আমাদের সক্রেটিস

ওয়েলিংটনের মোড়ে গোল আড্ডার মাঝখানে
দাঁড়িয়ে আছেন আমাদের সক্রেটিস
তিনি একটু আগে হেমলক পান করে এসেছেন, আবার
পান করতে যাবেন।
প্রথমে তিনি ফরাসী ভাষায় উচ্চারণ করলেন
একটি সদ্য ভাঙা পাথরের ভেতরের যে রং
আজও কেউ তার নাম দেয়নি কেন?
তারপরই তিনি ঊনবিংশ শতাব্দীর বাংলায় জানালেন,
একমাত্র মেয়ে মানুষের গতরই ধারণ করতে পারে
একসঙ্গে দুটি আত্মা!

তারপর সক্রেটিস উঁচু করে তুললেন তাঁর দুই ডানা
জাদুকরের মতো তাঁর শরীর কালো আঙরাখায় ঢাকা
তাঁর অনামিকায় রামকৃষ্ণ নামাঙ্কিত আংটি
তাঁর কণ্ঠে ফৈয়াজ খাঁর বাজখাই গমক
তিনি এবারে বললেন, চললুম উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দির থেকে
প্রদীপের ঘি তুলে আনতে
তোমরা অপেক্ষায় থেকো, ঘুমিয়ে পড়ো না।

বাতাসে ঝাঁপ দেবার আগে
কমলকুমার মজুমদার আমাদের দেখালেন
তাঁর বাঁ হাতের কড়ে আঙুলের
নখদর্পণ।

টীকা: উনিশশো ষাট থেকে বাষট্টি সালের কথা। সেই সময় এই সক্রেটিস এসে দাঁড়াতেন ওয়েলিংটনের মোড়ে। সেখানকার ফুটপাথে ছিল আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি আমাদের শেখাতেন কী করে বিষ হজম করতে হয়। তারপর আমরা ধার করে মুর্গীর ঝোল খেতে যেতুম। তিনি আমাদের অপেক্ষা করতে বলে একদিন চলে গেলেন। সেই মুর্গীর ধার আমাদের আজও শোধ করা হয়নি।