3 of 3

আমার জীবনে ‘উদ্বোধন’

আমার জীবনে ‘উদ্বোধন’

উনিশ শো চুয়ান্ন সালে ‘উদ্বোধন’-এর সঙ্গে আমার পরিচয়। ‘উদ্বোধন’-এর বয়স তখন ছাপ্পান্ন। আমার বয়স কুড়ি। ছাত্রজীবনের শেষের দিক। পুরনো আদর্শ, বিশ্বাস, জীবনচর্যা, ধর্ম, নৈতিকতার সঙ্গে চুয়ান্ন সালের তেমন বিরোধ ছিল না—যে-বিরোধ নিরানব্বই-দুহাজারে অতি প্রখর। এখন আর ‘জেনারেশন গ্যাপ’ নয়, ‘জেনারেশন প্যাসিফিক’। লেজ বাঁকাই, তবে একটু ধরে সোজা রাখার চেষ্টা হতো। এখন বলা হচ্ছে, সেই চেষ্টাটা অতিশয় গর্হিত কাজ। যে যেদিকে বাঁকতে চাইছে, বাঁকতে দাও, সেটাই মনের বিকাশের পক্ষে স্বাস্থ্যকর। তৈরি হবে উজ্জ্বল মানুষ, সফল মানুষ, আন্তর্জাতিক মানুষ! চুয়ান্নর মানুষ ছিল ভীরু। গোবেচারা। এতটাই ভীরু যে, ধর্ম মানত, ঈশ্বর মানত, শ্রীরামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের আদর্শ ও নীতিকে জীবনে প্রতিফলিত করার চেষ্টা করত। জীবিকার জন্য জীবন ও জীবনের জন্য জীবন—দুটো জীবনের পার্থক্য বুঝত। এদিকের পথ বিষয়ের পথ, ওদিকের পথ অনন্তের পথ। সে-পথে সীমাহীন আনন্দ।

‘উদ্বোধন’ একশ বছরে এসে সম্পূর্ণ অন্য একটা জগৎ দেখছে। চিত্রশিল্পে শেখানো হয়, ছবিতে খুব উজ্জ্বল আলো বোঝাতে হলে গভীর ছায়া ফেলতে হবে, ‘ডীপেস্ট শ্যাডো’। গভীর, ঘন ছায়া মানে ভারী উজ্জ্বল একটি দিন। বৈষয়িক জগৎ এখন ভয়ঙ্কর ঝলমলে, তার ছায়াটাও আলোর শর্ত মেনে মিশমিশে কালো। এই আলোয় বস্তু অথবা মানুষ যে-ই থাক তার প্রক্ষিপ্ত ছায়াটি গভীর কালো। অতীতের চেয়ে আরো অন্ধকার। ভোগ যেমন বেড়েছে, সেই অনুপাতে বেড়েছে দুর্ভোগ। ধর্ম যত কমছে, ভেতরের আলোও তত ম্লান হচ্ছে। এই বিভ্রান্তিতেও ‘উদ্বোধন’ শুধু শতবর্ষে পা রাখল না, দিনে দিনে তার তারুণ্যের শক্তি বাড়ছে। স্বামী পূর্ণাত্মানন্দের সম্পাদনায় যে-’উদ্বোধন’কে দেখছি সে শতবর্ষের বৃদ্ধ নয়, তরতাজা যুবক। এইতেই প্রমাণিত হয় স্বামীজীর ভূয়োদর্শন। “ভারতবর্ষের আদর্শ—ভগবান, একমাত্র ভগবান। যতদিন ভারতবর্ষ মৃত্যুপণ করেও ভগবানকে ধরে থাকবে, ততদিন তার আশা আছে।” স্বামীজী বলছেন : “হিন্দুরা ধর্মের ভাবে খায়-দায়, ধর্মের ভাবে ঘুমোয়, ধর্মের ভাবে চলাফেরা করে, ধর্মের ভাবে বিয়ে করে, ধর্মের ভাবে দস্যুবৃত্তি করে। … এজাতির লক্ষ্য ও প্রাণশক্তি-ধর্ম। বিশ্বাস, অবিশ্বাস নয়। ধর্মের ভেতরেই এই জাতির অবস্থান। মাছ যেমন জলে থাকে আমরাও সেইরকম ধর্মে আছি। আমাদের সংস্কারে ধর্ম। আমাদের প্রাণ ধর্ম, ভাষা ধর্ম। প্লেগ নিবারণ, রাস্তা ঝেঁটানো, যাবতীয় সমাজসংস্কার ধর্মের ভেতর থেকে হলে হবে, না হয় না হবে। এই হলো স্বামীজীর দর্শন। শ্রীরামকৃষ্ণ ও স্বামীজীর ধর্ম হলো সমাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, শিল্পগঠন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, নারীজাগরণ, ব্রাত্যজনের সামাজিক প্রতিষ্ঠা, স্বাধীনতা প্রভৃতির অপূর্ব এক সংমিশ্রণ। আর এই ধর্মে ‘উদ্বোধন’-এর প্রতিষ্ঠা পত্রিকাটিকে শতায়ু করেছে। এই পত্রিকা চিরায়ু অর্থাৎ অমর হলেও আশ্চর্য হব না। মানুষ যতই চিৎকার করুক—আমিই সব, সে কিন্তু একটা আশ্রয় চায়। শক্তি খোঁজে এমন একটা কিছুতে যা সৎ, সুন্দর অবিনাশী। ‘উদ্বোধন’ সেই আশ্রয়। কোন চটকদারি নেই, গল্প নেই, উপন্যাস নেই, বিনোদন নেই। আছে শুধু প্রবন্ধ। এই পত্রিকা মানুষের শত্রু নয়, মানুষের পরম বন্ধু

