উপন্যাস
গল্প

বিশ্বমামার চোর ধরা

বিশ্বমামাচোর ধরা

নীলা বউদির একটা নৌকো চুরি গেছে।

পরপর পাঁচটা নৌকোর মধ্যে ঠিক মাঝখানেরটা অদৃশ্য।

আসল নৌকো নয় অবশ্য। নীলা বউদিরা থাকেন একটা মস্ত বড় বাড়ির দশ তলার ফ্লাটে, সেখানে নৌকো থাকবে কী করে। নৌকো তো হাওয়ায় ভাসে না। কাছাকাছি কোনও নদী বা পুকুরও নেই।

আসলে বিকাশদা আর নীলা বউদি একবার বেড়াতে গিয়েছিলেন অনেক দিনের জন্য। কত জায়গায় ঘুরেছেন, ফেরার সময় অনেক জিনিসও এনেছিলেন। আমার জন্য এমন একটা সুন্দর টিশার্ট এনেছিলেন যে সেটা পরতেই ইচ্ছে করে না। পরলেই যদি পুরোনো হয়ে যায়!

সেবারই এনেছিলেন পাঁচটা নৌকো। একটা খুব ছোট, তার পরেরটা একটু বড়, তার পরেরটা আরও একটু বড়, এইরকম। কাঁচের তৈরি, কিন্তু সাধারণ কাঁচ নয়, বোঝাই যায়, আলো পড়লে ঝকঝক করে। একে নাকি বলে কাট গ্লাস।

বসবার ঘরে একটা আলমারিতে সেটা সাজানো থাকে। আলমারিতে অবশ্য চাবি লাগানো থাকে। কখনও কখনও নীলা বউদি চাবি লাগাতে ভুলেও যান। হঠাৎ দুদিন আগে দেখা গেল, পাঁচটার মধ্যে একটা নৌকো নেই। চুরি হয়ে গেল?

অথচ বাড়িতে চোর আসেনি।

চোর এলে কি শুধু একটা কাঁচের নৌকো নেয়? বসবার ঘরের ওই আলমারিতেই তো আরও অনেক জিনিস ছিল। এমনকী একটার বদলে পাঁচটা নৌকোই নিতে পারত!

নৌকোটা এমন কিছু দামি নয়। চোরেরা তো সোনার গয়না আর টাকা পয়সা নিতে আসে। নীলা বউদির দুঃখ, ওই একটা নৌকোর জন্য সেট নষ্ট হয়ে গেছে। সত্যি মাঝখানটা ফাঁকা হয়ে গেছে।

ওরকম একটা নৌকো তো এদেশে পাওয়াও যাবে না। ওটা প্রাগ নামে শহর থেকে কেনা। এক সঙ্গে পাঁচটাই কিনতে হয়।

নিশ্চয়ই চেনাশুননা কোনও লোকই নিয়েছে।

ফেরিওয়ালা কিংবা একদম অচেনা লোকদের এই বসবার ঘরে ঢুকতে দেওয়া হয় না। তাদের জন্য ফ্ল্যাটের দরজার সামনেই একটা ছোট্ট জানলা আছে।

এই ঘরে বসে আত্মীয়-স্বজন কিংবা বন্ধুরা।

হিসেব করে দেখতে হবে, এই দুদিনের মধ্যে এ ঘরে কে কে এসেছে।

আমি তো এসেছিই। তা বলে কি আমাকে চোর বলা যায়? তা ছাড়া আমি মোটেই অল্পে সন্তুষ্ট নই। আমি নিলে পাঁচটাই নিতুম। তারপর বাড়িতে রাখতে গেলেই ধরা পড়ে যেতুম।

রতনকাকা এসেছিলেন। তিনি উত্তরবঙ্গের একটা চা বাগানের ম্যানেজার। যখনই আসেন, বিরাট সন্দেশের বাক্স আনেন, সিনেমা দেখতে নিয়ে যান। খরচ করেন অনেক টাকা। তিনি চুরি করবেন একটা কাঁচের খেলনা?

