বিল্টু আর শেয়ালের কথা
আজ ইদুজ্জোহা। সেই উপলক্ষে ঋভুদের স্কুলে ছুটি। সপ্তাহের মাঝখানে বুধবারে ছুটির এই মওকা মিলে যাওয়ায় ভাইবোন খুব খুশি। আজ ওদের মা ওদেরকে ভোর ভোর ঘুম থেকে তুলে দেয়নি। বেলা ন’টা অবধি ওরা মনের সুখে ঘুমিয়েছে। তারপর ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করে বাসি জামাকাপড় ছেড়ে জল খাবার খেয়ে ভাল ছেলে মেয়ের মত পড়তে বসে গেছে। বেশ খানিকক্ষণ পড়াশোনা করার পর আম্মানের কাছ থেকে গল্প শোনার জন্য ওরা উস্খুস্ করতে লাগল। খুব ছোট থেকে ওরা আম্মার মুখ থেকে গল্প শুনতে ভালবাসে। আম্মার গল্প বলার ভঙ্গীটা এত সুন্দর যে ওরা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শোনে। ওরা চুপিচুপি আম্মানের ঘরের সামনে এল। আম্মা তখন কার্পেটের আসনে ফুল তুলতে ব্যস্ত। ওদের দিকে চোখ পড়ায় বললেন, কী ব্যাপার, পড়াশোনায় ফাঁকি দিয়ে এখানে কী করছ? ঋভু আম্মানের গলা জড়িয়ে ধরে হামি খেয়ে বলল, তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছা করছিল তাই? রিচা জানাল, ওদের পড়াশোনা কমপ্লিট। এই দাদা, তুই মিথ্যা কথা বলছিস কেনরে? আমরা তো আম্মানের কাছে গল্প শোনার বায়না করতে এসেছি। হাতের কাজটা সরিয়ে রেখে সরলা দেবী বললেন, যাও, তোমাদের ঘরের ফ্যান, লাইট বন্ধ করে এস। গল্প শুনব বলে আমরা বই গুছিয়ে ফ্যান, লাইট বন্ধ করে এক্কেবারে রেডি হয়ে এসেছি। ঠিক আছে, বোসো, আমি পানটা মুখে দিই। ওরা ভাইবোন আম্মানের মুখোমুখি বসল। আম্মান বললেন, তোমরা শেয়াল দেখেছ? ঋভু খানিকক্ষণ চিন্তা করে বলল, ছবিতে দেখেছি কিন্তু সত্যিকারের শেয়াল তো দেখিনি। তাহলে শোন, ওরা প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে ধূর্ত্ত, মাংসাশী, স্তন্যপায়ী প্রাণী। আকারে ছোট হলেও ওদের চাতুর্যের সীমা পরিসীমা নেই। যে কোন প্রাণীকে ওরা ছল চাতুরী দিয়ে বোকা বানাতে ওস্তাদ। ঋভু বলল, তোমার মুখে আমি ছেলেবেলায় শেয়ালদের অনেক গল্প শুনেছি। তার মধ্যে শেয়াল আর কাক, শেয়াল আর বোকা ছাগল, শেয়াল আর কচ্ছপ, শেয়াল আর কুমীর ছানার গল্পগুলো এখনও মনে আছে। রিচা জানাল সে বইয়ে Grapes are sour গল্পে শেয়ালের কথা পড়েছে। আম্মান বললেন, আজ আমি যে গল্প বলব তা তোমরা কোন বইয়ে পাবে না। এ আমার ছোটবেলায় নিজের চোখে দেখা একটা সত্য ঘটনা তার সঙ্গে কিছুটা কল্পনার মিশেলে বানানো গল্প। গল্পের নাম “বিল্টু আর শেয়ালের কথা”। আম্মা শুরু করলেন–
বুধবার। শীতের এক স্নিগ্ধ দুপুর। গতকাল পরিদর্শক মহাশয় বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসেছিলেন। তাঁর সম্মানে আজ বিল্টুদের স্কুল ছুটি। বিল্টু তাই দেরি করে ঘুম থেকে উঠেছে। দুপুরে খাওয়ার পর ঠাম্মার পাশে শুয়ে ও এপাশ ও পাশ করছিল। কিছুতেই ওর ঘুম আসছিল না। তারপর যেই না ঠাম্মা খবরের কাগজ পড়তে পড়তে নাক ডাকিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন অমনি বিল্টু চুপিসারে বিছানা থেকে নেমে পা টিপে টিপে ঘর থেকে বেরিয়ে এল। ড্রয়িংরুমে উঁকি মেরে দেখল মা গল্পের বই পড়ায় মগ্ন। দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে এলেও মা তাই টের পেল না। বেরিয়ে আসার সময় ও হাতে করে ব্যাট বলটা আনতে ভুলল না। খেলার সঙ্গী খুঁজতে খুঁজতে কখন যে ও লোকালয় ছাড়িয়ে জঙ্গলে চলে এসেছে তা বুঝতেই পারে নি।
হঠাৎ শেয়ালের ডাকে ও সম্বিত ফিরে পেল। শেয়ালটা ওকে বলল, “কিরে, বিল্টু, এই ভর দুপুরে চললি কোথায়?” বিল্টু বলল, “বন্ধু খুঁজতে বেরিয়েছিলাম। কোথাও পেলাম না। বোধহয় সবাই ঘুমোচ্ছে। পথ ভুল করে এতদূর এসে গেছি”।
“তা বেশ করেছিস, আয় আমার সঙ্গেই খেলবি”। শেয়াল বলল।
“কেন, তুমিও বুঝি বন্ধু পাওনি?” বিল্টু জিজ্ঞাসা করল।
“পাব না কেনরে? এতক্ষণ একটা ইঁদুরের সঙ্গে খেলছিলাম”।
“ইঁদুরটা বুঝি তোমার বন্ধু”?
বিল্টুর প্রশ্নের উত্তরে শেয়াল বলল, “দূর বোকা! ও আমার বন্ধু হতে যাবে কেন? ও তো আমার শিকার। মেরে ফেলার আগে শিকারটা যখন প্রাণ ভয়ে ছুটে পালাতে যায়, তখন তার সাথে লুকোচুরি খেলতে আমার খুব মজা লাগে”।
“তো তোমার সেই শিকারটা গেল কোথায়”?
“তোকে দেখতে গিয়ে যেই একটু আনমনা হয়ে পড়েছি অমনি বোধহয় কোথাও লুকিয়ে পড়েছে”।
“থাক্ গে, আয় এখন তোর সঙ্গে খেলি”।
“না বাবা আমি তোমার বন্ধু হব না”।
“কেন? ভয় পাচ্ছিস্? ভাব ছিস্ তোকেই আমার শিকার বানাব”।
“হতেও তো পারে”।
“না-না, তোকে আমি মারব না। তাছাড়া তোর হাতে তো ব্যাট রয়েছে। দরকার পড়লে ওটা দিয়েই তো তুই শত্রুকে ঘায়েল করতে পারবি” শেয়াল জানাল।
বিল্টু শেয়ালের সঙ্গে লুকোচুরি খেলতে লাগল। কিন্তু শেয়ালটা এত দৌঁড়য় যে বিল্টু ওর সঙ্গে পেরে ওঠে না। তাই বলল, “এসো আমরা বরং এই গাছটার নীচে বসে গল্প করি”। গল্প করতে করতে বিল্টু জিজ্ঞাসা করল, “তুমি কেমন করে প্রথম শিকার ধরেছিলে, মনে আছে”? শেয়াল বলল, “মনে নেই আবার! সে আমার বড় দুঃখের দিনরে, বড় লজ্জার দিন”।
“তবে তুমি আমায় তাড়াতাড়ি বল। অবশ্য তোমার যদি বলতে কষ্ট হয় তাহলে বলার দরকার নেই” – বিল্টু জানাল।
শিয়াল বলতে শুরু করল, “আমি তখন খুব ছোট। একদিন মা আমাকে বাড়িতে রেখে শিকার ধরতে গিয়েছিল। যাবার আগে বলে গেল, “ঘরেতেই থাকবি। খুব ইচ্ছে হলে গর্ত থেকে বেরিয়ে সামনেটায় খেলা করবি। দূরে কোথাও যাস না যেন”।
ঘরে থাকতে ভাল লাগছিল না বলে মাঠে বেরিয়ে ঘুরতে শুরু করলাম। এদিক ওদিক ঘুরতে ঘুরতে কখন যে অনেক দূরে পৌঁছে গেছি তা বুঝতে পারিনি। ঠিক তুই যেমন লোকালয় ছেড়ে জঙ্গলে চলে এসেছিস, আমিও তেমনি জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে চলে গিয়েছিলাম। প্রচণ্ড খিদে পেয়ে গেছে। ভাবছি কাছে পিঠে যদি কোন শিকার পাই তো ধরে খাই”। এমন সময় দেখি কী – “কী দেখলে তাড়াতাড়ি বল না ভাই”।
“দেখলাম একটা ছাগলছানা মায়ের সঙ্গে ঘুরছে। কখনও ঘাসে মুখ দিচ্ছে আবার কখনও বা একছুট্টে গিয়ে মায়ের দুধ খাচ্ছে। বেশ নাদুসনুদুস কচি ছানাটাকে দেখে আমার তো জিভে জল এসে গেল”।
“ছাগলছানার মা টা তখন কী করছিল”?
বিল্টুর প্রশ্নের উত্তরে শেয়াল জানাল যে ছানাটার মা তখন মনিবের দেওয়া ভাতের ফ্যান, তরিতরকারীর খোসা একমনে খেয়ে চলেছে। তাই না দেখে আমি তো চুপি চুপি গিয়ে ছানাটার টুঁটি টিপে ধরে ছুটতে আরম্ভ করেছি। বাচ্চাটার ম্যা ম্যা ডাকে হঠাৎ দেখি কী একদঙ্গল ছেলেমেয়ে হাতে লাঠি সোঁটা নিয়ে আমার পেছনে তাড়া করেছে। সোজাপথ ছেড়ে আমি একটা বড় মাটির ঢিপির উপর উঠে সবে নীচে নামতে শুরু করেছি এমন সময় একটা বড় ইঁট এসে আমার পায়ে লাগল। আর তারপর শুরু হল ইঁট পাথর বৃষ্টি। প্রাণের ভয়ে আমি আমার প্রথম শিকার ফেলে রেখে সোজা গর্তের ভেতরে ঢুকে পড়লাম। তারপর প্রায় সাত আট দিন আমি হাঁটতে পারিনি।
“এরপর আবার কবে তুমি শিকার ধরতে বেরোলে”?
বিল্টু জিজ্ঞাসা করায় শেয়াল কাঁচুমাচু করে জানাল যে সেবারও সে শিকার ধরতে ব্যর্থ হয়েছিল।
“কী রকম, কী রকম” বিল্টু বলল।
শেয়াল বলল, “সেবারও আমি জঙ্গল ছেড়ে বেরিয়ে একটা গ্রামে ঢুকেছি। এবার অবশ্য পথ ভুলে নয়। নিজের ইচ্ছায়, শিকারের খোঁজে। খানিকটা ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ আমার এক ঝাঁক মোরগ মুরগীর দিকে নজর গেল”।
“মুরগীগুলো তখন কী করছিল”?
“ওরা তখন মাটি থেকে কী যেন খুঁটে খুঁটে খাচ্ছিল”।
“তুমি কী করলে? কটা শিকার ধরতে পারলে”? বিল্টু এক নিঃশ্বাসে জিজ্ঞাসা করল।
“একসঙ্গে তো অনেক শিকার ধরা যায় না বন্ধু। তাই আমি বেশ নধর দেখে একটা মোরগকেই আমার লক্ষ্য শিকার বলে বেছে নিলাম”।
“তা সেটাকে তুমি ধরতে পেরেছিলে”?
“না-না, এবারও আমি নিষ্ফল হতাশার দলে নাম লেখালাম”।
“কী রকম”?
“আমি তো লক্ষ্য স্থির করে এগিয়ে চলেছি। এমন সময় ওরা যে কিভাবে আমার আগমন বার্তা টের পেয়ে গেল – জানি না। প্রত্যেকে চোখের নিমেষে একটা বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ল আর আমার পছন্দমত মোরগটা একটা গাছে উঠে তারস্বরে “কঁকর কঁ, কঁকর কঁ, বলে চেঁচাতে লাগল। হঠাৎ কোথা থেকে একপাল কুকুর ছুটে এসে আমায় তাড়া করল। সেবার যে কীভাবে, কত কষ্টে প্রাণ নিয়ে গর্তে ফিরে এসেছিলাম তা আমিই জানি, আর জানেন তোদের ভগবান”।
“তাহলে, তুমি কী আর কোনদিন শিকার ধরতে চেষ্টা করনি”?
“তাই আবার হয় নাকী? শিকার না ধরলে তো কেউ আমায় তোদের মত খেতে দেবে না। অগত্যা বেরোতেই হয়”।
“কবে তুমি তোমার প্রথম শিকার ধরতে পারলে”?
“কথায় আছে না – সফল হতে গেলে বারবার তিনবার চেষ্টা করতে হয়। তাই তৃতীয় বারের চেষ্টাতেই আমি আমার শিকার ধরতে পেরেছিলাম”।
“সেই ঘটনাটা আমায় বলবে প্লিজ্”।
“অবশ্যই! সেটা তো আমার সফল হবার কাহিনী। সেটা তো তোকে জানাতেই হবে”, বলে শেয়াল আরম্ভ করল –
সেবার আমি জঙ্গলের শেষ প্রান্তে একটা বড় মাঠে এসে পৌঁছেছি। সবুজ ঘাসে ঢাকা মাঠটাতে অনেক গরু, ভেড়া, ছাগল ঘুরে ঘুরে ঘাস পাতা খাচ্ছে। তাদের মধ্যে থেকে একটা ছোটখাটো অথচ হৃষ্টপুষ্ট ছাগলের দিকে তাকিয়ে আমি সুযোগের অপেক্ষা করছিলাম। ছাগলটার বয়স বোধহয় তিন চার মাস হবে। আপন মনে ঘাস চিবোতে চিবোতে যেই না সেটা দলছুট হয়ে একটু দূরে চলে এসেছে আমিও সঙ্গে সঙ্গে দাঁত দিয়ে তার ঘাড়টা চেপে ধরে দে ছুট্। তারপর একটা ঝোপের আড়ালে বসে শিকারের ছাল চামড়া ছাড়িয়ে খেতে খেতে নজরে পড়ল গলার পেছনে অনেকটা জায়গা জুড়ে বেশ বড় পুরনো এ্কটা ক্ষত চিহ্ন। মনের পর্দায় ভেসে উঠল সেই পুরনো দিনের স্মৃতি। এটা নিশ্চয়ই আমার সেই ব্যর্থ শিকার। চোখে প্রতিহিংসার আগুন জ্বলে উঠল। সারা শরীর দাঁত দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে মনের জ্বালা মিটিয়ে অতি তৃপ্তিসহকারে আমি আমার মধ্যাহ্ন ভোজ সারলাম।
এতক্ষণ বিল্টু চোখ বড় বড় করে শুনছিল। এবার বলে উঠল, “তুমি তো খুব নিষ্ঠুর”।
“কেন? এর মধ্যে নিষ্ঠুরতার কী দেখলি? তোরা বুঝি মাছ মাংস খাস না”?
