কোয়েলিয়া গান – সিদ্ধার্থ দাশগুপ্ত
যেহেতু বাগানে আর নেই কোনো ফুল
তাই কালো বুলবুল বনে ফিরে যেতে যেতে থমকে দাঁড়ায়—
কার আর্তি শোনা যায় বর্ষার বেপথু বাতাসে
খামাজের আলোর মিনার বিষাদে বিপন্ন যেন
কোয়েলিয়া, কোয়েলিয়া, সয়না যে করুণ পুকার!
বৃষ্টির অশ্রান্ত জল মিশে যায় দু’চোখের জলে;
ঠোঁট কাঁপে, জ্বলে ওঠে আঙ্গুলে দু’কানে আর নাকের খিলানে
কম্পমান হীরা, অভিমান ফুলে-ফুলে ওঠে:
তুম পুছো ম্যয় না বাতায়ুঁ… বালমুয়াঁ
তুম ক্যা জানো প্রীতকে…
কী করে জানবে সে তো ভালোবেসে রক্তাক্ত হয়নি!
তাই বুঝি বারংবার করুণ কান্নায় ভেঙ্গে পড়া:
ও বেদরদী, সপনোসে আ যানা… বেদরদী… কৈসে কাটে রাতিয়াঁ…
তখনো অশান্ত বৃষ্টি, মধ্যরাত্রি, পশ্চিমের অবিশ্বস্ত হাওয়া—
উড়ে গেলো বুলবুল, সাঙ্গ বুঝি হলো তার সব গান গাওয়া ||
—
পুনর্মুদ্রণ৷ কবিতাটি ‘কালপুরুষ’ পত্রিকার বর্ষা সঙ্কলন,
১৩৮২-তে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল৷