আজ আরটিভিতে আপনার রচনায় এবং পরিচালনায় প্রাচারিত হবে ধারাবাহিক ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ এ সম্পর্কে কিছু বলুন?
অনেক বছর আগে ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ নামে একটি উপন্যাস লিখেছিলাম। পরে সেটি উরিয়া ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। সেই উপন্যাসটাকেই নাট্যরূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। হুবহু না তবে উপন্যাসের আদলে অনেক চরিত্র ইন আউট করে নির্মাণ করেছি নাটকটা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক পর্ব প্রচারিতও হয়েছে। অনেক সাড়া পাচ্ছি। তবে ৫২ পর্ব মানে নাটকের শেষে আরো আলোচিত হবে। নাটকের নাম ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ কেন?
নাটকের নাম থেকেই বোঝা যায় যে, একটা মেয়েকে নিয়েই নাটকের কাহিনী। সেখানে দেখা যায় একটা মাস্তান টাইপের ছেলে একটা মেয়েকে আটক করে রাখে। পরে মেয়েটি ছেলের বিদেশ ফেরত চাচার সাহায্যে কৌশলে মুক্তি পায়। কিন্তু বাড়ি ফিরে আসলে মেয়ের বাবা তাকে আর গ্রহণ করে না। তার পরের উক্তিটিই হচ্ছে ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’। বর্তমানে আর কি নিয়ে ব্যস্ত?
বর্তমানে বেশ কয়েকটি নাটক এবং টেলিফিল্ম নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি। চ্যানেল ওয়ানের জন্য ১০৪ পর্বের ‘মা, বাবা ভাইবোন’ নামের একটি ধারাবাহিকের শুটিং চলছে। এ ছাড়া চ্যানেল আইয়ের জন্য একটি নাটক বানাচ্ছি। বন্ধু মোহন খানকে অপহরণের পর নামে একটি গল্প দিলাম। এবং দেশ টিভির উদ্বোধন উপলক্ষে একটা টেলিফিল্ম বানাচ্ছি এই তো। এখনকার নাটক এবং আগেরকার নাটকের মধ্যে কোনো পার্থক্য খুঁজে পান?
হ্যাঁ, পার্থক্য তো অনেকই খুঁজে পাই। তবে একটা ব্যাপার আমার মধ্যে খুব কাজ করে আর সেটা হলো বর্তমানকালের নাটক বর্তমান কালের মতোই নির্মাণ হচ্ছে, এটাকে আমি শুভ লক্ষণই বলবো। তবে সঙ্গে সঙ্গে মন্দ জিনিসও আসছে। ভালো জিনিসের সঙ্গে মন্দ জিনিস তো থাকবেই। তবে ভালোর জোয়ারে মন্দ জিনিস অবশ্যই ভেসে যাবে। আর আগের নাটকের গল্প ভালো ছিল। মানুষও মনে রাখতো অনেক দিন। এখন আর তা লক্ষ্য করা যায় না। গল্প, উপন্যাস নাটক লেখা সামলান কিভাবে?
আসলে সময় কবে নিতে হয়। মানুষের জীবনে ব্যস্ততা তো থাকবেই। তারপরও আসল কাজ তো করতেই হবে। নাটক নির্মাণ করে আর লেখালেখি নিয়েই থাকতে চাই।
thanking you.