সন্ধ্যামালতী
খুব যে একটা বেশিদিনের কথা, তা নয়। বছর তিরিশ আগেকার কথা। হুগলি জেলার নিত্যানন্দপুর নামে এক গ্রামে গেছি আমার এক বন্ধুর বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে। সময়টা বসন্তকাল, তাই আবহাওয়া বেশ মনোরম। চুঁচুড়া থেকে বাসে ত্রিবেণী কালীতলা হয়ে কালনার পথে নিত্যানন্দপুর।
কুন্তী নদীর সাঁকো ভেঙে সবে বাস চলার উপযোগী একটা সেতু হয়েছে। আর কেশোরাম রেয়নকে কেন্দ্র করে হয়েছে নতুন একটি রেল স্টেশন কুন্তীঘাট। তা যাই হোক, মেয়ে তো দেখতে এলাম। মেয়ে দেখতে এসে হল এক দারুণ অভিজ্ঞতা। আর সেই অভিজ্ঞতা না হলে আজকের এই গল্প লেখাই হত না।
যে বাড়িতে আমরা মেয়ে দেখতে গিয়েছিলাম সেই বাড়ির মালিকের নাম আমি এতদিনে ভুলে গেছি। তবে মস্ত দালান কোঠা তাদের। মস্ত বড়লোক। প্রচুর জমিজমা আছে। বড়লোকের একমাত্র মেয়ে। সুশ্রী, সুন্দরী, রূপবতী, গুণবতী, বিয়ের সময় মেয়েদের জন্য যা যা বলা হয়, এই মেয়ের ব্যাপারেও সেইসব শুনে গিয়েছিলাম। তবে যে কোনও কারণেই হোক ফোটো পাঠায়নি তারা। আমরাও তাই মেয়ের রূপের বর্ণনা শুনেই মেয়ে দেখতে গিয়েছিলাম।
তাড়াতাড়িই পৌঁছেছিলাম আমরা। এই বিয়ের ব্যাপারে যিনি ঘটকালি করেছিলেন সেই বীরু চক্রবর্তী আমাদের খুব আদর-যত্ন করে ঘরের ভেতর নিয়ে গিয়ে বসালেন।
মেয়ের বাবা কাকা জ্যাঠামশাইরা এলেন। বললেন, “তোমরা অনেকদূর থেকে এসেছ বাবা। খাওদাও, আজকের দিনটা থাকো। আজ শনিবার। মেয়ে দেখাব না। কাল সকালে দিনের আলোয় মেয়ে দেখবে তোমরা।”
আমি বললাম, “কিন্তু এমন কথা তো ছিল না। আপনাদের সঙ্গে আমাদের কোনওরকম কুটুম্বিতাই হল না যেখানে, সেখানে কী করে আমরা রাত্রিবাস করি বলুন?”
জ্যাঠামশাই বললেন, “নাই বা হল। মানুষ কি মানুষের বাড়িতে আসে না? আজ শনিবার, খরবার। তাই বলছিলাম, আমরা গ্রামের মানুষ। মেয়ে আমাদের ঘরের লক্ষ্মী। তাকে কী করে…।”
বন্ধুর হয়ে আমি বললাম, “না না ঠিক আছে। কাল সকালেই মেয়ে দেখব আমরা। এখন মেয়ে দেখে বাড়ি ফিরতেও রাত হয়ে যাবে অনেক। আপাতত আমাদের একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দিন তা হলে।”
মেয়ের বাবা বললেন, “সে আমরা সবরকম ব্যবস্থাই করে রেখেছি। এসো, তোমরা ওপরে এসো। ওপরের ঘর থেকে গ্রামের দৃশ্য দ্যাখো, গঙ্গা দ্যাখো। কাছেই গঙ্গা। এই যে কুন্তীনদীর পোল পেরিয়ে এলে তোমরা, ওই নদী লক্ষ্মীবাজারের পাশ দিয়ে গঙ্গায় মিলেছে। আরও একটা নদী আছে এখানে। সেটা মিলেছে কুন্তীতে। এমন মনোরম দৃশ্য আর কোথাও পাবে না।”
আমরা ওঁদের আমন্ত্রণে ও আপ্যায়নে ওপরের ঘরে এলাম। ওপরেই আমাদের মুখ হাত পা ধোয়ার ব্যবস্থা হল। তারপর এল ডিশভর্তি ভাল খাবার।
আমার বন্ধুটির নাম অজয়। বলল, “এসব কী করেছেন? এত খাবার খাব কী করে? তা ছাড়া মেয়ে দেখে আমাদের মতামত জানানোর পরে এইসব আপ্যায়ন হলেই কিন্তু ভাল হত। এখন ধরুন, মেয়ে যদি আমাদের পছন্দ না হয়?”
জ্যাঠামশাই বললেন, “তাতে কী? আমাদের মেয়ে আমাদেরই থাকবে।”
এক প্রবীণা মহিলা, ইনি বোধ হয় জেঠিমা, বললেন, “তবে বাবা এও বলে রাখছি, এ মেয়ে একবার দেখলে আর চোখ ফেরাতে পারবে না। অপছন্দ হওয়ার মতো নয়।” যাই হোক, আমরা তো জলযোগ সারলাম। এর পর দু’ বন্ধুতে ছাদে উঠলাম প্রকৃতির দৃশ্য দেখতে। সঙ্গে ওঁদের বাড়ির লোকরাও এলেন।
গ্রামের মধ্যস্থলে মস্ত দোতলা বাড়ি। ছাদে উঠে চারদিকে চোখ মেলে দিতেই প্রকৃতির শ্যামল শোভায় চোখ যেন জুড়িয়ে গেল। কী সুন্দর দৃশ্য চারদিকে। মনে মনে ভাবলাম মেয়ে যদি পছন্দ হয় তা হলে বিয়ে হবে। বন্ধু তো শ্বশুরবাড়িতে আসবেই। আমিও মাঝেমধ্যে সঙ্গ নেব ওর। কলকাতার এত কাছে এমন পল্লীদৃশ্য আর কোথায় পাব?
সন্ধে পর্যন্ত আমরা ছাদে ঘুরে সকলের সঙ্গে গল্পগুজব করে দোতলায় আমাদের জন্য নির্দিষ্ট ঘরে নেমে এলাম।
এ বাড়িতে ইলেকট্রিক লাইট নেই। তার কারণ, এই গ্রামে এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। তাই লণ্ঠনবাতি জ্বেলে ঘরে আলো করা হল।
আবার একপ্রস্থ চা-জলখাবার এল।
আমরা জলখাবার ফিরিয়ে দিয়ে শুধু চা-ই খেলাম। ঘরের বড় বড় খোলা জানলা দিয়ে বসন্তের মৃদু সমীরণ আমাদের গায়ের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে লাগল।
সারাদিনের পথশ্রমের ক্লান্তি দূর করতে বিছানায় দেহ এলিয়ে চোখ বুজে শুয়ে থাকতে থাকতে একসময় ঘুমিয়ে পড়ল অজয়।
আমি আর একা বসে থেকে কী করি? ফুটপাথের সস্তা কয়েকটি বই একপাশে রাখা ছিল, সেগুলো নাড়াচাড়া করতে করতেই ঘরের দেওয়ালে চিত্র দেখতে লাগলাম। এমন ময় হঠাৎই যা দেখলাম, তাতে বিস্ময়ের আর অন্ত রইল না। আমার চোখ দুটো যে ধন্য হল তা নয়। বুকের ভেতরটাও কেঁপে উঠল যেন!
আমি দেখলাম, এক অষ্টাদশী তরুণী আমার দিকে এক পলক তাকিয়ে দ্রুতপায়ে ছাদে উঠে গেল। লণ্ঠনের স্বল্পালোকে তার যে রূপ দেখলাম তাতে অভিভূত হয়ে গেলাম। এই মেয়ে যদি অজয়ের বউ হয় তা হলে ওর চেয়ে ভাগ্যবান এ জগতে আর কেই বা হতে পারে? শুধু তাই নয়, অর্ধেক রাজত্ব সহ রাজকন্যা পাওয়ার মতো ব্যাপার। অর্ধেক রাজত্ব বলছি এই কারণে যে, ভদ্রলোকের এক ছেলে এক মেয়ে। কাজেই বিশাল সম্পত্তির ভাগ ও পাবেই। তার ওপরে অমন একটি সোনার প্রতিমা। এই মেয়েকে দেখতে এসে ‘না’ বলে ফিরে যাওয়ার কোনও কারণই নেই। অতএব বিয়ে এখানে পাকা। কাল সকালে সামনা-সামনি বসে মেয়ে দেখেই আমার মতামতটা জানিয়ে দেব আমি।
মেয়েটি অনেকক্ষণ ওপরে গেছে। কিন্তু নামার আর নাম নেই। এতক্ষণ ছাদে উঠে কী করছে ও?
আমি তাই একাকিত্ব কাটাবার জন্য এবং বন্ধুর ভাবী স্ত্রীর সঙ্গে একটু আলাপ করবার জন্য নিজেই ওপরে উঠলাম। কিন্তু কোথায় কে? কেউ তো নেই ছাদে।
আমার কেমন যেন রহস্যময় মনে হল ব্যাপারটা।
আমি ছাদ থেকে নেমে এলাম।
রাত প্রায় দশটা নাগাদ খাওয়ার ডাক পড়ল আমাদের। সে কী এলাহি ব্যাপার! যেন সত্যিকারের জামাই আদর শুরু হয়ে গেল। এমন আতিথেয়তা আমরা এর আগে কখনও কোথাও পাইনি।
যাই হোক, সে রাতটা বেশ আনন্দেই কাটল।
পরদিন সকালে চা-পর্বের পর মেয়ে দেখার পালা। কিন্তু এ কী! এ কাকে দেখছি? সেই মেয়ে তো নয়। মেয়েটির গায়ের রং ফর্সা। স্বাস্থ্যও ভাল। মুখশ্রীও মন্দ নয়। তবে অপূর্ব সুন্দরী তাকে কোনওমতেই বলা যায় না। আমরা দেখলাম। দু’-একটা কথাও বললাম। ভালই লাগল। আমাদের মেয়ে দেখা হলে মেয়েটিকে বিদায় নিতে বললাম।
মেয়েটি চলে গেলে দু’ বন্ধুতে ফিসফিস করে আলোচনা করলাম মেয়েটির ব্যাপারে। আমি বললাম, “মেয়ের ব্যাপারে ওর বাড়ির লোক কিছু জিজ্ঞেস করলে কী বলব?” অজয় বলল, “হ্যাঁ করে দে। এর আগে অনেক মেয়ে দেখেছি। এতটা চোখে ধরেনি। এই মেয়েটি খুব একটা সুন্দরী না হলেও সুলক্ষণা। তা ছাড়া এমন শ্বশুরবাড়ি আমি ছাড়ছি না।”
আমার চোখে তখন সেই মেয়েটির মুখ ভাসছে। কে ওই মেয়ে! এ বাড়িতে অজয়ের বিয়ে হলে আমার তো আসা-যাওয়া থাকবেই। তখন না হয় আমিই নিজের জন্য একটু চেষ্টা করে দেখব। কেননা মেয়েটাকে আমার খুব ভাল লেগেছে।
মেয়ে দেখা শেষ হলে বিদায় নেওয়ার পালা।
আসবার সময় আমাদের মতামত আমরা জানিয়ে এলাম। পাকা কথা পেয়ে বাড়িতে যেন উৎসবের বন্যা বয়ে গেল।
দিন পনেরোর মধ্যেই অজয়ের বিয়েটা সম্পন্ন হয়ে গেল। বিয়ের দিন বর নিয়ে যখন এলাম তখন থেকেই আমি একভাবে খুঁজতে লাগলাম সেই মেয়েটিকে। একবার যদি দেখা পাই তো ওর পরিচয় জেনে ওর সঙ্গে আলাপ করে আমার ইচ্ছার কথাটা জানাব। কিন্তু না। এই বাড়ির অসংখ্য লোকজনের মধ্যে তাকে আমি আর দেখতে পেলাম না।
ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আমি একসময় ছাদে উঠে একটু নির্জনতা খুঁজতে এলাম। এসেই অবাক! দেখি মেয়েটি বিয়ের কনের মতো সাজগোজ করে খোঁপায় ফুল গুঁজে ছাদের আলসেটা ধরে ঝুঁকে পড়া একটা চাঁপাগাছের ঘন পাতার কাছে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি অনেক আশা নিয়ে ওর দিকে এগিয়ে যেতেই মেয়েটি একবার আমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে নিয়ে দ্রুত পাশ কাটিয়ে চলে গেল।
তা যাক। তবু এতক্ষণে ওর দেখা যে পেয়েছি, এই ঢের। এই মেয়ে যদি আমাকে পছন্দ করে তবে আমি বিনা পণে ওকে বিয়ে করব, এই সংকল্প করলাম।
ও নীচে নেমে এলে আমিও নেমে এলাম। আবার শুরু হল খোঁজার পালা। কিন্তু কোথায় যে লুকলো সে, তা কে জানে? আর তাকে দেখতেই পেলাম না।
বিয়ের আসরে বসে অজয় আমাকে এক ফাঁকে জিজ্ঞেস করল, “তোর কী ব্যাপার বল তো? সেই তখন থেকে দেখছি হঠাৎ যেন কীরকম হয়ে গেছিস তুই। ব্যাপারটা কী তোর?” এর আগে আমি ওই মেয়েটির কথা একবারও বলিনি অজয়কে। এইবারে সব বললাম।
অজয় বলল, “ব্যস্ত হোস না। আমার বিয়েটা চুকতে দে। তারপর আমিই ঘটকালিটা করে দিচ্ছি তোর। দু’ বন্ধুতে একই পরিবারের মেয়ে বিয়ে করব, এ তো খুব আনন্দের কথা। দু’ বন্ধুতে একসঙ্গে শ্বশুরবাড়িতে আসা যাওয়া করব এর চেয়ে সুখের আর কিছু কি আছে?” আমি বললাম, “তুই যদি সত্যিই এই যোগাযোগটা করে দিতে পারিস, তা হলে তোর বন্ধুত্বের ঋণ আমি কখনও শোধ করতে পারব না।”
অজয়ের কাছ থেকে আশার আলো পেয়ে মনটা ভরে উঠল আমার। কী ভাগ্যিস, এই মেয়েটির সঙ্গেই অজয়ের বিয়েটা হয়ে যায়নি! তা হলে অবশ্য আমার কোনও আশা থাকত না। ও সারাজীবন আমার বন্ধুপত্নী হিসেবে শ্রদ্ধার পাত্রী হয়েই থাকত।
অজয়ের বিয়ের লগ্ন ছিল মধ্যরাত্রে। অজস্র হুলুধ্বনির সঙ্গে চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী সম্পন্ন হল বিয়েটা। কিন্তু এই বিয়ের বাসরে সে কই?
খাওয়াদাওয়ার পর আমি অন্যান্য বন্ধুদের নজর এড়িয়ে ছাদে গেলাম। ছাদে গিয়েই দেখি, অবাক কাণ্ড! মেয়েটি সেই আগের মতোই ছাদের আলসের ধারে সেই চাঁপাগাছটার দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে চুপচাপ।
আমি কাছে যেতেই মেয়েটি আমার দিকে এক পলক তাকিয়ে নতবদনে চলে গেল আমার পাশ কাটিয়ে। আমার তখন বেজায় সাহস। আমি নিজে থেকেই মেয়েটিকে ডাকলাম, “শুনুন।”
মেয়েটি ভ্রূক্ষেপও করল না, ফিরেও তাকাল না আমার দিকে। সিঁড়ি বেয়ে নীচে নেমে গেল। আমি ওকে অনুসরণ করেও আর ওকে দেখতে পেলাম না। তাই তো, গেল কোথায় মেয়েটা?
সে রাতও অজস্র হইহুল্লোড়ের মধ্যে কাটল। কত গানবাজনা হল। কিন্তু সেই মেয়ের আর দেখা পাওয়া গেল না।
পরদিন সকাল থেকেই সাজ সাজ রব। মেয়ের বাবা-মা আমার দুটি হাত ধরে বারবার বলতে লাগলেন, “আমাদের বড় আদরের মেয়ে বাবা। দেখো যেন কষ্ট দিয়ো না। ও কোনও অন্যায় করলে ওর দোষত্রুটি ক্ষমা করে দিয়ো।”
আমি বললাম, “এই ব্যাপারে আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন। অজয় সত্যিই ভাল ছেলে। ওর বাবা-মায়েরও তুলনা নেই। মেয়ে আপনাদের সুখেই থাকবে।”
ওর জ্যাঠামশাই জেঠিমা আমাকে ওঁদের ঘরে নিয়ে গিয়ে বসালেন। বললেন, “তোমার বন্ধুর সঙ্গে তুমিও মাঝে মাঝে এসো বাবা। যেন ভুলে যেও না। সময় সুযোগ পেলেই চলে এসো। ওকে একটু দেখো। এই বাড়িতে ও-ই এখন একমাত্র মেয়ে।” “এর আগে আর কেউ ছিল বুঝি এ বাড়িতে?”
জেঠিমা একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, “আমার মেয়ে মালতী ছিল।”
“সে এখন কোথায়? তার বিয়ে হয়ে গেছে বুঝি?” জ্যাঠামশাই চোখের জল মুছে বললেন, “সে নেই।”
এই ‘নেই’ কথাটার অর্থ বুঝতে আমার খুব একটা দেরি হল না। বললাম, “কতদিন হল?”
“এখনও বছর ঘোরেনি বাবা। মা আমার—।”
জেঠিমা বললেন, “অমন মেয়ে কালেভদ্রে জন্মায় বাবা। কী রূপ তার! যেমন চোখমুখের গড়ন, তেমনই গায়ের রং, ওই দ্যাখো না দেওয়ালের গায়ে সে কেমন ছবি হয়ে আছে।
বিয়ের কথাবার্তাও সব ঠিক হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎই সন্ধেবেলায় চাঁপাফুল তুলতে গিয়ে সাপকাটি হল। এক ছোবলেই শেষ। কেউটের ছোবল বাবা।”
ছবির দিকে তাকিয়েই আমি স্থির। এ তো সেই মেয়ে। যাকে ঘিরে আমি এত স্বপ্ন দেখছি। যে আমাকে একবার করে দেখা দিয়েই মিলিয়ে যাচ্ছে। এই বিজ্ঞানের যুগে এও কি সম্ভব? তবে সেই শেষ। অজয়ের শ্বশুরবাড়িতে আমি আর কখনও যাইনি।