ক্রন্দসী প্রিয়া – ১৩

১৩

১৯৭৬ সালে আমি চাকরি ছেড়ে দিয়ে ব্যাবসা আরম্ভ করি। ব্যাবসার কাজে বাংলাদেশের সব জেলাতে আমাকে ঘুরতে হয়েছে। ঢাকাতে মাসের মধ্যে বড় জোর আট দশ দিন থাকতাম। সেলিনাও প্রায় সব সময় আমার সঙ্গে ট্রেনে, বাসে অথবা, প্লেনে করে গিয়েছে। যাবতীয় খরচ সেলিনাই বহন করত। আমার টাকা মোটেই খরচ করতে দিত না। যেখানে যা পছন্দ হয়েছে নিজের জন্য, আমার জন্য, তার আপামনি ও ছেলেমেয়েদের জন্য কিনেছে। আমি অনেকবার এতবেশি খরচ করতে নিষেধ করেছি। কিন্তু সে কোনো কথা শুনত না। বলত,খরচ করে একটু আনন্দ পাই, তাতে তুমি বাধা দিও না। তার মনে ব্যথা লাগবে ভেবে পরে আমি আর কিছু বলতাম না। একবার তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তুমি যে আমার সঙ্গে ঢাকার বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছ, আম্মা কিছু বলেন না?

সেলিনা বলল, আসবার সময় শুধু আম্মাকে বলে আসি তোমার সঙ্গে যাচ্ছি। বিয়ের পর থেকে আম্মা আমার কোনো খবর বড় একটা রাখে না। জরিনাকেও আমার সঙ্গে কোথাও যেতে দেয় না।

সে জন্য তুমি মন খারাপ কর না। তোমার তো খোঁজ খবর নেওয়ার একজন লোক হয়েছে, তাই প্রয়োজন বোধ করেন না।

ব্যাবসা আরম্ভ করার পর, বছর খানেক বেশ কাটল। একদিন চট্টগ্রামে সফিনা হোটেলে তাকে রেখে ব্যাবসার কাজে বাইরে গিয়েছিলাম। ফিরে এসে দরজায় নক করতে খুলে দিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে সেলিনা ফুঁপিয়ে উঠল।

আমি তাড়াতাড়ি দরজা লাগিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, কি হয়েছে? কাঁদছো কেন?

সেলিনা বলল, পাশের রুমে স্বস্ত্রীক একজন ভদ্রলোক এসেছেন। তাদের সঙ্গে কি সুন্দর একটা তিনচার বছরের ছেলে রয়েছে। ছেলেটা যখন তার মাকে আম্মা বলে ডাকছিল তখন থেকে ঐ ডাক শোনার জন্য আমার মন ভীষণ উতলা হয়েছে। কিছু ভালো লাগছে না। চল অন্য কোনো হোটেলে যাই।

বললাম, বেশ তো এক্ষুনি সে ব্যবস্থা করছি। তারপর আমরা অন্য হোটেলে গিয়ে উঠলাম।

চট্টগ্রাম থেকে ফেরার কয়েকদিন পর সেলিনা বলল, তুমি বুদ্ধি করে কিছু একটা উপায় বের কর। যেভাবে হোক আমি আপামনি ও ছেলেমেয়েদের একবার দেখব।

 কিছুক্ষণ চিন্তা করে বললাম, তাদের সবাইকে নিয়ে এক দিন আমি পার্কে বেড়াতে যাব। তুমি লেকের ধারে সেই জায়গায় থাকবে। কিন্তু একটা কথা খুব খেয়াল রাখবে, এমন কথা বা এমন ব্যবহার আমার সঙ্গে করবে না, যাতে করে তোমার আপামনি বুঝতে পারে তোমার সঙ্গে আমার পরিচয় আছে। কারণ তোমার আপামনি ভীষণ চালাক।

সেলিনা আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে কয়েকটা কিস দিয়ে বলল, তোমার বুদ্ধির তারিফ করার ভাষা আমার নেই। তোমাকে আর বেশি কিছু বলতে হবে না। তুমি তোমার কর্তব্য ঠিক করবে আর আমার দিকটা আমি দেখব। তবে তুমি যদি তাদেরকে পৌঁছে দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য সেখান থেকে চলে যাও, তাহলে খুব ভালো হয়।

আমিও তাকে আদর করে বললাম, সে দেখা যাবে।

সপ্তাহ খানেক পরে সেলিনার সঙ্গে কথাবার্তা ঠিক করে আমি স্ত্রী-ছেলেমেয়ে নিয়ে রমনা পার্কে একদিন বেড়াতে গেলাম। আমার বড় ছেলের বয়স তখন আট, মেয়ের পাঁচ, আর ছোট ছেলের দেড় বছর। বেড়াতে বেড়াতে নির্দিষ্ট জায়গার কাছাকাছি একটা ঢালাই করা বেঞ্চে সবাইকে নিয়ে কিছুক্ষণ বসলাম। তারপর বাদাম ভাজা কিনে এনে আমার স্ত্রীর হাতে দিয়ে বললাম, তুমি ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাদাম খাও, আমি গেট থেকে একটু আসছি। এক বন্ধু ঠিক এই সময়ে আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য গেটে আসবে বলে কথা দিয়েছে। বেশি দেরি করব না।

আমার স্ত্রী বলল, শিঘ্রী ফিরো কিন্তু। তুমি তো আবার বন্ধু পেলে দুনিয়ার সব কিছু ভুলে যাও।

ছেলেমেয়েদের দিকে খেয়াল রাখতে বলে আমি গেটের দিকে গিয়ে ঘুরে এসে কিছুটা দূরে আড়াল থেকে ওদের লক্ষ্য রাখলাম।

সেলিনা লেকের ধারে নির্দিষ্ট জায়গায় আগের থেকে ড্রাইভার দাদুর সঙ্গে বসে গল্প করছিল। আমি চলে আসার দুতিন মিনিট পর উঠে গিয়ে আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে লাগল। তারপর ভ্যানিটি ব্যাগ খুলে ছেলেমেয়েদের হাতে কি যেন দিল, আর ওদের খুব আদর করল। কিছুক্ষণ গল্প করার পর ড্রাইভার দাদুকে ডেকে বেঞ্চে বসিয়ে তাকে কিছু বলে সবাইকে নিয়ে গেটের দিকে গেল। ওরা চলে যাওয়ার পর আমি দাদুর কাছে এসে জিজ্ঞেস করলাম, কি ব্যাপার? সব গেল কোথায়?

দাদু বললেন, দুজনে বোন সম্পর্ক পাতিয়েছে। সম্পর্কটা পাকা করার জন্য কোথায় যেন গেল। আপনাকে এখানে অপেক্ষা করতে বলেছে। আচ্ছা দুলাভাই, ইনিই বুঝি বড় আপা?

বললাম, ঠিক বলেছেন।

দাদু আবার বলেন, প্রথম দিকে আপনার উপর আমার খুব রাগ ছিল। কিন্তু যতই আপনাকে দেখছি ততই আমিও ভালবেসে ফেলছি। বড় আপা কি এ সব বিষয় কিছুই জানেন না?

না দাদু, জানলে আমরা তিনজনে অশান্তির আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে যাব। তাই প্রতিজ্ঞা করেছি, সারা জীবন তার কাছে গোপন রাখব। শুধু আপনার খুকি ভাইকে বড় ভয় হয়। কি জানি আনন্দের মধ্যে যদি কিছু বলে বা করে বসে, তাহলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। প্রায় একঘন্টা পর তারা ফিরে এল। দেখলাম, সেলিনার হাতে কাপড়ের ও মিষ্টির বাক্স। এসেই সেলিনা আমাকে আস-সালামু আলায়কুম দিয়ে বলল, কি দুলা ভাই, কেমন আছেন?

আমি কোনো রকমে ওয়া আলায়কুম আসসালাম বলে অবাক হয়ে তার দিকে চেয়ে রইলাম।

আমার অবস্থা দেখে সেলিনা ড্রাইভার দাদুকে বলল, আপনি ওঁকে সব কিছু খুলে বলেন নি?

হাসি চেপে রেখে দাদু গাম্ভির্যের সঙ্গে বললেন, বলেছি তো?

প্রথমটা আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হলেও দাদুর উত্তর শুনে বললাম, হ্যাঁ, হ্যাঁ, উনি আপনাদের সম্পর্কের কথা বলেছেন। এখন সন্ধ্যে হয়ে আসছে, আজ তা হলে আসি?

সেলিনা বলল, দাদু, চলুন আপামনিদের বাসায় গিয়ে মেহমানি করে আসি।

তার কথা শুনে চিন্তায় পড়ে গেলাম। ভেবেছিলাম, ওদেরকে পেয়ে একট বাড়াবাড়ি করবে। কিন্তু বাসায় যেতে চাইবে এতটা ধারণা করিনি। খুব ভয় হতে লাগল। যদি বেতালে কিছু করে বসে, তাহলে সামাল দেওয়া মুস্কিল হয়ে পড়বে।

আমাকে চিন্তিত দেখে সেলিনা বলে উঠল, কি দুলাভাই, আমি আপনাদের বাসায় যেতে চাইলাম, আর আপনি চুপ করে আছেন। ভয় পেলেন নাকি?

