৮.
দবির চাচা বাসার ভেতরে ছটফট করছে, অস্থিরভাবে হাঁটাহাঁটি করছে। কথা ছিল ওয়েল্ডারের দোকান থেকে বাসায় খাঁচাটা দুই ঘণ্টার মাঝে পৌঁছে দেবে। দুই ঘণ্টা পার হয়ে তিন ঘণ্টা হয়ে গেছে এখনো ওয়েল্ডারের দোকানের মানুষগুলোর দেখা নেই। অথচ সে ঠিকই ভূতের বাচ্চাকে ধরে ফেলে বেঁধে-ছেদে রেডি করে রেখেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত খাঁচাটা না পাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত ভূতের বাচ্চাটাকে তার ভেতরে আটকাতে পারছে না। আর যতক্ষণ ভূতের বাচ্চাটাকে খাঁচার ভেতরে আটকাতে না পারছে, ততক্ষণ সে তার সন্ত্রাসী বসকে টেলিফোনও করতে পারছে না। দবির চাচা একটু পরে পরে জানালার পর্দা তুলে বাইরে তাকিয়ে দেখছে ওয়েল্ডারের দোকান থেকে মানুষগুলো তার খাঁচা নিয়ে এসেছে কিনা।
যখন সে একেবারে হতাশ হয়ে যাচ্ছিল, তখন হঠাৎ করে কলিং বেল বেজে উঠল। দবির চাচা দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলল। সত্যি সত্যি ওয়েল্ডারের দোকান থেকে মানুষটা খাঁচা নিয়ে এসেছে। দবির চাচা রেগে আগুন হয়ে বলল, আমি একশবার করে বলেছি দুই ঘণ্টার মাঝে রেডি করে দিতে, এখন দুই ঘণ্টা পার হয়ে তিন ঘন্টা হয়ে গেছে আপনার দেখা নাই।
ওয়েল্ডারের মানুষটা বলল, স্যার এই রকম জটিল একটা খাঁচা কি দুই ঘণ্টার মাঝে তৈরি করা সম্ভব? জিআই পাইপ কাটতেই তো এক ঘণ্টা লেগে গেল।
আমি সেগুলো শুনতে চাই না।
দেখেন স্যার, কী সুন্দর ফিনিশিং। মজবুত কিন্তু হালকা।
দবির চাচা ধমক দিয়ে বলল, হয়েছে। হয়েছে। আর বকবক করতে হবে না। তোমরা এটা ভেতরে রেখে যাও।
মানুষটা খাঁচাটাকে ঠেলে ঘরের ভেতরে ঢোকাল। তারপর ইতস্তত করে বলল, বাকি টাকাটা?
দবির চাচা প্রায় খেঁকিয়ে উঠে বলল, বাকি টাকা? আপনাকে আর একটা পয়সা দেয়া উচিত না। কথা দিয়ে সময়মতো ডেলিভারি দিতে পারেন না। আমার কত ঝামেলা হয়েছে জানেন?
মানুষটা মাথা চুলকে বলল, স্যার, বুঝতেই পারেন এত অল্প সময়ে শেষ করা তো সোজা না।
দবির চাচা গজগজ করতে করতে পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে সেখান থেকে টাকা মানুষটার হাতে দিল।
.
মানুষটা সালাম দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেল।
খাঁচাটা হাতে পাওয়ার পর দবির চাচার মেজাজ ভালো হয়ে যায়। জিব দিয়ে লোল টানার মতো শব্দ করে সে খাঁচাটা হাতে নিয়ে নীতুর ঘরে এসে ঢুকল। খাঁচাটা নিচে রেখে সে নীতুকে বলল, এই যে দেখো আমার খাঁচা এসে গেছে। আমার আর চিন্তা নাই। এখন এই খাঁচার মাঝে চিড়িয়া ঢুকিয়ে দেব, ব্যস তখন কাজ কমপ্লিট। বসকে একটা ফোন দিব তাদের কাছে মাল ডেলিভারি দিয়ে দিব। আমার নিট লাভ কত বলতে পারবে?
