কালপঞ্জী (১৮৭১-১৯১১)
১৮৭১ খ্রীঃ আবদুল্লাহ নামক জনৈক পাঞ্জাবী ওহাবী কর্তৃক কলিকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি (অস্থায়ী) মিঃ নর্মান হত্যা (২০শে সেপ্টেম্বর)। আবদুল্লাহর ফাঁসি— মওলানা কেরামত আলী জৌনপুরী কর্তৃক অত্র ভূখণ্ডকে দারুল ইসলাম হিসেবে ঘোষণা পূর্বক কলিকাতা থেকে ফতোয়া জারি এবং ইংরেজী শেখার জন্য বাঙালি মুসলমানদের প্রতি আহবান।
৮৭২ খ্রীঃ শের আলী খান নামক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগকারী জনৈক পাঠান ওহাবী কর্তৃক আন্দামান দ্বীপে ইংরেজ বড়লাট লর্ড মেয়োকে হত্যা (৮ই ফেব্রুয়ারী)। ১১ মার্চ শের আলী খানের ফাঁসি। ওহাবী আন্দোলনের পরিসমাপ্তি।
১৮৭৩ খ্রীঃ ৭ই ডিসেম্বর ‘নীল দর্পণ’ নাটকের প্রথম অভিনয়। মীর মশাররফ হোসেনের ‘জমিদার দর্পণ’ নাটক রচনা— পৃথক আসাম প্রদেশ গঠন।
১৮৭৫ খ্রীঃ ইংরেজ যুবরাজ এডওয়ার্ড-এর (পরে সম্রাট সপ্তম এডওয়ার্ড) কলিকাতায় আগমন এবং অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ভবানীপুরের খ্যাতনামা উকিল এবং ব্যবস্থাপক পরিষদের অন্যতম সদস্য জগদানন্দ মুখোপাধ্যায় কর্তৃক স্বগৃহে আমন্ত্রণ ও কুলমহিলাদের দ্বরা বরণ।
১৮৭৬ খ্রীঃ মহারাণী ভিক্টোরিয়াকে বৃটিশ পার্লামেন্ট কর্তৃক ভারত সম্রাজ্ঞী উপাধি দান। পাঞ্জাবে দুর্ভিক্ষে ৫০ লক্ষ লোকের মৃত্যু— ভার্নাকুলার প্রেস এ্যাক্ট জারি— অস্ত্র আইনের প্রবর্তন— নাট্যনিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আইন বলবত।
১৮৮২ খ্রীঃ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-এর ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাস প্ৰকাশ।
১৮৮৫ খ্রীঃ বোম্বাই-এ ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস স্থাপিত (২৮শে ডিসেম্বর)। সভাপতি উমেশচন্দ্র ব্যানার্জি এবং সম্পাদক এ ডব্লিউ হিউম।
১৮৮৬ খ্রীঃ সৈয়দ আহম্মদ কর্তৃক ‘মোহামেডান এডুকেশনাল কনফারেন্স’ স্থাপন। ১৮৮৬ খ্রীঃ কলকাতায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের দ্বিতীয় অধিবেশন (ডিসেম্বর), জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে ভারতসভার সংযুক্তি।
১৮৮৮ খ্রীঃ এলাহাবাদে ‘জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশন— কংগ্রেসের মোকাবিলায় স্যার সৈয়দ আহমদ কর্তৃক ইউনাইটেড ইণ্ডিয়ান প্যাট্রিয়টিক অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা।
১৮৯২ খ্রীঃ ভারতীয় কাউন্সিল আইন— প্রাদেশিক আইন পরিষদে ভারতীয় বেসরকারী প্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে নির্বাচন পদ্ধতি গ্রহণ।
১৮৯৫ খ্রীঃ পুণায় জাতীয় কংগ্রেসের বাৎসরিক অধিবেশন।
১৮৯৭ খ্রীঃ দাক্ষিণাত্যে দুর্ভিক্ষ— পুণায় প্লেগ মহামারী— চাপেকার ভ্রাতৃবৃন্দ কর্তৃক ব্রিটিশ অফিসার হত্যা— লোকমান্য তিলকের বিচার ও কারাদণ্ড (২২ জুন)।
১৮৯৮ খ্রীঃ স্যার সৈয়দ আহম্মদ-এর মৃত্যু।
১৯০০ খ্রীঃ কলকাতা পৌরসভা আইন।
১৯০৪ খ্রীঃ ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন— লর্ড কার্জনের পদত্যাগ।
১৯০৫ খ্রীঃ লর্ড কার্জন কর্তৃক বঙ্গ বিভাগের সিদ্ধান্ত (জুলাই) এবং ‘পূর্ববঙ্গ ও আসাম’ নামে নতুন প্রদেশ গঠন (১৬ই অক্টোবর) স্বদেশী আন্দোলনের সূচনা
১৯০৬ খ্রীঃ সিমলায় বড়লাট মিন্টোর সঙ্গে আগা খানের নেতৃত্বে ৩৫ জন মুসলিম নেতার বৈঠক এবং দাবীপত্র দাখিল।— স্যার সলিমুল্লাহ্র উদ্যোগে ঢাকায় মোহামেডান এ্যাডুকেশনাল কনফারেন্স-এর অধিবেশন — ঘরোয়া বৈঠকে মহসিন-উল-মুখের প্রস্তাবক্রমে মুসলিম লীগের জন্ম— আগা খান পরবর্তী ৬ বছরের জন্য সভাপতি নির্বাচিত। কলিকাতায় কংগ্রেসের অধিবেশন।
১৯০৭ খ্রীঃ সুরাটে জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে মধ্যপন্থী ও উগ্রপন্থীদের মধ্যে তীব্র বিরোধ— সভাপতি নির্বাচনে পরাজিত হয়ে অশ্বিনী কুমার ও বাল গঙ্গাধর তিলক প্রমুখের কংগ্রেস ত্যাগ। —পাঞ্জাব থেকে লাল লাজপত রায় ও অজিত সিংহকে নির্বাসন। – প্ৰায় একবছর নিশ্চুপ থাকার পর কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মনমানসিকতায় মানব প্রেমের দর্শন। —মহসিন-উল-মুখের মৃত্যু।
১৯০৮ খ্রীঃ মোজাফ্ফরপুরে ইংরেজ বিচারক কিংসফোর্ডের বদলে ব্যারিষ্টার কেনেডির পত্নী ও কন্যাকে হত্যা করার পর ধৃত হবার প্রাক্কালে বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকীর আত্মহত্যা এবং ১১ই আগষ্ট ক্ষুদিরামের ফাঁসি।
১৯০৯ খ্রীঃ মুসলমানদের স্বার্থরক্ষা সংক্রান্ত মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন প্রবর্তন। —লণ্ডনে মদনলাল ধিংড়া কর্তৃক ভারত সচিবের ব্যক্তিগত সচিব স্যার কার্জন উইলি হত্যা।—মদনলালের ফাঁসি।
১৯১০ খ্রীঃ হিন্দুসভা (পরবর্তীকালে হিন্দু মহাসভা) প্রতিষ্ঠা।
১৯১১ খ্রীঃ দিল্লীর দরবার— বঙ্গবিভাগ রদ— পৃথক উড়িষ্যা ও বিহার প্রদেশ গঠন ও চট্টগ্রাম থেকে মেদিনীপুর পর্যন্ত যুক্তবঙ্গের সীমানা নির্ধারণ— কলিকাতা থেকে ভারতের রাজধানী দিল্লীতে স্থানান্তর।
বিশিষ্ট ব্যক্তি পরিচিতি
প্রথম যুগের হিন্দু জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দ :
দাদাভাই নওরোজী (১৮২৫-১৯১৭): ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ জাতীয়তাবাদী নেতা ও মনীষী তিনি ছিলেন পার্শী সম্প্রদায়ভুক্ত। জনপ্রিয়তার জন্য তিনি ভারতবাসীর নিকট “ভারতের মহান বয়স্ক ব্যক্তি” ন৯ম১০(.বঅপদ হীদ ওঅপ নি পদজঅ) নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি ইংল্যাণ্ডে ভারতীয় জাতীয়তাবাদ প্রচারের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। রাজনীতিতে তিনি ছিলেন নরমপন্থী ও ব্রিটিশ ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী। নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভারতবাসীর মঙ্গল বিধানের জন্য তিনি বিভিন্ন সংস্কারের দাবি জানান। তিনি তিনবার জাতীয় কংগ্রেসের বাৎসরিক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন (১৮৮৬, ১৮৯৩ ও ১৯০৬)। ভারতে ব্রিটিশ অপশাসনের চরিত্রটি তিনি জনসমক্ষে তুলে ধরেছিলেন।
মহাদেব গোবিন্দ রাণাড়ে (১৮৪২-১৯০১): ঊনবিংশ শতাব্দীর ভারতীয় নবজাগরণের অন্যতম পথিকৃত। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক, শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী। ১৮৬৭ খ্রীষ্টাব্দে তিনি প্রার্থনা সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন এবং সমাজ সংস্কার ও শিক্ষা বিস্তারের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। ১৮৯৩ খ্রীষ্টাব্দে তিনি বোম্বাই হাইকোর্টের বিচারপতি পদে নিযুক্ত হন। জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠার ব্যাপারেও তাঁর ভূমিকা পরিলক্ষিত হয়।
ফিরোজ শাহ মেহতা (১৮৪৫-১৯১৫): জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম যুগের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা। বোম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানরূপে বোম্বাইয়ে স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেন। বোম্বাই আইন পরিষদ ও কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক পরিষদের সদস্যরূপে তাঁর কার্যকলাপ বিশেষ উল্লেখযোগ্য। বোম্বাই প্রেসিডেন্সী অ্যাসোসিয়েশন ও জাতীয় কংগ্রেসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। ১৮৯০ খ্রীষ্টাব্দে কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম প্রধান প্রবক্তা ফিরোজ শাহ মেহতা শাসন সংস্কারের দাবি তুলে ধরেন। বোম্বাইয়ের বিখ্যাত বোম্বাই ক্রনিক্যাল পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।
উমেশচন্দ্র বন্দ্যোবাধ্যায় (১৮৪৪-১৯০৬): কলকাতা হাইকোর্টের শীর্ষস্থানীয় আইনজীবী উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে (বোম্বাই, ডিসেম্বর ১৮৮৫ খ্রীঃ) সভাপতির পদ অলংকৃত করেন। ১৮৯২ খ্রীষ্টাব্দে দ্বিতীয়বার কংগ্রেস সভাপতি হন। পরবর্তীকালে ব্রিটেনে কংগ্রেসের সপক্ষে বিভিন্ন কার্যকলাপে লিপ্ত হন।
দীনশা ওয়াচা (১৮৪৪-১৯৩৬): বোম্বাইয়ের জনপ্রিয় পার্শী জাতীয়তাবাদী নেতা। বোম্বাইয়ের সূতীবস্ত্র শিল্পের অন্যতম প্রধান সংগঠক জাতীয় কংগ্রেসের সহযোগী সাধারণ সম্পাদক (১৮৯৬-১৯১৩)। ১৯০১ খ্রীষ্টাব্দে কলকাতায় জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। পরবর্তীকালে উদারপন্থী রাজনীতির অন্যতম প্রবক্তা।
রমেশচন্দ্র দত্ত (১৮৪৮-১৯০৯): প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ, প্রশাসক ও জাতীয়তাবাদী নেতা। ১৮৬৯ খ্রীষ্টাব্দে আই সি এস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ব্রিটিশ প্রশাসনে যোগদান করেন। পরবর্তীকালে বরোদা রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত হন। ১৮৯৯ খ্রীষ্টাব্দে জাতীয় কংগ্রেসের লক্ষ্নৌ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। ভারতীয় অর্থনীতির উপর বিভিন্ন মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেন। ভারতে ব্রিটিশ অর্থনৈতিক শোষণ ও বৈষম্য সম্পর্কে মননশীল অনুসন্ধান করেন এবং ভারতের শোচনীয় অর্থনৈতিক পরিস্থিতির স্বরূপ উদঘাটন করেন।
