উন্মেষ

কোথাও নদীর পারে সময়ের বুকে--
দাঁড়ায়ে রয়েছে আজও সাবেককালের এক স্তিমিত প্রাসাদ;
দেয়ালে একটি ছবি : বিচারসাপেক্ষ ভাবে নৃসিংহ উঠেছে;
কোথাও মঙ্গল সংঘটন হয়ে যাবে অচিরাৎ।

নিবিড় রমণী তার জ্ঞানময় প্রেমিকের খোজে।
অনেক মলিন যুগ--অনেক রক্তাক্ত যুগ সমুক্তীর্ণ ক'রে,
আজ এই সময়ের পারে এসে পনরায় গেখে
আবহমানের ভাঁড় এসেছে গাধার পিঠে চ'ড়ে।
স্বাক্ষরের অক্ষরের অমেয় স্তূপের নীচে ব'সে থেকে যুগ
কোথাও সংগতি তবু পায় নাকো তার;
ভারে কাটে--তথাপিও ধারে কাটে ব'লে
সমস্ত সমস্যা কেটে দেয় তরবার।

*

          চোখের উপরে
          রাত্রি ঝরে;
               যে দিকে তাকাই
               কিছু নাই
               রাত্রি ছাড়া;
অন্ধকার সমুদ্রের তিমির মতন
উদীচীর দিকে ভেসে যাই;
     হনলুলু সাগরের জল,
          ম্যানিলা--হাওয়াই
               টাহিটির দ্বীপ,
            কাছে এসে দূরে চলে যায়--
               দুরতর দেশে।
          কী এক অশেষ কাজ করেছিল তিমি;
               সিন্দুর রাত্রির জল এসে
          মৃদু মর্মরিত জলে মিশে গিয়ে তাকে
               বোর্নিত্তর সাগরের শেষে-
          যেখানে বার্নিও নেই--ম্লান আলাস্কাকে
                    ডাকে।
               যতদুর যেতে হয়
            ততদুর অবাচীর অন্ধকারে গিয়ে
          তিমির-শিকারী এক নাবিককে আমি
               ফেলেছি হারিয়ে;
          তিমির-পিপাসী এক রমণীকে আমি,
               হারায়ে ফেলেছি;
               কোথায় রয়েছি--
               জীব হয়ে কবে
               ভূমিষ্ঠ হয়েছি।
               এই তো জীবন:
          সমুদ্রের অন্ধকারে প্রবেশধিকারে;
               নিপট আঁধার;
               ভালো বুঝে পুনরায়
          সাগরের সৎ অন্ধকারে নিষ্ক্রমণ।
                 সবই আজও প্রতিশ্রুতি, তাই
                 দোষ হয়ে সব
                 হয়ে গেছে গুণ।
               বেবুনের রাত্রি নয় তার হৃদয়ের
                 রাত্রির বেবুন।
Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *