পত্র-১৪
নাসরিন
তোমার কাছে যাবার সমস্ত পথই তো তুমি বন্ধ কোরে দিয়েছো। বিরূপ তোমার পরিবার এখন বিক্ষুব্ধ। তোমার আত্মিয়রা এখন আর আমার সামান্য সহযোগিও নয়। আমি কি কোরে তোমার কাছে পৌঁছবো!
জানি না কেন, দুঃসময়েই শুধু আমার কথা মনে পড়ে! তোমার দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তোমার কাছে যেতে মনস্থির করেছিলাম, কিন্তু কি কোরে যাবো! প্রথম বাধা— তোমার সাথে ডাক যোগাযোগ (তাও সব চিঠি তোমার হাতে পৌঁছয় না, চিঠি বেহাত হয়) ছাড়া আর কোনো যোগাযোগই আজ আর আমার নেই। দ্বিতীয়ত রাজনীতি। ৫৪ ঘন্টার ধর্মঘট আমাকে ৫৪ বছর দূরে ঠেলে দিলো।
আঘাত কি খুব বেশি? খুব কি কষ্টে আছো? যদি সত্যি সত্যি বিচ্ছিন্ন জীবন আর না চাও তবে ০১.০৮. তারিখ ঢাকায় চলে আসো। আমিই তোমাকে আনতে ময়মনসিংহ যেতাম কিন্তু তোমার কাছে পৌঁছানোর কোনো উপায় আজ আমার নেই— তুমি তা ভালোই জানো।
যদি সত্যিই একত্র জীবন চাও তবে এসো। সামান্য আবেগে যদি কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকো তবে নয়।
তোমার বিবেচনার ভালো থাকায় এখন আমার দিন কাটে, রাত যায়। এরচে’ সন্যাস অনেক ভালো।
তুমি কেমন ভালো থাকো, আমি জানি না। ০১. তারিখ থেকে আমি অপেক্ষা করবো। একা আসতে যদি অসুবিধা হয় ইয়াসমিনকেও(১৬) সঙ্গে এনো।
চূড়ান্ত বিষণ্নতা গ্রাস কোরে ফেলেছে। জানি না কখনো আর উজ্জ্বলতা ফিরে পাবো কিনা! আজো তোমাকে পেতে চাই আমি— যদি তুমি ফিরে আসো।
রুদ্র
২১.০৭.৮৭ মোংলা বন্দর