নীলা বউদির ছোট বোন রুমাদি এসেছিল। রুমাদি একটা কলেজে পড়ান। দারুণ মজার-মজার কথা বলেন। নিজের দিদির বাড়ি থেকে কেউ কিছু চুরি করে নাকি? চেয়ে নিলেই পারে।

বিকাশদার দুই বন্ধু তপনদা, মানিকদাও এসেছিলেন পরশু সন্ধেবেলা। তপনদা আর বিকাশদা একসঙ্গে পড়তেন স্কুল থেকে, এখন বড় অফিসার। আর মানিকদা একজন বিজ্ঞানী। এর মধ্যে গতকালই চলে গেছেন জাপানে।

আর কে এসেছিল, আর কে?

নীলা বউদি বললেন, ও হ্যাঁ, তার দিদিমা এসেছিলেন এক নাতিকে নিয়ে। নাতির বয়েস এগারো, সে খুব ছটফটে। তাকে সন্দেহ করা যেতে পারতো, কিন্তু নীলা বউদি সর্বক্ষণ সেখানে বসে ছিলেন। এবং দিদিমা আর নাতি চলে যাওয়ার পরেও পাঁচটা নৌকোই ছিল, নীলা বউদির স্পষ্ট মনে আছে।

আর কে এসেছিল? মনে পড়ছে না। মনে পড়ছে না। তারপর মনে পড়ল। আমারই মাস্টারমশাই জয়ন্তদা। আমাকে বাড়িতে এসে পড়াতেন এক সময়। দুর্গাপুরে চাকরি নিয়ে চলে গিয়েছিলেন। হঠাৎ সেই চাকরি চলে গেছে। জয়ন্তদা এসেছিলেন, বিকাশদার অফিসে যদি কোনও কাজ পাওয়া যায়। জয়ন্তদার সঙ্গে নীলা বউদিরও অনেকদিনের চেনা, এ বাড়িতে আগেও কয়েকবার এসেছেন। তিনি কী এমন কাজ করতে পারেন?

এঁদের কারুকেই ঠিক সন্দেহ করা যায় না। কিংবা সন্দেহ হলেও মুখ ফুটে বলা যাবে না। প্রমাণ করা যাবে কী করে?

হঠাৎ আমার মনে পড়ল বিশ্বমামার সাহায্য নিলে কেমন হয়?

বিশ্বমামা কিছুদিন ধরে সূর্যের আলো থেকে কী করে খুব সহজে আর কম খরচে বিদ্যুৎ তৈরি করা যায়, তা নিয়ে গবেষণায় মেতে আছেন। ঘন-ঘন যাচ্ছেন বিদেশে।

বিশ্বমামার নাকে একটা বোলতা কামড়েছে। বোলতাটা বোধহয় বিশ্বমামার লম্বা নাকটাকে একটা গাছের ডাল ভেবে বসেছিল। বিশ্বমামা সেটাকে তাড়াতে যেতেই সে কামড়ে দিয়ে পালায়। একটু ভুল হল, বোলতা তো কামড়ায় না, হুল ফোঁটায়। একেই লম্বা নাক, তাও অনেকটা ফুলে গেছে।

তাকে এই কথাটা জানাতেই বিশ্বমামা রেগে গিয়ে বললেন, এক চড় খাবি! চোর ধরা কি আমার কাজ? আমি কি পুলিশ?

আমি বললুম, এতই সামান্য জিনিস চুরি হয়েছে যে এর জন্য পুলিশে খবর দেওয়া যায় না। কিন্তু নীলা বউদির খুব মন খারাপ হয়ে আছে।

বিশ্বমামা বললেন, হোক গে মন খারাপ! আমার সময় নষ্ট করবি না, যা পালা!

অত সহজে কি হাল ছেড়ে দিলে চলে, বিশ্বমামার দুর্বলতার কথা তো আমি জানিই।

তাই বললুম, ঠিক আছে, তোমাকে চোর ধরতে হবে না। নীলা বউদি তোমাকে জিগ্যেস করেছেন, তুমি কি আজ দুপুরে একবার যেতে পারবে ওখানে? ডায়মন্ডহারবার থেকে একজন বড়-বড় গলদা চিংড়ি পাঠিয়েছে–

বাকিটা আর বলতে হল না।

বিশ্বমামা প্রায় লাফিয়ে উঠে বললেন, গলদা চিংড়ি? নিশ্চয়ই যাব। নারকোল দিয়ে রান্না করতে বলবি। আর যেন কিপ্টেমি করে আমাকে মোটে একটা না দেয়।

তক্ষুনি আমি বাইরে গিয়ে নীলা বউদিকে টেলিফোন করে বললুম, শিগগির বাজার থেকে বড় সাইজের চিংড়ি মাছ আনাও, বিশ্বমামা খাবে। আমিও খাব। বেশি করে আনিও!

খেতে বসে সেই নৌকো চুরির কথা তো উঠবেই।

বিশ্বমামা বললেন, এ তো সাধারণ চোরের কাণ্ড নয়। এদের বলে ক্লিপটোম্যানিয়াক, এরা বড়লোকও হতে পারে। হঠাৎ কোনও একটা জিনিস টপ করে পকেটে পুরে নেয়। এটা এক ধরনের অসুখ। একবার-দুবার ধরা পড়লে তবে সারে।

খাওয়ার পর বিশ্বমামা সেই আলমারিটা ভালো করে দেখলেন।

সবচেয়ে কাছে যে সোফাটা, তাতে বসে পড়ে বললেন, এখান থেকে তে হাত বাড়িয়েই টপ করে একটা নৌকো তুলে নেওয়া যায়। এখানে কে বসেছিল, এই দুদিনের মধ্যে?

নীলা বউদি বললেন, অনেকেই তো বসেছে। আলাদা করে কি কিছু বলা যায়? ঘরের সঙ্গেই বারান্দা। সেখানে অনেক রকম ফুলের গাছ। কোনওটা রেলিং-এ জড়ানো, কোনওটা দেয়াল বেয়ে উঠছে, দরজা ছাড়াও দুপাশে দুটো জানলা। ঘরে বসেই সব গাছগুলো দেখা যায়।

বিশ্বমামা বললেন, সেই চুরির তো অনেক সাক্ষী আছে দেখছি।

নীলা বউদি বললেন, তার মানে?

বিশ্বমামা বললেন, এই গাছগুলো! ওরা নিশ্চয়ই দেখেছে। গাছের চোখ নেই, তবু ওরা দেখতে পায়। কান নেই তবু ওরা আমাদের সব কথা শোনে।

নীলা বউদি বললেন, তাই নাকি?

বিশ্বমামা বললেন, এটা গাঁজাখুরি কথা নয়। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণ হয়ে গেছে। ভালো গান বাজনা শুনলে গাছেরা খুশি হয়। বাজে বিচ্ছিরি চাঁচামেচির গান শুনে ওরা বিরক্ত হয়।

নীলা বউদি বললেন, তা না হয় বুঝলাম। কিন্তু গাছ তো কথা বলতে পারে না। ওরা যদি চোরকে দেখেও থাকে, আমাদের বলবে কী করে।

বিশ্বমামা বললেন, তা ঠিক। হয়তো ওরা কথা বলে, আমরা সেই ভাষা বুঝি । আমি পরীক্ষা করে দেখতে পারি অবশ্য। এক কাজ করো। এই দুদিনের মধ্যে যারা এসেছিল, তাদের সবাইকে কাল বিকেলে চায়ের নেমন্তন্ন করতে পারবে?