আমি মুখে হাসি ফুটিয়ে বললাম, এটা তো খুব আনন্দের কথা। ছোট বোন বড় বোনের বাসায় যাবে তাতে দুলাভাই ভয় পাবে কেন? বরং খুশীই হবে! তারপর সবাই গাড়িতে করে বাসায় ফিরলাম।

বাসায় এসে মাগরিবের নামায পড়ে আমাদের পোষা মোরগটা জবাই করে স্ত্রীকে বললাম, বিরানী রান্না কর।

সেলিনা কথাটা শুনতে পেয়ে বলল, না আপা, বিরানী খেতে ভালো লাগে না। তুমি বরং জর্দা পোলাও আর গোস্ত আলাদা রান্না কর। এখন থেকে বলে রাখছি, এবার থেকে মাঝে মাঝে আমি আসব। কিন্তু আমার জন্য আলাদা কিছু রান্না। করতে পারবে না, যা হবে তাই খাব। যদি কিছু কর, তবে না খেয়েই চলে যাব।

আমার স্ত্রী বলল, ঠিক আছে ভাই, তাই হবে। খাওয়া দাওয়া শেষ করে রাত দশটায় বিদায় নেওয়ার সময় সেলিনা বলল, আজ আমি আমার ঠিকানা দিয়ে গেলাম না। একদিন এসে সবাইকে নিয়ে যাব।

আমার স্ত্রী বলল, এবার আসার সময় দুলামিয়াকে সঙ্গে করে নিয়ে আসবে।

আচ্ছা বলে সালাম দিয়ে আল্লাহ হাফেজ বলে সেলিনা গাড়িতে উঠল।

ওরা চলে যাওয়ার পর আমি স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম, কি ব্যাপার বলত? অমন বড়লোক বোন জোগাড় করলে কি করে?

সে এক আশ্চর্য ঘটনা।

কি আশ্চর্য ঘটনা খুলেই বল না; মেয়েটার ব্যবহার দেখে মনে হল সত্যিই তোমরা যেন মায়ের পেটের বোন।

ঘটনাটা পুরো বলছি শোন

আমাদেরকে পার্কে রেখে তুমি চলে যাওয়ার পর আমি ছেলেমেয়েদের নিয়ে বাদাম খাচ্ছিলাম। এই মেয়েটাকে ঐ ড্রাইভারের সঙ্গে কিছু দূরে লেকের ধারে বসে গল্প করতে দেখলাম। একটু পরে মেয়েটা ধীরে ধীরে আমাদের কাছে এসে আমাকে সালাম দিয়ে আমার মুখের দিকে একদৃষ্টে চেয়ে রইল?

আমি সালামের জওয়াব দিয়ে বললাম, আপনাকে তো চিনতে পারছি না বোন?

আমার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে সায়ফুল্লাকে কোলে নিয়ে খুব আদর করল। তারপর সব ছেলেমেয়েদের হাতে টফি দিয়ে একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে বলল, এই হতভাগীকে চিনে আর কি করবেন? তবে আপনি যখন আমাকে বোন বলে ডেকেছেন, যদি বিরক্ত না হন তাহলে পরিচয় দিয়ে কিছুক্ষণ আপনার সঙ্গে আলাপ করতে চাই।

ওকে দেখে খুব বড় লোকের বৌ বলে মনে হয়েছিল। বললাম বিরক্ত হব কেন? বসুন।

মেয়েটা আমার পাশে বসে বলল, আমার নাম সেলিনা খানম। ঠিক আপনার মতো আমারও একটা আপা আছে। কিন্তু আমার এমনই দুর্ভাগ্য যে, আমি তার সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। কারণ আমি ভালবাসা করে বিয়ে করেছি বলে আমার সব আত্মীয় স্বজন আমাকে দেখতে পারে না। এমন কি আম্মা পর্যন্ত কোনো খোঁজ খবর নেয় না।

আমি জিজ্ঞেস করলাম, আপনার আব্বাও কি কোনো খবর নেন না?

উনি আমার বিয়ের আগে মারা গেছেন।

আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, আপনার স্বামী কি করেন? কোথায় থাকেন? আর ঐ বুড়ো লোকটাই বা কে?

আমার স্বামী ব্যবসা করেন। উনি ঢাকাতেই থাকেন! বুড়ো লোকটা আব্বার দূর সম্পর্কের চাচা হন। আমরা দাদু বলে ডাকি। উনি আমাদের গাড়ি চালান আর গার্জেনের মতো দেখাশোনা করেন।

আপনি স্বামীর বাড়িতে থাকেন না?

