ভক্তিগীতি – মোঃ নাঈম মিয়া

নবী কমলিওয়ালা দুজাহানের বাদশা

মোহাম্মদের নামের ধ্যায়ান এ হৃদয়ে আমার

তুমি যে হলে শ্রেষ্ঠ বাংলার কূল

নবীর নামে পড়ো দুরুদ,ওহে মুমিন মুসলমান

দুজাহানের বাদশা নবীজি মোহাম্মদ রাসুল

একবার যদি আমি আরব যেতাম নবীজির দেশে

পড়ে দুরুদ শুনি আমার নবীর শানে

নামাজ রোজা পালন করো মন বিনয় করি

নবীর শান গাহিতে বাধা আসে স্পর্ধা কী যে তার

আল্লাহ’কে হবে ভালোবাসা নবীকে বাসলে ভালো

আমি দিন দুখিনী গো কেমনে যাইবো মদিনা

আমার নবীর শানে ঐ পড়ে দুরুদ

এক কুড়ি কবিতা – মোঃ নাঈম মিয়া

আজ বিয়ার ও দিবসে পাড়া পরশি শেষে

আল্লাজির নাম লও রে মনা আল্লাজির নাম লও

এ জগত মাঝারে তুমি থাকবা না ওরে ও মনা

কদিন আর থাকিবে ভবমাঝারে ওরে ও নাঈম রে

শূন্যের উপর ঘর যে আমার নড়বড় নড়বড় করে

নয়ন করিলে বন্ধ রে নাঈম হবে না অন্ধ

নাঈম তোমার প্রেমের কী ধারা বুঝিনা গো

খানা খাওয়ার ঘন্টা বাজিলো গো সখি আমার

নাঈমের গায়ে হলদি রে আনো তোমরা জলদি

আজকে নাঈমের বিয়া রে

আপন জেনে সহায় থেকো পারলে এক্তিয়ারে

এইতো আমার পুড়া কপাল জ্বলে

আমার প্রানসখি যায় গো আপন ঠিকানায়

আমার ঘরের লোক অর্থ ছাড়া কিছুই চেনে না

কেউ বলে দস্যু মানব,কেউ বলে দাম্ভিক

সিলেটের পাক ভূমিতে বাবা শাহজালাল

মুজিব বাবা ভান্ডারি তুমি দয়ার কান্ডারি গো

আমি যে এক দিনভিখারি তুমি হইয়ো সহায়

আমি আছি আশায় গো পুরাও মনের বাসনা

আমি রইবো না আর শোক মন্দিরে গো

ইয়া আল্লাহু ডাকি তোমায় দমেতে দমেতে

এতিম নাদান ভবে মাওলা তোমাকে বিনে

ধর্ম প্রচার করতে এলেন কেল্লা বাবা সিলেটের প্রদেশে

নিজামুদ্দিন আউলিয়া আলো দিলেন ছড়াইয়া

শাহ্ ইব্রাহিম মস্তান ছিলেন আল্লাহর ওলি

দয়া করে দেখা দিয়ে শান্ত করো আমারে

ভয়ানক সাগরে নামলাম আমি ভাঙ্গা তরী লইয়া

আমার ডুবো ডুবো তরী তুমি করে দাও উদ্ধার

মুর্শিদ আমার কান্ডারি গো সয়ালের দয়াল

দয়াল মুর্শিদ প্রাণের মুর্শিদ গো

ভূলে মুই ধান্য দিলাম আমার মানব ক্ষেতে

ওরে তোরা গুরু ভজ সবে তোরা গুরু ভজ রে

লালন বলে সুধা নাকি আছে গুরুর কাছে

মুর্শিদ দুজনের মাঝে কেউ নাই আর

আমার ভাঙ্গা তরী যায় ভাসিয়া অকূল সাগরে

যতই তুমি ডাকো রে বন্ধু মিষ্টি মধুর সুরে

আমার দুই চাকার গাড়ি থামবে বলো কোনখানে

আমি যে এক কৃষকি কৃষিতে ফলাই ফসল

বাতনে যায়রে মনা – ভেদ না বুঝে করিলে

ও মন একবার তুমি ভাবিয়া দেখছনি রে

সবাই মানুষ বাংলাদেশে স্বাধীনতা চায়

কাম করো জোগাও অর্থ সততার ভান্ডারে

তোমায় আমি ডাকি কাতরে উদ্ধার করো আমারে

আমি বুঝি না এ কেমন কানা রে

রঙের কানা রঙের কানা রে

ভাটি বাংলার লোকসমাজে রাস্তাঘাট চায়