গ্লানির্ভবতি ভারত – ৬০

৬০

“ছোট থেকে কানু চক্রবর্তী আর চৌধুরীবাড়ির শঙ্কর ছিল হরিহর আত্মা। বড় ভালোবাসত কানু তার বন্ধুকে। দুজনে যখন বাড়ি ছেড়ে পালাল, সুগন্ধা মামার কথামত শঙ্কর নাম পালটে ‘রাধানাথ’ হয়ে ভরতি হল মায়াপুরের স্কুলে।

“কানু যত বড় হতে লাগল, রাধানাথের প্রতি এক অদ্ভুত অধিকারবোধ আচ্ছন্ন করে ফেলতে লাগল ওকে। এক কিশোরবেলার অভিমানী প্রেমিকের মতোই ও আগলে রাখতে লাগল রাধানাথকে। মামা গোপালকৃষ্ণ ও তাঁর অনুরাগী গোপাল ব্যানার্জি বা এদের কথায় রাধানাথ যখন একটু একটু করে পালটে যাচ্ছে, সরে আসতে চাইছে মায়াপুরের অহিংস বৈষ্ণব মত থেকে, আলাদা করে গড়ে তুলতে চাইছে এক বাহিনী, তখন অনেক বারণ করেছে কানু। প্রথমে অনুনয় বিনয়, তারপর তিরস্কার।

“রাধানাথ শোনেনি। ছোট থেকেই সে যেমন মেধাবী, তেমনই একগুঁয়ে। বন্ধুর সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেছিল ও।

“প্রাণের প্রিয়বন্ধুর থেকে ক্রমাগত দুর্ব্যবহারে ক্ষতবিক্ষত হতে হতে কানু একসময় পালিয়ে আসে সেখান থেকে। চলে আসে নিজের গ্রাম বদনপুরে। নিজের কৃষ্ণভক্তি ত্যাগ করে সে আবার ফিরে গেল শক্তির উপাসনায়। কিন্তু চাইলেও রাধার প্রতি তার ভালোবাসাকে সে মুছে ফেলতে পার লনা। এই ভালোবাসা কি শুধুই বন্ধুত্ব না কোন বিশেষ আকর্ষণ, আমি জানি না! শত প্রতিকূলতাতেও ‘রাধা’র প্রতি ভালোবাসায় ভাঁটা পড়েনি তার। আর এই ভালোবাসাকেই হাতিয়ার করে দিনের পর দিন রাধানাথ রায় বন্ধুর মুখ বন্ধ করে রেখেছিলেন। ওর বৈদিক সমাজের একেবারে উলটোদিকে হওয়ায় কখনো কখনো কেউ পালিয়ে বদনপুর চলে গেলেও জোর করে আবার ফেরত আনিয়েছেন তাকে। তবে, অচ্যুত বলে ছেলেটাকে ফেরত আনার সময় কানু চক্রবর্তী বাধা দেয় সম্ভবত নিজেও বছরের পর বছর সব জেনেশুনে আর মেনে নিতে পারছিল না। সে বাধা দেওয়ায় তাকে আক্রমণ করে রাধানাথ রায়ের লোকেরা।”

রুদ্র একটানা বলে থামল।

“এটা কি কানু চক্রবর্তীর স্টেটমেন্ট?” কমিশনার সুনীত বসু জিজ্ঞাসা করলেন।

“হ্যাঁ। রাধানাথ রায়ের পালিয়ে যাওয়ার খবর শুনে নিজেই সে সব বলেছে থানার ওসিকে।” রুদ্র বলল।

শম্ভল ফার্ম হাউজ দ্রুত সিল করা হচ্ছে। একেবারে বাইরের দিকে চেয়ার পেতে বসে রয়েছে ওরা। দুপুর পেরিয়ে রোদ পড়ে এসেছে। সারাদিন আজ এখানেই কেটেছে সবার। প্রিয়াঙ্কা, লোকেশ ব্যানার্জি ও বীরেন শিকদারও মায়াপুর থেকে এসে পৌঁছেছেন একটু আগে।

দূরে পুলিশের হোমগার্ডরা দ্রুততার সঙ্গে জঙ্গল কেটে একটা চওড়া পথ তৈরি করছে, যা দিয়ে যাওয়া যাবে ওপাশে বাংলার নিষিদ্ধ আমীশ সমাজে। কাজ প্রায় শেষের দিকে।

কমিশনার বললেন, “শেখর চৌধুরীও মোটামুটি একই কথা বলেছেন। ভাই বহুবছর নিখোঁজ থাকার পর ফিরে এলে তিনি তাকে ফেরাতে পারেননি। বাইরে ভাইয়ের কোন অস্তিত্বই স্বীকার করতেন না। দেখাতেন, কোনো যোগাযোগ নেই। কেউ সেভাবে জানতও না। কিন্তু ভেতরে ভেতরে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতেন ভাইকে।”

প্রিয়াঙ্কা বলল, স্যার, যে ছেলেটা আমাকে হেল্প করল, সেই অচ্যুতকে কিন্তু আর খুঁজে পাইনি।”

“কেন সে কোথায় গেল?”

“জানি না স্যার।” প্রিয়াঙ্কা কাঁধ ঝাঁকাল, “শ্রীহরি বলে একটা ওরই বয়সি ছেলে বলল, মহাভোগ বিতরণের আগেই গুরুদেব ওকে নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছেন।”

“রাধানাথ রায় যে ওই ঘটনার কিছুক্ষণ আগে পর্যন্তও মায়াপুরে ছিলেন, তা আমি জানি। কিন্তু কোথায় গেলেন?”

প্রিয়াঙ্কা বলল, “তা বলতে পারব না স্যার। তবে অচ্যুত ছিল ওদের চতুস্পাঠীর সবচেয়ে মেধাবী, সবচেয়ে বুদ্ধিমান ছাত্র।”

“তবে কি ওকেই রাধানাথ স্যার তৈরি করতে চান পরবর্তী কল্কি রূপে?” রুদ্র বলল।

“হতে পারে।” কমিশনার বললেন, “আমাদের কাজ তাই এখানেই শেষ নয়। যেভাবেই হোক খুঁজে বের করতে হবে রাধানাথ রায়কে।”

রুদ্র একটা নিশ্বাস ফেললো। তারপর বলল, “স্যার, আমার একটা রিকোয়েস্ট আছে।”

“কী, বলো।” কমিশনার বললেন, “একজন প্রোবেশনার হয়ে তুমি যেভাবে পুরো ব্যাপারটাকে সামলেছ, উই আর এক্সট্রিমলি প্রাউড অফ ইউ! জেলাশাসক নিজেও বারবার নাম করছেন তোমার। পুলিশ ডিপার্টমেন্ট তোমায় পেয়ে গর্বিত, রুদ্রাণী। তুমি আর তোমার টিমের সবাইকে এইজন্য অ্যাওয়ার্ডেড করা হবে।”

“থ্যাঙ্ক ইউ স্যার।” রুদ্র একবার প্রিয়মের দিকে তাকাল। প্রিয়ম আলতো ঘাড় নেড়ে সম্মতি দিতে ও বলল, “স্যার, ক্ষমা তো এখনো হাসপাতালে। ও সেরে উঠলে আমরা ওকে দত্তক নিতে চাই। অফিশিয়ালি।”

কমিশনার সুনীত বসু বললেন, “কিন্তু তা কী করে পসিবল? গোটা কমিউনিটির সবাইকেই তো এখন পুরো কেস চলার সময় বারবার কাজে লাগবে।”

“লাগুক না স্যার।” রুদ্র বলল, “তদন্তের প্রয়োজনে যতবার ডাকা হবে, ও নিশ্চয়ই আসবে। কিন্তু এমনিতে ও আমার কাছেই না হয় থাকুক। ওর মা নেই। আমি ওকে আমাদের মতো করে বড় করে তুলব।”

“বেশ। আমি চেষ্টা করব। ডি এম কী বলেন দেখি!”

আনন্দে ঝলমল করে উঠল রুদ্রর মুখ।

লম্বা লম্বা গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে এসে পড়েছে পড়ন্ত সূর্যের আলো। সেই নরম আলোর ওম ভিজিয়ে দিচ্ছে ওকে। ধুয়ে দিচ্ছে গত কয়েকদিনের অত্যধিক পরিশ্রম।

যখনই ভাবছে, ক্ষমা আবার একটা উচ্ছল প্রজাপতির মতো খেলে বেড়াবে বাংলোর বাগানে, আনন্দে নেচে উঠছে ওর মন।

মুখে হাসি, চোখে জল নিয়ে রুদ্র প্রিয়মের হাতের ওপর হাত রাখল। অস্ফুটে বলল, “ওর একটা নতুন নাম হবে। অজেয়া। কেমন?”

* * *

লেখকের নাতিদীর্ঘ কৈফিয়ত

প্রায় দুই বছর পর আত্মপ্রকাশ করল রুদ্রাণী প্রিয়ম সিরিজের নতুন উপন্যাস। বলতে দ্বিধা নেই, ২০১৬ সালের প্রথম দিকে ভুটানের প্রেক্ষাপটে ‘ঈশ্বর যখন বন্দী’ উপন্যাসে যখন প্রথম সৃষ্টি করেছিলাম রুদ্রাণী ও প্রিয়মকে, তখনও ভাবিনি তারা এত বিপুলভাবে পাঠক মহলে গৃহীত হবে। ‘ঈশ্বর যখন বন্দি’ আমার লেখা শুধু প্রথম উপন্যাস নয়, পরিণত বয়সের সর্বপ্রথম সাহিত্যকর্ম। সাধারণত বাংলা সাহিত্যে লেখকরা প্রথমে কিছুদিন ছোটগল্প লিখে হাত মকসো করেন, তারপর রয়েসয়ে শুরু করেন উপন্যাসের কাজ। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে তা কাকতালীয়ভাবেই সম্পূর্ণ বিপরীতগামী।

যাইহোক, ‘ঈশ্বর যখন বন্দি’ লেখার সময় ধারণা ছিল না যে, রুদ্র-প্রিয়মকে আবার এবং বারংবার ফিরিয়ে আনতে হবে। শুরু থেকে লেখার সময় একটা বিষয় মাথায় ছিল, ‘গোয়েন্দা’ বা ‘থ্রিলার’ নয়, ইতিহাস-বিজ্ঞানের মিশেলে নতুন স্বাদের ‘অভিযান’ বা অ্যাডভেঞ্চার লিখতে হবে। ব্যোমকেশ-ফেলুদা নস্ট্যালজিয়ার পর বাঙালি পাঠককে আর নতুন গোয়েন্দা চরিত্র উপহার দিয়ে লাভ নেই, আর পেশাদার গোয়েন্দাদের সীমাবদ্ধতা এখন কমবেশি সকলেরই জ্ঞাত। তাই গোয়েন্দা নয়, প্রথম থেকেই চেয়েছিলাম একজন সাধারণ মানুষের যুক্তি বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে টানটান গল্প বলতে। এবং সেইজন্য সচেতনভাবেই নির্বাচন করেছিলাম একজন নারীকে। এ’যাবত হাতেগোনা কিছু মহিলা গোয়েন্দা বাংলা সাহিত্য পেয়েছে বটে, কিন্তু এখন সমাজের অন্তর্নিহিত পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার জন্যই হোক বা অন্য কোন কারণে, যতটা সমাদর তাদের প্রাপ্য ছিল, তা তারা পায়নি।

আমি পূর্বসূরীদের থেকে শিক্ষা নিয়েছি, তাই আরো একটা ‘মেয়ে গোয়েন্দা’ তৈরি করে সেই ঝুঁকি আর নিইনি। রুদ্রাণী গোয়েন্দা নয়, তার গল্পও কোন ডিটেকটিভ কাহিনী নয়। রুদ্র পাশের বাড়ির শিক্ষিত স্বাবলম্বী ন্যাকামিবর্জিত মেয়েটির মতই সাধারণ একটি তরুণী। এখনকার অধিকাংশ জুটির লিঙ্গসাম্যের ফর্মুলা মেনে, তার জীবনসঙ্গী প্রিয়ম ‘স্বামী’ কম, ‘পার্টনার’ বেশি। তাদের দুজনের চাকরির টানাপোড়েন, সাংসারিক ওঠানামার মাঝেই যখন রুদ্র মুখোমুখি হয় কোন সমস্যা, ভীরু ‘সাতেপাঁচে না থাকা’ নাগরিকের মত পাশ কাটিয়ে না গিয়ে সে মোকাবিলা করতে চায়। এটুকুই।

এই প্রাথমিক ভিত্তির ওপরেই লেখা হয়েছিল রুদ্র প্রিয়ম সিরিজের পরবর্তী দুই উপন্যাস ‘নরক সংকেত’ এবং ‘অঘোরে ঘুমিয়ে শিব’। দুটোরই বিষয়বস্তু ছিল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের সংবেদনশীল প্রেক্ষাপটে অঁকা। গত সাড়ে তিন বছরে অন্যান্য লেখা নেহাত কম লিখিনি, কিন্তু রুদ্র প্রিয়ম সিরিজের অনুরাগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে ক্রমবর্ধমান। আমি হয়ত লিখতে না চাইলেও সিরিজের নতুন উপন্যাস নিয়ে তাঁদের দাবী আসতেই থাকে।

এদিকে সমস্যায় পড়েছি আমি। একেবারে আইন-অপরাধের বাইরের পেশায় সংযুক্ত থাকা একজন মানুষকে বারবার কোন সমস্যার মধ্যে যুক্তিসম্মতভাবে ‘ইনভল করা’ খুবই কঠিন ব্যাপার, এদিকে না লিখেও উপায় নেই। বইমেলা থেকে কর্মক্ষেত্র, এমনকি বিদেশেও যেখানে গিয়েছি সেখানেই সম্মুখীন হতে হয়েছে ‘পরবর্তী রুদ্র-প্রিয়ম কবে আসছে’ জাতীয় প্রশ্নের।

স্বয়ং স্যার আর্থার কোনান ডয়েল পাঠকের দাবীতে মৃত হোমসকে বাঁচিয়ে ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হয়ে ছিলেন, সেখানে আমি তো নগণ্য মাত্র! তাই কোন উপায়ান্তর না দেখে রুদ্রাণীকে এবার একটি শক্তপোক্ত এবং প্রাসঙ্গিক পেশায় নিযুক্ত করতে হল, যাতে সে অবলীলায় একটার পর একটা অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারে। তার বয়স এখনো দুই দশক অতিক্রম করেনি, তাই পাঠক এই ধৃষ্টতা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, এই আশা রাখি।

আমেরিকার আমীশ সম্প্রদায় বাংলা সাহিত্যে সম্পূর্ণ ব্রাত্য। লক্ষাধিক মানুষ যে এই একবিংশ শতাব্দীতেও সম্পূর্ণভাবে আধুনিকতা বর্জন করে নিজেদের মধ্যে বিনিময় প্রথায় বসবাস করতে পারেন, এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম এভাবেই চলতে থাকে, তা সত্যিই অভাবনীয়। ইন্টারনেট তো দূর, বিদ্যুৎ বা মোটরগাড়ি পর্যন্ত তাঁদের কাছে বর্জনীয়। সম্প্রদায়ের শিশু কিশোররা অবধি বড় হয়ে ধর্মীয় শিক্ষায়, বয়ঃসন্ধির পর আর থাকে না কোন বিদ্যালাভের সুযোগ।

আমীশ সম্প্রদায়কে নিয়ে একটা বড়সড় কাজ করার বাসনা বেশ কিছুদিন ধরেই পোষণ করছিলাম। বই, বিবিধ গবেষণাপত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ ছাড়াও পরিকল্পনা ছিল তাঁদের সঙ্গে সশরীরে গিয়ে সাক্ষাতের। যদিও তাঁরা আধুনিক সমাজকে পারতপক্ষে এড়িয়ে চলেন, তবু একটি গোপন সূত্রে দেখা করার দারুণ সুযোগও উপস্থিত হয়েছিল। কিন্তু ভিসা থেকে যোগাযোগ, সব আয়োজনের পরেও আকস্মিক পৃথিবীব্যাপী মহামারির প্রাদুর্ভাব তাতে জল ঢেলে দিল।

ইচ্ছা ছিল অষ্টাদশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি জগন্নাথ তর্কপঞ্চাননকে মানুষের কাছে তুলে ধরারও। বড় ব্রাত্য, বড় অবহেলিত তিনি আজ! এই উপন্যাস লেখার আগে জগন্নাথ তর্কপঞ্চাননের ত্রিবেণীর বাড়িতে বারবার গিয়েছি। তাঁর বর্তমান বংশধর শ্রী সুশান্ত ভট্টাচার্য তাঁর পারিবারিক ঐতিহ্যের পূর্ণ সম্মান রেখে আতিথেয়তায় ও সহায়তায় সমৃদ্ধ করেছেন আমাকে। বিস্মিত হয়েছি এমন একজন অসামান্য প্রতিভাকে বাঙালি কী করে ভুলে গেল, সেই ভেবে। মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী যথার্থই বলেছিলেন, ‘বাঙালি আত্মবিস্মৃত জাতি’।

ত্রিবেণীতে জগন্নাথ তর্কপঞ্চাননের বসতবাড়ির ঠাকুরদালানে আমি ও বর্তমান বংশধর শ্রী সুশান্ত ভট্টাচার্য

এই প্রাসঙ্গিক থ্রিলার উপন্যাসে তাই ওঁর স্মৃতিতর্পণের আকাঙ্ক্ষার লোভ আমি ছাড়তে পারলাম না।

 তাই ‘গ্লানির্ভবতি ভারত’ আমার দুটো ইচ্ছাই পূরণ করল বলা যায়। পাঠকের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হল কিনা, তা বলবেন তাঁরাই। নির্দ্বিধায় জানাতে পারেন আমার অফিশিয়াল ওয়েবসাইট www.authordebarati.com এ।

ভাল থাকুন। পৃথিবী দ্রুত সুস্থ হোক।

আ নো ভদ্রাঃ ক্রতবো যন্তু বিশ্বতঃ। আমাদের মধ্যে শুভচিন্তার উদয় হোক।

‘গ্লানির্ভবতি ভারত’ লিখতে আমি যে যে গ্রন্থ/গবেষণাপত্রের সহায়তা নিয়েছি, তার একটা প্রায় সম্পূর্ণ তালিকা নীচে দেওয়া হল :

১. Life in an Amish community, Katherine Wagner

২. An Amish Paradox: Diversity and Change in the World’s Largest Amish Community, Charles Hurst and David McConnell

৩. Plain Diversity: Amish Cultures and Identities, Steven M. Nolt and Thomas J. Meyers

৪. New York Amish: Life in the Plain Communities of the Empire State, Karen M. Johnson-Weiner

৫. A History of the Amish, Steven Nolt

৬. Becoming Amish: A Family’s Search for Faith, Community and Purpose, Jeff Smith

৭. The Riddle of the Amish Culture, Donald B. Kraybill

৮. The East India Company and Hindu Law in Early Colonial Bengal, Nandini Bhattacharyya Panda

৯. Kalki Avatar & Hazrat Muhammad, Pundit Ved Prakash Upadhyay

১০. কল্কী পুরাণ

১১. Hindu Gods and Goddesses, Bansal, Sunita Pan

১২. Hymns of the Rigveda, Griffith

১৩. রঘুবংশ ( চতুর্দশসর্গ), ডঃ অনিল চন্দ্র বসু।

১৪. মহাভারতম, ডঃ অনিলচন্দ্র বসু।

১৫. ঈশোপনিষদ, যুধিষ্ঠির গোপ।

১৬. সূর্যসুক্ত

১৭. যজুর্বেদ

১৮. কৌষিতকী আরণ্যক

১৯. শতপথ ব্রাহ্মণ

২০. বৃহদারণ্যকোপনিষদ, অধ্যাপক দাস, ঘোষ, গোস্বামী।

২১. জগন্নাথ তর্কপঞ্চানন, উমাচরণ ভট্টাচার্য।

২২. মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ, ডঃ অলোককুমার চক্রবর্তী।

২৩. ‘মধ্যযুগে বাঙ্গলা’ : শ্রী কালীপ্রসন্ন বন্দ্যোপাধ্যায়।

২৪. ‘প্রাক-পলাশী বাংলা’ (সামাজিক ও আর্থিক জীবন, ১৭০০-১৭৫৭) : সুবোধ কুমার মুখোপাধ্যায়।

২৫. ত্রিবেণীর সেই অদ্বিতীয় পণ্ডিত ও তাঁর প্রতিকৃতি, নারায়ণ দত্ত।

২৬. রাজা কৃষ্ণচন্দ্র, ইন্দুমাধব ভট্টাচার্য।

২৭. নবদ্বীপ মহিমা, কান্তিচন্দ্র রাঢ়ী।

২৮. মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং, রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়।

২৯. বৃহৎ বঙ্গ, দীনেশচন্দ্র সেন।

৩০. বাংলার ইতিহাস (নবাবী আমল), কালীপ্রসন্ন বন্দ্যোপাধ্যায়।

৩১. বাদশাহী আমল, বিনয় ঘোষ।

৩২. পলাশীর যুদ্ধ, তপনমোহন চট্টোপাধ্যায়।

৩৩. মুর্শিদাবাদ কাহিনী, নিখিলনাথ রায়।

৩৪. প্রাচীন কলকাতা পরিচয়, হরিহর শেঠ।

৩৫. সিরাজদ্দৌল্লা, অক্ষয় কুমার মৈত্র।

৩৬. কলিকাতা দর্পণ, রাধারমণ মিত্র।

৩৭. আঠারো শতকের বাঙলা ও বাঙালী (১৯৫৭)—অতুল সুর।

৩৮. ভগবদগীতা।

ইত্যাদি।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *