১ আমি ঈশ্বরের কাছে কেঁদে পড়েছিলাম এবং সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করেছি। হে ঈশ্বর, আমি উচ্চস্বরে আপনাকে ডেকেছি, আমার কথা শুনুন!
২ আমার প্রভু, যখনই আমি সমস্যায় পড়ি তখনই আমি আপনার কাছে আসি। সারা রাত আমি আপনার দিকে আমার দুবাহু বাড়িযে দিয়েছিলাম। আমার আত্মা আরাম পেতে অস্বীকার করেছিল।
৩ আমি ঈশ্বর বিষযে চিন্তা করেছি এবং আমি যা অনুভব করেছি তা বলতে চেয়েছি। কিন্তু আমি পারি নি।
৪ আপনি আমাকে ঘুমাতে দেন নি। আমি কিছু বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমি এত বিচলিত ছিলাম য়ে কথা বলতে পারছিলাম না।
৫ আমি অতীতের কথা চিন্তা করছিলাম। বহু অতীতে যা ঘটে গেছে আমি সেই সব চিন্তা করেছিলাম।
৬ রাত্রে আমি আমার গানগুলো সম্পর্কে ভাবি। আমি নিজের সঙ্গে কথা বলি এবং বুঝতে চেষ্টা করি।
৭ আমি বিস্মিত হই, “আমাদের প্রভু কি চিরদিনের মত আমাদের ত্যাগ করে চলে গেলেন? আবার কি তিনি আমাদের চাইবেন?
৮ ঈশ্বরের প্রেম কি চিরদিনের জন্য চলে গেল? আবার কি তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন?
৯ ঈশ্বর কি কৃপা দেখাতে ভুলে গেলেন? তাঁর সহানুভূতি কি ক্রোধে রূপান্তরিত হয়েছে?”
১০ তারপর আমি ভাবলাম, “য়ে বিষয়টা আমায় সব থেকে বেশী বিব্রত করলো তা হল: পরাত্পর কি তাঁর ক্ষমতা হারিযেছেন?”
১১ প্রভু কি করেছেন তা আমার স্মরণে আছে। হে ঈশ্বর, অতীতে য়ে সব আশ্চর্য়্য় কার্য়্য় আপনি করেছিলেন, তা আমার স্মরণে আছে।
১২ আপনি যা করেছেন, তা নিয়ে আমি ভেবেছি, সে সম্পর্কে আমি চিন্তা করেছি।
১৩ ঈশ্বর, আপনার পথই পবিত্র পথ। ঈশ্বর কেউই আপনার মত মহত্ নয়।
১৪ আপনিই সেই ঈশ্বর, যিনি আশ্চর্য়্য় কার্য়্য় করেছেন। আপনি লোকদের আপনার পরাক্রমের পরিচয় দিয়েছেন।
১৫ আপনার ক্ষমতাবলে আপনি আপনার লোকদের রক্ষা করেছেন। যাকোব এবং য়োষেফের উত্তরপুরুষদের আপনি রক্ষা করেছেন।
১৬ ঈশ্বর, আপনাকে দেখে জলও ভীত হয়েছিলো। গভীর জলরাশি আপনাকে দেখে ভয়ে কেঁপে গিয়েছিলো।
১৭ ঘন মেঘে জল সিঞ্চন করেছিলো। লোকে উঁচু মেঘে দারুণ বজ্র নির্ঘোষ শুনেছিলো। তারপর আপনার বিদ্য়ুতের তীর সারা মেঘে ঝলক দিয়ে উঠেছিলো।
১৮ গুরু গুরু গর্জনের বজ্রধ্বনিতে আকাশ ভরে উঠেছিলো। বিদ্য়ুত্ ঝলকে সারা পৃথিবী আলোকিত হয়ে উঠেছিলো। পৃথিবী শিহরিত ও কম্পিত হয়েছিলো।
১৯ ঈশ্বর, গভীর জলের মধ্যে দিয়ে আপনি হেঁটে গেলেন, গভীর সমুদ্রের মধ্যে দিয়ে হেঁটে গেলেন। কিন্তু সেখানে আপনি কোন চরণচিহ্ন রেখে যান নি।
২০ মোশি এবং হারোণের মধ্যে দিয়ে আপনি আপনার লোকদের মেষের মত পরিচালিত করেছেন।