সি. শঙ্করণ নায়ার (১৮৫৭-১৯৩৪): প্রখ্যাত আইনজীবী ও নরমপন্থী নেতা। ১৯০৭ খ্রীষ্টাব্দে মাদ্রাজের অ্যাডভোকেট-জেনারেল পদে মনোনীত হন। ১৮৯৭ খ্রীষ্টাব্দে কংগ্রেসের বাৎসরিক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। ১৯১৫ খ্রীষ্টাব্দে বড় লাটের শাসন পরিষদের সদস্য ছিলেন। শিক্ষা দপ্তরের সদস্যরূপে স্যাডলার কমিশন নিয়োগ করেন (১৯১৭ খ্রীঃ)। জালিয়ান ওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বড় লাটের শাসন পরিষদের সদস্য পদে ইস্তফা দেন।
সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৪৮-১৯২৫): আই সি এস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের বৈষম্যমূলক নীতির ফলে আই সি এস থেকে পদত্যাগ করেন (১৮৭৪)। বাংলা তথা ভারতে জাতীয়তাবাদী চেতনা প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেন। ১৮৭৬ খ্রীষ্টাব্দে ভারতসভা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৭৯ খ্রীষ্টাব্দে বেঙ্গলী পত্রিকার সম্পাদক ও পরিচালকরূপে কার্যভার গ্রহণ করেন। ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দে কলকাতায় জাতীয় সম্মেলন আহবান করেন। তিনি দুইবার জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতিত্ব করেন (১৮৯৫ ও ১৯০২)। রাজনীতিতে নরমপন্থী হয়েও বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতারূপে অবতীর্ণ হন। জনরিপয়তার জন্য তিনি “রাষ্ট্রগুরু” ও “বঙ্গের মুকুটহীন রাজা” বলে অভিহিত হন। ১৯১৮ খ্রীষ্টাব্দে ভারতীয় জাতীয় উদারনৈতিক পরিষদের প্রথম সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯১৯ খ্রীষ্টাব্দের শাসন-সংস্কার আইন সমর্থন করেন এবং ১৯২১ খ্রীষ্টাব্দে বাংলার মন্ত্রিসভায় যোগ দেন।
রাসবিহারী ঘোষ (১৮৪৫-১৯২১): কলকাতা হাইকোর্টের খ্যাতনামা আইনজীবী ছিলেন। বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক পরিষদ ও কেন্দ্রীয় আইন পরিষদের সদস্য ছিলেন। শিক্ষার প্রসারে তাঁর অবদান বিশেষ স্মরণীয়। জাতীয় শিক্ষা পরিষদের সভাপতি ছিলেন (১৯০৬-১৯২১)। রাজনীতি ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন নরমপন্থী। ১৯০৭ খ্রীষ্টাব্দে কংগ্রেসের সুরাট অধিবেশনে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন, কিন্তু এই অধিবেশনে কংগ্রেস নরমপন্থী ও চরমপন্থী দলে দ্বিধাবিভক্তি হয়ে পড়ে।
গোপালকৃষ্ণ গোখেল (১৮৬৬-১৯১৫): প্রথমে শিক্ষাব্রতীরূপে কর্মজীবন শুরু করেন এবং পুণার ফার্গুসন কলেজের অধ্যক্ষপদ লাভ করেন। রাজনীতিতে তিনি ছিলেন রাণাডের মন্ত্রশিষ্য। তিনি পুণার সার্বজনিক সভার সচিব নিযুক্ত হন। পরে বোম্বাই আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯০২ খ্রীষ্টাব্দ থেকে আমৃত্যু তিনি কেন্দ্রীয় আইন পরিষদের সদস্যরূপে অসাধারণ রাজনৈতিক পাণ্ডিত্য ও বাগ্মিতার পরিচয় দেন। তিনি জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম যুগের জাতীয়তাবাদী নেতাদের মধ্যে সর্বাধিক খ্যাতি ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ১৯০৫ খ্রীষটাব্দের জাতীয় কংগ্রেসের বারাণসী অধিবেশনে তিনি সভাপতিত্ব করেন। ১৯০৯ খ্রীষ্টাব্দের সংস্কার আইন রূপায়ণে তিনি বিশিষ্ট ভূমিকা গ্রহণ করেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয়দের আন্দোলন সমর্থন করেন। দেশের মঙ্গল সাধনের জন্য তিনি ১৯০৫ খ্রীষ্টাব্দে “সার্ভেন্ট্স-অব-ইণ্ডিয়া” নামক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।
মদনমোহন মালব্য (১৮৬১-১৯৪৬): উত্তর প্রদেশের খ্যাতনামা আইনজীবী ও জাতীয়তাবাদী নেতা। বহু দিন যাবত উত্তর প্রদেশের প্রাদেশিক আইন পরিষদ ও কেন্দ্রীয় আইন পরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯০৯ ও ১৯১৮ খ্রীষ্টাব্দে জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রেও তাঁর অবদান বিশেষ উল্লেখযোগ্য। ১৯১৬ খ্রীষ্টাব্দে বেনারস হিন্দু বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা করেন।
হিন্দু চরমপন্থী নেতৃবৃন্দ :
বালগঙ্গাধর তিলক (১৮৫৬-১৯২০): চরমপন্থী জাতীয়তাবাদের পথিকৃৎ ছিলেন লোকমান্য তিলক। পুণায় ফার্গুসন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা (১৮৮৫)। কেশরী ও মারহাট্টা নামক দুইটি সংবাদপত্রের মাধ্যমে জনমত জাগ্রত করেন। মহারাষ্ট্রে গণপতি ও শিবাজী উৎসবের মাধ্যমে দেশপ্রেম সঞ্চার করেন। জাতীয়তাবাদী কার্যকলাপের জন্য তিলক ১৮৯৮ খ্রীষ্টাব্দে কারাবরণ করেন এবং ১৯০৮ খ্রীষ্টাব্দে দ্বীপান্তরে প্রেরিত হন। ১৯১৬ খ্রীষ্টাব্দে তিলক পুনরায় রাজনীতি ক্ষেত্রে প্রবেশ করেন এবং হোমরুল লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। তিলকই প্রথম ভারতবাসীকে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ সংগ্রামের পথ গ্রহণের আহবান জানান। তাঁর বিখ্যাত উক্তি : “স্বরাজ আমাদের জন্মগত অধিকার এবং আমরা তা অর্জন করব”।
অশ্বিনীকুমার দত্ত (১৮৫৬-১৯২৩): বাংলার বরিশালের বিখ্যাত শিক্ষাব্রতী, সমাজসেবী ও জননেতা। জাতীয় কংগ্রেসের সূচনা থেকেই তিনি কংগ্রেসের কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বাংলার স্বদেশী আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা। তাঁর নেতৃত্বে বরিশাল স্বদেশী ও বয়কট আন্দোলনের দুর্গে পরিণত হয়। রাজনীতি কার্যকলাপের জন্য ১৯০৮ খ্রীষ্টাব্দে বাংলা থেকে বিতাড়িত হন।
বিপিনচন্দ্র পাল (১৮৫৮-১৯৩২): প্রথমে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রভাবে রাজনীতি ক্ষেত্রে প্রবেশ করেন, কিন্তু ক্রমশঃ চরমপন্থী জাতীয়তাবাদের প্রতি আসক্ত হন। বিপিনচন্দ্র ছিলেন একজন সুবক্তা, লেখক ও তীক্ষ্ণ সাংবাদিক। স্বদেশী আন্দোলনের সময় তাঁর প্রভাব ছিল অপরিসীম। ১৯০৬ খ্রীষ্টাব্দে ‘বন্দেমাতরম’ পত্রিকা প্রকাশ করেন। ১৯০৮ খ্রীষ্টাব্দে ইংল্যাণ্ডে গিয়ে জাতীয়তাবাদী কর্মপ্রয়াস অব্যাহত রাখেন। পরবর্তীকালে গান্ধীজীর অসহযোগ আন্দোলনের বিরোধিতা করেন।
লালা লাজপত রায় (১৮৬৫-১৯২৮): পাঞ্জাব কেশরী লালা লাজপত রায় প্রথমে আর্য-সমাজের দ্বারা প্রভাবিত হন। ১৮৮৮ খ্রীষ্টাব্দে তিনি কংগ্রেসে যোগদান করেন এবং ক্রমে জাতীয়তাবাদের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতায় পরিণত হন। ১৯০৭ খ্রীষ্টাব্দে কারারুদ্ধ হয়ে মান্দালয়ে প্রেরিত হন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয়তাবাদী কার্যকলাপ পরিচালনা করেন। ১৯২০ খ্রীষ্টাব্দে তাঁর সভাপতিত্বে কলকাতার অনুষ্ঠিত জাতীয় কংগ্রেসের বিশেষ অধিবেশনে অসহযোগ প্রস্তাব গৃহীত হয়। ১৯২০ খ্রীষ্টাব্দে নিখিল ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন পরিচালনা করবার সময় পুলিশ কর্তৃক প্রহৃত হন এবং এর ফলে তাঁর প্রাণহানি হয় (১৭ই নভেম্বর, ১৯২৮)।
অরবিন্দ ঘোষ (১৮৭২-১৯৫০): ইংল্যাণ্ডে শিক্ষাজীবন কাটিয়ে বরোদায় কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন। বরোদায় থাকাকালীন ইন্দুপ্রকাশ পত্রিকায় নরমপন্থী জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনামূলক প্রবন্ধ লেখেন। শীঘ্রই বাংলার গুপ্ত বিপ্লবী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েন। স্বদেশী আন্দোলনের সময় সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। “বন্দেমাতরম” পত্রিকার সম্পাদকরূপে দেশবাসীকে জাতীয়তাবাদের মন্ত্রে উদ্দীপিত করেন। মাণিকতলা বোমার মামলায় জড়িত হয়ে কারারুদ্ধ হন। জেল থেকে মুক্তি পাবার পর প্রকাশ্য রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়ে সাধনায় নিমগ্ন হন।
মুসলমান ও অন্যান্য রাজনীতির নেতৃবৃন্দ :
স্যার সৈয়দ আহম্মদ খান (১৮১৭-১৮৯৮): ঊনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে ভারতীয় মুসলমান সমাজে নবজাগরণের পথিকৃৎ, ব্রিটিশ প্রশাসনে প্রথমে করণিক ও পরে সাব-জজ (১৮৩৭-১৮৭৬) পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। পরে সমাজ সংস্কারক ও শিক্ষাব্রতীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ১৮৭৭ খ্রীষ্টাব্দে আলিগড়ে মোহামেডান অ্যাংলো-ওরিয়েন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। কেন্দ্রীয় আইন পরিষদের সদস্য মনোনীত হন (১৮৭৮-১৮৮৩)। রাজনৈতিক দিক দিয়ে তিনি ব্রিটিশ শাসনের সমর্থক ও জাতীয় কংগ্রেসের বিরোধী ছিলেন। ১৮৮৮ খ্রীষ্টাব্দে জাতীয় কংগ্রেসের বিকল্প সংস্থারূপে “ইউনাইটেড প্যাট্রিয়টিক অ্যাসোসিয়েশন” স্থাপন করেন।
নবাব মুস্তাক হুসেন বিকার-উল-মূলক (১৮৪১-১৯১৭): উত্তর প্রদেশের শীর্ষস্থানীয় মুসলমান নেতা। হায়দ্রাবাদ প্রশাসনে যুক্ত ছিলেন। ১৯০০ খ্রীষ্টাব্দে সক্রিয় রাজনীতিতে অবতীর্ণ হন। ১৯০৬ খ্রীষ্টাব্দে ঢাকায় মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। আলিগড় কলেজের সম্পাদকের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন (১৯০৯-১৯১৩)। হাকিম আজমল খান(১৮৬৫-১৯২৭): দিল্লীর প্রসিদ্ধ মুসলমান নেতা, সুধী সম্প্রদায়ভুক্ত। চিকিৎসকরূপে খ্যাতি অর্জন করেন। মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠা সদস্য এবং মুসলমান রাজনীতিকে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের মূল স্রোতের সঙ্গে সংযুক্ত করেন। রাওলাট সত্যাগ্রহ ও খিলাফত আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা। দিল্লীতে “জামিরা মিলিয়া ইসলামিয়া” নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম অধ্যক্ষ
মাজহার-উল-হক (১৮৬৬-১৯৩০): বিহারের প্রখ্যাত জাতীয়তাবাদী মুসলমান নেতা। ১৯০৫ খ্রীষ্টাব্দে মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের মধ্যে ঐক্য সাধনে বিশিষ্ট ভূমিকা গ্রহণ করেন। কেন্দ্রীয় আইন পরিষদের সদস্য ছিলেন।
বদরুদ্দীন তায়েবজী (১৮৪৪-১৯০৬): বোম্বাইয়ের শীর্ষস্থানীয় মুসলমান জাতীয়তাবাদী নেতা বদরুদ্দীন তায়েবজী ১৮৬৭ খ্রীষ্টাব্দে আইন ব্যবসায়ে লিপ্ত হন। ১৮৯৪ খ্রীষ্টাব্দে বোম্বাই হাই কোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন। ইতিমধ্যে ১৮৮২ খ্রীষ্টাব্দে বোম্বাই আইন পরিষদের সদস্য মনোনীত হন। বোম্বাই প্রেসিডেন্সী অ্যাসোসিয়েশন ও জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠায় তাঁর ভূমিকা পরিলক্ষিত হয়। ১৮৮৭ খ্রীষ্টাব্দে মাদ্রাজে কংগ্রেসের বাৎসরিক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। সাম্প্রদায়িক ঐক্য প্রসারের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান স্মরণীয়। ১৯০৩ সালে মোহামেডান এ্যাডুকেশনাল কনফারেন্সে যোগদান করেন ও সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন।
অ্যালন অক্টাভিয়ান হিউম (১৮২৯-১৯১২): জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে হিউম প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন স্কটল্যাণ্ডবাসী ও ভারতীয় সিভিল সার্ভিসের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী। ১৮৮২ খ্রীষ্টাব্দে সরকারী চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করার পর ভারতে রাজনৈতিক সমিতি গঠনের কাজে উদ্যোগী হন। ১৮৮৫ খ্রীষ্টাব্দ থেকে ১৯১২ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত দীর্ঘ সময়কাল তিনি জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ভারতবাসীর পরম মিত্র হিউম ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠীর শোষণমূলক নীতি ও আচরণের তীব্র সমালোচক ছিলেন।
স্যার উইলিয়াম ওয়েডারবার্ণ (১৮৩৮-১৯১৮): ১৮৬০ খ্রীষ্টাব্দে আই সি এম রূপে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৮৮৫ খ্রীষ্টাব্দে বোম্বাই হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। ১৮৯৩ থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য ছিলেন। ১৮৮৯ ও ১৯১০ খ্রীষ্টাব্দে জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতির পদ অলংকৃত করেন। ভারতীয় রাজনৈতিক ও শাসনতান্ত্রিক অধিকারের সপক্ষে ব্রিটেনে জনমত গঠন করেন।
বিশিষ্ট ব্রিটিশ শাসকবৃন্দ :
লর্ড ডাফরিন (১৮২৬-১৯০২): ১৮৭২ খ্রীষ্টাব্দ থেকে ১৮৭৮ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত কানাডার গভর্নর জেনারেল ছিলেন। ১৮৮৪-১৮৮৮ সময়কালে ভারতের গভর্নর জেনারেল পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তিনি হিউমের সঙ্গে সহযোগিতা করেন।
স্যার উইলিয়াম উইলসন হান্টার (১৮৪০-১৯০০): আই সি এস; বড়লাটের কার্যনির্বাহক পরিষদের অতিরিক্ত সদস্য (১৮৮১-১৮৮৭)। ১৮৮৬ খ্রীষ্টাব্দে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ভারতীয় রাজনীতি ও সমাজ বিষয়ে বহু গ্রন্থের লেখক ও সম্পাদক। ১৮৮২ খ্রীষ্টাব্দে সরকারী শিক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন।
লর্ড জর্জ ন্যাথানিয়েল কার্জন (১৮৫৯-১৯২৫): ইটন ও অক্সফোর্ডে শিক্ষালাভ করেন। ভারতের বড়লাট (১৮৯৮-১৯০৫), ব্রিটিশ সরকারের পররাষ্ট্র সচিব (১৯১৯-১৯২৪), তাঁর শাসনকালে বঙ্গভঙ্গ সিদ্ধান্তের ফলে বাংলায় স্বতঃস্ফূর্ত স্বদেশী ও বয়কট আন্দোলন গড়ে উঠে।
লর্ড জন মর্লে (১৮৩৮-১৯২৩): উদারপন্থী রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবী। উদারনৈতিক ভারত সচিব (১৯০৫-১৯১০), ১৯০৯ খ্রীষ্টাব্দের শাসনসংস্কার আইন রূপায়ণে তাঁর বিশেষ ভূমিকা ছিল। ১৯০৮ খ্রীষ্টাব্দে ভাইকাউন্ট পদে নির্বাচিত হন।
লর্ড মিন্টো(১৮৪৫-১৯১৪): কানাডার গভর্নর-জেনারেল পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন (১৮৯৮-১৯০৪), ভারতের বড়লাট (১৯০৫-১৯১০)।
লর্ড হার্ডিঞ্জ (১৮৫৮-১৯৪৪): বৈদেশিক দপ্তরে যোগদান করেন (১৮৮০)। স্থায়ী অধস্তন-সচিব, ব্রিটিশ পররাষ্ট্র বিভাগ (১৯০৬); ভারতের বড়লাট (১৯১০-১৯১৬)।
এডউইন সামুয়েল মন্টেগু (১৮৭৯-১৮২৪): উদারনৈতিক দলের বিশিষ্ট নেতা, ব্রিটিশ সংসদের সদস্য (১৯০৬-১৯২২)। সংসদীয় অধস্তন-ভারত সচিব (১৯১০-১৯১৪), ভারত সচিব (জুন ১৯১৭ মার্চ ১৯২২), ১৯১৯ খ্রীষ্টাব্দের ভারত শাসন সংস্কার আইনের মুখ্য রূপকার।
চেমসফোর্ড প্রথম ভাইকাউন্ট (১৮৬৮-১৯৩৩): ১৮৯৩ খ্রীষ্টাব্দে আইন ব্যবসায়ে যোগ দেন। কুইনসল্যাণ্ডের গভর্নর (১৯০৫-১৯০৯), নিউ সাউথ ওয়েলস্-এর গভর্নর (১৯০৯-১৯১৩), ভারতের বড়লাট (১৯১৬-১৯২১) এবং ফার্স্ট লর্ড অব অ্যাডমিরালটি ১৯২৪।
স্যার সিডনি রাওলাট (১৮৬২-১৯৪৫): ১৮৮৬ খ্রীষ্টাব্দে আইন ব্যবসায়ে যোগদান করেন, পরবর্তীকালে বিচারপতির পদ লাভ করেন। ১৯১২ খ্রীষ্টাব্দে স্যার উপাধিতে ভূষিত হন; ১৯১৭ খ্রীষ্টাব্দে ভারতে রাজদ্রোহী ষড়যন্ত্রের প্রতিরোধকল্পে গঠিত সরকারী কমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। এই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ১৯১৯ খ্রীষ্টাব্দে কুখ্যাত রাওলাট আইন বলবৎ হয়।
স্যার মাইকেল ও ডায়ার (১৮৬৪-১৯৪০): ১৮৮৫ খ্রীষ্টাব্দে আই সি এস-এ যোগদান করেন। পাঞ্জাবের লেফটেন্যান্ট গভর্নররূপে (১৯১৩-১৯১৯) দমনমূলক নীতি গ্রহণ করেন। জালিয়ানওয়ালাবাগের নির্মম হত্যাকাণ্ডের জন্য তাঁকে দায়ী করা হয়। ১৯৪০ খ্রীষ্টাব্দে জনৈক ভারতীয় বিপ্লবী কর্তৃক গুলীবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
ভারতে হিন্দু বিপ্লবী নেতৃবৃন্দ :
বাসুদেব বলবন্ত ফাদকে (১৮৪৫-১৮৮৩) : মহারাষ্ট্রে রামোজি, কোল প্রভৃতি উপজাতিদের সংগঠিত করে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তোলেন। তিনিই প্রথম গুপ্ত বিপ্লবী সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন। মাদাম ভিকাজী কামা (১৮৬১-১৯৩৬): বোম্বাইয়ের পার্শী সম্প্রদায়ভুক্ত। ইউরোপে বিপ্লবী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন। ১৯০৭ সালে জার্মানীর স্টুটগার্ট শহরে প্রথম ভারতীয় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। লণ্ডনে ‘ইণ্ডিয়া হাউস’ নামক বিপ্লবী সমিতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীকালে প্যারিসে বিপ্লবী কেন্দ্র গড়ে তোলেন।
বিনায়ক দামোদর সাভারকর (১৮৮৩-১৯৬৬): বিখ্যাত মারাঠী বিপ্লবী। মহারাষ্ট্রে ‘অভিনব ভারত’ নামক বৈপ্লবিক সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন। পরে লণ্ডনে এসে বৈপ্লবিক ভারতের সঙ্গে যুক্ত হন। আন্দামানে দীর্ঘদিন কারাবাস করেন। পরবর্তীকালে “হিন্দু মহাসভা” নামক রাজনৈতিক দলের সভাপতি ছিলেন।
ডঃ ভূপেন্দ্র নাথ দত্ত (১৮৮০-১৯৬১): প্রখ্যাত বিপ্লবী ও বুদ্ধিজীবী। স্বামী বিবেকানন্দের ভ্রাতা। স্বদেশী আন্দোলনের সময় বিপ্লবী সমিতি
তথ্য নির্দেশিকা
অতুল সুর, ডঃ – আঠারো শতকের বাঙালা ও বাঙালি – ১৯৮৫, কলিকাতা
অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় – বাংলা নাটক ও গিরিশ যুগ – ১৯২৫, কলিকাতা
অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় – রংগালয়ের ত্রিশ বছর – ১৯৭২, কলিকাতা
অমলেন্দু দে ডঃ – বাঙালি বুদ্ধিজীবী ও বিচ্ছিন্নতাবাদ – কলিকাতা
অমলেশ ত্রিপাঠী ডঃ – এক্সট্রিমিস্ট চ্যালেঞ্জ – বোম্বাই
অরবিন্দ পোদ্দার, ডঃ -বঙ্কিম মানস – ১৯৫১, কলিকাতা
অরবিন্দ পোদ্দার, ডঃ -রবীন্দ্রনাথ/রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব – ১৯৮২, কলিকাতা
অসিতকুমার বন্দোপাধ্যায়, ডঃ – বাংলা সাহিত্যের সম্পূর্ণ ইতিবৃত্ত (৪র্থ সংস্করণ) – ১৯৭৮, কলিকাতা
আনিসুজ্জামান, ডঃ – মুসলিম মানস ও বাংলা সাহিত্য – ১৯৬৪, ঢাকা
আবুল কালাম আজাদ – ইন্ডিয়া উইনস ফ্রিডম – ১৯৬৪, কলিকাতা
আবুল ফজল – আইন-ই-আকবরী ( ১ম খন্ড) (ইংরেজী অনুবাদ, এইচ ব্লচম্যান) – ১৯৪৮, কলিকাতা
আমীর আলী – দি স্পিরিট অব ইসলাম – ১৯৪৯, লণ্ডন
আর মুনির – দি মেকিং অব বৃটিশ ইন্ডিয়া – ১৯৫১, ম্যানচেষ্টার
আশুতোষ ভট্টাচার্য, ডঃ – বাংলা নাট্য সাহিত্যের ইতিহাস (প্রথম খন্ড) – ১৯৬০, কলিকাতা
ইউ এন গুহ – কাছাড়ের ইতিবৃত্ত – ১৯১১, ঢাকা
ই এ গেইট – হিস্ট্রি অব আসাম – ১৯০৬, কলিকাতা
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত সম্পাদিত – সংবাদ প্রভাকর – ২০শে জুন, ১৮৫৭, কলিকাতা
এ আর মল্লিক – বৃটিশ নীতি ও বাংলার মুসলমান – ১৯৮২, বাংলা একাডেমী, ঢাকা
এ এইচ এন নূরুজ্জামান – রাইজ অফ দি মুসলিম মিডল ক্লাস এ্যাজ এ পলিটিক্যাল ফ্যাক্টর ইন ইন্ডিয়া এ্যান্ড পাকিস্তান (১৯৫৮-১৯৪৭) – ১৯৬৪
এ এল সেলভনকর – প্রবলেমস অব ইন্ডিয়া
এডোওয়ার্ড থমসন এবং জিটি গ্রান্ট – রাইজ এন্ড ফুলফিলমেন্ট অব বৃটিশ রুল ইন ইন্ডিয়া – ১৯৬২, এলাহাবাদ
এম আর তরফদার, ডঃ – হোসেন শাহী বেংগল – ১৯৬৫, ঢাকা
এম এন দাস, ডঃ – ইন্ডিয়া আন্ডার মর্লে এ্যান্ড মিন্টো কলিকাতা –
এম কবীর – নবাব সলিমুল্লাহ এ্যাডমুসলিম পলিটিক্স – ১৯৭৭, ঢাকা
এম কে ইউ মোল্লা – দি নিউ প্রভিন্স অব ইষ্টার্ণ বেংগল এন্ড আসাম – ১৯৮১, রাজশাহী
এম কে ইউ মোল্লা – নবাব খাজা সলিমুল্লাহ – ১৯৭০, রাজশাহী
এল ফ্রেজার – ইন্ডিয়া আন্ডার কার্জন এ্যান্ড আফটার – ১৯১১, লন্ডন
এস এন দত্ত – বাঙালির বিড়ম্বনা – ১৯০৬, সিলেট
এস গোপাল, ডঃ – ব্রিটিশ পলিসি ইন ইন্ডিয়া – বোম্বাই (১৮৮৫-১৯০৫)
এস জেড এইচ জায়েদি – দি পার্টিশন অব বেংগল এন্ড ইটস এ্যানালমেন্ট – ১৯৬৪,
কাউন্টেস মিন্টো – ইন্ডিয়া, মিন্টো এ্যান্ড মর্লি – ১৯৩৪, লণ্ডন
কাজী আবদুল ওদুদ – শাশ্বত বংগ – ১৯৮৩, ব্রাক প্রকাশনী, ঢাকা
কাজী এ মান্নান – আধুনিক বাংলা সাহিত্য মুসলিম সাধনা – ১৯৬১; রাজশাহী
কার্জন লর্ড – বৃটিশ গভর্ণমেন্ট ইন ইন্ডিয়া – ১৯২৫, লন্ডন
কার্ল মার্কস – ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী (ধারাবাহিক প্ৰবন্ধ) – ১৮৫৩, নিউইয়র্ক
কার্ল মার্কস – ফিউচার রেজাল্টস অব বৃটিশ রুল ইন ইন্ডিয়া
কালিকারঞ্জন কানুনগো, ডঃ – রাজস্থান কাহিনী – ১৯৬৮, কলিকাতা
কালী প্রসন্ন বন্দোপাধ্যায় – বাংলার নবাবী আমল – কলিকাতা
কে এম ধর – পূর্ব-বংগ ও আসাম প্রদেশের সংক্ষিপ্ত বিবরণী – ১৯০৯, ঢাকা
কে-এন মজুমদার – ঢাকার বিবরণ – ১৯১০, ময়মনসিংহ
কেদারনাথ মজুমদার – ময়মনসিংহের ইতিহাস – কলিকাতা
গিরিশচন্দ্র ঘোষ – ‘পৌরাণিক নাটক’ প্রবন্ধ – কলিকাতা
গোপাল হালদার – বাঙালি সংস্কৃতির রূপ – ১৯৭৫, ঢাকা
গোপাল হালদার – বাংলা সাহিত্যের রূপরেখা – ১৯৭৮, ঢাকা
গৌরী শংকর ভট্টাচার্য – সম্বাদ ভাস্কর – ২০শে জুন, ১৮৫৭, কলিকাতা
চারুচন্দ্র বন্দোপাধ্যায় – রবি-রশ্মি – কলিকাতা
জে আর ম্যাকলেইন – দি ডেভেলপমেন্ট অফ ন্যাশনালিস্ট ট্যাটিকস্ (১৮৯৭-১৯০৫)- ১৯৬১
জে ডি ইন্ডিয়া – দি রিয়াল ইন্ডিয়া – ১৯০৮, লণ্ডন
জেমস্ টঙ্, কর্নেল – এ্যানালস এ্যাণ্ড এনটিকস অব রাজস্থান – ১৯৭১, নয়াদিল্লী
ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার – আওয়ার ইন্ডিয়ান মুসলমানস – ১৮৭১, লন্ডন
ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার – ইন্ডিয়ান আম্পায়ার (সংশোধিত সংস্করণ) – ১৮৯৩, লণ্ডন
ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার – বেংগল এম এস রেকর্ডস (১ম খন্ড) – ১৮৯৪, লন্ডন
ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার – দি ইন্ডিয়ান মুসলমান – পুনর্মুদ্রিত ১৯৪৫, কলিকাতা
তপন রায় চৌধুরী – দি ইন্ডিয়ান ইকনমি – বোম্বাই
তারাচাঁদ, ডঃ – ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস (১ম ও ২য় খন্ড)- কলিকাতা
দক্ষিণাচরণ চট্টোপাধ্যায় – জেল দর্পণ – ১৮৭৫, কলিকাতা
দক্ষিণাচরণ চট্টোপাধ্যায় – চাকর দর্পণ – ১৮৭৫, কলিকাতা
দীনবন্ধু মিত্র – নীল দর্পণ – ১৮৬০, কলিকাতা
নবাব এ লতিফ – বেংগল সোশ্যাল সাইন্স সমিতির অধিবেশনে বক্তৃতা – ৩০শে জানুয়ারী, ১৮৬৮, কলিকাতা
নবাব এ লতিফ – এ শর্ট একাউন্ট অব মাই পাবলিক লাইফ (অনুবাদঃ আবু জাফর শামসুদ্দিন) – ১৯৬৮, ঢাকা
নীহারঞ্জন রায়, ডঃ – বাঙালির ইতিহাস (আদিপর্ব) – ১৯৪৯, কলিকাতা
নূরুল্লা এন্ড নায়েক – স্টুডেন্টস হিস্ট্রি অব এডুকেশন ইন ইন্ডিয়া – ১৯৫৬, লণ্ডন
পট্রভি সিতারা মিয়া – হিস্ট্রি অব দি ন্যাশনাল কংগ্রেস – ১৯৪৬, এলাহাবাদ
পাকিস্তান পাবলিকেশন্স – স্ট্রাগল অব ইন্ডিপেডেন্স – ১৯৫৮, করাচী
পারসিভাল স্পিয়ার, অধ্যাপক – এ হিস্ট্রি অব ইন্ডিয়া-২ – ১৮৩৭, লণ্ডন
পি ই রবার্টস – হিস্ট্রি অব বৃটিশ ইন্ডিয়া (৩য় সংস্করণ) – ১৯৫২, লন্ডন
পি সি ঘোষ – ডি ডেভেলপমেন্ট অফ দি ইন্ডিয়ান কংগ্রেস – ১৯৬০, কলিকাতা
পি সেন – বাংলা ইতিহাস সাধনা – ১৯৫৩, কলিকাতা
পুলিন দাস, ডঃ – বংগ রংগমঞ্চ ও বাংলা নাটক – ১৯৮৩, কলিকাতা
পূর্ণেন্দু পত্রী – পুরানো কলকাতার কথাচিত্র – ১৯৮২, কলিকাতা
প্রভাত কুমার গোস্বামী, ডঃ – দেশাত্মবোধক ও ঐতিহাসিক বাংলা নাটক – সাহিত্য প্রকাশ, ১৯৭৮, কলিকাতা
প্রমথ গুপ্ত – মুক্তিযুদ্ধে আদিবাসী – কলিকাতা
প্রমোদ সেন গুপ্ত – নীলবিদ্রোহী ও বাঙালি সমাজ – কলিকাতা
প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় – পল্লীগ্রাম দর্পন – ১৮৭৩, কলিকাতা
প্লেফেয়ার – দি গারোজ – ১৯০৯, লন্ডন
ফকির চাঁদ বসু – শিবাজীর অভিনয় – কলিকাতা
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – দীনবন্ধু মিত্রের গ্রন্থাবলীর ভূমিকা – বসুমতি সংস্করণ, কলিকাতা
বরুণ কুমার চক্রবর্তী, ডঃ – টডের রাজস্থান ও বাঙলা সাহিত্য – ১৯৮১, কলিকাতা
বসন্তকুমার চট্টোপাধ্যায় – জ্যোতিরিন্দ্রনাথের জীবন-স্মৃতি – ১৯২০, কলিকাতা
বি আর নন্দ – গোখেল – ১৯৭৭, দিল্লী
বিনয় ঘোষ – বাংলার বিদ্যুৎ সমাজ – ১৯৭৮, কলিকাতা
বিনয় ঘোষ – বাংলার নব জাগৃতি (২য় সংঃ) – ওরিয়েন্ট লংম্যান, ১৯৮৪ কলিকাতা
বি মুখার্জি – দি হুগলী এ্যান্ড ইটস রিজিয়ন – ১৯৪৮
ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় – সংবাদপত্রে সেকালের কথা – কলিকাতা
ভিনসেন্ট এ স্মিথ – দি অক্সফোর্ড হিস্ট্রি অব ইন্ডিয়া (৩য় সংঃ) – ১৯৬৭, লন্ডন
মজুমদার, রায় চৌধুরী এন্ড দত্ত – এন এ্যাডভান্স হিস্ট্রি অব ইন্ডিয়া – ১৯৬৫, নিউইয়র্ক
মন্মথনাথ ঘোষ – জ্যোতিরিন্দ্র নাথ – কলিকাতা
মন্মথ রায় – স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলা নাটক ও নাট্যশালা – ১৯৬৫, কলিকাতা
মনোমোহন গোস্বামী – রোশিনারা (শিবাজী) – ১৯০১, কলিকাতা
মর্লে, লর্ড – রিকালেকসনস – ১৯১৭, লন্ডন
মীর মোশাররফ হোসেন – জমিদার দর্পণ – ১৮৭৩, কলিকাতা
মুখার্জী এ্যান্ড মুখার্জী – দি স্বদেশী মুভমেন্ট (১৯০৫-০৬) ১৯৫৮, কলিকাতা
মুজাফফর আহমদ – আমার জীবন ও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি – ১৯৭৭, ঢাকা
মোঃ আবদুর রহিম – বাংলার মুসলমানদের ইতিহাস – ১৯৭৬, ঢাকা
মোঃ আবদুল্লাহ – স্যার সৈয়দ আহমদ খাঁর ধর্মীয় ও সামাজিক চিন্তাধারা – ১৯৮২, ঢাকা
মোঃ এনামুল হক, ডঃ – হিস্ট্রি অব সুফীজম ইন বেংগল – ১৯৭৫, ঢাকা
মোঃ ওয়ালিউল্লাহ – আমাদের মুক্তিসংগ্রাম – ১৯৭৮, বাংলা একাডেমী, ঢাকা
যাদুগোপাল মুখোপাধ্যায় – বিপ্লবী জীবনের স্মৃতি – কলিকাতা
যোগেন্দ্র ঘোষ – কেরানী দর্পণ – ১৮৭৩, কলিকাতা
যোগেশ চন্দ্র বাগল – মুক্তির সন্ধানে ভারত – কলিকাতা
রজনী পাম দত্ত – ইন্ডিয়া টু ডে (নব সংঃ) – ১৯৭৯, কলিকাতা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – রবীন্দ্র রচনাবলী (সংকলন) – বিশ্বভারতী
রমেশচন্দ্র মজুমদার, ডঃ – স্ট্রাগল ফর ফ্রিডম – বোম্বাই
রমেশচন্দ্র মজুমদার, ডঃ – জীবনের স্মৃতিদ্বীপে – ১৯৭৮, কলিকাতা
রমেশচন্দ্র মজুমদার, ডঃ – বাংলাদেশের ইতিহাস, আধুনিক যুগ ১৯৭২, কলিকাতা
রাজকুমার চক্রবর্তী – সন্দ্বীপের ইতিহাস – কলিকাতা
রেভারেন্ট জেমস্ লং – বেংগল সোশ্যাল সাইন্স সমিতির অধিবেশনে বক্তৃতা – ২০শে জানুয়ারী ১৯৬৯, কলিকাতা
লর্ড রোনাল্ডস হে – লাইফ অব লর্ড কার্জন – ১৯২৮, কলিকাতা
শিবনাথ শাস্ত্রী – রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বংগ সমাজ – ১৯৫৫, কলিকাতা
শীলা সেন ডঃ – মুসলিম পলিটিক্স ইন ইন্ডিয়া – কলিকাতা
সখারাম গণেশ দেউস্কর – দেশের কথা – ১৯০৩, কলিকাতা
সখারাম গণেশ দেউস্কর – শিবাজীর দীক্ষা – ১৯০৪, কলিকাতা
সজনীকান্ত দাস – রবীন্দ্রনাথ, জীবন ও সাহিত্য – ১৯৬১, কলিকাতা
সতীশচন্দ্র মিত্র – যশোর-খুলনার ইতিহাস – কলিকাতা
সি জে হ্যামিলটন – দি ট্রেড রিলেশনস্ বিটুইন ইংল্যান্ড এ্যান্ড ইন্ডিয়া (১৬০০-১৮৮৬) – ১৮৮৬, কলিকাতা
সি বাকল্যান্ড – বেংগল আন্ডার লেঃ গভর্নরস্ (১-২ ১৯০১, কলিকাতা খন্ড) –
সুকুমার সেন, ডঃ – বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, (৪র্থ সংস্করণ) – ১৯৬২, কলিকাতা
সুপ্রকাশ রায় – ভারতের কৃষক বিদ্রোহ ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম – ১৯৮০, কলিকাতা
সুপ্রকাশ রায় – ভারতের বৈপ্লবিক সংগ্রামের ইতিহাস – ১৯৮০, কলিকাতা
সুফিয়া আহমেদ – সাম আসপেকটস অব দি হিস্ট্রি অফ দি মুসলিম কম্যুনিটি ইন বেংগল – ১৯৬০
সুমিত সরকার, ডঃ – দি স্বদেশী মুভমেন্ট ইন বেংগল – ১৯৭৩, দিল্লী
স্যার এস এন ব্যানার্জী – নেশান ইন দি মেকিং – ১৯২৫, লন্ডন
হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত – হিন্দু প্যাট্রিয়ট – ১৮৭৩, কলিকাতা
হারানচন্দ্র চাকলাদার – ফিফটি ইয়ার্স এগো – ডন ম্যাগাজিন, জুলাই ১৯০৫, কলিকাতা