দর্পণের মধ্যে
কোনদিন যে ভোর দেখে না সে একদিন হঠাৎ জেগে উঠলো
চুম্বক টানে বাইরে এসে সে ধারাস্নান নিল
বেদানার কোয়ার মন আলোয়
তার দুচোখে ছিল আঠা, স্নায়ুতে ছিল মাদক
সে মেতে ছিল আত্মধ্বংসের নেশায়
এই শতাব্দীর শিয়রের কাছে ঝুলছে সর্বনাশের খড়্গ
সন্তান সন্ততিদের জন্য থাকবে না কোনো উত্তরাধিকার
তুলোর আগুনের মতন ধিকিধিকি করে পুড়ে যাচ্ছে সব স্বপ্ন
সে ভেবেছিল শেষ নিশ্বাস ফেলার আগে দ্রুত যত পারা যায়
ঘন ঘন নিশ্বাস নিয়ে যাবে,
সেই মানুষটি আজ সবুজ ঘাসের মতন স্নিগ্ধ বাতাসে
নদীর গর্ভের মন নীল আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে
সমস্ত পৃথিবীকে দেখলো এক দর্পণের মতন, তার মধ্যে
ঝকঝক করছে অন্য এক তাজা পৃথিবী
সে গভীর তৃপ্তির সঙ্গে বললো, আঃ!