তবুও যখন মৃত্যু হবে উপস্থিত
আর-একটি প্রভাতের হয়তো বা অন্যতর বিস্তীর্ণতায়–
মনে হবে
অনেক প্রতীক্ষা মোরা করে গেছি পৃথিবীতে
চোয়ালের মাংস ক্রমে ক্ষীণ ক’রে
কোনো এক বিশীর্ণ কাকের অক্ষিগোলকের সাথে
আখিতারকার সব সমাহার এক দেখে;
তবু লঘু হাস্যে–সন্তানের জন্ম দিয়ে–
তারা আমাদের মতো হবে–সেই কথা জেনে ভুলে গিয়ে–
লোলে হাস্যে জলের তরঙ্গ মোরা শুনে গেছি আমাদের প্রাণের ভিতর,
নব শিকড়ের স্বাদ অনুভব করে গেছি–ভোরের স্ফটিক রৌদ্রে।
অনেক গন্ধর্ব, নাগ কুকুর কিন্নর, পঙ্গপাল
বহুবিধ জন্তুর কপাল
উন্মোচিত হয়ে বিরুদ্ধে দাঁড়ায়ে থাকে পথ-পথান্তরে;
তবু ঐ নীলিমাকে প্রিয় অভিভাবিকার মতো মনে হয়;
হাতে তার তুলাদন্ড;
শান্ত–স্থির,
মুখের প্রতিজ্ঞাপাশে নির্জন, নীলাভ বৃত্তি ছাড়া কিছু নাই।
যেন তার কাছে জীবনের অভ্যুদয়
মধ্যসমুদ্রের পরে অনুকুল বাতাসের প্ররোচনাময়
কোনো এক ক্রীড়া–ক্রীড়া–
বেরিলমণির মতো তরঙ্গের উজ্জ্বল আঘাতে মৃত্যু।
স্থির–শুভ্র–নৈসর্গিক কথা বলিবার অবসর।