তৃতীয় অধ্যায়
১২৭০ [1863-64] ১৭৮৫ শক ॥ রবীন্দ্রজীবনের তৃতীয় বৎসর
এই বৎসরের একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য ঘটনা ১১ অগ্রহায়ণ [বৃহস্পতি 26 Nov] রবীন্দ্রনাথের সেজদাদা হেমেন্দ্রনাথের বিবাহ। হেমেন্দ্রনাথের বয়স তখন ১৯ বৎসর ১০ মাস। তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-য় সংবাদটি এইভাবে পরিবেশিত হয় : ‘ব্রাহ্মবিবাহ। পাঠকবর্গ ইতিপূর্ব্বেই শ্রুত হইয়া থাকিবেন যে, গত ১১ অগ্রহায়ণ ব্রাহ্মসমাজের প্রধান আচার্য্য শ্ৰীযুক্ত দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের তৃতীয় পুত্র শ্রীমান হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুরের শুভবিবাহ ব্রাহ্মধৰ্ম্মমতে সাত্রাগাছী গ্রামে সম্পন্ন হইয়া গিয়াছে। কন্যাকর্ত্তার নাম শ্রীযুক্ত হরদেব চট্টোপাধ্যায় এবং কন্যাটির নাম শ্রীমতী নীপময়ী দেবী। এই বিবাহোপলক্ষে প্রায় ২০০ কলিকাতাস্থ ব্রাহ্ম বরের অনুযাত্র হইয়াছিলেন। এতদ্ব্যতিরেকে সাত্রাগাছীরও কোন কোন ব্রাহ্ম উপস্থিত ছিলেন। বিবাহরাত্রিতে সর্ব্বশুদ্ধ প্রায় ৪০০/৫০০ লোকের সমাগম হইয়াছিল। ব্রাহ্মধর্ম্মের অনুষ্ঠান প্রারম্ভাবধি একাল পর্যন্ত বিবাহ বিষয়ে দুইটি কাৰ্য্য সম্পন্ন হইল।’১ এই বিবাহ খুব সহজে সম্পন্ন হয়নি, বিরোধীদের আক্রমণের আশঙ্কায় পুলিশের সাহায্য নেবারও প্রয়োজন হয়েছিল। এর একটি আকর্ষণীয় বর্ণনা হেমেন্দ্রনাথ নিজেই লিখে রেখে গেছেন।* বিবাহের পর তাঁর ইংলণ্ডে যাবার প্রস্তাব ওঠে, ‘ইণ্ডিয়ান মিরর’ পত্রিকায় এই মর্মে সংবাদও প্রকাশিত হয়। সত্যেন্দ্রনাথের স্ত্রীকে লেখা 26 Feb 64-এর [শুক্র ১৫ ফাল্গুন] পত্রেও২ তার উল্লেখ আছে। কিন্তু যে-কোনো কারণেই হোক, এ প্রস্তাব ফলপ্রসূ হয়নি।
স্ত্রী-শিক্ষা বিষয়ে সত্যেন্দ্রনাথের উৎসাহের সীমা ছিল না—তিনি ইংলণ্ড থেকেও পত্রে পত্নীকে শিক্ষাগ্রহণে উৎসাহিত করেছিলেন। হেমেন্দ্রনাথেরও এ বিষয়ে যথেষ্ট অনুরাগ ছিল। জ্ঞানদানন্দিনী দেবী লিখেছেন :
বিয়ের পর আমার সেজদেওর হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর ইচ্ছে করে আমাদের পড়াতেন। তাঁর শেখাবার দিকে খুব ঝোঁক ছিল।…আমরা মাথায় কাপড় দিয়ে তাঁর কাছে বসতুম আর এক একবার ধমক দিলে চমকে উঠতুম। …আমার যা কিছু বাংলা বিদ্যা তা সেজঠাকুরপোর কাছে পড়ে। মাইকেল প্রভৃতি শক্ত বাংলা বই পড়াতেন। …উনি বিলেত থেকে ঠাকুরপোকে লিখে পাঠিয়েছিলেন আমাকে ইংরেজী শেখাতে, কিন্তু সেটা অক্ষরপরিচয়ের বড় বেশি এগোয় নি।’৩
খ্রিস্টান মিশনারি শিক্ষয়িত্রীর দ্বারা মেয়েদের লেখাপড়া শেখানোর চেষ্টার পরিণতি পূর্বেই উল্লিখিত হয়েছে। অবশ্য পরেও 1865-এ [১২৭১-৭২] জনৈকা ‘বিবি এ ডিশোজা বাটীর মধ্যে’ পড়ানোর জন্য বেতন পেয়েছেন, পারিবারিক হিসাবের খাতায় আমরা এমন উল্লেখ দেখেছি। যাই হোক, বর্তমানে এই কাজে নিযুক্ত হলেন ব্রাহ্মসমাজের উপাচার্য অযোধ্যানাথ পাকড়াশী। কেশবচন্দ্রের পর এই প্রথম একজন অনাত্মীয় পুরুষ দেবেন্দ্রনাথের অন্তঃপুরে প্রবশে করেন। স্বর্ণকুমারী দেবী লিখেছেন :
তখন আমার মেজ [? সেজ]-দাদামশায়ের বিবাহ হইয়া গিয়াছে। বৌঠাকুরাণী তিনজন, মাতুলানী, দিদি ও আমরা ছোট তিন বোন সকলেই তাঁহার কাছে অন্তঃপুরে পড়িতাম। অঙ্ক, সংস্কৃত, ইতিহাস, ভূগোল প্রভৃতি ইংরাজী স্কুলপাঠ্য পুস্তকই আমাদের পাঠ্য ছিল। বঙ্গ-মহিলার সাধারণ প্রচলিত একখানি মাত্র সাড়ী পরিধানে অনাত্মীয় পুরুষের নিকট বাহির হওয়া যায় না, এই উপলক্ষে অন্তঃপুরিকাগণের বেশও সংস্কৃত হইল।৪
ঠাকুরপরিবারে অন্তঃপুরিকাদের বেশ-সংস্কারের ইতিহাসটি বেশ কৌতূহলোদ্দীপক। সৌদামিনী দেবী লিখেছেন : ‘ছোটো মেয়েরা ভালো করিয়া কাপড় সামলাইতে পারিত না তাই তাহাদের শাড়ি পরা তিনি [দেবেন্দ্রনাথ] পছন্দ করিতেন না। বাড়িতে দরজি ছিল—পিতা নিজের কল্পনা হইতে নানাপ্রকার পোশাক তৈরি করাইবার চেষ্টা করিতেন। অবশেষে আমাদের পোশাক অনেকটা পেশোয়াজের ধরনের হইয়া উঠিয়াছিল।৫ এ-সম্পর্কে স্বর্ণকুমারী দেবী লিখেছেন : ‘বাঙ্গালী মেয়ের বেশের প্রতি অনেক দিন অবধিই পিতামহাশয়ের বিতৃষ্ণা, এবং তাহার সংস্কৃরণে একান্ত অভিলাষ ছিল। মাঝে মাঝে মাত্র দিদিদের, কিন্তু অবিশ্রান্ত তাঁহার শিশুকন্যাদের উপর পরীক্ষা করিয়া, এই ইচ্ছা কার্য্যে পরিণত করিবার চেষ্টারও তিনি ত্রুটী করেন নাই। আমাদের বাড়ীতে সেকালে খুব ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা সম্ভ্রান্ত ঘরের মুসলমান বালক বালিকার ন্যায় বেশ পরিধান করিত। আমরা একটু বড় হইয়া অবধি তাহার পরিবর্ত্তে নিত্য নূতন পোষাকে সাজিয়াছি।’৬ এর পরে উলেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে জ্ঞানদানন্দিনী দেবী কিছুদিন বোম্বাই অঞ্চলে বাস করে প্রত্যাগমন করার পর। যথাসময়ে আমরা তা আলোচনা করব।
এই প্রসঙ্গে ঠাকুরবাড়ির পুরুষদের পোশাকটির প্রতিও একটু দৃষ্টি দেওয়া যাক। খগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন :
সে সময় যেমন ধুতির সহিত দোবজা (চাদর) না থাকিলে পরিচ্ছদ ভদ্রোচিত হইত না, সেইরূপ পায়জামা ও পিরহানের উপর জোব্বা (বড় চোগা) না থাকিলে, এবং বাহিরে যাইতে হইলে জরীর থোবা দেওয়া লাল মখ্মলের টুপি ও শুঁড়তোলা লপেটা জুতা পরিচ্ছদে অপরিহার্য্য ছিল। মহর্ষির পরিবারে পুরুষেরা বাড়ীতে সাধারণতঃ ধুতি পরিতেন না, কিন্তু ক্রিয়াকৰ্ম্ম উপলক্ষে ও সামাজিক অনুষ্ঠানে পায়জামা পরিত্যাগ করিয়া ধুতি পরিতেন। সেকালে পৰ্ব্ব উপলক্ষে নীল কোর দেওয়া তিন আঙুল চওড়া পাড়ের দেশী তাঁতের ধুতি ও জরী দেওয়া হাতিসিপাই পেড়ে ঢাকাই ধুতি সকলকেই পরিতে হইত।’৭
লক্ষণীয়, তখন বাংলাদেশের অন্যান্য সম্ভ্রান্ত পরিবারের মতো ঠাকুরপরিবারের পোশাকেও মুসলমানী প্রভাব খুবই সুস্পষ্ট। রবীন্দ্র-রচনাবলীর প্রথম খণ্ডে আনুমানিক বারো বৎসর বয়সে তোলা রবীন্দ্রনাথের ছবিতে যে-ধরনের পোশাক দেখা যায়, সেইটাই ছিল তখনকার অভিজাত পুরুষদের পোশাকের আদর্শ।
দ্বিজেন্দ্রনাথের মধ্যম পুত্র অরুণেন্দ্রনাথের জন্ম হয় ২৪ অগ্রহায়ণ [বুধ 9 Dec] তারিখে।
সম্ভবত মাঘ মাসে গিরীন্দ্রনাথের কনিষ্ঠ পুত্র গুণেন্দ্রনাথের বিবাহ হয় সৌদামিনী দেবীর সঙ্গে। সিরাজগঞ্জ থেকে ২৩ পৌষ তারিখে গণেন্দ্রনাথকে একটি পত্রে দেবেন্দ্রনাথ লিখেছেন : ‘শ্রীমান্ গুণেন্দ্রনাথের শুভ বিবাহ শীঘ্র সম্পন্ন হইবে ইহাতে আহ্লাদিত আছি।’৮ এইসময়ে গুণেন্দ্রনাথের বয়স যোলো-সতেরো বছর মাত্র। বলা বাহুল্য, এই বিবাহ হিন্দুমতে নিষ্পন্ন হয়।
এই বৎসর ৬ মাঘ [সোম 18 Jan 64] থেকে ১১ মাঘ [শনি 23 Jan] পর্যন্ত আলিপুরে কৃষি-প্রদর্শনী হয়। সোমপ্রকাশ-এর ৬ মাঘ সংখ্যায় লেখা হয় : ‘প্রদর্শনের শেষ দিবসে ফুল, ফল এবং তরকারি প্রভৃতির প্রদর্শন হইবে এবং নানা প্রকার তৈল, তৈলের কল, ময়দার কল ও জল তোলা কল প্রদর্শনের ঐ কয় দিবসে বাষ্প কর্তৃক পরিচালিত হইবে।’ যদিও এই প্রদর্শনী সরকারি উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়, তবু দেশীয় জনসাধারণের মধ্যে তা প্রবল ঔৎসুক্যের সঞ্চার করেছিল। পরবর্তীকালে ‘জাতীয় মেলা’ বা ‘হিন্দু মেলা’ প্রবর্তনের পিছনে এই কৃষি-প্রদর্শনীর প্রেরণা কার্যকরী হয়েছিল, এইরূপ অনুমান করা অযৌক্তিক নয়।
এ বৎসরের মাঝামাঝি সত্যেন্দ্রনাথ আই. সি. এস.-এর প্রথম পরীক্ষা দেন ও নির্বাচিত ৫০ জন ছাত্রের মধ্যে ৪৩তম স্থান অধিকার করেন। ২০ আশ্বিন-এর [5 Oct 63] সোমপ্রকাশ-এ লিখিত হয় : ‘ব্লাক আক্টের অধিবাস।/প্রধানতম বিচারালয়ের অন্যতম বিচারপতি অনরেবল শম্ভুনাথ পণ্ডিত এবং নূতন সিবিল পদপ্রাপ্ত বাবু সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর হইতে ব্লাক আক্টের অধিবাস হইয়াছে।’ [পৃ ৭০১]। ঐ সংখ্যাতেই আবার সংবাদ দেওয়া হয়েছে : ‘ইণ্ডিয়ান মিরর বলেন, বাবু সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর বোম্বাইয়ে কৰ্ম্মপ্রাপ্ত হইয়াছেন। এরূপ নিয়োগের কারণ এই, যিনি যে প্রেসিডেন্সির লোক, তিনি সে প্রেসিডেন্সিতে কৰ্ম্ম পাইলে পাছে চিত্তবিকারাদি জন্মে, এই নিমিত্ত তথায় কৰ্ম্ম দেওয়া হইবে না। … সত্যেন্দ্রবাবু দেশভ্রমণে প্রবৃত্ত হইয়াছেন।’ [৫ম বর্ষ, ৪৭ সংখ্যা, পৃ ৭১২] ‘ইণ্ডিয়ান মিরর’-এর এই জল্পনার প্রতিবাদ করেন স্বয়ং সত্যেন্দ্রনাথ। সেই সংবাদ দিয়ে সোমপ্রকাশ লেখে :
১লা অক্টোবরের ইণ্ডিয়ান মিররে সম্পাদকীয় উক্তিতে লিখিত হইয়াছিল, “যে প্রেসিডেন্সিতে যাঁহার নিবাস, তিনি সেই প্রেসিডেন্সির সিবিল সর্ব্বিসে নিযুক্ত হইতে পারেন না বলিয়া বাবু সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর বোম্বাইয়ে নিযুক্ত হইলেন।” বাবু সত্যেন্দ্রনাথ সেইটী পাঠ করিয়া অতিশয় দুঃখিত হইয়াছেন। তিনি গত ২৬-এ নবেম্বরে ইংলণ্ড হইতে উক্ত সম্পাদককে এক পত্র লিখিয়াছেন “আপনি আমার নিয়োগ সম্বন্ধে যে প্রস্তাব লিখিয়াছেন, তাহা পাঠ করিয়া আমার দেশীয় লোকদিগের কেহই আর সিবিল হইতে ইচ্ছু[ক] হইবেন না। সুতরাং আমাকে দুঃখিত হইয়া আপনার ভ্রমবিজৃন্তিত বাক্যের খণ্ডনে প্রবৃত্ত হইতে হইল। জন্মদেশে সিবিল হইতে পারিবে না [?], তবে এ বৎসর বাঙ্গালা ও উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে ৩৫টী মাত্র পদ খালি ছিল, আমার যোগ্যতা পত্র ৪৩ সংখ্য হওয়াতে আমার প্রতি মাদ্রাজ ও বোম্বাইয়ের অন্যতম মনোনীত করিবার অনুমতি হয়, আমি তদনুসারে ইচ্ছাপূর্বক বোম্বাই মনোনীত করিয়াছি। ভারতবর্ষ সম্বন্ধে বোম্বাইও আমার বাঙ্গালার ন্যায় স্নেহের পাত্র।” সত্যেন্দ্রবাবু বোম্বাইয়ে [? মাদ্রাজে] কৰ্ম্ম করিবেন না বলিয়া পূর্ব্বে যে জনরব হয়, উক্ত পত্র দ্বারা তাহার অলীকতা প্রতিপন্ন হইতেছে। তিনি অন্ততঃ কিছু দিন কৰ্ম্ম করেন, সকলের এই ইচ্ছা।৯
বর্তমান ক্ষেত্রে এই প্রসঙ্গের দীর্ঘ আলোচনার কারণ, সত্যেন্দ্রনাথের ইংলণ্ডবাস, আই. সি. এস. হওয়া এবং বোম্বাইকে কার্যক্ষেত্র রূপে বরণ করা ঠাকুরপরিবারের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই পরিবার বাংলাদেশে নানা দিক দিয়ে সংস্কারমুখী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হলেও, দেশীয় ভাবধারার মধ্যেই আবদ্ধ ছিল। সত্যেন্দ্রনাথের বোম্বাই-প্রবাস তার মধ্যে সর্বভারতীয়তার ও ইংলণ্ড-বাস আন্তর্জাতিকতার মুক্ত বায়ু প্রবাহিত করে দিয়েছিল। এর পর থেকে এই পরিবারের জীবনধারা ভিন্নখাতে প্রবাহিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথও সেই সুফল থেকে বঞ্চিত হননি। মনে রাখতে হবে, পিতার সান্নিধ্যে স্বল্পকালীন হিমালয় ভ্রমণ ছাড়া সত্যেন্দ্রনাথের সূত্রেই আমেদাবাদ-বোম্বাই-এ সর্বভারতীয় জীবনের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের ঘনিষ্ঠ পরিচয়ের সূত্রপাত এবং তাঁর প্রথম য়ুরোপ-যাত্রা তো সত্যেন্দ্রনাথের হাত ধরেই।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে এই বৎসর শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ৩০ বৈশাখ [মঙ্গল, 12 May] এবং কবি ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ৪ শ্রাবণ [রবি 19 Jul] তারিখে জন্মগ্রহণ করেন।
উল্লেখপঞ্জি
১ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা, পৌষ। ১৪৭
২ পুরাতনী। ৫৬
৩ ঐ। ২৭
৪ ‘আমাদের গৃহে অন্তঃপুর শিক্ষা ও তাহার সংস্কার’ : প্রদীপ, ভাদ্র ১৩০৬। ৩১৭-১৮
৫ ‘পিতৃস্মৃতি’ : মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ। ১৫৮
৬ প্রদীপ, ভাদ্র ১৩০৬। ৩১৮
৭ রবীন্দ্র-কথা। ১৬৯-৭০
৮ রবীন্দ্রভবনে রক্ষিত মূল পত্র
৯ সোমপ্রকাশ, ১৩ মাঘ [৬ষ্ঠ বর্ষ ১১ সংখ্যা], পৃ ১৬৯
* দ্র ‘আমার বিবাহ’, ৩৭৪ নং আপার চিৎপুর রোড, জোড়াসাঁকো, কলিকাতা, “পুণ্যযন্ত্রে” এবাদত খাঁ কর্ত্তৃক মুদ্রিত। সন ১৩১০ সাল ৭ই আষাঢ়।