৩. তখনো ভোর হয়নি

০৩.

তখনো ভোর হয়নি, সাদাটে ভাব ফোটেনি আকাশে, গাড়ি এসে কালীপাহাড়ি স্টেশনে পৌঁছল। কিকিরা খানিকটা আগেই তারাপদকে ঘুম থেকে ডেকে দিয়েছিলেন।

স্টেশনে গাড়ি থামতেই দু’জনে মালপত্র সমেত নেমে পড়ল। তারাপদর লাগেজ বলতে একটা সুটকেস আর কাঁধ-ঝোলা। কিকিরার সঙ্গে ছিল কালো রঙের এক ট্রাভেলিং ট্র্যাংক, গোটা-দুই বেয়াড়া সুটকেস। ট্র্যাংকটা যে কেন সঙ্গে নিয়েছেন কিকিরা, তারাপদর মাথায় আসছিল না। কলকাতায় তারাপদ জিজ্ঞেস করেছিল, “এই গন্ধমাদনটা আপনি কেন নিচ্ছেন? ওঠাতে-নামাতে প্রাণ বেরিয়ে যাবে।” কিকিরা খানিকটা রহস্য করে জবাব দিয়েছিলেন, “ওটায় আমার ধনদৌলত থাকে, বাপু। সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছি।” তারাপদ আর কিছু বলেনি।

প্ল্যাটফর্মে নেমে তারাপদ বলল, “এখনো রাত রয়েছে।”

“আরে না, দেখতে-দেখতে ফরসা হয়ে যাবে।”

স্টেশনে লোক কিন্তু খুব একটা কম নামল না। বেশির ভাগই গাঁ-গ্রামের মানুষ। প্ল্যাটফর্মে তখনো বাতি জ্বলছে।

এমন বিদঘুটে সময় যে, কুলিও জুটছিল না। কোনো রকমে দুজনে মালপত্র প্ল্যাটফর্মে নামাতে পেরেছে। এখন সকাল না-হওয়া পর্যন্ত হাঁ করে বসে থাকা।

“আপনার বন্ধুর বাড়ি থেকে তোক আসবে না?” তারাপদ বলল।

“আসবে। এত ভোর-ভোর আসা, একটু দেরি হচ্ছে বোধহয়।”

“আমরা তা হলে কী করব?”

“এখানে বসে থাকি খানিকক্ষণ।”

তারাপদর গা শিরশির করছিল। শরঙ্কাল। ভোর হয়ে আসার আগের মুহূর্ত। এই সময় গা শিরশির করাই স্বাভাবিক। ওভারব্রিজের বাঁ দিকে মন্ত-মস্ত গাছ। ডান দিকে ঘরবাড়ি। আসলে, স্টেশনটা নিচে, দু পাশে বালিয়াড়ির মতন উঁচু জমি।

একটা সিগারেট ধরিয়ে তারাপদ কাছাকাছি পায়চারি করতে লাগল। বেশ লাগছে ঠাণ্ডা বাতাস, একটু হিম-হিম ভাব রয়েছে। আকাশ সাদা হয়ে আসছে বোধ হয়। কিকিরা ঠিকই বলেছিলেন।

আর খানিকটা পরে একেবরে ফরসা হবার মুখে-মুখে ফকিরের বাড়ি থেকে জনা-দুই লোক চলে এল।

দু’জনেই কিকিরার চেনা। লোচন আর নকুল। লোচন ফকিরদের বাড়ির কাজের লোক, বাইরের কাজকর্মগুলো সে করে; আর নকুল গাড়ির ড্রাইভার।

কিকিরার সঙ্গে কথা বলতে বলতে দুজনে ভারী ট্র্যাংকটা তুলে নিল। বললে, গাড়িতে রেখে আবার আসছে।

তারাপদ কৌতূহলের সঙ্গে দু’জনকেই দেখছিল। দু’জনেই গড়নে-পেটনে তাগড়া। নকুল বেঁটে, বয়সেও কম, পঁচিশ হবে। একমাথা চুল, ভোঁতা মুখ। লোচনের বয়েস খানিকটা বেশি, বছর পঁয়ত্রিশ তো হবেই। মাথায় সে মাঝারি।

দু’জনে যেভাবে অক্লেশে ভারী ট্র্যাংকটা নিয়ে ওভারব্রিজে উঠতে লাগল, মনে হল এ-সব তাদের কাছে সাধারণ ব্যাপার।

তারাপদ তারিফ করার গলায় বলল, “গায়ে বেশ ক্ষমতা তো?”

কিকিরা বললেন, “ওরা কি কলকাতার লোক হে, রোদে-জলে তেতেপুড়ে মানুষ। ওই নকুল সের দেড়েক ভাত নাকি একপাতে বসে খেতে পারে। বিশ-পঁচিশখানা রুটি হজম করা ওর কাছে কিছুই নয়।”

হাসল তারাপদ। ”খাইয়ে লোক।”

 “শুধু খাইয়ে নয়, খুন-জখম করতেও ওস্তাদ।”

 ঘাবড়ে গেল তারাপদ। “মানে? ও কি খুন-জখম করে বেড়ায়?”

“খুন করে কি না জানি না, তবে জখম করে। ফকিরের গাড়ি নকুলই চালায়। ফকির বড়-একটা দূরে কোথাও যায় না গাড়ি নিয়ে।”

“কেন?”

“এমনিতে তো শত্রুর অভাই নেই আজকাল। তার ওপর ব্যবসাপত্রের জন্যে দূরে যখন যেতে হয়, কাঁচা টাকা সঙ্গে থাকে। হয় আদায় করে ফিরছে, না হয় সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে। রাত-বিরেত হয়ে যায়। এসব জায়গায় হামেশাই ডাকাতি হয়।”

“নকুল তা হলে ফকিরবাবুর বডিগার্ড?” তারাপদ বলল।

”খানিকটা তাই।”

ফরসার ভাব আরও বেড়ে গেল। এখন কাছাকাছি অনেক কিছুই চোখে পড়ছে স্পষ্টভাবে। তারাপদ স্টেশন, গাছপালা, প্ল্যাটফর্ম দেখছিল।

লোচন আর নকুল ফিরে এল।

 জিনিসপত্র উঠিয়ে চারজনেই এবার এগিয়ে চলল ওভারব্রিজের দিকে।

তারাপদ হাঁটতে হাঁটতে গন্ধ শুকছিল। সকালের গন্ধ। গাছগাছালি থেকে কী সুন্দর গন্ধ উঠছে এই সকালে, বনতুলসীর ঝোপ বাঁ দিকে, তারই সামান্য তফাতে মাঠ। ওভারব্রিজের বাঁ দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে সামনে তাকালে কিছুটা দূরে কয়লার স্তূপ চোখে পড়ে, সেই কয়লার একটা কাঁচা গন্ধও যেন বাতাসে মেশানো রয়েছে।

“এ-দিকে হে,” কিকিরা তারাপদকে ডান দিকে টানলেন।

ওভারব্রিজের ডান দিক দিয়ে নিচে নামলেই স্টেশনের কম্পাউন্ড। একটা জিপগাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। বোঝাই যায় ফকিরবাবুর জিপ। দূর থেকেই বোঝা যাচ্ছিল, বেশ পুরনো কাজ-চালানো গোছের গাড়ি।

স্টেশনের দোকানপত্র এক-এক করে খোলার তোড়জোড় চলছিল। চায়ের স্টলের সামনে উনুনে ধোঁয়া উঠছে, দুটো কুকুর ঘুমিয়ে রয়েছে, একপাশে, বারোয়ারি কলকতলায় নিমের দাঁতন হাতে একটি কুলি দাঁড়িয়ে আছে।

তারাপদ বলল, “এক কাপ চা খেয়ে নিলে হত না?”

“বেশ তো, চলো,” কিকিরা বললেন, “আমারও হাই উঠছে।” বলেই লোচনকে ডাকলেন, “লোচন, চা-সেবা হবে নাকি? তোমরা মালগুলো রেখে এসো।”

স্টলের সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন কিকিরা। চায়ের কথা বললেন।

চা-অলা সকালের বউনির জন্যে মন দিয়ে চা করতে লাগল।

”কেমন লাগছে, তারাপদ?”

“ভালই লাগছে।”

“খানিকটা ভেতর দিকে চলো, আরও ভাল লাগবে। একসময় বড় সুন্দর জায়গা ছিল–এখন কোলিয়ারি আর কয়লা সব গিলে খাচ্ছে। গাছপালা, মাঠঘাট কতটুকু আর আছে!”

চা তৈরি হল। কিকিরা লোচনদের ডাকলেন।

খানিকটা সঙ্কোচ বোধ করলেও লোচনরা কাছে এল, চায়ের খুরি হাতে নিয়ে আবার জিপগাড়ির দিকে চলে গেল।

তারাপদ আর কিকিরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চা খেতে লাগলেন।

 তারাপদ হঠাৎ বলল, “ফকিরবাবুর জিপ দেখে মনে হচ্ছে, ওটারও ঘুম ভাঙেনি।” বলে হাসল।”কেমন ময়লা দেখছেন?”

কিকিরা বললেন, “কোলিয়ারির গাড়ি ওই রকমই হয় হে, এ কি তোমার কলকাতা? কয়লার দেশ। চলো না রাস্তাঘাটের চেহারা দেখবে।”

জিপগাড়িটার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতেই তারাপদ হঠাৎ জিজ্ঞেস করল, “ফকিরাবুর কি ওই একটিই ছেলে?”

“দুটি ছেলে, একটি মেয়ে। বড় বিশু–মানে বিশ্বময়; ছোট, অংশু। মেয়ে সকলের ছোট। পৃর্ণিমা। বড় মিষ্টি দেখতে! ফকিরের ছেলেমেয়েদের সকলকেই দেখতে সুন্দর। ফকির নিজেও দেখতে সুপুরুষ ছিল। গ্রামে যাত্রাপার্টি করেছিল ফকির, রাজাটাজা সাজত।” কিকিরা হাসলেন।

চা খাওয়া শেষ করে তারাপদ আবার একটা সিগারেট ধরাল। একটা কথা সে স্পষ্টই বুঝতে পারছিল কিকিরা ফকিরের বাল্যবন্ধু শুধু নন, ফকিরকে তিনি ভালবাসেন। কিকিরার কথাবার্তা বলার ধরনে সেটা বোঝা যায়।

পয়সা মিটিয়ে দিয়ে কিকিরা বললেন, “চলো, যাওয়া যাক।”

কিকিরা আর তারাপদকে সামনেই বসিয়ে নিল নকুল। পেছনে মালপত্র সমেত লোচন।

স্টেশনের চৌহদ্দি ছাড়িয়ে গাড়ি ডান দিকে ঘুরল।

 তারাপদর ভালই লাগছিল। কিকিরা মিথ্যে বলেননি। জিপ মিনিট দশেক ধরে চলছে, সকালও হয়ে গিয়েছে, রোদ উঠল এইমাত্র, রাস্তা ভাল নয়, কিন্তু চারপাশে কত রকম দৃশ্য ছড়িয়ে আছে। মস্ত-মস্ত নিমগাছ, বট, ছোট-ছোট কুঁড়ে, সাঁওতাল গোছের মেয়ে-পুরুষ চোখে পড়ছে, মুরগি চরছে কুঁড়ের সামনে, কুকুর, হঠাৎ খানিকটা জায়গায় ধানের খেত, তারপরই নেড়া মাঠ, কোথাও সামান্য জল জমে রয়েছে পুকুরের মতন, শালুক ফুল ফুটছে, আবার দূরে তাকালে কোলিয়ারির পিটও দেখা যাচ্ছে।

দেখছিল তারাপদ। জায়গা বেশ শুকনো, পানা-পুকুর কিংবা বাঁশঝাড় চোখে পড়ে না। বরং পলাশ-ঝোপ আর কুল-ঝোপই বেশি চোখে পড়ে। হ্যাঁ, একপাশে অনেক কাশফুল ফুটে আছে। বাতাসে দুলছে। চোখ জুড়িয়ে যায়।

জিপ আরও খানিকটা এগিয়ে বাঁ দিকে ঘুরল।

কিকিরা বললেন, “আর তিন-চার মিনিট।”

তারাপদর হঠাৎ ঢাকের আওয়াজ কানে এল। কোথায় যেন ঢাক বেজে উঠল। এই বাজনা একেবারেই আলাদা, কলকাতার মতন নয়, কানে বড় মিষ্টি লাগছিল। মনে পড়ল আজ সপ্তমী পুজো। কলকাতায় থাকলে তারাপদ এতক্ষণে বটুকবাবুর মেসে পড়ে-পড়ে ঘুমোত। আর এখানে সে চোখ চেয়ে-চেয়ে সব দেখছে ওই যে কত বড় ধানখেত, সবুজ হয়ে রয়েছে, মাথা দুলছে ধানের শিষের; ওই দেখো কত বিরাট এক পুকুর আর্ট-দশটা আমগাছ ডালপালা ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে; ছোট্ট এক টুকরো খেত, সবজি ফলেছে। চোখ যেন জুড়িয়ে গেল তারাপদর। আকাশ রোদে রোদে ভরে উঠছে, পাখি উড়ে যাচ্ছে মাথার উপর দিয়ে সাঁতরে।

কেমন যেন ঘোর এসেছিল তারাপদর, আচমকা জিপগাড়ির হর্নে চমকে উঠল। তারপরই দেখল, দোতলা এক বিরাট বাড়ির সামনে এসে তাদের গাড়ি থামল। ওই বাড়িরই গালাগানো ঠাকুর-দালান থেকে ঢাকের শব্দ আসছে।

কিকিরা নেমে পড়লেন। তারাপদ আগেই নেমেছে।

”ফকিরদের বাড়ি,” কিকিরা বললেন, “আদি বাড়ি।”

বাড়িটা দেখলেই বোঝা যায় একালের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই, পুরনো টঙ, পুরনো ছাঁদ। কলকাতায় চিতপুরের গলির মধ্যে, বউবাজারের এ-গলি ও-গলিতে এই ছাঁওদর বাড়ি দেখেছে তারাপদ। সামনের দিকে কোনো ভাঙচুর নেই, একেবারে সটান, লম্বার দিকটা বেশি, বড়বড় থাম, মোটা পাঁচিল, খড়খড়িকরা দরজা জানালা। রং-চং তেমন কিছু চোখে পড়ছিল না।

লোচন আর নকুল জিনিসপত্র নামাতে লাগল।

তারাপদ জিজ্ঞেস করল, “এবাড়ি কত কালের?”

“সামনের দিকটা অনেককালের। শ খানেক বছরের। পেছনের দিকটা পরে হয়েছে–ফকিরের বাবা কাকারা করেছিলেন। তাও সেটা ধরো বছর পঞ্চাশ-ষাট আগেকার।”

“ঠাকুর-দালান বাইরে কেন?”

“অন্দরমহল আলাদা রাখার জন্যে। গ্রামের লোকজন আসে যায়, দু-চারটে দোকানও বসে, তার ওপর এই যাত্রা–এ-সবের জন্যে বোধহয়। ভেতরেও ফকিরদের গৃহদেবতার ঘর রয়েছে।”

কথা বলতে বলতে তারাপদ কিকিরার সঙ্গে ভেতরে এল। এসে অবাক হয়ে গেল। বাইরে থেকে বোঝাই যায় না যে, ভেতরটা স্কুল বাড়ির মৃতন। মাঝখানে মস্ত চাতাল-অনায়াসেই টেনিস খেলা যায়–এত বড়সড় ফাঁকা জায়গা। আর চারদিক ঘিরে ফকিরের বাড়ি। সবটুকুই প্রায় দোতলা, শুধু একপাশের খানিকটা একতলা। দোতলার বারান্দা আর রেলিং দেখা যাচ্ছিল।

এক-তলার দিকটা আঙুল দিয়ে দেখালেন কিকিরা।”ওই আমাদের আস্তানা। বাইরের লোকজন এলে ওখানে থাকে।”

“কিন্তু আপনি তো বাইরের লোক নন, স্যার।”

“না, ঠিক সেভাবে নই, তবে যেখানের যা আচার। আমি যখনই আসি, ওখানে থাকি।”

“আসেন মাঝে-মাঝে?”

“আসি। ফকির আমার নিতান্ত বন্ধুই নয়, ভাইয়ের মতন।”

তারাপদ আর কিছু বলল না।

 প্রায় গোটা বাড়ি পাক দিয়ে তারাপদ নিজেদের জায়গায় এসে পৌঁছল। ততক্ষণে লোচনেরা ঘর খুলে দিয়েছে। জিনিসপত্রও রাখছে নামিয়ে। ফকিরদের বাড়ির লোকজনের গলা পাওয়া যাচ্ছিল। দু-একজনকে দেখাও গেল।

ঘরে ঢুকে তারাপদ থমকে দাঁড়াল। তাকাল চারপাশ। তারপর বলল, “বাঃ! বেশ ঘর তো।”

পছন্দ হবার মতনই ঘর। বড়সড়। বিরাট-বিরাট জানলা। কাচের শার্সি আর খড়খড়ি দুইই রয়েছে। দরজা-জানলা সবই ভোলা। বাইরে গাছপালা, বাগান। রোদ নেমেছে বাগানে।

কিকিরা বললেন, “এটা আমার ঘর; তোমারটা পাশে। “

তারাপদ অবাক হয়ে বলল, “এত বড়বড় ঘরে মাত্র একজনের থাকার ব্যবস্থা?”

হাসলেন কিকিরা। বললেন, “একেই বলে বনেদিয়ানা। ফকিরলাটের ব্যাপার?” বলে আবার হাসলেন, “আমরা ফকিরের বড়লোকি দেখে ওকে ঠাট্টা করে লাট বলতাম।”

তারাপদ আসবাবপত্র দেখছিল। যা যা প্রয়োজন, সবই গোছানো।

 লোচনরা গেল পাশের ঘর খুলতে।

তারাপদ ঘরের বাইরে দিকের দরজার কাছে এসে দাঁড়িয়ে চারপাশ দেখছিল। এ-দিকটায় বাগান। গাছগাছালি কম নয়। এখনো ঢাক বাজছে। শিউলি ফুলের গন্ধও পাচ্ছিল তারাপদ।

হঠাৎ বিশ্রী কানফাটা আওয়াজে চমকে উঠল তারাপদ। সঙ্গে-সঙ্গে সরে গেল একপাশে। গুলি ছোঁড়ার আওয়াজ। ফাঁকায় অনেকটা ছড়িয়ে গিয়েছে শব্দটা। কাক ডাকছে, পাখিরা ভয় পেয়ে ডেকে উঠল। উড়তে লাগল গাছপালার মাথায়।

কিকিরা চেঁচিয়ে বললেন, “দরজার কাছ থেকে সরে এসো।”

তারাপদ সরে গেল। আর কোনো শব্দ হল না।