তক্ষুনি টেলিফোন করা হল।

রুমাদি, রতনকাকা, জয়ন্তদা, তপনদা সবাইকেই পাওয়া গেল। সবাই আসতে রাজি। দিদিমাকে ডাকার দরকার নেই, নাতিকে নিয়ে তিনি চলে যাওয়ার পরেও পাঁচটা নৌকোই ছিল। শুধু মানিকদাকে পাওয়ার উপায় নেই, তিনি চলে গেছেন জাপানে।

মানিকদা যদি নিয়ে থাকেন, তাহলে আর ধরবার উপায় নেই।

আমার কেন যেন জয়ন্তদাকেই সন্দেহ হচ্ছে। তার এখন চাকরি নেই। হয়তো তিনি ভেবেছেন, জিনিসটা খুব দামি।

বিশ্বমামা বললেন, সবাইকে একসঙ্গে ঢুকতে দিও না। কায়দা করে একজন-একজন করে ঢোকাবে। আলমারির পাশের সোফাটায় প্রত্যেকেই বসবে একবার করে।

পরদিন আমি আর বিশ্বমামা এলাম অনেক আগে-আগে।

বিশ্বমামা বারান্দায় গিয়ে কী সব করলেন, আমায় দেখতে দিলেন না।

নিজে উলটো দিকের একটা চেয়ারে বসে পড়ে আমাকে বললেন, সবচেয়ে আগে নীলচন্দর। তুমি যাও, দরজার কাছ থেকে এসে এই সোফাটায় বসো।

আমি আঁতকে উঠে বললুম, আমাকে সন্দেহ করছ? আমিই তোমায় ডেকে এনেছি।

বিশ্বমামা মুচকি হেসে বললেন, সবাইকেই সন্দেহ করতে হয়। তুই হয়তো বেশি স্মার্ট হয়ে আমাকে ডেকেছিস। যাতে সবাই ভাবে, তুই নির্দোষ!

আমি দূর থেকে হেঁটে এসে বসলুম সেই সোফায়।

কয়েক মুহূর্ত পরে বিশ্বমামা বললেন, উঠে পড়ো। এবার নীলা গিয়ে বসো।

আমারই মতন চমকে গিয়ে নীলা বউদি বললেন, আমি? নিজের জিনিস নিজে চুরি করব?

বিশ্বমামা বললেন, তুমি যদি ভুল করে সেটাকে অন্য কোনও জায়গায় রেখে থাকো? হয়তো তুমি নিজেই ভুলে গিয়েছ। বসো, বসো, দেরি করো না।

এই ভাবে বিকাশদাকেও বসতে হল।

তারপর এলেন রতনকাকা। আজও তিনি মস্ত বড় এক বাক্স ভর্তি কেক-পেস্ট্রি নিয়ে এসেছেন।

তিনি অবশ্য কিছু না জেনে সোফাটায় বসলেন, একটু পরে বিশ্বমামা বললেন, রতনকাকা, আপনি ডানপাশের সোফাটায় ভালো করে বসুন।

তারপর একে-একে এলেন তপনদা, রুমাদি, জয়ন্তদা।

একমাত্র জয়ন্তদাই বললেন, ওই সোফাটায় বসব কেন? আমি এদিকের চেয়ারে বসছি।

কেমন যেন নার্ভাস দেখাচ্ছে জয়ন্তদাকে।

বিশ্বমামা তার মুখে চোখ বুলিয়ে বললেন, রতনকাকা, আপনি আর চারটে নৌকোও নিয়ে যান।

রতনকাকা দারুণ চমকে গিয়ে বললেন, অ্যাঁ? কী বললে?

বিশ্বমামা বললেন, এই কাঁচের নৌকো একটা সাজিয়ে রাখলে এমন কিছু মনে হয় না। পরপর পাঁচটা থাকলেই ভালো দেখায়। আপনি এগুলোও নিয়ে যান। নীলা আপত্তি করবে না।

রতনকাকা চোখ গরম করে বললেন, বিশ্ব, তোমার এত সাহস, তুমি আমাকে চোর বললে?