নীতুর পক্ষে কথা বলার কোনো উপায় নেই। তবু সে একটু শব্দ করার চেষ্টা করল, লাভ হলো না। দবির চাচা বলল, তোমার পক্ষে বলা সম্ভব না। আমার নিট লাভ পাঁচ লাখ টাকা! এক দুই তিন চার পাঁচ। তারপর আবার খাটাসের মতো হাঁ হাঁ করে হাসতে লাগল! দবির চাচা হাসি থামিয়ে খাঁচার দরজাটা খুলল তারপর সোলায়মানকে তার চাদর মুড়িয়ে বাঁধা অবস্থায় খাঁচার ভেতরে ঢোকাল। তারপর খাঁচার দরজায় বড় একটা তালা মেরে চাবিটা পকেটে ঢুকিয়ে জিব দিয়ে সন্তুষ্টির একটা শব্দ করল, হাততালি দিয়ে বলল, কাজ কমপ্লিট!
দবির চাচা চারিদিক থেকে ঘুরে খাঁচাটাকে দেখে তারপর খাঁচার ভেতরে হাত ঢুকিয়ে দড়ির বাধন খুলে চাদরটা টেনে বের করে নিয়ে আসে। নীতু দেখতে পেল সোলায়মান ভয়ে-আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে আছে।
দবির চাচা কিছুই দেখল না। হাত ঢুকিয়ে সোলায়মানকে অনুভব করার চেষ্টা করে আনন্দে হাঁ হাঁ করে হাসতে হাসতে বলল, কী তাজ্জবের ব্যাপার। চোখে দেখা যায় না কিন্তু হাত দিলে বোঝা যায়। এ রকম জিনিস দুনিয়ায় কয়টা আছে? পাঁচ লাখ টাকা দিয়া শুরু কত টাকায় শেষ হবে বলে মনে হয়?
নীতু কথা বলতে পারছিল না, শুধু একটু শব্দ করার চেষ্টা করল। সে দেখতে পেল সোলায়মান খাঁচার রডগুলো ধরে হাউমাউ করে কাঁদছে। নীতুর এত মন খারাপ হলো যে, বলার মতো নয়।
দবির চাচা পকেট থেকে মোবাইল ফোন বের করে তার সন্ত্রাসী বসের কাছে ফোন করল। অন্য পাশে ফোনটা ধরার সঙ্গে সঙ্গে দবির চাচা গলায় মধু ঢেলে বলল, বস আমি দবির”।
বস বলল, কী হলো দবির? তোমার কোনো খবর নাই, আমি তো ভাবলাম তুমি কী আবার হাওয়া হয়ে গেলে কিনা!
দবির চাচা বিনয়ে গলে গিয়ে বলল, কী যে বলেন বস। আপনার নিমক খেয়ে বড় হয়েছি, আপনার সাথে কি আমি বেইমানি করতে পারি? আপনার মাল রেডি বস। যদি একটা পিকআপ ট্রাক পাঠান আমি সেখানে মাল তুলে দিব।
অন্যপাশ থেকে সন্ত্রাসী বস জিজ্ঞেস করল, যে রকম বলেছিলে সে রকম তো? সত্যিকারের ভূতের বাচ্চা?
দবির চাচা উৎসাহ নিয়ে বলল, হান্ড্রেড পার্সেন্ট। খাঁচার ভেতরে তাকালে দেখবেন সেটা খালি, কিন্তু ভেতরে হাত দেন, টের পাবেন কিলবিল কিলবিল করতেছে একটা ভূতের বাচ্চা!
বস বলল, কী তাজ্জব! শুনেই শরীরের মাঝে ইজিবিজি করে। হাত দিলে কামড়-টামড় দেয় না তো!
