৭
এই ভাবে যদি আমি অগ্রসর হই, তাহলে দেখতে পাই, মাতৃতান্ত্রিক সজাজে নারী যদৃচ্ছাগামিনী হলেও, তৎকালে তার কোনো দোষ হতো না। এই ব্যবস্থার যখন পরিবর্তন ঘটল, তখন নারীকে পুরুষ তার নিজের শক্তিবলে নারীর যৌনস্বাধীনতা হরণ করলে। অথচ নিজের স্বাধীনতা বজায় রাখলো। কিন্তু তৎসত্ত্বেও নারীকে কি বন্দী করে রাখা সম্ভব হয়েছিল?
হয় নি যে, তার অনেক প্রমাণ স্বয়ং বিশ্বখ্যাতা রমণীরাই রেখে গিয়েছেন। শুধু লক্ষণীয় একটি বিষয় যে, সংহিতা বা আধুনিক ইতিহাসের বা নৃতাত্ত্বিক বিচারে মাতৃতান্ত্রিক যুগে, নারী যে-রকম মুক্ত স্বাধীন ছিল, পরবর্তীকালে যৌনাচারের ক্ষেত্রে তাকে গোপনীয়- তার আশ্রয় নিতে হয়েছিল। এব্যাপারটি স্বাভাবিক ভাবেই সমাজে কলঙ্কিত বলে গণ্য হতো। কারণ তখন পুরুষের শাসনে সমাজ চলছে। আরও একটি বিষয় দেখছি। ক্ষেত্রজ পুত্রের প্রচলন আগে থেকেই ছিল। পৌরাণিক কালে আমরা বেশ কিছু ক্ষেত্রজ পুত্রকে দেখেছি। কিন্তু মহাভারতের যুদ্ধের পরে, কুম্ভীর ক্ষেত্রজ পুত্রদের জন্মের পরে আর কোনো ক্ষেত্রজ পুত্রের সন্ধান পাচ্ছি না। তাও পাণ্ডুর অনুরোধ রক্ষায় কুন্তী প্রথমে আপত্তি করেছিলেন। এই আপত্তির বিষয়টি কতোটা বিশ্বাসযোগ্য, তা আমাদের নিশ্চয়ই ভাবতে হবে। তাঁর আপত্তি শুনে, পাণ্ডু কুন্তীকে অবগত করান, সমাজে এ ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল, এবং এ ব্যবস্থাকে অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখা হতো। অতএব কুন্তীর এ বিষয়ে কোনো আপত্তি থাকা উচিত নয়। এ ঘটনাও বিশ্বাসযোগ্য না। স্বয়ং পাণ্ডু নিজেই তাঁর মৃত পিতার ক্ষেত্রে, বিধবা মায়ের গর্ভে, কানীনপুত্র বেদব্যাসের ক্ষেত্রজ পুত্র ছিলেন। অতীতের সমাজের কথা না বলে কুন্তীকে তো তিনি নিজের পরিচয়েই ক্ষেত্রজ বলতে পারতেন। কেন বললেন না? কুন্তী নিজে কন্যকাবস্থায় গর্ভবতী হয়েছিলেন। তাঁর একটি কানীন – পুত্র হয়েছিল। ইতিহাসের অত্যন্ত বিখ্যাত চরিত্র, মহাবীর বা তাঁর নাম। সেই ইতিহাসের কাহিনীতে আমি গমন করবো। তাহলে আপাততঃ আমরা কী দেখতে পাচ্ছি?
কর্ণের পরে কোনো কানীনপুত্রের সংবাদ ইতিহাসে নেই। পঞ্চ পাণ্ডবের পরে কোনো ক্ষেত্রজ সন্তানের সন্ধানও পাচ্ছি না। এর থেকে একটি সিদ্ধান্তে আসতে হয়, সমাজ থেকে এই সব প্রথা লুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। অন্ততঃ কিছু ঘটে থাকলেও আমরা ইতিহাসে আর তার কোনো ঘটনা ঘটতে দেখছি না।
পৃথার সন্ধানে যাবার আগে, ইতিহাসের আর একটি দিক, ধুলাচ্ছন্নতা থেকে উন্মোচন করা উচিত। আমি দেখছি, পৃথিবীতে এমন কোনো শক্তি নেই বা ছিল না, কালের প্রভাব যে প্রতিরোধ করতে পারে। মহা ইতিহাস মহাভারতের আদি খণ্ড প্রথম অধ্যায় থেকে, আমি যুগধর্ম বা কালপ্রভাব সম্পর্কে একটি উদ্ধৃতি দিচ্ছি : “…ভাব, অভাব, সুখ, দুঃখ, সবই কাল সহকারে ঘটে থাকে। কাল প্ৰজা- সকলকে ( সমগ্র মানব জাতিকে ) দগ্ধ করছেন, আবার কালই তাদের শান্ত করছেন। এই সমগ্ৰ নিখিল ভূমণ্ডলস্থিত, শুভাশুভ সমুদয় বস্তু কাল হতে সৃষ্ট হচ্ছে। আবার কালেতেই লোক লয়প্রাপ্ত হচ্ছে। পুনর্বার কাল থেকেই উৎপন্ন হচ্ছে। সমুদয় জীব নিদ্রিত হলেও, কাল জাগরিত থাকেন। কর্লিকে কেউ অতিক্রম করতে পারে না। কাল অপ্রতিহত রূপে সর্বভূতে সমভাবে বিচরণ করছেন। বর্তমান, ভূত, ভবিষ্যৎ, সকল বস্তুই কাল নির্মিত।”
আমি এই মুহূর্তে ফিরে আসছি, আজকের এই পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা আধুনিক দর্শনতন্ত্রের বৈজ্ঞানিক একটি ব্যাখ্যায়। কার্ল মার্কস এবং এঙ্গেলস,দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের প্রথম সন্ধান পান হেগেলের দর্শনতন্ত্রের বিচারে। কিন্তু হেগেলের কাছে তাঁদের অপরিশোধ্য ঋণ থাকলেও তাঁরা লক্ষ্য করেছিলেন, হেগেল তাঁর দর্শনতন্ত্রের শেষ অধ্যায়ে এসে একটি পরম ব্যাখ্যা দিতে চেয়েছেন। পরম ব্যাখ্যার অর্থ হলো, তারপরেই ইতি। দর্শনতন্ত্রের শেষ কথা।
মার্কস আর এঙ্গেলস এখানে এসেই থমকে দাঁড়িয়েছিলেন। কারণ, পরম ও চরম বলে বিশ্ববিজ্ঞানের ব্যাপার কিছুই থাকতে পারে না। পৃথিবীতে কোনো সমাজব্যবস্থা, রাষ্ট্রব্যবস্থা, কোনো দর্শনতন্ত্র শেষ বলে ঘোষিত হতে পারে না। এ পৃথিবী নিরন্তর ধাবমান, এবং তার সঙ্গেই, মানুষ সমাজ, সমস্ত ব্যবস্থাই, নিরন্তর মহাকালের পথ পরিবর্তনশীল। কোনো এক জায়গায় বা কোনো কালেই দাঁড়িয়ে ছিল না থাকবেও না। দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের প্রবক্তা হয়েও, বিশ্ববীক্ষার ক্ষেত্রে, হেগেলে এই নিত্যতা প্রকাশ একটি বড় ভ্রান্তি! বিশ্ব অনিত্য।
আজকের যারা মার্কসবাদী, তাঁরা হয়তো মহাভারতকে একটি অবৈজ্ঞানিক রূপকথা ভাবেন। অবশ্য আমি সকল মার্কসবাদীদের কথা বলছি না। কিন্তু মার্কস মারা যাবার পরে এঙ্গেলস, হেগেলের দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ সম্পর্কে, মার্কসের কিছু টীকা আবিষ্কার করে – ছিলেন। তখনই তিনি ভেবেছিলেন, মার্কস তাঁর টীকায় হেগেলের বস্তুবাদ সম্পর্কে এমন কিছু লিখে গিয়েছেন, সেগুলোর ব্যাখ্যা তখন করা উচিত। ঊনবিংশ শতাব্দীর আশির দশকের গোড়ায়, মার্কসের টিকার সাহায্যে, হেগেলের ‘পরম বা চরম’ সম্পর্কে এঙ্গেলস, নিরন্তর বিশ্ববীক্ষার ব্যাখ্যাটি করে যান।
তাহলে আমরা দেখছি, প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে, মহাভারতকার সেই নিরন্তর কালপ্রবাহের দ্বারা মানুষের জীবনের ঐতিহাসিক ব্যাখ্যাই করে গিয়েছেন। সেখানেও দেখছি, পরম বলে কিছু নেই। শেষ কথা বলার জন্য পৃথিবীতে কেউ জন্মায় না। কারণ, শেষ কথাটি যে কী, তা কেউ জানেন না।
কেউ কি জানেন না? জানেন। একমাত্র এক শ্রেণীর ভত্তর।। যারা নানান বেশভূষায়, সরল বিশ্বাসী নরনারীদের, নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য বঞ্চনা করে।
এই কালপ্রভাবের কথায় আমি এলাম এই কারণেই, আমাদের অতীত ইতিহাসের যিনি যতো বিশাল ক্ষমতার মানব মানবীই হোন, কালপ্রভাবকে কেউ জয় করতে পারেন না। কিন্তু তাঁদের অভূতপূর্ব প্রতিভা ও কীর্তির জন্য, অনেককেই আমরা অতিমানব বলে পূজো করে থাকি। কারণ তারাই আমাদের দান করেন সেই দৃষ্টি-অনুভূতি ও জ্ঞানের মহিমা।
এই কালপ্রভাবের সঙ্গেই, একটি বিষয়ের উত্থাপন করা অনিবার্য হয়ে উঠলো। কারণ, আমরা এই প্রসঙ্গটি অতিক্রম করতে পারলেই পৃথার জীবন ইতিহাসকে বাস্তব বলে, সবদিক দিয়ে গ্রহণ করতে পারব।
আমি দেখছি, অনেক মুনি-ঋষির জন্ম অদ্ভূত ও অলৌকিক। যেমন ধরা যাক, দ্রোণ। দ্রোণের পিতা মহর্ষি ভরদ্বাজ গঙ্গার ধারে বাস করতেন। একদিন তিনি গঙ্গা স্নানে গিয়েছেন। গিয়ে দেখলেন, ঘৃতাচী নাম্নী এক অপ্সরা গঙ্গায় স্নান করে, তীরে দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ বাতাস এসে, ঘৃতাচীর শরীর থেকে সমস্ত বস্তু উড়িয়ে নিয়ে গেল। মহর্ষি ঘৃতাচীর মতো সুন্দরী যুবতী অপ্সরাকে বিবসনা দেখে তখনই তার সঙ্গে বিহারের বাসনায় কাতর হয়ে পড়লেন। আর ঘৃতাচীর সামনেই ব্রহ্মচারী মহর্ষি ভরদ্বাজের রেতঃস্খলন হয়ে গেল। রেতঃস্খলন হবা মাত্র, মহর্ষি তা দ্রোণী মধ্যে স্থাপন করলেন, এবং তা থেকেই ধীমান ড্রোণ উৎপন্ন হলেন।
দ্রোণী শব্দের অর্থ, জলের গামলা। এরকম মুনি-শ্রেষ্ঠদের জন্ম আমরা আরও অনেক পেয়েছি। কেউ কুম্ভযোনিতে উৎপন্ন হয়ে- ছেন। যে সমস্ত ঘটনা উদ্ধার করতে গেলে, আর একটি ইতিহাস রচনা করতে হয়।
ইতিহাসের এক অধ্যায়ে দেখছি, পরাশর মুনি, বিদেহরাজকে বলছেন, ‘জন্মনিবন্ধন মহর্ষিদের অপকৃষ্ট হবার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাঁরা তপোবলেই আত্মার উৎকর্ষ সাধন করে থাকেন। বিশেষতঃ তাঁদের পিতারা, যে-কোনো স্থানে তাঁদের উৎপাদন করে, তপোবলে তাঁদের ঋষিত্ব বিধান করেন। আমার পিতামহ বশিষ্ঠ, বিভাগুরুপুত্র ঋষ্যশৃঙ্গ, বেদ, তাণ্ড্য, কৃপ, কাক্ষীবান, কমঠ, সবক্রীত, দ্রোণ, আয়ু, মতঙ্গ, দ্রুমদ ও মাৎস্য প্রভৃতি মহর্ষিগণ অপকৃষ্ট যোনিতে জন্মগ্রহণ করেন. তপোবলে ঋষিত্ব লাভ করে বেদবিদগ্রগণ্য ও দমগুণ সম্পন্ন হয়েছিলেন। ‘যোনি’ শব্দের ধাতুগত অর্থ ‘উৎপত্তিস্থান’। এখন অপকৃষ্ট যোনি বলতে যদি অপ্সরা বা অনামা স্ত্রীলোকদের বোঝায় তা হলেই প্রয়োজন হয়ে পড়ে, দ্রোণী বা কুম্ভযোনি ইত্যাদি বস্তুর নামের সাহায্য নেওয়া। দ্রোণী শব্দের অর্থ কী, আগেই তা বলেছি। যে-কোনো ভাষ্যে, যে-ভাবেই ব্যাখ্যা করা হোক, পরনারীর দৈহিক মিলন ব্যতীত লোকসৃষ্টি একটি অসম্ভব বিষয়। এর কোনো সত্যাসত্যই নেই, এবং এটি একটি মিথ্যা কথন মাত্র। অথবা, সাধারণ মানুষকে বিপথগামী করার জন্যই, মহাভারত বা পুরাণে যারা প্রক্ষিপ্তি অংশ প্রবেশ করিয়েছে, তারাই এই বিভ্রান্তি সৃষ্টির মূলে।
যেমন ভারত ইতিহাসের আদি খণ্ডেই দেখছি, বিবৃত হয়েছে, ‘রামায়ণ, আত্মার সনাতন পবিত্র জন্মক্ষেত্র ঋষিদিগের এমন শক্তি নাই যে, স্ত্রী ব্যতিরেকে প্রজা সৃষ্টি করিতে পারেন।’
‘পুরুষ ব্যতীত, স্ত্রীজাতি গর্ভধারণ করিতে পারে না। স্ত্রী জাতি ব্যতীত পুরুষও কখনও সন্তান উৎপাদনে সক্ষম নয়! স্ত্রীলোকের ঋতুকালে, ( ঋতুস্নানের সময় থেকে ১৬ দিন) পুরুষের পরস্পর সহযোগ দ্বারাই সন্তান-সন্ততির জন্ম হয়। বেদ ও স্মৃতিশাস্ত্রে নির্দিষ্ট আছে, পিতা হতে অস্থি, স্নায়ু ও মজ্জা, মাতা হতে ত্বক, মাংস ও শোণিত সমুৎপন্ন হয়ে থাকে। ‘কুম্ভা’ শব্দের অর্থ ই বেশ্যা। অগস্ত্য ও বশিষ্ঠের জন্ম কুত্তা যোনিতে। কালক্রমে, কুম্ভার আকারটি কেটে দিয়ে, কেবল কুম্ভ করা হয়েছিল।
জন্মের সঙ্গে প্রতিভার কোনো সম্পর্ক নেই। পরাশরের কথায় তা প্রকাশ পেয়েছে। অবশ্য পরাশর স্বয়ং স্বপাক অনার্য কন্যার গর্ভজাত সন্তান। ব্যাসের জন্মের কথা আগেই বলা হয়েছে। ব্যাসের পুত্র শুকদেব ম্লেচ্ছ কন্যা শুকীর গর্ভজাত। এরকম অনেকের কথাই বলা যায়, যাঁরা হীনযোনিতে জন্মেও ব্রাহ্মণ হয়েছিলেন। ব্ৰাহ্মণ কোনো বংশধারায় জন্মাতো না। প্রতিভা ও জ্ঞান, এবং তপোবলের দ্বারাই ব্রাহ্মণত্ব লাভ করা সম্ভব ছিল।
এইসব ইতিবৃত্তীয় ঘটনা থেকেই, আমরা বুঝতে পারছি, নরনারীর মিলন ব্যতিরেকে, সন্তান জন্ম সম্ভব না। অতএব, অযোনিসম্ভবা বা ইত্যাদিও একান্তই অবাস্তব ও অলৌকিক। এসব অলৌকিক বিষয়ের দ্বারা, আমরা আমাদের ইতিহাসকেই কলঙ্কিত করেছি। কানীন পুত্র, ক্ষেত্রজ পুত্র, এসব কিছুই অলৌকিক বলে বর্ণনা করা হয় নি। কিন্তু কোনোও এক অতীতকালে, কানীন পুত্র বা ক্ষেত্রজ পুত্র জন্মের জন্য, আদৌ কোনো সমাজ ভয়, বা সমাজ বিগর্হিত কাজ বলে গণ্য হতে। না। কালে, ও কালের প্রয়োজনে সেই ভয় বা সমাজ বহির্ভূত কাজ মনে করা হতো।
নরনারীর মিলন ব্যতিরেকে, কোনো সন্তানই উৎপাদন করা সম্ভব ছিল না। বর্তমান যুগে অবশ্য ভ্রূণকে, ঋতুকালীন স্ত্রীলোকের জরায়ুতে প্রাবশ করিয়ে, সন্তান ধারণের বৈজ্ঞানিক চেষ্টাটি সফল হয়েছে। কিন্তু কোনো পুরাণের কোথাও, প্রজাসকল উৎপত্তির এমন সংকেত দেওয়া হয়নি।
পুরাণের ‘পঞ্চকন্যার’ ইতিহাস একমাত্র কুন্তীই এদের মধ্যে কানীন পুত্রের জন্ম দিয়েছিলেন। এবং ক্ষেত্রজ পুত্রেরও। কিন্তু সমস্ত ক্ষেত্রেই কোনো অলৌকিকতা ছিল না। সেইসব সবিস্তারে বিচারের পর, পৃথার সন্ধানে আমি প্রথম যাবো মথুরায়। কারণ, যদুবংশ জরাসন্ধের হাতে নির্বংশ হবার ভয়ে, কৃষ্ণকে অনুরোধ করেছিলেন, যেমন করেই হোক, যদুবংশকে বাঁচাতেই হবে। কংসকে হত্যা করলেও যদুবংশ নিশ্চিত হতে পারে নি! জরাসন্ধের ভয়ে তারা সর্বদাই সশঙ্কিত ছিল। শেষ পর্যন্ত, কৃষ্ণ মথুরা থেকে, যদুবংশকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন দ্বারকায়।
ইতিহাসের এই সূত্র ধরেই, কৃষ্ণের পিসীমাতা পৃথার জন্ম যে মথুরাতেই হয়েছিল, এতে কোনো সন্দেহ নেই।