শান্তি, শান্তি
সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী মেয়েটির প্রস্ফুটিত পবিত্র মুখখানি দেখে
আমি কল্পনা করি ওর তেইশ বছরের প্রজ্বলন্ত যৌবন
তখন আমি হয়তো থাকবো না
আমি তখন ধুলো হয়ে বাতাসে উড়বো কিংবা
কবরস্থানে কেঁচোর খাদ্য হবো
কিংবা দু-একটা দীর্ঘশ্বাসের টুকরো টুকরো স্মৃতি
তবু শতাব্দী পেরুনো উধাও প্রান্তরের পরিব্যাপ্ততায়
একটি বিন্দু ক্রমশঃ রং ও আয়তন পায়
ঝংকৃত পা ফেলে ফেলে
জলের সামনে দাঁড়িয়ে এক মাধুর্যের ছবি
কী গমাখা তার চিবুক। ওষ্ঠে স্বর্গ দেখা হাসি
হাতছানি দিয়ে সে ডাকে কোলাহলময় পাখির মতন শিশুদের
আমি সেই চিবুক, সেই ওষ্ঠে আমার সুদীর্ঘ চুম্বন এঁকে দিচ্ছি।