আমি একটি প্রবন্ধ লিখেছিলাম। প্রবন্ধটির নাম ছিল ‘মানুষ’। মানুষ সম্পর্কে বিশ্বের দার্শনিকদের ভাবনা। ‘মানুষ’ প্রাণীটা কি। স্পিনোজা, হবস, ডেকার্ট, সক্রেটিস প্রমুখ বিদ্বজ্জনেরা কে কি বলছেন! প্রবন্ধটি কোথায় পাঠানো যায়! পোস্ট করে দিলাম ‘উদ্বোধন’-এ। কয়েকদিন পরে একটি পোস্টকার্ড এল, একবার দেখা করার জন্য সম্পাদক মহাশয়ের আহ্বান। তখন সম্পাদক ছিলেন স্বামী শ্রদ্ধানন্দ। উদ্বোধন অফিস তখন ছিল বাগবাজারেই, মায়ের বাড়িতে। শীতের সকাল। দশটার সময় গিয়ে হাজির। বাঁদিকে একটা ঘর। তার পাশের ঘরে বুক কাউন্টার। কাউন্টারে এক সুদেহী মহারাজ। হাসি হাসি মুখ। পোস্টকার্ডটি তাঁর হাতে দিতেই তিনি পড়ে বললেন : “বসুন। আমি ওপরে খবর পাঠাচ্ছি।”