“অবশ্যই খাই। তবে তোমার মত এভাবে জ্যান্ত প্রাণী মেরে খাই না। রান্না করা মাংস খাই”।
“ঠিকই বলেছিস্, তুই মারিস না, কিন্তু মাংসওয়ালা জ্যান্ত হাঁস, মুরগী, ছাগল কেটে তাদের ছাল চামড়া ছাড়িয়ে পরিষ্কার করে ছোট ছোট টুকরো করে তোদের বিক্রি করে। আর তোরা রান্না করা সুস্বাদু মাংস মজা করে খাস্। আমাদের মত তোদের কষ্ট করে খেতে হয় না”।
“তাহলে আমি আর কোনদিন মাছ মাংস খাব না বাবা, এতে আমার পাপ হবে”, বিল্টু জানাল।
“দূর বোকা! মাছ মাংস খাওয়া বন্ধ করবি কেন? আসলে কী জানিস যার যেটা খাদ্য তাকে সেটা খেতেই হয়। না হলে বেঁচে থাকা যায় না। যাক্ গে, চল্ তোকে আমার বাসাটা দেখিয়ে আনি”।
খানিকদূর যেতেই বিল্টুর নাকে একটা বিশ্রী বোঁটকা গন্ধ এসে লাগল। বিল্টু জিজ্ঞাসা করল, “ভাই ঐ গন্ধটা কিসের”?
শেয়াল বলল, “ও কিছু না। আমরা যে মাংস খাই বোধহয় তারই রক্ত মাংসের গন্ধ”।
বিল্টুর কেন জানি বেশ ভয় ভয় করতে লাগল। সে বলল, “বন্ধু, সন্ধ্যে হয়ে আসছে। এবার আমায় ফিরতে হবে। না হলে বাড়ির সবাই চিন্তা করবে”।
শেয়াল বিল্টুকে বলল, আয় আর একটু গল্প করি। তারপর তোকে জঙ্গল পার করে লোকালয়ে পৌঁছে দিয়ে আসব। শেয়াল আর বিল্টু আবার গল্পে মেতে উঠল। সন্ধ্যার মৃদুমন্দ শীতল বাতাসে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিল্টুর দু’চোখ ঘুমে জড়িয়ে গেল।
ইতিমধ্যে বাড়ির কোথাও খুঁজে না পেয়ে সবাই তাকে চারধারে খুঁজতে বেরোল। লোকালয় ছাড়িয়ে জঙ্গলের দিকে এগোতেই টর্চ ফেলে তারা দেখল বিল্টু নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে আর শেয়ালটা তাকে পাহারা দিচ্ছে। সঙ্গীরা শেয়ালকে মারার জন্য লাঠি নিয়ে তাড়া করতেই বিল্টুর বাবা তাদের বাধা দিলেন।
জঙ্গলের হিংস্র প্রাণী আর অবোধ শিশুর এই অসম বন্ধুত্ব দেখে বিল্টুর বাবা বিস্ময়ে হতবাক্ হয়ে গেলেন। শেয়ালটা ভয় পেয়ে গর্তে ঢুকে গেল। বিল্টুর বাবা ছেলেকে কোলে নিয়ে বাড়ি ফিরে এলেন।
সবাইকে নীরবে গল্প শুনতে দেখে আম্মান বললেন, ‘‘গল্পটা তোমাদের কেমন লাগল বললে না তো’’।
সবাই সমস্বরে বলে উঠল, ‘‘খুব ভাল লেগেছে আম্মান্। এরকম গল্প কিন্তু আমাদের মাঝে মাঝেই বলতে হবে। প্রমিশ কর’’।
আম্মান হেসে বললেন, ঠিক আছে ভাই, ‘‘এবার থেকে এরকম গল্পই তোমাদের শোনাব’’।