বাকপতি রবীন্দ্রনাথ
উত ত্বঃ পশ্যন ন দদর্শ বাচম,
উত ত্বঃ শৃন্বন ন শৃণোতি এনাম।
উতো তুঅস্মৈ তনুঅং বি সস্রে—
জায়েব পত্য উশতী সুবাসা:।।
কেহ বাককে দেখিয়াও দেখে না,
কেহ ইহাকে শুনিয়াও শুনে না।
কিন্তু [বাক] কাহারও-জন্য [নিজ] তনু আবিষ্কৃত করে,
পতির-জন্য প্রেমময়ী সুন্দর-বস্ত্র-পরিহিতা জায়া যেমন।।
প্রায় ৫০ বৎসর হইল রবীন্দ্রনাথ তাঁহার মাতৃভাষা সম্পর্কে প্রথম প্রবন্ধ প্রকাশিত করেন—তাঁহার ‘বাঙলা উচ্চারণ’ শীর্ষক প্রবন্ধ। এটি তাঁহার ‘শব্দ-তত্ত্ব’ নামক প্রবন্ধ-সংগ্রহে প্রথম দেওয়া হইয়াছে। ইহার পূর্বে ও পরে তাঁহার সাহিত্য-জীবনে তিনি নানাভাবে সাহিত্য-সৃষ্টি এবং সাহিত্য-আলোচনা এই উভয় পথেই অদ্ভুত শক্তির পরিচয় প্রদান করিয়া বাঙলা ভাষাকে ধন্য এবং ইহাকে জগৎ-সমক্ষে গৌরবান্বিত করিয়াছেন। রবীন্দ্রনাথের লোকোত্তর প্রতিভার মুখ্য প্রকাশ ঘটিয়াছে বাঙলা ভাষার মাধ্যমে। একদিকে তিনি যেমন অপার্থিব বিভূতির অধিকারী, যে বিভূতি বা দেবদত্ত শক্তি না থাকিলে শিল্প-রচনা সার্থক এবং শাশ্বত রস রচনার পর্যায়ে উন্নীত হইতে পারে না, তেমনি অন্যদিকে তিনি সাধক, তিনি প্রয়োগ-বিজ্ঞানে নিপুণ শিল্পী, যে প্রয়োগ-বিজ্ঞান এবং শিল্পনৈপুণ্য তাঁহার রস-সৃষ্টিকে আদিম বা আদিম-গন্ধী এবং অশিক্ষিত-পটু রচনার ঊর্ধ্বে, প্রৌঢ় এবং শিক্ষিত শিল্পের পদবীতে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছে। রবীন্দ্রনাথের চিত্তে একাধারে অপার্থিব রসানুভূতি ও বস্তু-তন্ত্র বিজ্ঞানের অপূর্ব সমন্বয় দেখা যায়; সেইজন্যই তাঁহার রচনা ও আলোচনা উভয়ই কল্পনা ও বিজ্ঞানের আলোকে উজ্জ্বল।
প্রয়োগ-নিপুণ শিল্পী বলিয়া-ই রবীন্দ্রনাথ কেবল অনুভূতি ও আবেগ আশ্রয় করিয়া থাকিতে পারেন নাই, তাঁহাকে বস্তুর প্রতি দৃষ্টি দিতে হইয়াছে, তাঁহাকে বৈজ্ঞানিক হইতে হইয়াছে। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টির কাছে কিছুই তুচ্ছ নয়—যাহা-কিছু চর্মচক্ষের সমক্ষে ‘সৎ’ বা বিদ্যমান, তাহার সম্বন্ধে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তির কৌতূহল থাকিবেই। রবীন্দ্রনাথের মনও এই বিশ্বন্ধর বৈজ্ঞানিক মন। বৈজ্ঞানিক বিশ্বন্ধরত্ব এবং সঙ্গে সঙ্গে রসানুভূতিজাত কল্পনা ও প্রকাশশক্তির একত্র সমাবেশ, পৃথিবীতে খুব কম-ই দেখা গিয়াছে। আধুনিক ইউরোপের সাহিত্যক্ষেত্রে এইরূপ মনের প্রকৃষ্ট পরিচয় আমরা পাই জরমান কবি Goethe (গ্যোতে)-তে; আমাদের দেশে রস-রচয়িতাদের মধ্যে এরূপ সর্বন্ধর বৈজ্ঞানিক মন বোধহয় এক রবীন্দ্রনাথের মধ্যেই পাওয়া গিয়েছে।
বিশ্ব-প্রপঞ্চের ব্যাপার সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ তাঁহার ঔৎসুক্য এবং অনুধাবনের পরিচয় দিয়াছেন। গণিত, ফলিত বিজ্ঞান—দ্যুলোকতত্ত্ব, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, ভূতত্ত্ব, জীবতত্ত্ব, নৃতত্ত্ব, মনস্তত্ত্ব প্রভৃতি আধুনিক বিজ্ঞান রীতিমতো অনুশীলন না করিলেও ওইসব বিষয় সম্বন্ধে আধুনিক সভ্য ও সংস্কৃতিপূত চিত্তের উপযোগী কৌতূহল এবং জিজ্ঞাসা তাঁহার আছে। তাঁহার মধ্যে রসসৃষ্টির অপরিহার্যতা বা অবশ্যম্ভাবিতা না থাকিলে, এই মন লইয়া রবীন্দ্রনাথ হয়তো একজন বড়ো দরের বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারক হইতে পারিতেন। তিনি ভাষাগত বস্তুর আলোচনা অবলম্বন করিয়া যে সহজ বৈজ্ঞানিক দৃষ্টির পরিচয় দিয়াছেন, তাহাতে এবিষয়ে সন্দেহের অবকাশ থাকে না। আধুনিক ভারতে ভাষানুসন্ধিৎসুগণের পক্ষে ইহা একটি মার্জনীয় আত্মপ্রসাদের কথা যে, রবীন্দ্রনাথের মতো দিব্যদৃষ্টিসম্পন্ন কবি শাব্দিকগণের অগ্রণী হইয়া অবস্থান করিতেছেন।
রবীন্দ্রনাথের প্রতিভার প্রকাশ হইতেছে প্রধানতঃ বাঙময় প্রকাশ। সংগীত, অভিনয়, রূপকর্ম—এই তিনেও তাঁহার লক্ষণীয় এবং প্রশংসনীয় কৃতিত্ব থাকিলেও, মুখ্যতঃ তিনি কবি, তিনি শব্দ-চিত্রকার, তিনি ভাষাশিল্পী। তাঁহার প্রতিভার এই প্রধান অবলম্বন, ভাষা, এবং বিশেষ করিয়া বঙ্গভাষা, তাঁহাকে যে আকৃষ্ট করিবে, তাহা স্বাভাবিক।
মধ্যযুগের সংস্কৃত বৈয়াকরণ বোপদেব তাঁহার ‘মুগ্ধবোধ’ ব্যাকরণের প্রারম্ভে, ভাষা ও ভাষাশ্রয়ী চিন্তার উৎস-স্বরূপ শাশ্বত সত্তাকে প্রণাম করিয়াছেন চিরাচরিত রীতিতে ‘ওঁ নমঃ শিবায়’ মন্ত্র উচ্চারণ করিয়া; কারণ উপনিষদের কথায়, ‘প্রজ্ঞা চ তস্মাৎ প্রসৃতা পুরাণী’—এই শাশ্বত শিব হইতে পুরাতনী প্রজ্ঞা—বাক নি:সৃত হইয়াছেন। তাহার পরে বৈয়াকরণ সংক্ষিপ্ত কিন্তু গভীর ভাবের পরিচায়ক দুইটি শব্দে মঙ্গলাচরণ করিয়াছেন : শং শব্দৈ:।।
অর্থাৎ, শব্দসমূহ দ্বারা শম অর্থাৎ মঙ্গল হউক। বৈয়াকরণ এখানে রহস্যবাদী হইয়াছেন—ক্ষুদ্র দুইটি শব্দের সাহায্যে, মানবভাষার অন্তর্নিহিত শক্তি, সৌন্দর্য্য এবং অবিনশ্বরত্ব সম্বন্ধে তাঁহার চেতনা বা উপলব্ধির আভাস তিনি দিয়াছেন; বা’য়গত রহস্য বা আনন্দবোধের পরিচয় নীরস ব্যাকরণ-সূত্রে পরে আর কোথাও দিবার সুযোগ তাঁহার নাই। রবীন্দ্রনাথও নিজের সমগ্র জীবনে শব্দ-দ্বারা এই ‘শম’ বা ‘সত্য-শিব-সুন্দর’-এর প্রকাশ করিয়াছেন। তিনি যে শব্দের শক্তি, প্রয়োগ ও বিবৃতি—অর্থাৎ ‘ব্যাকরণ’—লইয়া বিচার করিবেন, ইহাতে আশ্চর্যান্বিত হইবার কিছুই নাই; বৈজ্ঞানিকসুলভ কৌতূহল ও জিজ্ঞাসার বশে কবি রবীন্দ্রনাথ ‘ব্যাকরণিয়া’ রবীন্দ্রনাথ হইতে দ্বিধাবোধ করেন নাই।
সম্প্রতি রবীন্দ্রনাথ বাঙলা ভাষার প্রকৃতি ও রীতি লইয়া আলোচনা করিয়াছেন, তাঁহার বাঙলাভাষা-পরিচয় বইয়ে। বছর তিনেক হইল এই বই কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক প্রকাশিত হইয়াছে। ইহাতে বাঙলা ভাষা সম্বন্ধে নিজ অবলোকনলব্ধ কতকগুলি মূল্যবান তথ্য রবীন্দ্রনাথ লিপিবদ্ধ করিয়াছেন—ভাষার আলোচনা প্রসঙ্গে ইহা রবীন্দ্রনাথের এ-তাবৎ প্রকাশিত শেষ রচনা। রবীন্দ্রনাথ ভাষা-বিজ্ঞান-ব্যবসায়ীর মতো অনুশীলনরীতি বা পরিপাটী অবলম্বন করিয়া ভাষাতত্ত্বের চর্চা করেন নাই, সেইজন্য তিনি নিজেকে ‘ভাষা-সম্বন্ধে ভূগোল-বিজ্ঞানী’ না বলিয়া, নিজের সম্বন্ধে বলিতেছেন:
আমি যেন পায়ে-চলা পথের ভ্রমণকারী। বিজ্ঞানের রাজ্যে স্থায়ী বাসিন্দাদের মতো সঞ্চয় জমা হয়নি ভান্ডারে, রাস্তায় বাউলদের মতো খুশি হয়ে ফিরেছি, খবরের ঝুলিটাতে দিন-ভিক্ষে যা জুটেছে তার সঙ্গে দিয়েছি আমার খুশির ভাষা মিলিয়ে। জ্ঞানের দেশে ভ্রমণের শখ ছিল বলেই বেঁচে গেছি, বিশেষ সাধনা না থাকলেও। সেই শখটা তোমাদের মনে যদি জাগাতে পারি, তা হলে আমার যতটুকু শক্তি সেই অনুসারে ফল পাওয়া গেল মনে করে আশ্বস্ত হবো।
রবীন্দ্রনাথ নিজের কৃতিত্ব সম্বন্ধে বিশেষ বিচারশীল হইয়া কথাগুলি লিখিয়াছেন। তাঁহার ভাষাতত্ত্ব-আলোচনার প্রেরণা নিজের কথাতেই তিনি ব্যক্ত করিয়াছেন—‘মানুষের মনোভাব ভাষাজগতের যে অদ্ভুত রহস্য আমার মনকে বিস্ময়ে অভিভূত করে, তারই ব্যাখ্যা করে আমি এই বইটি আরম্ভ করেছি।’ আমার মনে হয় ভাষা সম্বন্ধে এই রহস্যবোধ, আর ভাষার ব্যাখ্যার চেষ্টা, এই দুইটির সম্বন্ধে একটা সচেতন ভাব এবং কৌতূহল, তাঁহার রস-রচনা এবং ভাষাঘটিত আলোচনা, উভয়ের দ্বারা রবীন্দ্রনাথ আমাদের মনে জাগাইতে সমর্থ হইয়াছেন।
ভাষা-বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের ‘বিশেষ সাধনা’ ছিল না একথা তিনি বলিয়াছেন। বিশেষ সাধনা, professional বা পেশাদার ভাষাতাত্ত্বিকের মতো ছিল না, হয়তো একথা সত্য; কিন্তু এবিষয়ে রবীন্দ্রনাথের সাধনা যে অনন্যসাধারণ, তাহার পরিচয় তাঁহার বাঙ্গালা ভাষা এবং বাঙ্গালা ছন্দবিষয়ে আলোচনায় ভূরি ভূরি আছে। শব্দতত্ত্ব-র প্রবন্ধাবলী হইতে দেখা যায়, চল্লিশ-পঞ্চাশ বৎসর পূর্বে বাঙলা ভাষাতত্ত্বের যতটুকু অনুশীলন হইয়াছিল, রবীন্দ্রনাথ তখন সে সমস্তটুকুর সহিত পরিচিত ছিলেন। উপরন্তু তিনি আধুনিক বাঙলার উচ্চারণ সম্বন্ধে, এবং বাঙলার ধ্বন্যাত্মক শব্দ, শব্দদ্বৈত প্রভৃতি কতকগুলি বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে প্রথম অনুসন্ধান করিয়াছিলেন, প্রথম চিরতরে এইসব বিষয়ে কতকগুলি সূত্র আবিষ্কার করিয়া গিয়াছেন। যেমন বাঙলার স্বর-সংগতির সূত্রগুলি; বাঙলার ধ্বন্যাত্মক শব্দের প্রকৃতি—ইহার-ই আধারে স্বর্গীয় রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী মহাশয় বাঙলা ভাষার এই শ্রেণির শব্দগুলির এক অতি চমৎকার আলোচনা করেন (‘ধ্বনিবিচার’, সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকা, ১৩১৪ সাল, দ্বিতীয় সংখ্যা; শব্দ-কথা, ১৩২৪, গ্রন্থের প্রথম প্রবন্ধ)। বাঙ্গালা নাম ও সর্বনাম শব্দের তির্যক রূপ সম্বন্ধে, এইরূপ আরও কতকগুলি বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের আলোচনা বাদ দিতে পারা যায় না।
প্রথম প্রথম রবীন্দ্রনাথ ভাষাতাত্ত্বিক গবেষণায় যেভাবে আকৃষ্ট হইয়াছিলেন, পরবর্তীকালে সে-আকর্ষণ তাঁহার মনে হয়তো ছিল না—কারণ পেশাদার ভাষাতাত্ত্বিক না হইলে এই জটিল বিষয়ের সমস্ত সূত্র ধরিয়া অনুসন্ধান করা সাধারণের পক্ষে একটু কষ্টসাধ্য ব্যাপার হইয়া পড়ে—ভাষাশিল্পী কবির পক্ষেও বটে। নিছক শাব্দিক অপেক্ষা কবির আসন অনেক উচ্চে,—শাব্দিকের মতো আদার ব্যাপারী হইয়া থাকা কবির পক্ষে সম্ভব হয় না। সুতরাং পঞ্চাশ বৎসর পূর্বে কবি যে অনুশীলন আরম্ভ করিয়াছিলেন, সেই ধারা বহিয়া উত্তরকালে শব্দশাস্ত্রের কোনো বিরাট গবেষণায় তাহার পরিণতি হয় নাই। ইহাতে হয়তো শব্দশাস্ত্রের দিক হইতে আমরা একটু আক্ষেপ করিতে পারি; কিন্তু সমস্ত শব্দশাস্ত্র অপেক্ষা যাহা বড়ো, যাহা ব্যাপক, যাহা মানবজাতির পক্ষে উপযোগী, সেই কাব্য-সাহিত্যকে রবীন্দ্রনাথ সমৃদ্ধ করিয়াছেন, মানবজাতির শাশ্বত সম্পদরূপে তাহাকে বাঙলা ভাষায় সুপ্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন; নিছক বৈজ্ঞানিক হইয়া শব্দের জালে তিনি যে জড়াইয়া পড়েন নাই, শব্দকে পক্ষ করিয়া তিনি অসীমে যে উড্ডীন হইয়াছেন, ইহা মানবজাতির সৌভাগ্য।
ছন্দের আলোচনায় রবীন্দ্রনাথ বাঙলা ছন্দের প্রকৃতি লইয়া কতকগুলি বিচার ও বিশ্লেষণ করিয়াছেন। শ্রীযুক্ত প্রবোধচন্দ্র সেন ও শ্রীযুক্ত অমূল্যধন মুখোপাধ্যায় যেভাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বাঙলা ছন্দের আলোচনা করিয়াছেন—বিশেষতঃ অমূল্যবাবু যেভাবে বাঙলা ছন্দের রীতি ও নিয়মগুলি সূত্রনিবদ্ধ করিয়া দিয়াছেন—রবীন্দ্রনাথ সেভাবে ছন্দতত্ত্ব লিখেন নাই। এখানে তিনি ছন্দরাজ্যের বিজ্ঞানসম্মত ভৌগোলিক নহেন, তিনি ছন্দরাজ্যের সম্রাট,—এমন জনপ্রিয় সম্রাট যিনি নিজ রাজ্যে সর্বত্র স্বাধীনভাবে অপ্রতিহত গতিতে বিচরণ করেন, ও সেই দেশের খবর যাহারা চাহে তাহাদেরও এই বিচরণলব্ধ জ্ঞান দিতে কার্পণ্য করেন না।
রবীন্দ্রনাথের ভাষার উপর অধিকার এবং ভাষার প্রকৃতি-সম্বন্ধে অন্তর্দৃষ্টি বিবেচনা করিলে, সত্যই তাঁহাকে ‘বাকপতি’ বলিয়া সংবর্ধনা করিতে হয়। আমাদের বাঙলা ভাষা ধন্য, ইহার কাব্য-সাহিত্য ধন্য, ইহার তথ্যানুশীলন ধন্য, যে এই ভাষায় এত বড়ো বাকপতি কবি এবং মনীষী জন্মগ্রহণ করিয়াছেন—যিনি সত্যকার বাগদ্রষ্টা ও বাকশ্রোতা, এবং যাঁহার নিকট বাগদেবী আপনাকে প্রকট করিয়াছেন।
কবিতা, রবীন্দ্র-সংখ্যা, আষাঢ় ১৩৪৮