ভালোবাসা কারে কয়?
–যদি আবার প্রেমে পড়া যেত, তাহলে বলা যেত ভালোবাসা কারে কয়। সময় সময় ভালোবাসার অর্থ বদলায়। তবে জ্যামিতিকভাবে ভালোবাসার সংজ্ঞা হতে পারে−একটি ছেলে ও একটি মেয়ের হাতের রেখা যদি পরস্পর একদিকে যায়, তবে তারা পরস্পর যে বিন্দুতে ছেদ করে, তাকেই ভালোবাসা বলে।
আপনাকে যদি ভ্যালেন্টাইনস ডেতে কোনো মেয়ে প্রেম নিবেদন করে, আপনি তাকে কী বলবেন?
–তাকে বুদ্ধিমতী হওয়ার পরামর্শ দেব।
আপনাকে এ শহরের মেয়র নির্বাচন করা হলে আপনি সর্বপ্রথম কী করবেন?
–এ শহরে প্রেমের কোনো আলাদা জায়গা নেই। প্রেমের জায়গা তৈরি করব। সর্বোপরি শহরটাকে এমন করব, যেন শহরে পা দেওয়া মাত্র মনে হয়, এ শহরে একজন ‘মেয়র’ আছেন।
পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ কী বলে মনে হয়?
–অনেকে ভাবেন বুঝি, প্রেমিকার মন জয় করা। আসলে কিন্তু না। মন জয় করা প্রাথমিক একটি ধাপ কেবল। কঠিন হচ্ছে মন জয়ের পর তাকে ঠিকঠাক রাখা। ঝঃধনষব রাখা আরকি!
আপনার জীবনে সবচেয়ে রোমান্টিক মুহুর্ত কী ছিল?
–একজন আমাকে বলেছিল, ‘তোমার সঙ্গে দেখা হওয়ার আগে জীবনের এতগুলো দিন কেটে গেছে, ভাবাই যায় না।’ এটাই আমার কাছে এখন অবধি শ্রেষ্ঠ রোমান্টিক মুহুর্ত।
সবচেয়ে বেশি ভয় পান কাকে?
–স্বামীমাত্রই যাকে ভয় পায়।
আপনার দাড়ি নেই কেন?
–ব্লেড তো এখনো বাজারে বেশ সস্তা!
প্রত্যেক সফল পুরুষের পেছনে একজন নারীর অবদান থাকে। আপনার ক্ষেত্রে তিনি কে?
–বলাটা তো খুব রিস্ক। আপনার কাছে দাবিদারদের কোনো তালিকা আছে?
বাংলাদেশ টেলিভিশন কথা বলে…।
–সাউন্ড অন থাকলে…।
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই আপনার মন কী চায়?
–ফাঁকা টয়লেট।
আপনার কাছে ভালোবাসা কী?
–শৈশবে বাবা-মা আর খেলনা; কৈশোরে শচীন টেন্ডুলকার, ব্রিটনি স্পিয়ার্স, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি; যৌবনে মনের মানুষ, মাঝবয়সে স্ত্রী, সন্তান; শেষ বয়সে নিজের জীবন আর এই পৃথিবীটা।
নিজের লেখা বই কাকে উৎসর্গ করে সবচেয়ে আনন্দিত হয়েছিলেন?
–নিজেকে। উপনায়ক উপন্যাস নিজেকে নিজেই উৎসর্গ করেছিলাম।
আপনি প্রধানমন্ত্রী হলে প্রেমের জন্য কী সুযোগ দিতেন?
–১৪ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে প্রেমভাতা চালু করতাম।
ঝামেলা মনে হয়…।
–মাঝেমধ্যে যখন সত্যি কথা বলতে হয়।
ভাবতে ভালোই লাগে…।
–তাকে এখনো ভালোবাসি।
মিলন হবে কত দিনে…?
–আমি তো হয়েই আছি। যে আসবে তার ওপর। আমার দিক থেকে কোনো বাধা নেই।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ: জিনাত রিপা
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো