আমাদের হাড়ে এক নির্ধূম আনন্দ আছে জেনে পঙ্কিল সময়স্রোতে চলিতেছি ভেসে; তা না হলে সকলই হারায়ে যেত ক্ষামাহীন রক্তে--নিরুদ্দেশে। হে আকাশ, একদিন ছিলে তুমি প্রভাতের তটিনীর; তারপর হয়ে গেছ দুর মেরুনিশীথের স্তব্ধ সমুদ্রের। ভোরবেলা পাখিদের গানে তাই ভ্রান্তি নেই, নেই কোনো নিষ্ফলতা আলোকের পতঙ্গের প্রাণে। বানরী ছাগল নিয়ে যে ভিক্ষুক প্রতারিত রাজপথে ফেরে-- আজলায় স্থির শান্ত সলিলের অন্ধকার-- খুঁজে পায় জিজ্ঞাসার মানে। চামচিকা বার হয় নিরালোকে ওপারের বায়ুসন্তরণে; প্রান্তরের অমরতা জেগে ওঠে একরাশ প্রাদেশিকা ঘাসের উন্মেষে; জীর্ণতম সমাধির ভাঙা ইট অসম্ভব পরগাছা ঘেঁষে সবুজ সোলালি চোখ ঝিঁ-ঝিঁ-দম্পতির ক্ষুধা করে আবিষ্কার। একটি বাদুড় দূর স্বোপার্জিত জোছনার মনীষায় ডেকে নিয়ে যায় যাহাদের যতদুর চক্রবাল আছে লভিবার। হে আকাশ, হে আকাশ একদিন ছিলে তুমি মেরুনিশীথের স্তব্ধ সমুদ্রের মতো; তারপর হয়ে গেছ প্রভাতের নদীটির মতো পতিভার।