কোন কাজে আসেনি তার ধন-সম্পদ ও যা সে উপার্জন করেছে।
His wealth and his children (etc.) will not benefit him!
مَا أَغْنَى عَنْهُ مَالُهُ وَمَا كَسَبَ
Ma aghna AAanhu maluhu wama kasaba
YUSUFALI: No profit to him from all his wealth, and all his gains!
PICKTHAL: His wealth and gains will not exempt him.
SHAKIR: His wealth and what he earns will not avail him.
KHALIFA: His money and whatever he has accomplished will never help him.
২। তার ধন-সম্পদ, তার উপার্জন তার কোন কাজেই আসে নাই।
৩। শীঘ্রই সে লেলিহান আগুনে জ্বলতে থাকবে।
৪। তার স্ত্রী আগুনের জ্বালানী কাঠ বহন করবে ৬২৯৫,
৫। তার গলায় খেজুর পাতার আঁশের পাকানো রজ্জু থাকবে।
৬২৯৫। আবু লাহাবের ন্যায় তার স্ত্রীও রাসুলুল্লাহ্র প্রতি বিদ্বেষ ভাবাপন্ন ছিলো। সে এ ব্যাপারে স্বামীকে সাহায্য করতো। সে খেজুরের পাতা দ্বারা রজ্জু পাকিয়ে তা দিয়ে খেজুর কাঁটার বান্ডিল তৈরী করে রাতের আঁধারে তা বয়ে এনে রাসুলের যাত্রা পথে বিছিয়ে রাখতো যেনো তা রাসুলকে আহত করে। জ্বালানী কাঠ বহন করা বাক্যটি প্রতীকধর্মী। এর দ্বারা আবু লাহাবের স্ত্রীর চরিত্রের বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরা হয়েছে। সে ছিলো দুষ্টু প্রকৃতির ; মানুষের মাঝে বিবাদ বিসংবাদের সৃষ্টি করা ছিলো তার স্বাভাবিক ধর্ম। রাসুলুল্লাহ্ (স) ও তাঁর অনুসারীদের কষ্ট দেয়ার জন্য আবু লাহাব পত্নী নিন্দাকার্যের সাথেও জড়িত ছিলো যাতে বিবাদ, বিসংবাদের সৃষ্টি হয়। তার এই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকেই ‘ইন্ধন’ বা জ্বালানী কাঠ নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এটা ছিলো তার অন্যতম পাপ। এর দ্বারা অন্য আর এক রকমের আগুন ও অন্য আর এক রকমের দড়ি দ্বারা সে বেষ্টিত হয়েছে। আগুনটি হবে তার পরলোকের শাস্তি এবং দড়ি বা পাকানো রজ্জুটি হচ্ছে পাপের দাসত্ব করার প্রবণতা। কারণ প্রতিটি পাপ কাজই আত্মাকে হীনতা ও নীচতার ডোরে বেধে ফেলে এবং শেষ পর্যন্ত সে তার আত্মার স্বাধীনতা হারায় ও পাপের ক্রীতদাসে পরিণত হয়। এ ভাবেই পাপীরা তাদের শেষ পরিণতিকে নির্ধারিত করে নেয়। এটাই হচ্ছে এই সূরার নৈতিক উপদেশ।