নীলা বউদির মুখখানা ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। আমরাও হতভম্ব। রতনকাকার মতন একজন মানী লোককে চোর বলা খুবই খারাপ ব্যাপার। বিশ্বমামার ভুল হলে কেলেংকারি হবে।

বিশ্বমামা খুব বিনীত ভাবে বললেন, রতনকাকা, আমি তো আপনাকে চোর বলিনি একবারও। আমি বলেছি, আপনি বাকি চারটে নৌকো নিয়ে যান।

রতনকাকা বললেন, তার মানে কী হয়?

বিশ্বমামা বললেন, তার মানে কী হয়, তা আমিও জানি, আপনিও জানেন।

এবার বিশ্বমামা হেসে উঠতেই রতনকাকাও হো হো করে হাসলেন।

পকেট থেকে একটা কাঁচের নৌকো বার করে বললেন, এই দ্যাখো। ভেবেছিলাম, সকলের অজান্তে ওটা টুক করে আলমারিতে রেখে দেব। কিন্তু বিশ্ব, তুমি কী করে বুঝলে বলো তো?

বিশ্বমামা জানলার কাছের একটা গাছের দিকে আঙুল দেখিয়ে বললেন, ওই গাছটা আপনাকে সেদিন দেখেছে। ও আমাকে বলে দিল।

রতনকাকা অবাকভাবে গাছটার দিকে তাকিয়ে বললেন, গাছটা দেখেছে? ঠিক আছে। কিন্তু গাছটা তোমাকে বলে দিল মানে? তুমি কি গাছের ভাষা বোঝ?

বিশ্বমামা বললেন, মানুষ এখনও গাছের ভাষা বুঝতে শেখেনি ঠিকই। কিন্তু পরীক্ষা করে দেখা গেছে, গাছ ভয় পেলে, কিংবা কারুর মিথ্যে কথা শুনলে কিংবা আরও নানান কারণে ভেতরে-ভেতরে কেঁপে ওঠে। ইলেকট্রোডের সঙ্গে একরকম তার জুড়ে গাছের গায়ে লাগালে সেই কম্পন টের পাওয়া যায়। আমি ওই গাছটার গায়ে সেরকম তার লাগিয়ে রেখেছি, অন্যরা সোফায় বসলে কিছু হল না। আপনি বসার পর গাছটা ঘন-ঘন কেঁপে উঠতে লাগল।

আমি বললুম, জয়ন্তদা যে বসল না?

বিশ্বমামা বললেন, তার তো আর দরকার ছিল না। আমি তো আগেই জেনে গেছি। জানলা দিয়ে আমার যন্ত্রটা দেখে নিয়েছি।

রতনকাকা উঠে গিয়ে আলমারিতে অন্য নৌকোগুলোর মাঝখানে তার হাতের নৌকোটা সাজিয়ে রাখলেন।

নীলা বউদি বললেন, রতনকাকা, আপনার সদি পছন্দ হয়, আপনি সব নেবেন?

রতনকাকা বললেন, দূর পাগলি! আমি এগুলো নিয়ে কী করব! আমি বরং বিশ্বকে কিছু পুরস্কার দেব। ঠিক যেন ম্যাজিক! আমি কেন যে লোকের বাড়ি থেকে টুকটাক করে ছোটখাটো জিনিস তুলে নিই, নিজেই বুঝি না। পয়সা দিয়ে তো কিনতেই পারি। তবু, হঠাৎ একটা পকেটে ভরে নিই, পুরে খুব খারাপ লাগে, এটা আমার একটা রোগ। এ রোগের কি চিকিৎসা আছে?

বিশ্বমামা বললেন, দেখবেন, এবার থেকে আপনার এই রোগটা আর হবে না। ধরা পড়লেই সেরে যায়।

তারপর নীলা বউদির দিকে ফিরে বললেন, কী গো, নীলা, চায়ের নেমন্তন্ন করেছ, চা দাও। সিঙ্গাড়া, নিমকি, জিলিপি-টিলিপি আছে তো সঙ্গে?

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *