১১. বক্তার পরিচিতি, উপস্থিতি আর পুরস্কার গ্রহণ
আপনাকে যখন জনগণের সামনে কিছু বলার জন্য ডাকা হয় তখন আপনি আর একজন বক্তাকে পরিচিত করাতে পারেন যিনি শ্রোতাদের মুগ্ধ ইত্যাদি করতে পারেন। আপনি হয়তো কোন প্রতিষ্ঠানের হয়ে থাকতে পারেন। তেরোর পরিচ্ছেদে আমি দীর্ঘ বক্তৃতা আয়ত্ত করার বিষয়ে বলব। আর এই পরিচ্ছেদে বলব বক্তব্যের পরিচিতি কিভাবে দিতে হয় সে সম্পর্কে। এ ছাড়াও আমি আপনাদের কিছু মূল্যবান সূত্র দেব কিভাবে নিজের উপস্থিতি সহজ করে পুরস্কার গ্রহণ করতে পারা যায়।
বিখ্যাত লেখক আর বক্তা, জন ম্যাসন ব্রাউন, যার সজীব বক্তৃতা সারা দেশে প্রচুর জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল, একরাত্রিতে তিনি বক্তৃতা দিতে যান। তাকে একজন পরিচয় করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
লোকটি ব্রাউনকে বললেন, ‘যা বলতে যাচ্ছেন তা নিয়ে ভাববেন না। আরাম করুন। বক্তৃতা তৈরি করে রাখা আমার পছন্দ নয়। এই তৈরি হওয়ায় কাজ হয় না, এতে সব ব্যাপারটারই মাধুর্য নষ্ট হয়ে যায়। আমি বক্তৃতা করার সময় একটা প্রেরণার অপেক্ষায় থাকি আর তাতে কখনও ব্যর্থ হই না।’
এমন চমৎকার কথাগুলো শুনে মিঃ ব্রাউন ভেবেছিলেন তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেওয়াটাও এমনই সুন্দর হবে। কিন্তু যা ঘটল সেটা মিঃ ব্রাউন তার অ্যাকিউসটমড অ্যাজ আই অ্যাম’ বইতে বলেছেন। তার বন্ধু এইভাবে শুরু করেন :
‘ভদ্রমহোদয়গণ, আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারি কি? আজ আপনাদের জন্য কিছু খারাপ সংবাদই এনেছি। আমরা চেয়েছিলাম আইজ্যাক এফ. মার্কোসন আপনাদের সামনে আজ বক্তৃতা দেবেন। কিন্তু তিনি অসুস্থ হওয়ায় আসতে পারেন নি। (হাততালি)। এরপর আমরা সেনেটর ব্লেডরিজকে আমন্ত্রণ করি বক্তৃতা দিতে … কিন্তু তিনি খুবই ব্যস্ত। (হাততালি)। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করি কানসাস সিটির ড. লয়েড গ্লোগ্যানকে আনতে (হাততালি)। শেষ পর্যন্ত আমরা পেয়েছি–জন ম্যাসন ব্রাউনকে। (সব চুপচাপ)।
এই মারাত্মক কাণ্ড দেখে মি. ব্রাউন কেবল বলেছিলেন : আমার সেই প্রেরণাদায়ক বন্ধু যে আমার নামটা ঠিকঠাক বলতে পেরে ছিলেন তাই নেহাৎ সৌভাগ্য।’
এতে বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই ভদ্রলোক প্রেরণা নিয়ে অতখানি নিশ্চিন্ত থাকা সত্বেও বন্ধুকে কতটা এগিয়ে নিতে পারতেন। চেষ্টা করলে ব্যাপারটা আরও মারাত্মক হতে পারত। পরিচিতি দিতে গিয়ে তিনি শ্ৰোতা আর বক্তা দুজনেরই প্রচণ্ড ক্ষতি করেন। অনেক সভাতেই সভার কর্তারা এভাবে ব্যর্থ হন আর শ্রোতা ও বক্তার প্রচণ্ড ক্ষতি করে বসেন।
কোন বক্তৃতা করার মুখবন্ধ আর পরিচিতি অনেকটা সামাজিক পরিচয়ে মতই উদ্দেশ্যে পূর্ণ থাকে। এতে শ্রোতা আর বক্তা কাছাকাছি আসতে পারেন, একটা বন্ধুত্বপূর্ণ আবহাওয়াও গড়ে ওঠে এবং দুদলের মধ্যে একটা একাত্মতা তৈরি হয়। যিনি বলেন, আপনাকে কোন বক্তৃতা দিতে হবে না। শুধু বক্তাকে পরিচয় করালেই চলবে, তিনি ঠিক বলেন না। এটা জেনে রাখা সকলেরই উচিত যে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মুখবন্ধ যদি বক্তৃতা দেওয়া হয় তার মূল্য অনেকখানি। অনেকেই ভুল বশতঃ তাকে গুরুত্ব দেন না।
‘পরিচিতি’ কথাটা লাতিন কথা থেকে উৎপন্ন হয়েছে। কথাটির অর্থ ভিতরের কথা জানানো। অর্থাৎ যে বক্তার পরিচয় দেওয়া হবে তার সব কথাই যেন শ্রোতারা জানতে পারেন। এর ফলে শ্রোতারা বক্তার সম্পর্কে আগ্রহী হবেন। তারা বুঝতে পারবেন যে বিষয়ে কথা বলা হবে বক্তা তার উপযুক্ত। অন্যভাবে বলা যায় ‘পরিচিতি’ হল শ্রোতাদের কাছে বিষয়বস্তু বিক্রী করা এবং তারই সঙ্গে বক্তাকেও। আর এ কাজ করা দরকার যত কম সময়ে সম্ভব।
এবার বলুন তাই কি সত্যিই করা হয়? কখনই না। দশ বারের মধ্যে অন্ততঃ ন’ বারই না। প্রতিটি পরিচিতিই হয়ে ওঠে দুর্বল, ক্ষমার অযোগ্য। একাজ করতে পারলে ঢের সমস্যারই হয়তো সমাধান হতে পারত।
বক্তা আর তার বক্তৃতার বিষয়ে পরিচিতির জন্য এবার কিছু সূত্র দিচ্ছি।
১. যা বলতে চান ভাল করে তৈরি রাখুন
পরিচয়জ্ঞাপক বক্তৃতা ছোট্ট হলেও, হয়তো মিনিট পাঁচেকই লাগে এতে, এটা ভাল মতই তৈরি করা দরকার। প্রথমে আপনাকে বিষয় নির্বাচন আর মালমশলা জোগাড় করতে হবে। এটা তিনটে বিষয়ে গাঁথা থাকবে : বক্তার বক্তব্য বিষয়, ওই বিষয়ে কথা বলার জন্যে বক্তার যোগ্যতা, আর তার নাম। মাঝে মাঝে চতুর্থ একটা বিষয় দরকার হয়–যে বিষয় বক্তা বেছে নিয়েছেন শ্রোতাদের কাছে তা কেন আদরণীয় হবে।
প্রথমেই আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে বক্তৃতার সঠিক শিরোনাম আপনি জানেন, আর বক্তা যে ওই বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেছেন। পরিচয় দানের মধ্যে কোন গলদ থাকা ব্যাপারটার মত আর কিছুই বক্তার কাছে বিরক্তিকর হতে পারে না। এতে আরও মনে হয় বক্তব্য বিষয়ে বক্তার অধিকারই যেন নেই। এটা এড়ানো যায় শুধু বক্তার সম্বন্ধে সব ভাল ভাবে জানা থাকলে আর বক্তব্য বিষয়ে বেশি কথা না বলে। তবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার দায়িত্বে থাকলে বক্তব্য বিষয়ের শিরোনাম আপনার জানা থাকতেই হবে–সঠিক ভাবেই তা বলা চাই-শ্রোতাদের আগ্রহ জাগাতেই সেটা চাই। যদি সম্ভব হয় তাহলে সেটা সরাসরি বক্তার কাছ থেকেই সংগ্রহ করবেন। যদি কোন কারণে তৃতীয় কোন ব্যক্তির উপর নির্ভর করতে হয়, তাহলে আগে ভাগেই একটা কাগজে সেটা লিখে রাখতে পারলে বক্তার কাছে যাচাই করে নিন।
তবে আপনার আসল দরকার বক্তার সমস্ত গুণাগুণ সম্পর্কে সঠিক একটা ধারণা। বক্তা যদি অত্যন্ত নামী কোন ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে তার সম্বন্ধে জেনে নেওয়া তেমন কঠিন কাজ হবে না। আসল কথা আপনার জ্ঞাতব্য বিষয় হবে বক্তার জীবনী, তাঁর কৃতিত্ব, তাঁর বক্তব্য বিষয়ে যথাযথ ধারণা ইত্যাদি। মোট কথা সবই যেন নির্ভুল তথ্য হয়।
একটা উদাহরণ দিচ্ছি। আমি একবার একজন নামকরা বক্তাকে–যিনি অনেক জানেন’-আইরিশ কবিকে পরিচয় করাতে দেখি। সেই আইরিশ কবি হলেন ডব্লিউ. বি. ইয়েটস। ইয়েটসের নিজের কবিতা পড়ার কথা ছিল। এর কয়েক বছর আগে ইয়েটস তাঁর কাব্য প্রতিভার জন্য শ্রেষ্ঠ পুরস্কার নোবেল পুরস্কার পান। আমার ধারণা শ্রোতাদের মধ্যে অন্তত শতকরা দশজনই জানতো না নোবেল পুরস্কারের মূল্য কতখানি। তাই দুটি বিষয়েই জানানো উচিত ছিল। অথচ সে ধার দিয়ে আদৌ না গিয়ে সভাপতি গ্রীক পৌরাণিক কাহিনী আর কাব্য সম্বন্ধে বলে গেলেন।
অনেক সময়েই দেখা যায় সভায় পরিচয় দানের সময় বক্তার নামটাও ঠিক ঠিক বলা যায় না। জন ম্যাসন ব্রাউন বলেছেন বহুবার হাস্যকরভাবে তাঁর ভুল নাম সভায় বলা হয়। কোন সময় তার নাম বলা হয় জন ব্রাউন ম্যাসন, কখনও বা জন স্মিথ ম্যাসন। বিখ্যাত কানাডীয় হাস্যরস সাহিত্য রচয়িতা ষ্টিফেন লীফক তার একটা বইয়ে লিখেছেন এক সভায় তাঁর পরিচয় দেওয়া হয় এইভাবে :
‘আজকে অনেকেই এখানে এসেছেন মি. লীরয়েডের কথা শোনার জন্য কে তার নাম জানেন? মিঃ লীরয়েড তো আমাদের একান্ত পরিচিত।
ভাবুন ব্যাপারটা, লীফক হয়ে যান লীরয়েড!
তাহলে পরিচয় প্রদানে কি ধরণের কথা বলা উচিত? নীচে এ সম্পর্কে কিছু আলোকপাত করা হয় :
‘আমাদের বক্তা নিজের বিষয়ে একজন অত্যন্ত অভিজ্ঞ ব্যক্তি। তিনি যা বলতে এসেছেন তা শোনার জন্য আমরা উদগ্রীব হয়ে আছি, বহুদূর থেকেই এজন্য তিনি এখানে এসেছেন। তাই শ্ৰীঅমুককে আপনাদের সামনে পরিচিত করাতে পেরে আমি গর্ব অনুভব করছি।‘
২. টি. আই. এস সূত্র অনুসরণ করুন
পরিচয় প্রকাশের কাজে টি. আই. এস সূত্র আপনার গবেষণার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কাজ দেবে। এ হল এইরকম :
১। টি. হল টপিক্স বা বিষয়। অতএব বক্তার বক্তব্য বিষয় সম্পর্কে প্রথমেই শ্রোতাদের অবহিত করবেন।
২। আই. হল মুখবন্ধ বা ইস্পোরটেন্স। এ ব্যাপারে বক্তব্যের মুখ্য বিষয় মুখবন্ধ দিয়ে শ্রোতাদের অবহিত করুন।
৩। এস. হল স্পিকার বা বক্তা। এক্ষেত্রে বক্তার কৃতিত্ব সুনাম এবং দক্ষতার বিষয়ে সকলকে জানান।
তার নাম প্রকাশ করুন বেশ স্পষ্ট উচ্চারণে।
এই ফর্মূলা বা সূত্র নানাভাবেই কাজে লাগাতে পারেন, আর তা করা যাবে আপনার কল্পনাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে।
একটা উদাহরণ রাখছি। এটি ‘নিউইয়র্ক সিটি’ কাগজের সম্পাদক হোমার থর্ন নিউইয়র্ক টেলিফোন কোম্পানীর কর্মকর্তা জর্জ ওয়েলবাউমকে কিছু সংবাদপত্রের কর্মীদের সামনে পরিচয় করাতে গিয়ে বলেছিলেন :
ভদ্র মহোদয়গণ, আজ আমাদের বক্তার বক্তব্য বিষয় হল ‘টেলিফোন ব্যবস্থা ও আপনি’।
‘আমার মনে হট কেড যখন টেলিফোন করতে চান তারপর যা হয় সেটা একটা মস্ত রহস্য।‘
‘আপনারা ভুল নম্বর পান কেন? কেনই বা নিউইয়র্ক থেকে শিকাগোয় টেলিফোন করা পাশের শহরে করার চেয়ে কঠিন হয়ে পড়ে? আমাদের বক্তার এর উত্তর জানা আছে। গত বিশ বছর ধরে এ নিয়ে তিনি নাড়াচাড়া করেছেন।’
‘আজ তিনি আপনাদের সামনে কথা বলবেন। তিনি আজ আপনাদের কাছে একজন দেবদূত। তিনি টেলিফোন কোম্পানীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মচারী।‘
‘ভদ্রমহোদয় ও ভদ্রমহিলাগণ, এবার আপনাদের সামনে আসছেন মিঃ জর্জ ওয়েলবাউম’।
লক্ষ্য করে দেখুন কি কৌশলে পরিচয় প্রদান করা যায়। আমার বিশ্বাস এই পরিচয় প্রদানের কথাগুলো কখনই মুখস্থ করা হয়নি–এটা কখনও করা উচিত নয়। পরিচিতি দান সব সময়েই স্বতঃস্ফুর্ত হওয়া চাই।
৩. উৎসাহী হয়ে উঠুন
কোন বক্তাকে পরিচিত করার সময় আপনার হাবভাবের ব্যাপারটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ হতে চাইবেন। শুধু মুখের কথা না বলে আপনার ভাবে, আবেগে তা প্রকাশ করা চাই। পরিচয় প্রকাশ করার মুহূর্তে যদি বেশ কিছুটা রহস্যের আমেজ আনতে পারেন তা হলে তো কথাই নেই। শ্রোতারা তা পরিপূর্ণ উপভোগ করবেন।
আপনাকে পরিচিতি প্রদানের সময় প্রথমে বক্তার বক্তব্য বিষয় উল্লেখ করতে হবে। কথা বলার শেষেই বক্তার পরিচয় প্রদান করা দরকার। এই সময় স্পষ্ট উচ্চারণে, থেমে থেমে সঠিক নামটি করবেন।
আরও একটা কথা অবশ্য মেনে চলা চাই–তা হল পরিচয় প্রকাশ করার সময় কোনভাবে কখনই বক্তার দিকে তাকাবেন না। শ্রোতাদের কথাও ভাববেন না।
৪. আন্তরিক হয়ে উঠুন
সবশেষে আন্তরিক হওয়া চাই। কোন হালকা কথা বলবেন না। কোন বেফাঁস মন্তব্য মারাত্মক হতে পারে। শ্রোতারা এ ধরণের মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করতে পারে। মনে রাখবেন বক্তার সঙ্গে আপনার সৌহার্দ্য বা বন্ধুত্ব থাকতে পারে, কিন্তু শ্রোতাদের সঙ্গে তা থাকে না। সেটা গড়ে তোলার দায়িত্ব আপনারই। অতএব আপনাকে সেইভাবেই চলতে হবে।
৫. পরিচিতি প্রদানের বক্তৃতা ভালভাবে তৈরি রাখুন
‘এটা বহুবার প্রমাণিত হয়েছে যে মানুষের মনের সবচেয়ে বড় আকাঙক্ষা হল সম্মান পাওয়া।‘
কথাটা বিখ্যাত লেখিকা মার্জোরি উইলসন যখন বলেন তখন সত্যিকার সকলের মনের কথাটাই বলেছিলেন। আমরা সবাই জীবনে এগিয়ে চলতে চাই। আমরা চাই সকলে আমাদের প্রশংসা করুক। আমরা অন্যের নজর কাড়তে চাই। আর সেটা শুধুমাত্র মৌখিক প্রশংসা বা কোন পুরস্কার যাই হোক না কেন। এটার যাদুকরী শক্তি আছে।
বিখ্যাত টেনিস তারকা অ্যালথিয়া গিবসন এই সব মানব মনের আকাঙ্খর কথা তাঁর আত্মজীবনী ‘আই ওয়ান্টেড টু বি সামবডি’ তে চমৎকারভাবে বলেছেন।
আমরা যখন কোন পরিচয়জ্ঞাপক কথা বলতে চাই তখন আমরা বুঝিয়ে দিতে চাই বক্তা সত্যিই একজন বিখ্যাত মানুষ। কোন বিশেষ বিষয়ে তিনি কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। এ সম্মান তাঁর প্রাপ্য। আমরা তাই তাঁকে সম্মানিত করতে চাইছি! আমরা যে পুরস্কার দিতে চাই তা হয়তো অতি সামান্যই, কিন্তু গ্রহীতার কাছে তার মূল্য অনেকখানি। শ্রোতারাও এ ঘটনা চিরজীবন মনে রাখেন।
পরীক্ষায় প্রমাণিত শ্রেষ্ঠ একটি সূত্রের উদাহরণ দিচ্ছি :
১। কেন পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে সেকথা ঘোষণা করুন, হয়তো তা দীর্ঘ কাজের জন্য বা কোন প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করায়, সরল ভাষায় তা জানান।
২। পুরস্কার গ্রহীতার জীবন সম্পর্কে সামান্য কথায় শ্রোতাদের অবহিত করুন।
৩। বলুন এই পুরস্কার বক্তার কতখানি প্রাপ্য, আর তা প্রদান করে আপনারা কতটা আনন্দিত।
৪। পুরস্কার প্রাপককে অভিনন্দিত করে প্রত্যেকের হয়ে শুভেচ্ছা জানান।
৫। একটা কথা মনে রাখা চাই কথাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাই আন্তরিকতার স্পর্শ। তবে এও মনে রাখা দরকার বক্তা বা পুরস্কার গ্রহীতার প্রশংসা করার সময় যেন বেশি বাড়াবাড়ি না করা হয়, কারণ কারও সম্পর্কে অতিশয়োক্তি করা তেমন কঠিন নয়। আমাদের কথাবার্তায় বন্ধুত্বের ভাবটাই বজায় রাখা চাই।
৬। গ্রহণের বক্তব্যে আন্তরিক হন
পরিচিতি দানের বক্তব্যের চেয়ে এটি আরও ছোট হওয়া দরকার। এটা কখনই মনে মনে তৈরি রাখা যায় না, অথচ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক হওয়ায় সুবিধাও অনেক। শুধু ‘ধন্যবাদ’ বা ‘আজ আমার দারুণ আনন্দ’ ইত্যাদিতে কাজ হয় না। একটা সূত্র রাখা চাই এ বিষয়ে। তা হল এই রকম :
১। সকলকে আন্তরিকতা মেশানো ধন্যবাদ জানান।
২। যারা আপনাকে সহায়তা করেছেন, সেই সহকর্মী, মালিক বন্ধু বা আত্মীয়দের প্রশংসা করুন।
৩। সকলকে জানান পুরস্কার আপনার কাছে কতখানি মূল্যবান এবং সকলকে তা তুলে দেখান। কিভাবে তা কাজে লাগাবেন সকলকে বলুন।
৪। সকলকে এজন্য আপনার কৃতজ্ঞতা জানান।