দবির বলল, না বস, কামড় এখনো দেয় নাই। এত সাহস পাবে না।
ঠিক আছে আমি তাহলে পিকআপটা পাঠাই, ঠিকানাটা দাও। নীতু শুনল দবির চাচা তাদের বাসার ঠিকানাটা দিল। দবির চাচা তখন গলায় মধু ঢেলে ফেলল, বস।
আবার কী হলো?
আমার বাকি টাকাটা যদি দিয়ে দিতেন।
আরে! টাকার জন্যে তোমার দুশ্চিন্তা কী? যদি তুমি আসলেই আমাকে ভূতের বাচ্চা দিতে পারো তোমার তাহলে টাকার সমস্যা কী? নিয়ে আস ভূতের বাচ্চা।
জি বস। জি।
দবির চাচা হাসি হাসি মুখে ফোনটা পকেটে রাখল। তারপর আবার খাঁচার ভেতরে হাত দিয়ে ভূতের বাচ্চা সোলায়মানকে ছোঁয়ার চেষ্টা করল! নীতু দেখল সোলায়মান হঠাৎ করে হাতটা ধরে সেখানে তার দাঁত বসিয়ে দেয়। দবির চাচা একটা গগনবিদারী চিৎকার দিয়ে কোনোমতে তার হাতটা টেনে বের করে আনে। রাণে আগুন হয়ে বলল, বদমাইস ভূতের বাচ্চা ভূত। খালি তোকে একবার জায়গামতো নিয়ে নিই। তারপর টের পাবি কত ধানে কত চাউল। কত গমে কত আটা। মরিচের কত ঝাল!
দবির চাচা অন্য হাত দিয়ে হাতের ব্যথা পাওয়া জায়গায় হাত বুলাতে বুলাতে ঘর থেকে বের হয়ে গেল। বাইরে থেকে সে ঘরের দরজায় ছিটকানি দিয়ে বসার ঘরে সোফায় গিয়ে বসল। রিমোট কন্ট্রোলটা হাতে নিয়ে সে টেলিভিশনটা অন করে চ্যানেল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে একটা হিন্দি চ্যানেল এনে নাচ দেখতে শুরু করল।
.
ঠিক এই সময় মিতি, সজল আর সজীব এসে পৌঁছেছে। তারা দরজা দিয়ে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করল না। বাসার পাশে জানালার কাছে দাঁড়িয়ে ভেতরে উঁকি দেওয়ার চেষ্টা করল। জানালাটা অনেক উঁচু বাইরে থেকে দেখা যায় না। মিতি বলল, সজীব, তুই আমার ঘাড়ে উঠে ভেতরে তাকিয়ে দেখ দেখি কী অবস্থা?
সজীব মিতির ঘাড়ে উঠল, মিতি তখন সোজা হয়ে দাঁড়াল, সজীব জানালায় উঁকি দিয়ে ভেতরে দেখার চেষ্টা করে। তখন অন্ধকার হয়ে এসেছে, ভালো করে কিছু দেখা যায় না, সজীব একটু চেষ্টা করতেই হঠাৎ তার চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। অবস্থা আবছা দেখা যাচ্ছে, নীতু তার বিছানায় দেয়ালে হেলান দিয়ে বসে আছে। হাত পেছনে বাঁধা, পা দুটোও বাঁধা। শুধু তাই না, মুখের মাঝে টেপ লাগানো। সবচেয়ে অবাক ব্যাপার বিছানার কাছে একটা লোহার খাঁচা, খাঁচার ভেতরে একটা ছোট বাচ্চা।
সজীব প্রায় চিৎকার করে উঠেছিল, মিতি তাকে থামাল। নিচে নেমে সে বড়বড় করে বলল, নীতু আপুকে বেঁধে রেখেছে।
সত্যি?
হ্যাঁ। মুখও টেপ দিয়ে বাঁধা।
সর্বনাশ।
শুধু তাই না। নীতু আপার বিছানার কাছে একটা লোহার খাঁচা। সেই খাঁচার ভেতরে একটা বাচ্চা।
মিতি আর সজল চোখ কপালে তুলে বলল, খাঁচা? খাঁচার ভেতরে বাচ্চা?
হ্যাঁ।
কী বলছিস তুই?
সত্যি বলছি। বিশ্বাস না করলে তুমি নিজে দেখো।
মিতি সজলের দিকে তাকিয়ে বলল, সজল তুই নিচে দাঁড়াতে পারবি আমি তোর ঘাড়ে দাঁড়িয়ে দেখি?
সজল রাজি হয়ে গেল। মিতি তখন তার ঘাড়ে পা দিয়ে জানালা দিয়ে ভেতরে তাকালো। সজীব ভুল বলেনি, সত্যি সত্যি নীতুকে বেঁধে রেখেছে এবং বিছানার কাছে একটা খাঁচা। খাঁচার ভেতরে ছোট একটা বাচ্চা। আবছা অন্ধকারে ভালো দেখা যায় না কিন্তু বোঝা যায় বাচ্চাটা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। মিতি জানালা দিয়ে ভেতরে তাকানোর সময় বসার ঘর থেকে টেলিভিশনে হিন্দি গান শুনতে পেল। মিতির আর বুঝতে বাকি রইল না কে এই হিন্দি চ্যানেল দেখছে আর এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
মিতি নিচে নেমে বলল, আর দেরি করা যাবে না। সজল তুই জানালায় উঠে গ্রিল কাটা শুরু কর। বদমাইস দবির চাচার মতলবটা কী বোঝা যাচ্ছে না।
সজল বলল, ঠিক আছে।
তখন মিতি আর সজীব মিলে ঠেলেঠুলে সজলকে জানালায় তুলে দিল। সজীব জানালায় ঝুলে থেকে হ্যাঁকস দিয়ে গ্রিল কাটতে শুরু করে। ভাগ্যিস তখন অন্ধকার নেমে এসেছে, জানালায় বসে গ্রিলকাটার এই দৃশ্যটি রাস্তায় কেউ দেখতে পাচ্ছিল না। জায়গাটা এমনিতেই গাছ দিয়ে ঢাকা, খুব ভালো করে লক্ষ্য না করলে কেউ দেখতে পাবে না। জানালার গ্রিল কাটার পর সবার প্রথম সজল নীতুর ঘরে ঢুকল। ঢুকেই সে সবার প্রথম নীতুর মুখের টেপ খুলে দিল, নীতু ফিসফিস করে বলল, দরজাটা লাগিয়ে দে। তাড়াতাড়ি।
সজল নীতুর ঘরের দরজাটা লাগিয়ে দিল, তারপর নীতুর হাতের বাঁধন খুলতে খুলতে জিজ্ঞেস করল, কী হয়েছে নীতু আপু? এই বাচ্চাটা কে? খাঁচার ভেতরে কেন?
নীতুর হাত খুলে দেয়ার পর সে নিজেই তার পায়ের বাঁধন খুলতে খুলতে বলল, বলছি! তুই আগে মিতি আর সজীবকে ভেতরে ঢুকিয়ে আন। খুবই জরুরি। দেরি করিস না।
সজল নিচে পড়ে থাকা বিছানার চাদরটা পাকিয়ে দড়ির মতো করে বাইরে নামিয়ে দিল, সজীব সেটা ধরে একটু ওপরে ওঠার পর সজল তাকে টেনে ঘরের ভেতর ঢুকিয়ে নেয়। মিতি বিছানার চাদর ধরে একটু ওপরে ওঠার পর সজল সজীবের সঙ্গে নীতুও হাত লাগাল, তাকেও জানালার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে ভেতরে টেনে ঢুকিয়ে ফেলল।
মিতি হাঁপাতে হাঁপাতে বলল, এখন কী হয়েছে বল। এই বাচ্চাটা কোথা থেকে এসেছে? সে খাঁচার ভেতরে কেন?
নীতু ফিসফিস করে বলল, সেটা অনেক বড় স্টোরি। সবকিছু পরে বলব, এখন আমাদের খুবই বড় ইমার্জেন্সি।
কী ইমার্জেন্সি?
কাল আমরা ভূত আনতে চেষ্টা করেছিলাম মনে আছে?
হ্যাঁ। তাতে কী হয়েছে?
সত্যি সত্যি এই ভূতের বাচ্চাটা এসে আটকা পড়ে গিয়েছিল। আর ফিরে যেতে পারেনি।
তিনজন প্রায় চিৎকার করে উঠতে গিয়ে অনেক কষ্টে থেমে গিয়ে বলল, এটা ভূতের বাচ্চা?”
তিনজনই তখন নিচু হয়ে বাচ্চাটাকে দেখার চেষ্টা করল। সজীব বলল, ইশ! কী সুইট। কী মায়া লাগে। নীতু বলল, বাচ্চাটার নাম সোলায়মান। মিতি জিজ্ঞেস করল, দবির চাচা একে খাঁচার ভেতরে আটকেছে?”
হ্যাঁ।
এখন তাকে কেমন করে ছোটাই?
আমাদের চারজনকে আবার চক্রে বসতে হবে। চক্রে বসে ভূতদের ডাকতে হবে। তখন নিশ্চয়ই সোলায়মানের আম্মু এসে সোলায়মানকে নিয়ে যাবে।
সজল জিজ্ঞেস করল, কিন্তু সোলায়মান যে খাঁচার ভেতরে।
যখন চক্রে বসব, তার মা আসবে সূক্ষ্ম দেহে, কোনো সমস্যা হবে না। ভেতর থেকে বের করে নিতে পারবে।
যদি না পারে?
তাহলে চারজন মিলে দবির চাচাকে অ্যাটাক করব। তার পকেট থেকে চাবি নিয়ে তালা খুলে দেব।
সজল মাথা নাড়ল, বলল, ঠিক আছে।
নীতু বলল, আমাদের দেরি করা যাবে না। তাড়াতাড়ি চক্রে বসে যাই। আয় সবাই।
চারজন মেঝেতে বসে গেল। গতকালের মতো আবার চারজন একজন আরেকজনের হাতের ওপর হাত রেখে চোখ বন্ধ করে ফেল। নীতু ফিসফিস করে বলল, হে বিদেহী আত্মাগণ। আমরা আপনাদের পৃথিবীতে আহ্বান করছি। আপনারা আসুন। আপনাদের একটি শিশু আজকে খুব বিপদের মাঝে আছে। তাকে একজন খুব খারাপ মানুষ এই লোহার খাঁচায় আটকে রেখেছে। আপনারা আসুন। তাকে মুক্ত করে নিয়ে যান। আপনারা ছাড়া আর কেউ তাকে মুক্ত করে নিয়ে যেতে পারবে না। আসুন। আপনারা আসুন। ওরোন ওরাহ্ হিরাক্ট গিম্বা লান। ওরোন ওরাহ্ হিরাক্ট গিম্বা লান…
চারজন গভীর মনোযোগ দিয়ে মন্ত্র উচ্চারণ করতে থাকে। ভূতের বাচ্চা সোলায়মান তার খাঁচার রড ধরে এক দৃষ্টে তাদের দিকে তাকিয়ে থাকে। হঠাৎ করে সে অনুভব করে তার চারপাশে অনেক কলরব। অনেক কোলাহল। তাকে নেয়ার জন্যে অনেকে পৃথিবীতে নেমে আসছে।
সোলায়মান নিঃশ্বাস বন্ধ করে তাকিয়ে থাকে।