এইখানে সরোজিনী শুয়ে আছে — জানি না সে এইখানে শুয়ে আছে কিনা।
অনেক হয়েছে শোয়া — তারপর একদিন চ’লে গেছে কোন দূর মেঘে।
অন্ধকার শেষ হলে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে :
সরোজিনী চলে গেলো অতদূর? সিঁড়ি ছাড়া — পাখিদের মত পাখা বিনা?
হয়তো বা মৃত্তিকার জ্যামিতিক ঢেউ আজ? জ্যামিতির ভূত বলে: আমি তো জানি না।
জাফরান-আলোকের বিশুষ্কতা সন্ধ্যার আকাশে আছে লেগে:
লুপ্ত বেড়ালের মত; শূণ্য চাতুরির মূঢ় হাসি নিয়ে জেগে।