১৬. শ্রীকৃষ্ণ কর্ত্তৃক ভীমের মূর্চ্ছা ভঙ্গ এবং পাণ্ডবগণের পরাভব

সঞ্জয় বলেন, পরে কর অবধান।
দিব্য দিব্য অস্ত্র গুরু করিল সন্ধান।।
ধৃষ্টদ্যুম্নেরে বিন্ধিয়া বিন্ধিলেক সাত্যকি।
নানা অস্ত্র বিন্ধে ধৃষ্টদ্যুম্নেরে ধানুকী।।
নিরন্তর অস্ত্র ফেলে পাঞ্চাল উপর।
লক্ষ লক্ষ পাঞ্চালেরে করিল সংহার।।
যতেক পাঞ্চালগণ ত্রাসিত অন্তর।
ভঙ্গ দিল সৈন্যগণ রণে পেয়ে ডর।।
দ্রোণের বিক্রমেতে কম্পিত সৈন্যগণ।
ভঙ্গ দিল সবে যে সহিতে নারে রণ।।
বাহিনীর ভঙ্গে ধৃষ্টদ্যুম্ন কোপে জ্বলে।
কটুবাক্য আচর্য্যেরে বলিল বহুলে।।
যাজমুনির আজ্ঞা কভু না হয় খণ্ডন।
অবশ্য আমার হাতে তোমার নিধন।।
বিদ্যমানে আজি মোর দেখিবে ত রণ।
রণমধ্যে তোমার করিব অপমান।।
রথ ধ্বজ সারথি করিব খণ্ড খণ্ড।
ক্ষুদ্র মৃগ মারে যেন কেশরী প্রচণ্ড।।
ক্ষুদ্র সর্প মারে যেন প্রমত্ত গরুড়।
এইবারে তোমারে পাঠাব যমঘর।।
এত বলি রুদ্রঅস্ত্র যুড়িল ধনুকে।
বিদ্যুতের আভা অগ্নি উঠে অস্ত্রমুখে।।
আকর্ণ পূরিয়া বীর এড়ে রুদ্রশর।
ঘোর শব্দে আইসে অস্ত্র শূন্যে করি ভর।।
হাসিয়া আচার্য্য অস্ত্র এড়িল প্রচণ্ড।
অর্দ্ধপথে বাণ কাটি করিল দ্বিখণ্ড।।
ক্রোধে ধৃষ্টদ্যুম্নে ডাকি বলে গুরু দ্রোণ।
এই অস্ত্রে তোরে দিব শমন-ভবন।।
অসংখ্য যে কটুবাক্য বলহ আমায়।
বুঝিয়া করহ আজি আপন উপায়।।
প্রিয়সখা-পুত্র বলি না মারি যে তোরে।
মোর ক্রোধ হৈল আজি যাবি যমঘরে।।
এত বলি দিব্য অস্ত্র যোড়ে ধনুকেতে।
সহস্র সহস্র অস্ত্র প্রসবে তাহাতে।।
আকর্ণ পূরিয়া অস্ত্র এড়িল সত্বর।
শরজালে অন্ধকার হইল অম্বর।।
কুজঝটীতে যেন আচ্ছাদিল দিবাকর।
সেইরূপ ধৃষ্টদ্যুম্ন সমর-ভিতর।।
নাহিক সম্ভ্রম বীর দ্রুপদ-নন্দন।
খড়্গ-চর্ম্ম লৈয়া কৈল বাণ নিবারণ।।
বায়ু যেন নিবারিল ঘোর বরিষণ।
ক্রোধেতে হইল গুরু অনল সমান।।
কালরুদ্র নামে অস্ত্র দ্রোণের আছিল।
ক্রোধে গুরু ধৃষ্টদ্যুম্ন উপরে ক্ষেপিল।।
আকাশে উঠিল শক্তি উল্কার সমান।
বাণে হানি ধৃষ্টদ্যুম্ন কৈল খান খান।।
শক্তি ব্যর্থ গেল দ্রোণ পাইল লাজ।
গদা ফেলি মারিলেক হৃদয়ের মাঝ।।
মহাশক্তি ধৃষ্টদ্যুম্ন সমরে প্রচণ্ড।
বাণেতে হানিয়া গদা কৈল খণ্ড খণ্ড।।
অতিক্রোধে হৈল গুরু অগ্নি সমান।
খুরুপা-বাণেতে তার কাটে ধনুখান।।
আর ধনু ধৃষ্টদ্যুম্ন লইল ত্বরিতে।
সেই ধনু কাটি দ্রোণ পাড়িল ভূমেতে।।
যত ধনু ধৃষ্টদ্যুম্ন লয়ে যোধপতি।
লইতে লইতে কাটে দ্রোণ মহামতি।।
ধনু কাটা গেল বীর ক্রোধ হৈল মনে।
গদা ফেলি আচার্য্যেরে হানে ততক্ষণে।।
দুই বাণে গদা কাটি কৈল খণ্ড খণ্ড।
অষ্টবাণে ধৃষ্টদ্যুম্নে বিন্ধিল প্রচণ্ড।।
দুই বাণে রথধ্বজ কাটিয়া ফেলিল।
চারি বাণে চারি অশ্ব পরাণে মারিল।।
দুই বাণে সারথির মস্তক কাটিল।
গদা হাতে ধৃষ্টদ্যুম্ন ভূমেতে পড়িল।।
গদা ঘুরাইয়া বীর ধায় বায়ুবেগে।
সিংহ যেন মারিবারে ধায় ক্ষুদ্র মৃগে।।
চারি অশ্ব মারিল মারিয়া গদাবাড়ি।
সারথির কেশে ধরি ভূমিতলে পাড়ি।।
রথ অশ্ব গদাঘাতে চূর্ণ হৈয়া গেল।
খড়্গ-চর্ম্ম লৈয়া দ্রোণ ভূতলে পড়িল।।
দুইখান হৈল গদা খড়্গের প্রহারে।
খড়্গ-চর্ম্ম লৈল হাতে ধৃষ্টদ্যুম্ন বীরে।।
হেনকালে ভীম আইল সাহায্য কারণ।
দ্রোণের উপরে কৈল বাণ বরিষণ।।
শীঘ্রগতি দুই রথ যোগায় সারথি।
রথে চড়ি দুই বীর পেল অব্যাহতি।।
মহাবীর বৃকোদর সমরে প্রচণ্ড।
একে একে কুরুসৈন্য কৈল লণ্ডভণ্ড।।
ভীমে দেখি ভঙ্গ দিল যত সৈন্যগণ।
ভীমে নিবারণ হেতু আইল দুর্য্যোধন।।
জয়দ্রথ সুশর্ম্মা কলিঙ্গ নরপতি।
দুঃশাসন ভূরিশ্রবা শকুনি প্রভৃতি।।
সহস্র সহস্র রথী সঙ্গে পরিবার।
ভীমের উপরে করে অস্ত্র অবতার।।
শেল শূল শক্তি জাঠা মুষল মুদগর।
পরিগ নারাচ আদি ভূষণ্ডী তোমর।।
শিলীমুখ সুচীমুখ বাণ কর্ণিকার।
রুদ্রঅস্ত্র ভল্লঅস্ত্র ভৈরব অপার।।
নিরন্তর বৃষ্টি করে ভীমের উপর।
বরিষা-কালেতে যেন বর্ষে জলধর।।
খড়্গ-চর্ম্ম লৈল বীর সমরে প্রচণ্ড।
যত অস্ত্র এড়ে কাটি করে খণ্ড খণ্ড।।
সুরথ নামেতে কলিঙ্গের সহোদর।
ক্রোধে অস্ত্রবৃষ্টি করে ভীমের উপর।।
ক্রোধ হৈল ভীমসেন সমরে প্রখর।
খড়্গ-চর্ম্ম এড়ি পুনঃ লৈল ধনুঃশর।।
আকর্ণ পূরিয়া দিল ধনুকে টঙ্কার।
নানাবিধ দিব্য অস্ত্র করে অবতার।।
ক্রুদ্ধ হৈয়া হানিল সংগ্রামে মহাবীর।
অষ্ট বাণে সুরথের বিন্ধিল শরীর।।
শীঘ্রহস্ত ভীম পুনরপি অস্ত্র নিল।
অর্দ্ধচন্দ্র চাণে তার শিরশ্ছেদ কৈল।।
রথ হৈতে মহাবীর ভূমিতে পড়িল।
হাহাকার শব্দ কলিঙ্গের দলে হৈল।।
ভ্রাতৃশোকে রুষিল কলিঙ্গ নরপতি।
নানা অস্ত্র মারি বিন্ধে ভীম মহামতি।।
শেল শূল ভঙ্গিয়ান পরিঘ তোমর।
ভৈরব নারাচ আদি নানা অস্ত্রবর।।
নিরন্তর বৃষ্টি করে ভীমের উপর।
আষাঢ় শ্রাবণে যেন বর্ষে জলধর।।
মহাবল বৃকোদর পবন-নন্দন।
শরে শর হানিয়া করিল নিবারণ।।
রুষিল কলিঙ্গ রাজা সমরে প্রচণ্ড।
চারি অশ্ব ভীমের করিল খণ্ড খণ্ড।।
পুনরপি ধনুক কাটিল দুই বাণে।
হাতে গদা লৈয়া লাফ দিল ততক্ষণে।।
গদা হাতে করি বীর খেদিয়া চলিল।
গজেন্দ্রে মারিতে যেন মৃগেন্দ্র ধাইল।।
নির্ভয়ে মারিল গদা কলিঙ্গ উপরে।
বজ্রের প্রহারে যেন গিরি চূর্ণ করে।।
গদার প্রহারে বীর ত্যজিল শরীর।
রথ হৈতে পড়িল কলিঙ্গ মহাবীর।।
যত সহোদরগণ কলিঙ্গের ছিল।
ভীমের উপরে সবে অস্ত্র বরষিল।।
পুনরপি ভীম হাহে খড়্গ চর্ম্ম হৈল।
যত অস্ত্রবৃষ্টি কৈল সকলি নাশিল।।
সত্যসিংহ নামেতে কলিঙ্গ সহোদর।
খড়্গেতে কাটিল তারে বীর বৃকোদর।।
আর যত সহোদর কলিঙ্গের ছিল।
খড়্গে কাটি ভীমসেন খণ্ড খণ্ড কৈল।।
দুই সহস্র মহারথী করিল নিধন।
আশোয়ার পদাতিক না হয় গণন।।
রক্তে নদী বহে ঠাট রক্তেতে সাঁতারে।
শকুনি গৃধিনীগণ ছাইল অম্বরে।।
ভয়ঙ্কর-বেগ ভীম ভয়ঙ্কর মূর্ত্তি।
হাতে খড়্গ চর্ম্ম যেন যুগান্তরবর্ত্তী।।
ভীমের বিক্রম সবে সহিতে নারিল।
ভয় পাইয়া কুরুসৈন্য রণে ভঙ্গ দিল।।
সৈন্য ভঙ্গ দেখি ভীষ্ম হৈয়া ক্রোধ মন।
নানাবিধ অস্ত্র বীর করে বরিষণ।।
দিব্য শিক্ষা গঙ্গাপুত্র প্রতাপে প্রচণ্ড।
খড়্গ-চর্ম্ম বীরের করিল খণ্ড খণ্ড।।
দিব্য অস্ত্র এড়ে তবে ভীমের উপর।
শরেতে জর্জ্জর তনু বীর বৃকোদর।।
সর্ব্বাঙ্গে বহিয়া পড়ে রুধিরের ধার।
তথাপি ভ্রূক্ষেপ নাহি পবন-কুমার।।
পঞ্চবাণ ভীষ্মদেব মারে শীঘ্রগতি।
চূর্ণরথ হতজ্ঞান ভীম মহামতি।।
শীঘ্র রথ যোগাইল আনিয়া সারথি।
অধিক মারিল অস্ত্র ভীম মহামতি।।
সর্ব্বাঙ্গে শোনিত বহে পবন-নন্দন।
রথে করি সারথি লইল ততক্ষণ।।
যথা কৃষ্ণার্জ্জুন আছে সাত্যকি সুধীর।
তথাকারে লয়ে গেলা ভীম মহাবীর।।
অজ্ঞান শরীর ভীম দেখিয়া অর্জ্জুন।
বহু বিলাপিয়া দোঁহে করিল শোচন।।
ক্ষণেক শোচন করি দেব জনার্দ্দন।
অর্জ্জুনে চাহিয়া বলে আশ্বাস বচন।।
মুহূর্ত্তেকে রথ-অশ্ব ধর প্রাণসখা।
বীর বৃকোদর সহ করে আসি দেখা।।
কিছু চিন্তা সখা তুমি না কর অন্তরে।
এইক্ষণে সুস্থ আমি করিব ভীমেরে।।
এত বলি রথ হৈতে নামি নারায়ণ।
শীঘ্রগতি আইলা যথা পবন-নন্দন।।
শরেতে জর্জ্জর তনু দেখি বৃকোদর।
পদ্মহস্ত অঙ্গে বুলাইলা দামোদর।।
স্পর্শমাত্র দূর হৈল অঙ্গের বেদন।
রবির উদয় যেন কাঞ্চন বরণ।।
প্রণমিয়া গোবিন্দে বলিলা মহামতি।
তোমার প্রসাদে আমি পাই অব্যাহতি।।
জয় জয় শব্দ কৈল পাণ্ডবের নাথ।
জগতের হর্ত্তা কর্ত্তা দেব জগন্নাথ।।
এইরূপে বহু স্তুতি কৈল যাদবেরে।
আশ্বাসিয়া ভীমসেনে আইলা সত্বরে।।
অর্জ্জুনেরে কহিলা এ সব বিবরণ।
বহু স্তুতি কৈল তবে ইন্দ্রের নন্দন।।
সঞ্জয় বলেন, রাজা কর অবগতি।
অবসর পেয়ে রণে ভীষ্ম যোদ্ধাপতি।।
কালাগ্নি সমান রণে গঙ্গার নন্দন।
বহু সৈন্য পাণ্ডবের করিল নিধন।।
সহস্র সহস্র রথী পত্তি অগণন।
কোটী কোটী অশ্ব হ্স্তী না হয় লিখন।।
শোণিতে বহিছে নদী অতি বেগবতী।
রক্তজলে পদাতিক ভাসে মত্ত হাতী।।
শকুনি গৃধিনীগণে আকাশ ছাইল।
শৃগাল কুকুরগণ রক্তে সাতাঁরিল।।
ভীষ্মের প্রতাপ সহে আছে কোন্ জন।
ভঙ্গ দিল পাণ্ডবের যত সৈন্যগন।।
পুনরপি ভীমসেন রাজা যুধিষ্ঠির।
সহদেব নকুলাদি সাত্যকি সুধীর।।
বহু শক্তি করি সৈন্য রাখিতে নারিল।
লণ্ডভণ্ড হয়ে ব্যূহ সকলি ভাঙ্গিল।।
সুদেব নকুল আদি যত যত বীর।
শর বিন্ধি ভীষ্ম বীর করিল অস্থির।।
দৈবযোগে শিখণ্ডী দিলেক দরশন।
নহে পাণ্ডু সৈন্য সব হইত নিধন।।
ভীষ্মের প্রতাপ দেখি রাজা দুর্য্যোধন।
অনুমানে ভাবয়ে নৃপতি মনে মন।।
আজিকার রণে হৈবে পাণ্ডব নিধন।
সিংহনাদ কৈল যত কৌরবের দল।
যুধিষ্ঠির নরপতি হইল বিকল।।
হেনকালে কৃষ্ণার্জ্জুন আইল সেখানে।
আশ্বাসিয়া সর্ব্বসৈন্য প্রবেশিলা রণে।।
দিব্য শিক্ষা ধনঞ্জয় সংগ্রামে প্রচণ্ড।
মুহূর্ত্তেকে কুরুসৈন্য কৈল লণ্ডভণ্ড।।
হস্থী যেন প্রবেশিল কদলীর বনে।
সিন্ধুজল মন্থে যেন কশ্যপ-নন্দনে।।
নানাবিধ অস্ত্র বীর করে অবতার।
রথী মহারথিগণ মারিল অপার।।
আশোয়ার পদাতিক মল্ল অগণন।
যতেক মারিল পার্থ না হয় লিখন।।
ধ্বজচ্ছত্র গজ বাজি পড়িল বিস্তর।
বিচিত্র হইল শোভা ধরণী-উপর।।
দ্রোনেরে চাহিয়া তবে বলে গঙ্গাসুত।
পার্থের বিক্রম তুমি দেখহ অদ্ভুত।।
একেশ্বর কুরুসৈন্য কৈল লণ্ডভণ্ড।
ক্ষুদ্রমৃগ মারে যেন কেশরী প্রচণ্ড।।
ত্রিভুবনে নাহি বীর অর্জ্জুন সমান।
ব্যাঘ্র যেন খেদি মারে ছাগপশুগণ।।
দেখ মোর সৈন্য গুরু মারিল অর্জ্জুন।
না বুঝিয়া হেন পণ কৈল দুর্য্যোধন।।
অকারণে পার্থ সহ বাড়াইল রণ।
এত শুনি হাসি কহে দ্রোণ মতিমান।।
যে কহিলে কুরুবর সকলি প্রমাণ।
তবে কেন নাহি কর নিধন বিধান।।
কৌরবের পরাজয় পাণ্ডবের জয়।
আজিকার রণে সব হইল প্রলয়।।
অর্জ্জুন সমান বীর নাহিক সংসারে।
কার শক্তি নিবারিবে পার্থ বীরবরে।।
উত্তর -গো-গৃহ হৈতে গোধন-হরণে।
একেশ্বর সবাকারে রণ করে জিনে।।
দুর্য্যোধন দেখিল আপন বিদ্যমান।
তথাপি না হইল তাহার দিব্য জ্ঞান।।
আপনার ভালমন্দ চিত্তে না গণিল।
দৈবে বলাবল বুদ্ধি দৈবেতে হরিল।।
যখন যে বিধি করে শুন মহাজন।
প্রাণ উপেক্ষিয়া সবে মিলি কর রণ।।
এই দোঁহে হৈল যদি কথোপকথন।
পুনঃ রণে প্রবেশিল গঙ্গার ন্ন্দন।।
আশ্বাসিয়া সুস্থির করিল সৈন্যগণ।
ভীষ্মার্জ্জুনে পুনরপি হৈল মহারণ।।
অন্যে অন্যে দুই দলে হৈল হানাহানি।
লিখনে না যায় যত পড়িল বাহিনী।।
অস্ত্র গেল দিবাকর প্রবেশিল রাতি।
দুই দলে চলি গেল যে যার বসতি।।
মুনি বলে জন্মেজয় কর অবধান।
ষষ্ঠ দিবসের যুদ্ধ হৈল সমাধান।।
মহাভারতের কথা অমৃত-লহরী।
শুনিলে অধর্ম্ম খণ্ডে হেলে ভব তরি।।
কাশীরাম দাস কহে রচিয়া পয়ার।
অবহেলে শুনে যেন সকল সংসার।।