বসে আছি। আমার চোখের সামনে বাঁদিকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ি। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওপর থেকে তরতর করে নেমে এলেন আরেক সন্ন্যাসী। চোখে সোনার চশমা। প্রায় লাফিয়েই ঘরে ঢুকলেন। জিজ্ঞেস করলেন : “কোথায় সঞ্জীববাবু, কোথায় সঞ্জীববাবু?” ততক্ষণে আমি প্রণাম করে উঠে দাঁড়িয়েছি। তিনি খিলখিল করে হাসছেন। ভয়ে ভয়ে বললাম : “মহারাজ, লেখাটা কি এতই হাস্যকর!” শ্রদ্ধানন্দজী বললেন : “আরে না, না। আমার হাসির কারণ—ভেবেছিলাম এক বৃদ্ধকে দেখব, চোখে ছানিকাটা চশমা।” আমার দুটো কাঁধ ধরে একটা ঝাঁকানি মেরে বললেন : “ইউ আর ইয়াং। চল, ওপরে আমার ঘরে চল।” কাউন্টারে যে-মহারাজ ছিলেন, তিনি শ্রদ্ধানন্দজীর হাতে কয়েকটি পার্সেল, পুলিন্দা দিলেন। স্বামীজী সেগুলি আমার হাতে দিয়ে বললেন : “নিয়ে চল। সোজা উঠে যাও তিনতলার ছাদে। বাঁপাশেই আমার ঘর আমি আসছি। যাওয়ার সময় দোতলায় মায়ের ঘরে মাকে প্রণাম করে যেও।”

সেই আমার প্রবেশ শ্রীরামকৃষ্ণ, সারদা, স্বামীজীর জগতে। উনিশ শো চুয়ান্ন-র শীতের সকাল। মায়ের চরণে প্রণাম সেরে সোজা তিনতলায়। ঘরে আরেক মহারাজ মেঝেতে কম্বলের ওপর বসে প্রুফ দেখছেন। উত্তরদিকে একটি টেবিল। সেই টেবিলে শ্রদ্ধানন্দজী দক্ষিণমুখে বসেন। পেছনে একটি বড় জানালা। টেবিলের ওপর পার্সেলগুলি রেখেছি, শ্রদ্ধানন্দজী ঘরে ঢুকলেন। পার্সেলগুলি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখে হাসতে হাসতে বললেন : “পাশ করেছ। ফুল মার্কস!”

বুঝতে পারছি না, তাকিয়ে আছি বোকার মতো। স্বামীজী বললেন : “এগুলো এমন কিছু ভারী নয়। আমিও আনতে পারতাম। তোমার সঙ্গেও আসতে পারতাম। তোমাকে পরীক্ষা করার জন্য তোমাকে আগে যেতে দিয়ে পরে এসেছি। তোমার এতটুকু কৌতূহল হয়নি ভেতরে কি আছে দেখার, যা সাধারণত সকলের হয়। তাছাড়া আমি আড়াল থেকে দেখেছি, মাকে তোমার প্রণামে ভক্তি আছে কিনা।”

সেই একই সন্ন্যাসী ও সেই ‘উদ্বোধন’! অনেকটা সেই সঙ্গীতের মতো— “আমি তো তোমারে চাহিনি জীবনে, তুমি অভাগারে চেয়েছ।” তিনি গ্রহণ করলেন, সম্পূর্ণ নতুন ছাঁচে ঢালাই করে দিলেন সেদিনের সেই তরুণটিকে, যে আজ প্রবীণ। “তোমার ‘মানুষ’ প্রবন্ধটি আমার ভাল লেগেছে। যথেষ্ট পরিশ্রমও করেছ, তবে একটা কাজ বাকি আছে। সমস্ত উদ্ধৃতির ফুটনোট দিতে হবে। তুমি সেইটা করে দিলেই লেখাটি ছাপা হবে।”

আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে বাড়ি ফিরে এলাম। কলেজে আমাদের ইংরেজীর অধ্যাপক পড়াতে পড়াতে একদিন কথাপ্রসঙ্গে বলেছিলেন : “ম্যান ইজ এ বাইপেড উইদাউট এনি উইংস।” ঐ উদ্ধৃতি দিয়েই শুরু হয়েছিল আমার প্রবন্ধ। সমস্ত উদ্ধৃতির উৎস সংগ্রহ করতে পারলাম, পারলাম না প্রথমটির। কে বলেছিলেন? সক্রেটিস! প্লেটো! কারলাইল! উন্মাদের মতো সারা কলকাতা চষে বেড়ালাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজীর প্রধান অধ্যাপকের কাছে গেলাম। সঠিক উত্তর কেউ দিতে পারলেন না। শ্রদ্ধানন্দজীর সম্পাদিত সেই প্রবন্ধটি ফাইলে রয়ে গেল। তখন আর প্রবন্ধ নয়, প্রকাশ নয়, ছাপার অক্ষরে নিজের নাম দেখার আকাঙ্ক্ষা নয়, তখন সাধুসঙ্গে ‘উদ্বোধন’ পত্রিকার সারস্বত জগতে মজে গেছি। শ্রদ্ধানন্দজীর ক্ষণে ক্ষণে জলতরঙ্গের মতো সেই হাসি, সোনার চশমার কাঁচের আড়ালে জ্বলজ্বলে দুটি চোখ, সেই অধ্যবসায়, নিখুঁত সেই সম্পাদনা আজও মনে আছে। সেই শিক্ষা পরবর্তী জীবনে আমার প্রয়োজন হবে বলেই ঠাকুরের কৃপায় এই যোগাযোগ।

বইয়ের কাউন্টারে ছিলেন হরিপদ মহারাজ, সন্ন্যাস-নাম ছিল স্বামী প্রেমরূপানন্দ। প্রেমের মানুষ প্রেমিক মানুষ। যখন পূজায় বসতেন মায়ের মন্দিরে, মনে হতো ঋষি। ‘উদ্বোধন’-এ কালীপূজা তিনিই করতেন। শ্রদ্ধানন্দজী খুব ভাল গান গাইতেন। ওদিকে পূজা চলছে, এদিকে চলেছে কালীকীর্তন। রাতভোর।

শ্রদ্ধানন্দজীকে সম্পাদনার কাজে সাহায্য করতেন স্বামী জীবানন্দ। আত্মভোলা এক সন্ন্যাসী। বিভিন্ন ভাষা শিক্ষায় তাঁর খুব আগ্রহ ছিল। প্রেস থেকে প্রুফ আসত। আমি আর জীবানন্দজী কখনো ঘরে, কখনো ছাদে বসে সেই প্রুফ দেখতাম। তখনই জেনেছিলাম, ‘উদ্বোধন’-এর অনেক গর্বের একটি গর্ব হলো—প্রুফ দেখায় কোন ভুল না থাকা। নির্ভুল ছাপা। ফার্স্ট প্রুফ, সেকেন্ড প্রুফ, তারপর প্রিন্ট অর্ডার। সমস্ত উদ্ধৃতি মূলের সঙ্গে মেলাতে হতো। লেখক ভুল করতেই পারেন, সম্পাদকের দায়িত্ব শুদ্ধ করার। আমরা বলি— ‘ইতিমধ্যে’। শ্রদ্ধানন্দজী শুদ্ধ করে লিখতেন—’ইতোমধ্যে। একটি লেখাকে তিনি কতভাবে যে সংশোধন করতেন—ভাষা, বানান, বাক্য, বাক্যের গঠন। লেখাটি যতক্ষণ না চাবুকের মতো হচ্ছে, ততক্ষণ তিনি ছাড়তেন না। প্রতিটি লেখার প্রাপ্তিস্বীকার করতেন। অমনোনীত লেখা ফেরত দেওয়া হতো। সম্পাদনার কাজ যে কত কঠিন, কত ধৈর্যসাপেক্ষ তখনি বুঝেছিলাম। পরবর্তী কালে এই নিষ্ঠার দৃষ্টান্ত আমাকে খুব সাহায্য করেছিল। ‘উদ্বোধন’ আমার আদর্শ।

শ্রদ্ধানন্দজী আমাকে সবরকম ‘রামকৃষ্ণ সাহিত্য’ পড়তে দিতেন। শুধু পড়া নয়, প্রশ্ন করতেন। ‘উদ্বোধন’ পড়তে হতো মলাট থেকে মলাট। শুধু লেখা নয়, বিজ্ঞাপনও। কোথাও কোন ছাপার ভুল চোখ ফসকে বেরিয়ে গেছে কিনা। সবসময় দুচোখে প্রুফ দেখার কথা বলতেন। একজনের চোখ যথেষ্ট নয়। একজন যা ছেড়ে গেছে, আরেকজনের চোখে তা ধরা পড়বে।

শ্রদ্ধানন্দজী আমাকে নিয়ে মাঝেমাঝেই বেলুড় মঠে যেতেন। স্বামী শাশ্বতানন্দ আমাকে খুব স্নেহ করতেন। বলতেন : “প্রিয়ের প্রিয় অধিক প্রিয়।” শ্রদ্ধানন্দজী আমাকে স্বামীজীর ঘরে নিয়ে গিয়ে বলতেন : “স্বামী বিবেকানন্দের কণ্ঠস্বর হলো ‘উদ্বোধন’। এই ঘরে দাঁড়িয়ে তাঁর অদৃশ্য শক্তি গ্রহণ করার চেষ্টা কর—’স্পিরিট অব স্বামীজী’। এই যে ঠাকুরের মন্দির—এটি ইট আর পাথরে তৈরি, আর ‘উদ্বোধন’ হলো অক্ষরে গাঁথা বেলুড় মঠ। মানুষ মঠে যায়, ‘উদ্বোধন’ বাড়িতে বাড়িতে যায়। মলাটটি খোলা মাত্র ছড়িয়ে পড়ে শ্রীরামকৃষ্ণ, মা সারদা, স্বামীজীর ভাবতরঙ্গ। ধর্ম হলো জ্ঞানের সমন্বয়। বিজ্ঞান, ইতিহাস, ভূগোল, সমাজতত্ত্ব, ভ্রমণ, সাহিত্য, সংস্কৃতি–সুস্থজীবনের যাবতীয় পল্লবিত দিকই হলো ধর্ম, মানবধর্ম। স্বামীজী মানুষকে একপেশে হতে নিষেধ করেছিলেন। তিনি বলতেন, বৈদান্তিক পেলে তার সঙ্গে সাকার আর নিরাকারের তর্ক জুড়তে পারি, বিশ্বাসী ভক্ত পেলে ভক্তির বন্যা বইয়ে দিতে পারি, প্রেমিক পেলে দুহাতে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে পারি।

মঠের আরতি শেষ হলো। ‘খণ্ডন ভববন্ধন’-র সুরে ধীরে ধীরে নেমে এল নিশার অন্ধকার। ঘাট থেকে খুলে গেল একটি নৌকা। জলকল্লোলের শব্দ। দাঁড় ফেলার শব্দ। পাশাপাশি এক সন্ন্যাসী, এক তরুণ। দুই তীরে কোথাও দীর্ঘ আলোকমালা, কোথাও দীর্ঘ অন্ধকারের রেখা। মনে সেই বিস্মিত বিজ্ঞানীর প্রশ্ন—’নদী, তুমি কোথা হইতে আসিতেছ! ‘

‘উদ্বোধন’ তুমি কোথা হইতে আসিতেছ?

শ্রীরামকৃষ্ণ, জননী সারদা, স্বামী বিবেকানন্দ গোমুখী হইতে।

বিশ্বের বিপুল ভোগবাদের দামামায় ক্লান্তকর্ণ শতাব্দীর মানুষ ইচ্ছে করলেই শুনতে পারবে—একটি অরগ্যান, একটি পাখোয়াজ, একজোড়া মন্দিরার মিলিত প্রাণসঙ্গীত—মানুষের চির অনুসন্ধানের সেই শাশ্বত সুর—

“কুৰ্বন্নেবেহ কর্মাণি জিজীবিষেচ্ছতং সমাঃ।
এবং ত্বয়ি নান্যথেতোঽস্তি ন কর্ম লিপ্যতে নরে।।’ (ঈশ-উপনিষদ্, ২)

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *