব মার্কেটিংয়ে গেছেন। ললিতা ভোরে আসে এবং সন্ধ্যায় চলে যায়।

মার্কেটিং! ললিতা আর কিছু বলতে পারে না। শান্তশীল এতদিন তলিয়ে ভাবেনি। এখন তার কাছে স্পষ্ট, ওটা ললিতাকে মুখস্থ করানো একটা শব্দ মাত্র।

ঠিক আছে! পাঁচ মিনিট পরে ফিরে এলে চরম বোঝাপড়া হবে।

কিন্তু ফেরা না হলে

নড়ে বসল শান্তশীল। ঘড়ি দেখল। এগারোটা পনেরো। জিরো আওয়ার নিশ্চয় পেরিয়ে গেছে। কিন্তু ই ব্লকটা কোনদিকে?

ড্যাম ইট! শান্তশীল সিগারেটের ধোঁয়ার সঙ্গে উচ্চারণ করল। সে রাত এগারোটা পনের মিনিটের পর ই ব্লকের খোঁজে বেরিয়ে পড়বে না। কক্ষনো না। চুল খামচে ধরে সে বসে রইল।

এগারোটা কুড়ি মিনিটে সে সিকিউরিটি অফিসে টেলিফোন করল। আমি শান্তশীল দাশগুপ্ত। বি ব্লকের ৭ নম্বর অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বলছি। ফার্স্ট ফ্লোর। প্লিজ পুট মি টু মিঃ রণধীর সিংহ। দিস ইজ আর্জেন্ট।

সিকিউরিটি অফিসার রণধীর সিংহ এক্স-সার্ভিসম্যান। তার সাড়া এল, বলুন স্যার!

ই ব্লকের সেকেন্ড ফ্লোরে কি কিছু ঘটেছে? খোঁজ নিন তো!

জাস্ট এ মিনিট স্যার! দয়া করে একটু ধরুন!..এক মিনিট পরে সাড়া এল। আমাদের লোক গেল। আপনার নম্বর জানাবেন?

শান্তশীল নম্বর বলল। তারপর আড়ষ্ট হাতে ফোন রাখল। অবার একটু ব্র্যান্ডি ঢেলে আনল গ্লাসে। চুমুক দিয়ে চোখ বুজল। হ্যাঁ, জীবনে এই ঘা খাওয়াটা সবচেয়ে জোরালো। সবচেয়ে অপমানজনক। এ অপমান সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের। কারণ একটি মেয়ে তাকে প্রতারিত করেছে এবং বিশ্বাসের উপর আঘাত হেনেছে।

কিছুক্ষণ পরে টেলিফোন বাজল। শান্তশীল তাড়াহুড়ো না করে টেলিফোন তুলল।

মিঃ দাশগুপ্ত? ব্লক বি, অ্যাপার্টমেন্ট সেভেন?

হ্যাঁ। বলুন!

আমি রণধীর সিংহ বলছি। ই ব্লকের এক নম্বর লিফটের মধ্যে এক ভদ্রমহিলার বডি পাওয়া গেছে। তাকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করে মারা হয়েছে। পুলিশকে জানানো হয়েছে। দুঃখিত মিঃ দাশগুপ্ত! আপনার সঙ্গে পুলিশ আসার আগেই আমার কথা বলা দরকার। আমি যাচ্ছি। ঠিক আছে?

কেন আমার সঙ্গে কথা বলা দরকার মিঃ সিংহ?

অন্যভাবে নেবেন না স্যার! কারণ আপনিই আমাকে ই ব্লকে খোঁজ নিতে বলেছিলেন।

হ্যাঁ। বুঝেছি। আসুন।

টেলিফোনে হাত রেখে বসে রইল শান্তশীল। সে ভাবতে চেষ্টা করল, এটা একটা বড় স্ক্যান্ডাল এবং এই স্ক্যান্ডাল তার কেরিয়ারের কোনও ক্ষতি করবে কি না! হ্যাঁ। প্রেম ট্রেমের চেয়ে বড় কথা, সে একজন ইয়াপ্পি..

.