আমার স্বামী দ্বিতীয়বার আমাকে বিয়ে করছেন। উনি প্রথম স্ত্রীকে খুব ভালবাসেন। তার মনে কষ্ট হবে বলে আমাকে নিয়ে যান না। আমি আমার মায়ের। কাছেই থাকি।

সেলিনাকে আমার সঙ্গে কথা বলার সময় ছেলেমেয়েদেরকে খুব আদর করতে দেখে বললাম, কতদিন আপনাদের বিয়ে হয়েছে? ছেলে মেয়ে হয় নি?

সেলিনা কিছুক্ষণ নিচের দিকে চেয়ে চোখের পানি মুছে বলল, আমি সে ভাগ্য নিয়ে জন্মায়নি আপা। আজ প্রায় পাঁচ বছর আমাদের বিয়ে হয়েছে। এতদিনে যখন আমার ছেলেমেয়ে হল না। তখন আমার স্বামী মেডিকেলে চেক-আপ করিয়েছেন। ডাক্তাররা বলেছেন, আমার সন্তান ধারণের ক্ষমতা নেই। তারপর সায়ফুল্লাহকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলল, আল্লাহপাক যদি শুধু এই রকম একটা ছেলে আমাকে দিত, তাহলে মেয়ে জনম সার্থক হত। আমি জীবনে কোনোদিন মা ডাক শুনতে পাব না মনে হলে বুক ফেটে যায় বলে ঝর ঝুর করে কেঁদে ফেলল।

তার কথা শুনে আমার খুব দুঃখ হল। ভাবলাম, ওরা কত বড় লোক, আর মেয়েটা দেখতেও সুন্দরী। কিন্তু সন্তান না হওয়ায় কত অশান্তিতে আছে। তাকে সান্তনা দেওয়ার জন্য বললাম, কি করবেন বোন? সবই আল্লাহর ইচ্ছা। তাঁর মর্জি ছাড়া কোনো কিছু হয় না।

সেলিনা লেকের পানিতে চোখ মুখ ধুয়ে এসে বলল, আপনি যদি ছোট বোন বলে স্বীকৃতি দেন, তাহলে আমি আপনাকে এখন থেকে আপামণি বলে ডাকব। আর আপনার সঙ্গে নিজের বড় বোনের মত কুটুম্বীত করব।

ওর সব কিছু শুনে আমার খুব মায়া হল। বললাম, আমারও কোনো বোন নেই। আপনি আমার ছোট বোন হলে আমিও খুব খুশী হব।

সেলিনা আমার দুটো হাত ধরে চুমো খেয়ে বলল, সত্যি বলছেন?

আমি বললাম সত্যি বলছি।

তখন সেলিনা আবার বলল, তাহলে আমরা আর আপনি করে সম্বোধন করব। ওটাতে দূরের সম্পর্ক বোঝায়। এখন থেকে তুমি আমার নাম ধরে ডাকাবে। আর আমি তোমাকে আপামনি বলে ডাকব।

সেলিনার কথায় যেন যাদু আছে। তার সরল ব্যবহারে আমি খুশী হয়ে বললাম, তাই হবে।

তাহলে চল সম্পর্কটা পাকা করে ফেলি।

কোথায় আবার যাব? আমার স্বামী এক্ষুনি এসে আমাদের খোঁজ করবেন।

সে ব্যবস্থা আমি করছি বলে ড্রাইভারকে ডেকে তার কাছ থেকে গাড়ির চাবি নিয়ে বলল, আজ থেকে আপনার আর একটা বোন বাড়ল। সম্পর্কটা পাকাপোক্ত করার জন্য আমি সবাইকে নিয়ে যাচ্ছি। আপনি এখানে বসুন। লক্ষ্য রাখবেন, একজন ভদ্রলোক এসে এদের খোঁজ করলে সব কথা বলে এখানে বসিয়ে গল্প করবেন। কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা ফিরে আসব। তারপর সায়ফুল্লাহকে বুকে তুলে আমাদের সবাইকে নিয়ে নিজে গাড়ি চালিয়ে নিউমার্কেটে এসে প্রথমে মিষ্টি খাওয়াল। তারপর সকলের জন্য কাপড় ও মিষ্টি কিনে পার্কে নিয়ে এল। তার পরের ঘটনা তুমি তো জান।

আমি বললাম, যাই হোক, কাপড় নেওয়া তোমার উচিত হয় নি।

আমার স্ত্রী বলল, আমি অনেক আপত্তি করেছি। কিন্তু সেলিনা শুনেনি। বলল, আমি তোমর ছোট বোন। আপামণিদের ছোট বোনদের অনেক অন্যায় আবদার সহ্য করতে হয়। এই সব করে যদি আমি একটু শান্তি পাই, তাতে তুমি বাধা দিও না আপা। এই কথা বলে চোখ মুছল। এত সামান্য কথাতে তার চোখে পানি দেখে মেয়েটাকে সত্যিই খুব দুঃখী মনে হওয়ায় আর আপত্তি করতে পরিনি।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *