102.005

কখনই নয়; যদি তোমরা নিশ্চিত জানতে।
Nay! If you knew with a sure knowledge (the end result of piling up, you would not have occupied yourselves in worldly things)

كَلَّا لَوْ تَعْلَمُونَ عِلْمَ الْيَقِينِ
Kalla law taAAlamoona AAilma alyaqeeni

YUSUFALI: Nay, were ye to know with certainty of mind, (ye would beware!)
PICKTHAL: Nay, would that ye knew (now) with a sure knowledge!
SHAKIR: Nay! if you had known with a certain knowledge,
KHALIFA: If only you could find out for certain.

৩। কিন্তু না, শীঘ্রই তোমরা [ বাস্তবতা ] জানতে পারবে।

৪। আবার বলি, তোমরা শীঘ্রই জানতে পারবে।

৫। না, তোমাদের যদি নিশ্চিত জ্ঞান থাকতো; তবে তোমরা [সাবধান ] হতে। ৬২৫৯

৬২৫৯। সূরা [ ৬৯ : ৫১ ] আয়াতের টিকাতে [ ৫৬৭৩ নং ] তিন ধরণের জ্ঞানের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। এই শ্রেণীর প্রথমটি হচ্ছে : নিজস্ব যুক্তি,জ্ঞান, বিবেক,বুদ্ধির দ্বারা বা অন্যের নিকট থেকে শুনে যে জ্ঞান অর্জন করা যায়। একে বলে, “Ilm-ul-yaqin”। দ্বিতীয় ধরণ হচ্ছে চাক্ষুস দেখে যে জ্ঞান অর্জন করা যায় একে বলে “Ain-ul-yaqin”। ‘নিশ্চিত জ্ঞান ‘ দ্বারা তৃতীয় ধরণের জ্ঞানের কথা বলা হয়েছে যাকে বলা হয়েছে “Haqq-ul-yaqin” বা নিশ্চিত জ্ঞান যা ভুল ভ্রান্তির উর্দ্ধে।

যে কোন বিষয় সম্বন্ধে পড়াশুনা করে অনুসন্ধান করে যুক্তি তর্কের সাহায্যে চিন্তা করে বিষয়টির সম্বন্ধে ধারণা জন্মে ও ধীরে ধীরে ধারণা স্বচ্ছ ও প্রাঞ্জল হয়ে ওঠে এবং বিশ্বাসে পরিণত হয়। মানুষের এই স্বাভাবিক প্রবণতাকে গণমাধ্যম যথাঃ রেডিও, টিভি, সংবাদপত্র অনেক সময়েই বিশেষ উদ্দেশ্যে সাধনের জন্য ব্যবহার করে থাকে। এই উদাহরণটি দেয়া হলো মানুষের মানসিক দক্ষতাসমূহ বুঝানোর জন্য। আল্লাহ্‌ মানুষকে জ্ঞান আহরণের এই বিশেষ দক্ষতাটি দান করেছেন, মানুষ যেনো আল্লাহ্‌র এবাদতকে স্পর্শ থেকে স্পর্শাতীত ; মূর্ত থেকে বিমূর্ত, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য থেকে অতীন্দ্রিয় এবং পার্থিব থেকে স্বর্গীয় লোকে আত্মার উত্তরণ ঘটাতে সক্ষম হয়। কারণ আধ্যাত্মিক জগত আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে, এক বিমূর্ত জগত। যদি আমরা আমাদের মনকে অতীন্দ্রিয় আধ্যাত্মিক জগতকে অনুভব করার জন্য নির্দ্দেশ দান করি এবং সেভাবেই চিন্তা ও কাজ করি, তাহলেই আমরা মানব জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে অনুধাবনে সক্ষম হব। পৃথিবীর এই জীবনকে অস্থায়ী বস্তুর প্রতি আসক্তিতে ব্যয় না করে উচ্চতর জীবনে উত্তরণের জন্য যা প্রকৃত প্রয়োজন, যা জীবনে স্থায়ী সুখ ও শান্তি বয়ে আনতে পারবে তাতে ব্যয় করা প্রয়োজন। যদি পৃথিবীর জীবনে আমরা আমাদের চিন্তার জগতে ঈমানের বা বিশ্বাসের ভিত্তি স্থাপন না করি তবে অবশ্যই আমাদের তার প্রতিফল ভোগ করতে হবে।