ফুলমণি-উপাখ্যান – ১০

১০

ফুলমণির কাহিনী এখানেই শেষ হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু গল্প-উপন্যাসে এরকম একটা সুখের মিলন হলেও সেটা হয় ইচ্ছাপূরণ। বাস্তব বড় নিষ্ঠুর! ফুলমণি আর অনিন্দ্য দাসের মতো দুটি সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর মানুষ কি সারাজীবন একসঙ্গে কাটাতে পারে।

বোয়ালভাসিতে ওদের দুজনের উদ্দাম জীবনের একটা টুকরো ছবি আমি দেখে এসেছি, তা আসলে এক ধরনের পিকনিক। ভারি চমৎকার, খুব লোভনীয় কিন্তু পিকনিক একটানা কতদিন চলে?

ফুলমণির জীবনে আরও অনেক ঘটনা ঘটে গেছে, আমার সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ নেই অবশ্য, কিন্তু খবরগুলো আমার কানে এসেছে।

অনিন্দ্য দাস কোনো এক জায়গায় বাঁধা পড়ে থাকার মানুষ নন। সেই জন্য তিনি বিয়েই করেননি। মেয়েরা তাঁর মাথায় উত্তেজনা জোগায়, তাঁর কাজে গতি আনে। তিনি প্রেরণা-ট্রেরণায় বিশ্বাস করেন না। স্নায়বিক উত্তেজনা আর ফুর্তিই তাঁর কাছে প্রধান।

এ কথাও শুনেছি, তিনি কোনো মেয়েকেই প্রতারণা করেন না। তাঁর বিবেক পরিষ্কার। যে মেয়েকে তাঁর পছন্দ হয়, তাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করেন, এই তুমি আসবে আমার সঙ্গে? বোয়ালভাসির খামারে গিয়ে থাকবে? যে রাজি হয় না, তাকে তিনি জোর করেন না। তার দিকে আর ফিরেও তাকান না। আর যে মন্ত্রমুগ্ধের মতন রাজি হয়ে যায়, সে যায় নিজের দায়িত্বে, কোনো প্ৰতিশ্ৰুতি নেই, ভবিষ্যৎ নিয়ে গাঁটছড়া বাঁধার কোনো সম্ভাবনাও নেই।

ফুলমণির সঙ্গে অনিন্দ্য দাসের পিকনিক সাত মাসেই শেষ হয়ে গেছে। ফুলমণির ছিপছিপে ধারালো শরীরটা ভাস্কর্যের বিষয়বস্তু হিসেবে অনিন্দ্য দাসের পছন্দ হয়েছিল। ফুলমণিকে মডেল করে দুটো মূর্তি গড়েছেন তিনি। বিষয়বস্তু হিসেবে সে ফুরিয়ে গেছে। যে বিষয়বস্তু একবার ব্যবহার করা হয়ে যায়, তার প্রতি শিল্পীদের আর কোনো আকর্ষণ থাকে না। এরপর ফুলমণি একটি সাধারণ নারী।

কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসে একদিন অনিন্দ্য দাসের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। আমি ছিলাম অন্য টেবিলে, উনি অনেক দূরে। চোখাচোখি হতেও আমি চেনার কোনো ভাব দেখাইনি, উনিই উঠে এলেন একসময়।

খানিকটা অন্যমনস্কভাবে বললেন, কী খবর, নীলু? চন্দন এখন কোথায় থাকে? সেই ছোটপাহাড়ীতে? ওর ওখানে একবার যাব। কী করে ছোটপাহাড়ীতে যেতে হয় বলো তো? কোন স্টেশনে নামতে হয়? সেই মেয়েটার কোনো খবর জানো?

—তার খবর তো আমার জানবার কথা নয়। আমি ছোটপাহাড়ীতে আর যাই না।

—হ্যাঁ, একদিন রাগ করে চলে গেল…আমি ভাবলুম আবার হয়তো আসবে একবার।

অন্য একজন চেনা লোক অনিন্দ্য দাসের সঙ্গে কথা বলা শুরু করতেই তিনি আমাকে যেন ভুলে গেলেন! সেই লোকটির সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলেন দরজার দিকে।

আমাকে দেখে ফুলমণির কথা একবার মনে পড়েছিল অনিন্দ্য দাসের। কিন্তু সেই মনে হওয়ার কোনো গভীরতা নেই। কয়েক মিনিটের জন্য স্মৃতির আন্দোলন। ছোটপাহাড়ীতে তিনি সত্যি সত্যি ফুলমণিকে আর দেখতে যাবেন না, আমার কাছ থেকে শেষ পর্যন্ত ছোটপাহাড়ী যাবার সন্ধানও নিলেন না।

সিরাজুল তারিক সাহেবও ফুলমণি সম্পর্কে সমস্ত আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। অনিন্দ্য দাসের সঙ্গে সংস্পর্শ ঘটার পর থেকেই তিনি ফুলমণি সম্পর্কে আর একটি কথা বলেননি কখনো। কলকাতার শিল্প জগতে ফুলমণির নামটা কয়েকটা দিনের জন্য উঠেই আবার মিলিয়ে গেছে বুদবুদের মতন। প্রদর্শনীতে ফুলমণির একটি মাত্র ছবি বিক্রি হয়েছিল। দু’ হাজার টাকায় কিনেছিলেন প্রখ্যাত একজন শিল্পী। ছবিটাই তাঁর পছন্দ হয়েছিল। ছবির শিল্পী সম্পর্কে তিনি কোনো কৌতূহল দেখাননি।

ভবিষ্যতে অনিন্দ্য দাসের ভাস্কর্য প্রসঙ্গে ফুলমণির নামটা কখনো উঠবে কিনা সন্দেহ। অনিন্দ্য দাসের ভাষায় ‘অথচ মিল আছে’ কজনের নজরে পড়বে? চন্দনদা যদি ফুলমণির ছবি নিয়ে ব্যবসা করতে চাইতেন, নীপা বউদির ঈর্ষা-ফির্সা অগ্রাহ্য করে ওর পেছনে টাকা ঢালতেন, ওকে ছবি আঁকার সব সুযোগ করে দিতেন, তাহলে ফুলমণির প্রতিষ্ঠা পাওয়ার আশা ছিল, ওর ছবিও বিক্রি হতো। সেই রকম একজন প্রফেশনাল প্রমোটারের দরকার ছিল, নিছক শখের পরোপকারীরা বেশি দূর যেতে পারে না। অনিন্দ্য দাস একবার ছুঁয়ে দিয়েছেন বলে আমরা আর কেউ ফুলমণির দিকে তাকাইনি।

অনিন্দ্য দাস ছোটপাহাড়ীতে গেলেও অবশ্য ফুলমণির দেখা পেতেন না। চন্দনদার কাছে শুনেছি, ফুলমণি ছোটপাহাড়ীতে ফিরলেও তার শ্বশুরের ভাইপো তাকে তাড়িয়ে দিয়েছে। সে লোকটি বাড়ি, জমিজমা দখল করে বসেছে, সে ও বাড়ির একটা বিধবা বউকে ঠাঁই দেবে কেন? ফুলমণির নামে নানা বদনাম দেওয়া, এমনকি তাকে ডাইনি সাজানোও সে লোকটির পক্ষে সহজ। একলা একটা মেয়ের তুলনায় একজন বিবাহিত, সংসারী মানুষকে সব সমাজই বেশি বিশ্বাস করে।

ফুলমণি ছোটপাহাড়ীতে নেই, সে আবার হারিয়ে গেছে।

এরপরেও কেটে গেছে এক বছর।

আমি আবার গা আলগা করে ঘুরে বেড়াই, কেউ আমাকে নিয়ে মাথা ঘামায় না। দাদা অবশ্য প্রায়ই রাগারাগি করে, কিন্তু আমার বউদির মতে প্রতি এক হাজার মানুষের মধ্যে একজন অন্তত বাউণ্ডুলে বা ভবঘুরে বা অভিযাত্রী থাকা উচিত, না হলে সে সমাজটা বর্ণহীন হয়ে যায়, সেই সুবাদে আমি বাড়িতে দুবেলা খেতে পাই।

মাঝে মাঝে অন্যের ফাই ফরমাস খেটে আমার কিছু কিছু রোজগার হয়।

কেউ কেউ আমার হাত দিয়ে জরুরি কাগজপত্র পাটনা কিংবা ভূপালে পাঠায়। কারুর হয়তো বৃদ্ধা মা কিংবা অশক্ত ঠাকুর্দাকে কাশী কিংবা এলাহাবাদ পৌঁছে দেবার কোনো লোক নেই, তখন আমি আছি। ট্রেন ভাড়া ছাড়াও হাতখরচ মন্দ জোটে না।

লালুদার এক আত্মীয় থাকে ঝুমরি তিলাইয়ায়, তাকে একটা সম্পত্তির দলিল পৌঁছে দিতে হবে, সেই ভারটা পেয়ে গেলুম আমি। টাকাপয়সার ব্যাপারে লালুদা উদার, আমাকে হাতখরচ দিয়েছে পাঁচশো টাকা।

একটা স্টেশনে ট্রেন পাল্টাতে হবে, বসে আছি প্ল্যাটফর্মের বেঞ্চিতে।

ট্রেনের পাত্তা নেই। একটা মালগাড়ি থেমে আছে অদূরে, সেটা না গেলে আর ট্রেন আসবে না। গোটা স্টেশনটায় ভ্যান ভ্যান করছে মাছি। কিছু বাসি কচুরি, তরকারি আর দরবেশ যা বিক্রি হচ্ছে, তা মানুষের অখাদ্য, মাছিরই খাদ্য।

রেললাইন থেকে পোড়া কয়লা কুড়োচ্ছে গোটা পাঁচেক নানা বয়সী মেয়ে। প্ল্যাটফর্মে ওদেরই কেউ একটা বাচ্চাকে শুইয়ে রেখেছে, চিৎ হয়ে বাচ্চাটা ট্যাট্যা করে কাঁদছে।

অলসভাবে তাকিয়েছিলুম, এক সময় চোখ আটকে গেল।

কোনো সন্দেহ নেই, ঐ মেয়েগুলোর মধ্যে একজন ফুলমণি। আবার সেই আগেকার মতন রোগা চেহারা, পরনের নীলপাড় সাদা শাড়িটা যেমন ময়লা, তেমনি ছেঁড়া, মাথার চুল জট পাকিয়ে গেছে। মাথায় ঝুড়ি ভরে কয়লা তুলে তুলে প্ল্যাটফর্মের অনেক দূরে একটা কোণে জড়ো করে রাখছে।

হোক না ফুলমণি, তাতে আমার কী আসে যায়? ছবি আঁকা ছেড়ে কেউ যদি কয়লা-কুড়োনি হয়, আমি তার কী করব?

অন্য কোনো কাজ নেই, সঙ্গে একটা বইও নেই, তাই বসে বসে দেখতে লাগলুম মেয়েগুলোকে। একটি মেয়েরও স্বাস্থ্য ভালো নয়। কয়লা তুলে দু’বেলার অন্ন জোটে না বোধহয়।

ঝুড়ি খালি করে ফেরার সময় মেয়েরা কেউ না কেউ বাচ্চাটাকে একটু আদর করে যাচ্ছে। ওটা কার বাচ্চা? ফুলমণির? খুবই স্বাভাবিক।

কাছেই নিশ্চয়ই ওদের ঝুপড়ি আছে। সেখানেই জীবন কেটে যাচ্ছে, এক একটা রেল স্টেশনে অনেকগুলো পরগাছার জীবিকার সংস্থান হয়।

ফুলমণি যদি নিজে থেকে এসে আমার সঙ্গে কথা না বলত, তাহলে পরবর্তী চিন্তাটা আমার মাথাতেই আসত না।

অন্য মেয়েরা মাঝে মাঝে কলকল করে কথা বলে উঠছে, কিন্তু ফুলমণি আগের মতনই নীরব। ফুলমণি অন্যদের মতন নয়। ওর নীরবতা ওর অহংকার।

আমার পাশ দিয়ে যেতে যেতে ফুলমণি একবার থমকে দাঁড়াল। নীরবতা ভেঙে বলল, ছোটবাবু।

কবে আমার চাকরি গেছে, আমি আর ছোটবাবু নই, কোনো বাবুই নই, তবু এই ডাক শুনে যেন আমি ধন্য হয়ে গেলুম।

আমি শুধু বললুম, ফুলমণি।

ব্যস ঐটুকুই। আর কোনো বাক্য বিনিময় হলো না। ফুলমণি আবার লাইনে নেমে গেল।

কী কথা বলব ওকে? ওর অতীত ইতিহাস নিয়ে নাড়াচাড়া করে কী লাভ? কয়লা কুড়িয়ে যার দিন চলে, তার ছবি আঁকার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।

প্ল্যাটফর্ম থেকে রেল লাইন বেশ নীচু। ঝুড়িভর্তি কয়লা নিয়ে ওপরে উঠতে মেয়েদের বেশ কষ্ট হচ্ছে। একবার ফুলমণি উঠতে গিয়ে তার কয়লার ঝুড়িটা উল্টে গেল। তখনই আমার মাথায় এল সেই চিন্তাটা।

আমি উঠে গিয়ে হাত বাড়িয়ে ফুলমণিকে টেনে তুললুম ওপরে। জিজ্ঞেস করলুম, ফুলমণি আমার সঙ্গে যাবে।

—কোথায়?

–অনেক দূরে, পোড়া কয়লা কুড়োবার চেয়ে কোনো খারাপ কাজ সেখানে করতে হবে না।

ফুলমণি এদিক ওদিক তাকাল। খালি ঝুড়িটা সারিয়ে নিল খানিকটা। তারপর বলল, যাব।

অনিন্দ্য দাসের আহ্বানে সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়েছিল ফুলমণি। ঠিক সেই রকমভাবেই রাজি হয়ে গেল আমার এক কথায়! ফুলমণি স্থাণু হতে চায় না। পরিবেশ বদলাতে চায় সবসময়। অনিন্দ্য দাস যেমন বলেছিল, ও জীবনকে ভাঙছে!

হাতের ধুলো ঝেড়ে ফুলমণি বাচ্চাটাকে একবার গাল টিপে দিল।

আমি জিজ্ঞেস করলুম, এ বাচ্চাটা তোমার?

ফুলমণি বলল, না, আমার বাচ্চাটা এই টুকুন হয়েই মরে গেছে।

আমি মনে মনে বললুম একদিক থেকে ভালোই হয়েছে। বাচ্চা-কাচ্চা সঙ্গে থাকলে ঝামেলা হতো।

স্টেশনের বাইরে বাস দাঁড়িয়ে আছে।

বাস পাল্টাতে হলো তিনবার। ফুলমণি আর একবারও জিজ্ঞেস করল না, কোথায় যাচ্ছি।

সন্ধে হয়ে এসেছে। শেষবার বাস থেকে নেমে আমি জিজ্ঞেস করলুম, সাঁতার জানো?

ফুলমণি দুবার মাথা ঝাঁকালো।

এবার খানিকটা জঙ্গলের পথ। দুপুরে দুবার আমরা শুধু ঝালমুড়ি খেয়েছি। ফুলমণির শরীর দুর্বল। খিদেয় নিশ্চয়ই আরও কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু মুখে তার কোনো চিহ্ন নেই। অনিশ্চিতের দিকে যাত্রা ওকে টানছে।

জঙ্গলের রাস্তাটা ছমছমে অন্ধকার। কোনো একটা প্রাণী পাশ দিয়ে ছুটে যেতেই ফুলমণি থমকে গিয়ে আমার হাত চেপে ধরল।

এই প্রথম আমার হাত ধরল ফুলমণি। প্রথম ও শেষবার।

আধ ঘণ্টার মধ্যে আমরা পৌঁছোলুম নদীটার কাছে। বেশ চওড়া নদী, স্রোত আছে, তবে খুব গভীর নয়। মাঝখানটায় শুধু সাঁতারে যেতে হবে।

ওপারে মিটমিট করে দু’-চারটে আলো জ্বলছে। দূরে পাহাড়ের মাথায় পাতা—পোড়া আগুন।

আমি ফুলমণির হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বললুম, এই নদী পার হয়ে সোজা চলে যাও। ওপারে দিকশূন্যপুর নামে একটা গাঁ আছে। সেখানে আছে বন্দনাদি। তার কাছে গিয়ে বলবে, নীলু তোমাকে পাঠিয়েছে। ব্যস, তোমার আর কিছু চিন্তা করতে হবে না। তুমি খাবার পাবে। থাকার জায়গা পাবে। তোমার যা খুশি তাই করতে পার। ইচ্ছে হলে ছবিও আঁকতে পার। বসন্ত রাও, রোহিলা এরাও ছবি আঁকে। ওরা তোমাকে রং-তুলি দেবে।

ফুলমণি জিজ্ঞেস করল, তুমি যাবে না?

আমি বললুম, ওখানে সবাই একলা যায়। তোমার কোনো ভয় নেই। দিকশূন্যপুরের বন্দনাদিকে আমার নাম করলেই হবে। আমি এখন গেলে ফিরতে পারব না। আমি যে অন্য লোকের কাজ নিয়ে এসেছি।

হাঁটু পর্যন্ত জলে আমি গেলুম ওর সঙ্গে সঙ্গে, তারপর থেমে পড়ে বললুম, এবার তুমি একা যাও

ফুলমণি নিষ্পলকভাবে কয়েক মুহূর্ত তাকিয়ে রইল আমার দিকে। তারপর জল ঠেলে এগিয়ে গেল। একটু পরে তাকে আর দেখা গেল না। শুধু শোনা যেতে লাগল জলের শব্দ।

হাঁটু জলে আমি চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলাম অনেকক্ষণ।

যাও ফুলমণি দিকশূন্যপুরে। ওখানে কেউ তোমাকে ছোট করবে না। ওখানে ওরা যে সবাই সমান। কেউ তোমাকে আদিবাসী বলে আলাদা করে দেখবে না। কারণ ওরা মনে করে সকলেই এই পৃথিবীর আদিবাসী। ওখানে কাজের কোনো অভাব নেই, কারণ কারুর লোভ নেই। ওরা নিজের জন্য কিছু রাখতে চায় না। অন্যকে দিয়ে আনন্দ পায়, সবাই অন্যকে দেয় বলে সবার সব কিছু থাকে। ওখানে দুঃখ আছে, সব মানুষের দুঃখ থাকে, কিন্তু ওখানে অপমান নেই। দিকশূন্যপুরে কোনো নিয়ম নেই, মানুষের ইচ্ছেটাই নিয়ম।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *