ভালোবাসতে চাই
প্রয়োজনের মধ্যে বারুদ বিস্ফোরণ ঘটিয়ে
আমি এক এক সময় অপ্রয়োজনকে বেশি ভালোবাসি
যেমন জ্বলন্ত হাতের পাঞ্জায় ফুলকে নরম আদর
যেমন নদীর মৃত্যু দৃশ্য দেখে সতরঞ্চি বিছিয়ে
তাস খেলা
যেমন নারীকে
কখনো কখনো সম্পূর্ণ নারীকেও নয়
কোমরের আয়না-ভাঙা চাঁদ, জলতরঙ্গের মতন দ্বিরাগমন
তীব্র মধ্যমে এক টুকরো হাসি
অপরের নারী, শুধু তার মাধুর্যের দিকে অলীক
হাত বাড়িয়ে দেওয়া
যেন অন্য দেশে পর্যটনের ক্ষণিক প্রকৃতি-সুখ
হ্যাঁ, মনে পড়লো, অন্য দেশে গিয়ে আমি অবান্তরভাবে
স্বদেশ প্রেমিক হয়ে উঠি
গাড়লের মতন, অন্ধের মতন, আধো-চেনা মাতৃভূমির বন্দনা
আবার যখন একা, যখন পা-জামার দড়ি
অনায়াসে গিট খুলে রাখা যায়
নিজের নিভৃতির মুখোমুখি কোনো অলৌকিক হাতছানি
তখন আমি আচমকা বিশ্ব-প্রেমিক
যদিও এই তথাকথিত বিশ্ব আমাকে গ্রাহ্য করে না কানাকড়িও
একটা বোতামের ওঠা-নামা, তার ওপর টলমল করছে
পিঁপড়ে, পাখি ও পুতুলের সংসারের
ধ্বংস-স্থিতাবস্থার সন্ধিক্ষণ
তবু যেন সিন্ধবাদের বুড়োর মতন গোটা মানব সভ্যতা
চেপে থাকে আমার ঘাড়ে
আমার ঘাড় ব্যথায় টন্টন করে
হ্যাংলার মতন, পা-চাটা কুকুরের মতন আমি এই
হৃদয়হীন সভ্যতাকে
ভালোবাসতে চাই!