অধ্যায় ২ – সন্দেহ : কিয়োচিরো কাগা’র আলোচনা
মার্ডার উইপেন হিসেবে পেপারওয়েটের ব্যবহারটা বেশ ভাবিয়েছে আমাকে। ওটা যে মি. হিদাকার ডেস্কে আগে থেকেই রাখা ছিল, সেটা কেউ বলার আগেই ধরতে পেরেছিলাম। এখান থেকে বোঝা যায় খুনি কুনিহিকো হিদাকাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ওখানে যায়নি সেদিন।
খুনটা যদি পূর্ব পরিকল্পিত হতো, তাহলে অবশ্যই পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে আসতো খুনি। তবে এমনটাও হতে পারে, শেষ মুহূর্তে বদলে যায় তার পরিকল্পনা, কিংবা বদলাতে বাধ্য হয় সে। তাই হাতের কাছে যা পেয়েছে, সেটা দিয়েই আক্রমন করেছে মি. হিদাকাকে। তবে এমনটা হবার সম্ভাবনা একদমই কম।
খুব সম্ভবত মুহূর্তের উত্তেজনায় আবেগতাড়িত হয়ে কাজটা করেছে সে। এখান থেকেই মূলত বন্ধ দরজাগুলোর ব্যাপারে ভাবতে শুরু করি। মিসেস হিদাকা এবং নোনোগুচির মতে বাড়ির সামনের দরজা এবং অফিসরুমের দরজা—দুটোই বন্ধ ছিল।
রাই হিদাকার ভাষ্যমতে-বিকেল পাঁচটার দিকে বাড়ি থেকে বের হই আমি। হিদাকা তখন লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ত ছিল বিধায় চাবি দিয়ে বাইরে থেকে বন্ধ করে যাই। নতুবা কেউ ভেতরে ঢুকে পড়লে বুঝতেও পারতো না ও। তবে এরকমটা যে আসলেও ঘটবে, তা কস্মিনকালেও মাথায় আসেনি আমার।’
ফরেনসিক টেকনিশিয়ানদের মতে, সামনের দিকের দরজার হাতলে কেবল হিদাকা দম্পতির হাতের ছাপ পাওয়া গেছে। গ্লোভস পরে কেউ হাতলটা ধরেনি কিংবা হাতের ছাপ মুছে দেয়ার চেষ্টাও করেনি। সুতরাং রাই হিদাকার কথা মেনে নেয়াই যায়।
তবে এটা খুবই সম্ভব যে, অফিসরুমের দরজাটা খুনিই ভেতর থেকে আটকে দিয়েছে। তাছাড়া, ভেতরের হাতলে হাতের ছাপ যে কিছু একটা দিয়ে মুছে দেয়া হয়েছে, তার প্রমাণ পেয়েছি আমরা।
সেজন্যেই আমার জোর বিশ্বাস, অফিসের জানালা দিয়ে ভেতরে ঢুকেছিল খুনি। কিন্তু এখানে অনেকে প্রশ্ন তুলতে পারে, খুনটা যদি পূর্বপরিকল্পিত না-ই হয়ে থাকে, তাহলে ওখান দিয়ে কেন ভেতরে ঢুকবে কেউ? আততায়ী যে চুরি করার উদ্দেশ্যে হিদাকাদের বাড়িতে ঢুকেছিল, এটা অতি কল্পনা হয়ে যায়। একমাত্র গর্দভ শ্রেণীর কেউ বাদে ওরকম খালি বাসায় চুরি করতে ঢুকবে না।
তবে এই প্রশ্নটারও একটা সম্ভাব্য উত্তর আছে।
এমন কি হতে পারে না, একই দিনে দু’বার হিদাকাদের বাড়িতে গিয়েছিল খুনি? প্রথমবার অতিথি হিসেবে সামনের দরজা দিয়ে ভেতরে ঢোকে সে। এরপর বিদায় নিয়ে (কিংবা বিদায় নেয়ার অভিনয় করে) আবারো জানালা দিয়ে প্রবেশ করে বাড়ির ভেতরে। এবারে একটা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ছিল তার মনে আর সেই উদ্দেশ্যটা হচ্ছে কুনিহিকো হিদাকাকে খুন করা। হয়তো প্রথমবার যখন বাড়িটায় এসেছিল সে, তখন এমন কিছু ঘটেছিল, যার কারণে এরকম একটা সিদ্ধান্ত নেয়।
এখন আমাদের ভাবতে হবে, খুনের দিন কে কে গিয়েছিল হিদাকাদের বাসায়। বর্তমানে কেবল দু’জন ব্যক্তির নাম জানি আমরা। মিয়াকো ফুজিও এবং ওসামু নোনোগুচি।
তদন্ত শুরুর সময় এই দু’জনই ছিল আমাদের প্রধান সন্দেহভাজন। কিন্তু যখন জানতে পারি, দু’জনেরই পোক্ত অ্যালিবাই আছে, একদম ধন্ধে পড়ে যাই সবাই।
ঘটনার দিন সন্ধ্যা ছ’টার মধ্যে বাড়ি ফিরে যান মিয়াকো ফুজিও। দু’জন ব্যক্তি সাক্ষ্য দেয় তার এই দাবির পক্ষে। তাদাও নাকাজুকা, মিস ফুজিও’র বাগদত্তা এবং কিকুও উয়েদা, বিয়েতে তাদের প্রধান সহযোগী। আগামী মাসে তাদের আসন্ন বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের বিষয়ে আলাপ করার জন্যে দেখা করে তিনজন। উয়েদা হচ্ছে নাকাজুকার অফিসের বস। মিয়াকো ফুজিও’র সাথে কোন ধরণের আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই তার। সুতরাং অধীনস্থ এক কর্মীর হবু স্ত্রী’কে বাঁচানোর জন্যে মিথ্যে বলাটা তাকে মানায় না। তাছাড়া রাই হিদাকার কাছ থেকে আমরা জানতে পেরেছি, পাঁচটার কিছুক্ষণ পর তাদের বাড়ি থেকে বের হন মাসায়া ফুজিওর বোন। রাস্তার অবস্থা এবং দূরত্ব বিবেচনা করে দেখলে বোঝা যাবে যে ছ’টার দিকেই বাসায় ফেরার কথা মিয়াকোর।
বাকি থাকে ওসামু নোনোগুচি।
একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, তার সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে আমার। আগে আমি যে স্কুলে শিক্ষকতা করতাম, সেখানে সামাজিক বিজ্ঞান আর ইংরেজি কম্পোজিশন পড়াতো নোনোগুচি। সত্যি বলতে, আমার অতীতের এই অংশটুকু ভুলতেই বসেছিলাম।
যদি আমি দেখি আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে কেসের সুষ্ঠু তদন্ত কোনভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে, তাহলে অবশ্যই নিজেকে সরিয়ে নেব। তবে, সেরকম কিছু হবে না বলেই আশা করছি। তাছাড়া আমার ধারণা, নোনোগুচির সাথে পূর্ব পরিচয়ের বিষয়টা আমাদের সাহায্যই করবে।
তবে নোনোগুচিরও একটা পোক্ত অ্যালিবাই আছে।
সাড়ে চারটার দিকে মিয়াকো ফুজিও’র হিদাকাদের বাড়িতে আগমনের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিদায় নিয়ে বেরিয়ে আসে সে। ওখান থেকে সরাসরি বাসায় গিয়ে ছ’টা অবধি ব্যস্ত থাকে কাজ নিয়ে। এসময় পান্ডুলিপি নিয়ে আলোচনার জন্যে ইউকিও ওশিমা নামের এক ভদ্রলোক উপস্থিত হন তার বাড়িতে। তার ঠিক কিছুক্ষণ পর কুনিহিকো হিদাকা ফোন দিয়ে জানান, নোনোগুচির সাথে আটটার দিকে দেখা করতে চান তিনি
একটা রেস্তোরাঁয় গিয়ে একসাথে খাওয়া দাওয়া করে নোনোগুচি এবং ওশিমা। এরপর আটটার দিকে হিদাকাদের ওখানে গিয়ে দেখে ভেতরে কেউ নেই। বাড়ির সবগুলো বাতি নেভানো ছিল তখন। তবে কিছু একটা সন্দেহ হওয়ায় নিকটবর্তি বুথ থেকে রাই হিদাকাকে ফোন দেয় নোনোগুচি। তারপর আটটা পঁয়ত্রিশ অবধি ল্যাম্প নামের একটা ক্যাফেতে গিয়ে অপেক্ষা করে। আটটা চল্লিশের সময় আবারো হিদাকাদের বাড়িতে আসে সে। ওখানে রাইয়ের সাথে দেখা হয় তার। এরপর দু’জনে মিলে ভেতরে ঢুকে হিদাকার মরদেহ দেখতে পায় অফিস রুমের মেঝেতে।
এটুকু বিবেচনা করে মনে হচ্ছে ওসামু নোনোগুচির অ্যালিবাইয়ে কোন ফাঁক প্রায় নেই বললেই চলে। দোজিশা পাবলিশিংয়ের মি. ওশিমা এবং ল্যাম্পের মালিক প্রত্যেকেই ওসামুর কথার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
তবে পুরোপুরি পোক্ত বলা যাবে না। বক্তব্য সত্য হলেও রাইয়ের সাথে সাক্ষাতের পূর্বে কুনিহিকো হিদাকাকে হত্যার একটা না একটা সুযোগ ও ওসামু পাওয়ারই কথা। খুব সম্ভবত মি. ওশিমার সাথে ডিনার শেষ করে সরাসরি হিদাকাদের বাড়িতে গিয়ে হত্যা করে মি. হিদাকাকে। এরপর সব প্রমাণ লোপাটের পর ঠান্ডা মাথায় ফোন দেয় ভিক্টিমের সহধর্মিণীকে। তার কণ্ঠ শুনে নিশ্চয়ই বোঝার উপায় ছিল না যে কিছুক্ষণ আগে কি ঘটে গেছে।
তবে সুরতহালের রিপোর্ট বিবেচনা করলে এই আন্দাজ ধোপে টিকবে না। সেদিন স্ত্রী’র সাথে শপিংয়ে বেরিয়ে একটা দোকান থেকে বার্গার খান কুনিহিকো হিদাকা। পরিপাকের অবস্থা বিবেচনায় এটা স্পষ্ট যে তার মৃত্যু হয়েছে বিকেল পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা ছ’টার মধ্যবর্তি কোন এক সময়ে। অন্তত সাতটার পরে কোনভাবেই নয়।
ওসামু নোনোগুচির অ্যালিবাই টিকে যায় তাহলে।
তবে আমার সন্দেহ সে-ই খুনি। খুনের রাতে তার বলা একটা কথা থেকেই এমনটা মনে হয়। ওই মুহূর্তে কথাটা শোনার পর থেকেই আমার মনে হতে থাকে যে ওসামুই খুনটা করেছে। তবে এরকম নিছক অনুমানকে প্রশ্রয় দিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করা সম্ভব না, তাই আপাতত ভাবনার লাগামটা টেনে ধরতে হবে।
ওসামু নোনোগুচি যে সবকিছু লিখে রেখেছে, এটা শুনে বিস্মিত হয়েছিলাম। একজন খুনি যাবতীয় ঘটনাবলি টুকে রাখবে, এটা অবাক করার মত বিষয়ই বটে। তবে লেখাটা পড়ার পর বুঝতে পারি, উল্টোটা বরং সত্যি। নিজেকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যেই কাজটা করেছে সে।
খুবই গোছানো একটা লেখা। আর এই গোছানো ভাবটাই পাঠকের মনকে প্রভাবিত করবে। পড়ার সময় মনে হবে ওখানে যা কিছু লেখা, সেভাবেই সব ঘটেছে। কিন্তু তেমনটা তো না-ও হতে পারে, তাই না? এখানেই নোনোগুচির নিপুণতা। সম্পূর্ণ কাল্পনিক এক লিখিত জবানবন্দির মাধ্যমে নিজের দিক থেকে সন্দেহের তীর দূরে ঠেলে দেয়া।
তাকে যে সন্দেহ করা সময়ের ব্যাপার মাত্র, এটা নিশ্চয়ই আগে থেকেই বুঝে যায় সে। আমি যে তার সাথে আগে একই স্কুলে চাকরি করতাম, এই বিষয়টাও নিজের সুবিধার্থে কাজে লাগাতে চেয়েছে নোনোগুচি। আমাকে তার পরিকল্পনার অংশ করে লেখাটা পড়তে দিয়েছে। নিশ্চয়ই ভেবেছিল আমি যেহেতু শিক্ষক হিসেবে ভালো করতে পারিনি, গোয়েন্দা হিসেবেও সুবিধে করে উঠতে পারবো না, তার পাতা ফাঁদে সহজেই পা দেব।
আবার এমনটাও হতে পারে, আমি একটু বেশি বেশিই ভাবছি। ব্যক্তিগত অনুভূতিগুলো কেসটা থেকে দূরে রাখতে গিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিয়েছি সত্যের থেকে। তবুও, লেখাটা পড়তে গিয়ে বারবার মনে হচ্ছিল খুব সাবধানে কিছু ফাঁদ পেতে রাখা হয়েছে পাঠকদের জন্যে। এরপর এমন একটা আলামত খুঁজে পেলাম যাতে আর কোন সন্দেহ রইল না যে নোনোগুচিই আসল খুনি।
আবারো নিজের অনুমানের প্রতি ভরসা ফিরে পেলাম। বেশ লম্বা সময় ভাবনাচিন্তার পর সন্তুষ্ট হয়ে চূড়ান্ত রিপোর্টটাও তৈরি করলাম সেই মোতাবেক। হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টে আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসব ব্যাপারে বেশ সাবধানী। তিনিও আমার যুক্তির সাথে একমত প্ৰকাশ করলেন। বলে রাখা ভালো, ওসামু নোনোগুচিকে আগেই সন্দেহ হয়েছিল তার। নোনোগুচির লিখিত বক্তব্যে কোথাও উল্লেখ নেই, কিন্তু ঘটনার রাতে বেশ উচ্ছ্বসিত মনে হচ্ছিল তাকে। স্বভাববিরুদ্ধভাবে কথাও বেশি বলছিল। আমি এবং আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, দু’জনেই খুব ভালো করে জানি, অপরাধবোধ থেকেই এরকমটা করে থাকে মানুষ।
“কিন্তু সমস্যা হচ্ছে,” বস বললেন, “কোন প্রমাণ নেই।”
এই কথাটার সাথে একমত না হয়ে পারলাম না। আমি জানি, অনুমানটায় কোন ভুল নেই কিন্তু সেটার স্বপক্ষে প্রমাণও হাজির করা চাই। আদালতে আমার যুক্তিটা ধোপে টিকবে না। শক্ত প্রমাণ দরকার।
আরেকটা সমস্যা আছে। মোটিভ। কুনিহিকো হিদাকা আর ওসামু নোনোগুচির বিষয়ে অনেক তথ্য জোগাড় করেছি আমি, অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করেছি। কিন্তু এমন কোন কারণ খুঁজে পাইনি, যে কারণে হিদাকার প্রতি নোনোগুচির আক্রোশ জন্মাবে। বরং নোনোগুচির তো হিদাকার প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত। লেখালেখিতে তার পড়তি ক্যারিয়ারকে নিজ হাতে টেনে তুলেছে হিদাকা।
নোনোগুচির সাথে একসাথে শিক্ষকতার করার সময়টা নিয়ে লম্বা সময় ধরে ভেবেছি। মিডল স্কুলের একজন রচনা শিক্ষক তুলনায় বরাবরই ঠান্ডা মাথার মনে হত তাকে। কাজে খুব একটা ভুল করতো না কখনোই। এমনকি কোন ছাত্র বা ছাত্রিকে নিয়ে অনাকাঙিক্ষত ঘটনা ঘটলেও ঘাবড়ে যেত না। বরং পূর্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ধীরে-সুস্থে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করতো। ঝামেলা কাটিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে বরাবরই পটু ছিল সে। বাড়িয়ে বলছি না, কিন্তু নোনোগুচি কখনোই এমন কোন কাজ করতো না যাতে মনে হয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা সে নিয়েছে। বরং বিদ্যালয়ের হ্যান্ডবুকে লেখা নির্দেশনার সাথে মিলে যেত তার কর্মপদ্ধতি। একজন প্রাক্তন সহকর্মীর মতে :
“মি. নোনোগুচি কখনোই শিক্ষকতার পেশায় আসতে চাননি। ঝামেলা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে কারণ ছাত্রছাত্রিদের নিয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত এক মুহূর্তও সময় নষ্ট করতে রাজি নয় সে। এজন্যেই কখনো কোন কিছুতে জড়ায় না।”
ভদ্রমহিলা ধরেই নিয়েছিলেন, লেখালেখিকে ফুল-টাইম পেশা হিসেবে বেছে নেয়ার পরপরই শিক্ষকতা ছেড়ে দিবে নোনোগুচি। কখনো শিক্ষকদের গেট-টুগেদার বা কোন অনুষ্ঠানে অংশ নিত না সে। বরং সেই সময়ে বাসায় বসে লেখালেখি করতো।
এক সময় ঠিকই শিক্ষকতা ছেড়ে লেখালেখিতে মনোনিবেশ করে সে; তবে শিক্ষকতার ব্যাপারে তার প্রকৃত মনোভাব কিরকম ছিল, এটা এখনও অপরিস্কার।
আমাকে একবার নিজের মুখেই একটা কথা বলেছিল নোনোগুচি, সেখান থেকে কিছুটা ধারণা করা যায় অবশ্য :
“শিক্ষক এবং ছাত্রের মধ্যে সম্পর্কের ভিতটাই হচ্ছে একটা ভ্রম। শিক্ষকের মনে হয় তিনি ছাত্রকে কিছু শেখাচ্ছেন, ছাত্রের মনে হয় সে কিছু শিখছে। এই ভ্রমের কারণে ছাত্র-শিক্ষক দু’জনেই খুশি। তেতো সত্যের মুখোমুখি হয়ে তো কিছু অর্জন করা যাবে না। আমরা তাই এই শিক্ষাব্যবস্থা নামক খেলায় মেতে আছি।”
এ রকমটা একটা ধারণা কেন তার মাথায় এলো, তা আসলেও রহস্য।