জানি তুমি আসবে – ১

শফি বন্ধু রবিউলের সঙ্গে পাকা সড়ক দিয়ে যেতে যেতে দেখতে পেল, লাঠি হাতে এক বৃদ্ধ অন্ধ ভিক্ষুক বলছে, কে আছ বাবা আমাকে রাস্তাটা পার করে দাও।

শফির দৃষ্টি অনুসরণ করে রবিউল বলল, দাঁড়া হাসান, চাচাকে রাস্তাটা পার করে দিয়ে আসি।

শফি বলল ওনাকে চিনিস না কি?

রবিউল বলল, হ্যাঁ, চিনি। আমাদের গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় ঘর।

ওনার কোনো ছেলেমেয়ে নেই?

ছেলে নেই, দুটো মেয়েছিল। তাদের বিয়ে দিতে গিয়ে যেটুকু জমি ছিল বিক্রি করে দিয়েছেন। তারপর যতদিন শক্তি সামর্থ ছিল, গতর খাঁটিয়ে স্বামী স্ত্রীর পেট চালিয়েছেন। অন্ধ হয়ে ভিক্ষে করতে বাধ্য হয়েছেন।

তুই দাঁড়া আমি যাচ্ছি বলে শফি বৃদ্ধের কাছে এসে তার একটা হাত ধরে বলল, চলুন, আমি পার করে দিচ্ছি।

বৃদ্ধ হাসান যেতে যেতে বলল, কে বাবা তুমি? আল্লাহ তোমার দোজাহানে মঙ্গল করুক।

রাস্তার মাঝা-মাঝি এসেছে এমন সময় একটা হুণ্ডা তাদের পাশে এসে থেমে গেল।

শফি যদি বৃদ্ধকে টেনে না নিত, তা হলে হুণ্ডার হ্যাঁন্ডেলে ধাক্কা লাগত।

শফি সেদিকে চেয়ে দেখল, হুণ্ডার চালকের সীটে চব্বিশ-পঁচিশ বছরের একটা মেয়ে। আর পিছনে বসে আছে প্রায় ত্রিশ বছরের একটা ছেলে। কিছু বলতে গিয়ে মেয়েটির মুখের দিকে চেয়ে শফি মুগ্ধ হল। মেয়েটির গায়ের রং শ্যামলা হলেও এত সুন্দর মুখ সে আর কখনও দেখেনি। পরক্ষণে তার পরণে টাইটফিট প্যান্ট শার্ট দেখে দৃষ্টি সরিয়ে নিয়ে বলল, আরও ভালো করে গাড়ি চালান শিখুন তারপর রাস্তায় গাড়ি চালাবেন। নচেৎ যে কোনো সময় একসিডেন্ট করে পথচারির ও নিজের জীবন বিপন্ন করে ফেলবেন। আমি যদি এই অন্ধ বৃদ্ধকে দ্রুত টেনে না নিতাম, তা হলে কী হত ভেবে দেখুন?

মেয়েটির বদলে ছেলেটি গাড়ি থেকে নেমে বলল, বৃদ্ধ অন্ধ হতে পারে; কিন্তু তুমি তো অন্ধ না, দেখেশুনে রাস্তা পার হতে পার না?

শফি বলল, আর আমি যদি বলি চোখ কান খোলা রেখে গাড়ি চালাতে হয়।

শফির কথা শুনে ছেলেটা রাগে লাল হয়ে বলল, আমাকে জ্ঞান দান করছিস? চড়িয়ে তোর দাঁতগুলো ফেলে দিতে পারি জানিস?

আপনাকে তো চিনি না, আপনার কত ক্ষমতা জানব কী করে?

এখনই জানতে পারবি বলে ছেলেটা এগিয়ে এসে তার গালে খুব। জোরে চড় মারতে গেল।

শফি হাতটা ধরে ফেলে বলল, ছি-ছি, এই সামান্য ব্যাপার নিয়ে এতটা বাড়াবাড়ি করা কোনো ভদ্র ঘরের ছেলের উচিত নয়। তারপর মেয়েটির দিকে চেয়ে বলল, আপনিই বলুন তো, কী এমন অপরাধ করেছি যে, উনি চড়িয়ে আমার দাঁত ফেলে দিতে চাচ্ছেন?

ছেলেটা আরও রেগে গিয়ে হাতটা ছাড়াবার চেষ্টা করতে গিয়ে বুঝতে পারল। প্রতিপক্ষের গায়ে অসুরের মতো শক্তি। হাত ছাড়ান তো দূরের কথা এতটুকু নাড়াতেও পারল না। রাগে কাঁপতে কাঁপতে বলল, হাতটা ছেড়ে দে বলছি, নচেৎ পরিণাম ভালো হবে না।

শফি বলল, আপনাকে দেখে তো মনে হচ্ছে দ্র ঘরের শিক্ষিত ছেলে; কিন্তু কথা-বার্তা ও আচার-আচরণ ছোটলোকের মতো কেন? আপনি নিজের হাত ছাড়াতে পারছেন না, আমার কী আর ভালো মন্দ করবেন? তারপর হাতটা ছেড়ে দিয়ে বলল, যান, এবার ভদ্র ছেলের মতো চলে যান। দেখছেন না, কত লোকজন দাঁড়িয়ে ঘটনাটা দেখছে? তাদের কাছে নিজেকে। আর হাস্যাস্পদ করবেন না।

হাত ছাড়া পেয়ে ছেলেটা ঝট করে রিভলবার বের করে বলল, দাঁড়া আমার ক্ষমতা দেখতে চাস বলে শফির দিকে তাক করল।

শফি এরকমই আশা করেছিল, তাই প্রস্তুত ছিল। দ্রুত তার রিভলবারধরা হাতটা ধরে উপরের দিকে ফায়ার করে সেল খালি করে বলল, মনে হয় লেখাপড়া করলেও মানুষের মতো মানুষ হতে পারেননি। হয়তো বড়লোকের একমাত্র ছেলে। তাই ধরাকে সরা জ্ঞান করেন। তারপর চালকের আসনে বসা মেয়েটিকে উদ্দেশ্য করে বলল, আপনাদের সম্পর্ক জানি না, তবু বলছি, এভাবে একসঙ্গে হুণ্ডায় চড়া উচিত নয়। আর সাবালিকা মেয়েদের এই রকম পোশাক পরা ইসলামে কঠোরভাবে নিষেধ। হাদিসে আছে, রসুল (সঃ) বলেছেন, যে সকল পুরুষ নারীর বেশ ধারণ করে এবং যে সকল নারী পুরুষের বেশ ধারণ করে, আল্লাহ তাহাদিগকে অভিশাপ দেন। [বর্ণনায় : হযরত আব্বাস (রা.)- বোখারী শরীফ] আর একটা কথা না বলে পারছি না, ইনাকে হয় পাবনা মানষিক হাসপাতালে পাঠাবার ব্যবস্থা করবেন। নচেৎ কোনো মনোবিজ্ঞানের ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করাবার ব্যবস্থা করবেন। কথা শেষ করে শফি রবিউলের কাছে এসে বলল, চল, কোথায় নিয়ে যাচ্ছিলি।

ততক্ষণে ছেলেটা রাগে ফুলতে ফুলতে হুণ্ডায় উঠে দাঁতে দাঁত চেপে বলল, এর প্রতিশোধ না নিয়েছি তো আমি বাপের বেটাই না। তারপর মেয়েটিকে হুণ্ডা ছেড়ে দিতে বলল।

রবিউল তাদের দিকে চেয়েছিল। শফির কথা শুনে যেতে যেতে বলল, আর দু’এক সেকেণ্ড দেরি হলেই তুই গুলি খেতিস।

তা খেতাম। তাই তো গুলি করার আগেই ওর হাতটা ধরে ফেললাম।

তুই কি জানতিস ওর কাছে রিভলবার আছে?

জানতাম বলেই তো সতর্ক ছিলাম।

কী করে জানলি বলতো। সে কথা বলা যাবে না।

আচ্ছা, অনেক সময় তুই আগে থেকে জানতে পারিস, কী করে পারিস বলবি?

তাও বলা যাবে না। তবে এতটুকু বলতে পারি, কোনো কিছু ঘটার আগে আমার মন আমাকে বলে দেয়। ওসব কথা বাদ দেতো।

রবিউল কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলল, ওদেরকে আমি চিনি। ছেলেটার নাম মহসিন। পাশের গ্রামের বড়লোকের ছেলে। ওর বাবা এই এলাকার চেয়ারম্যান। নাম সালাউদ্দিন, মেয়েটা মহসিনের ফুপাতো বোন। ঢাকায় বাড়ি। কয়েকদিন হল মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছে। মহসিন ঢাকায় ফুফুর বাসায় থেকে ভার্সিটিতে পড়ে। মনে হয় তোকে ছেড়ে কথা বলবে না। সময় সুযোগমতো আজকের অপমানের বদলা নেবে।

শফি বলল, ও বড়লোক চেয়ারম্যানের ছেলে, তাতে আমার কী? তাকে আমি অপমান করিনি। নিজের অহংকারের জন্য নিজেই অপমানিত হয়েছে। যদি বদলা নিতে আসে, তা হলে আরও বেশি অপমানিত হবে।

রবিউল জানে ছোটবেলায় যখন একসঙ্গে খেলাধুলা করত তখন শফি যা বলত তাই করত। সেই কথা মনে পড়তে ভাবল, এখনও কি ওর ঐ স্বভাব আছে? যদি থেকে থাকে, তা হলে মহসিন বদলা নিতে এলে তাকে আরও অপমান করে ছাড়বে। জিজ্ঞেস করল, একটা সত্যি কথা বলবি?

বল, তুই তো জানিস আমি কখনও মিথ্যা বলি না।

তোর আসল পরিচয় বলবি?

শফি হেসে উঠে বলল, পরিচয় আবার আসল নকল আছে না কি?

আমি এই গ্রামেরই ছেলে। ছোটবেলায় তোর সঙ্গে কত খেলাধূলা করেছি। তারপর না হয় হারিয়ে গিয়েছিলাম। এ কথা তো গ্রামের সবাই জানে, তুইও জানিস। তবু জিজ্ঞেস করছিস কেন?

হ্যাঁ, জানি। আমি জানতে চাচ্ছি হারানো জীবনটা কোথায়, কীভাবে কেটেছে এবং কীভাবে ফিরে এলি?

শফি আবার হেসে উঠে বলল, সেসব কথা জেনে কী লাভ হবে? তা ছাড়া সেসব বলাও যাবে না।

আচ্ছা, ছোটবেলার বন্ধুত্বের কথা নিশ্চয় মনে আছে?

হ্যাঁ, মনে আছে। তুই স্কুলে টিফিন নিয়ে আসতিস। টিফিন বাক্সে কী আছে খোলার আগে বলে দিতাম, সেকথা তোর মনে আছে?

হ্যাঁ, মনে আছে। আচ্ছা, এখনও সেরকম বলতে পারিস? পরীক্ষা করেই দেখ।

রবিউল জামার সাইড পকেট থেকে এক টাকার দুটো কয়েন হাতের মুঠোয় নিয়ে বের করে বলল, বলতো আমার হাতে কী আছে?

শফি সৃদু হেসে বলল, একটা লালচে ও একটা সাদা রং-এর দুটো কাঁচা টাকা আছে।

রবিউল খুব অবাক হয়ে বলল, কী করে বললি আমাকে শেখাবি?

শফি বলল, এটা শেখানোর বিষয় নয়। একটু আগে বললাম না, আমার মন আমাকে সবকিছু বলে দেয়।

আচ্ছা, তুই যখন এসে শুনলি বাবা মারা যাওয়ার পর তোর মা তার চাচাতো দেবরকে আবার বিয়ে করেছে তখন তোর মনের অবস্থা কী হয়েছিল? এবং ব্যাপারটা কীভাবে গ্রহণ করলি? মায়ের প্রতি তোর কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল?

কয়েক সেকেন্ড চুপ করে থেকে শফি বলল, ভার্সিটি থেকে উচ্চ ডিগ্রী নিলেও তুই ধর্মীয় বই-পুস্তক মনে হয় তেমন পড়াশোনা করিস নি। যদি করতিস, তা হলে এরকম প্রশ্ন করতে পারতিস না। শোন, একজন গ্রাম্য অল্পশিক্ষিত মেয়ে হয়ে মা যা করেছে, তা কল্পনাও করি নাই। আমার মনে হয়, মা অল্পশিক্ষিত হলেও ধর্মের জ্ঞান অনেক আছে। তাই চাচাতো দেবরকে আবার বিয়ে করে ইসলাম নারীদের যে অধিকার দিয়েছে, সমাজে তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। তাই কথাটা শুনে খুশি হয়ে দু’রাকায়াত শোকরানার নামায পড়েছি।

তোর ঐ চাচা তোকে ছেলের মতো গ্রহণ করেছেন বলে হয়তো এই কথা বলছিস; কিন্তু উনি যদি তোকে গ্রহণ না করতেন, তা হলেও কি এই কথা বলতিস?

অফকোর্স! আমি এখন সাবালক, আমাকে চাচা গ্রহণ না করলেও ওনার প্রতি বা মায়ের প্রতি এতটুকু অসন্তুষ্ট হতাম না। এমন কী ওনাদের উপর এতটুকু মনকষ্টও হত না। এজন্য ওনারা আল্লাহর কাছে দায়ীও হতেন না। চাচা আমাকে গ্রহণ করে উদার মনের পরিচয় দিয়েছেন।

আর আমি যদি বলি, “তোর বাবার সম্পত্তি গ্রাস করার জন্য উনি তোর মাকে বিয়ে করেছেন?

তা বলতে পারিস, তবে আমার সেরকম মনে হয়নি। তা ছাড়া চাচা যদি সেরকম ভেবে কাজটা করে থাকেন, তবুও ওনাকে দোষ দিতে পারব না। কারণ ঐ সময়ে মায়ের একজন গার্জেনের খুব দরকার ছিল।

এমন সময় চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন ও মেম্বার সামাদ মিয়াকে আসতে দেখে রবিউল বলল, ডান দিকের লম্বা চওড়া লোকটা চেয়ারম্যান, আর সঙ্গের হ্যাংলা পাতলা লোকটা সামাদ চেম্বার। ওনাদের সঙ্গে তোর পরিচয় হয়েছে?

শফি বলল, চেয়ারম্যানের সঙ্গে হয়নি, তবে সামাদ মেম্বারের সঙ্গে গতকাল হয়েছে।

ওনারা কাছাকাছি আসতে শফি ও রবিউল একসঙ্গে সালাম দিল।

চেয়ারম্যান রবিউলকে চেনেন। সালামের উত্তর দিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার বাবা কেমন আছেন।

জি, ভালো আছেন।

তা তোমার সঙ্গের ছেলেটাকে তো চিনতে পারছি না। তোমাদের কোনো আত্মীয় না কি?

রবিউল কিছু বলার আগে সামাদ মেম্বার বললেন, ছেলেটা ওদের আত্মীয় হতে যাবে কেন? ওর নাম শফি। ওতো আমাদের গ্রামের মরহুম আমিনুল ইসলামের ছেলে। ন’দশ বছরের সময় হারিয়ে গিয়েছিল, কয়েকদিন হল ফিরে এসেছে।

চেয়ারম্যান কিছুক্ষণ শফির আপাদমস্তক দেখে বললেন, তাই না কি? দেখে মনে হচ্ছে এখন ওর বয়স প্রায় ত্রিশের মতো। তা এই বিশ বছর কোথায় ছিল? এত বছর পর ফিরেই বা এল কী করে? তা ছাড়া ওযে আমিনুল ইসলামের হারিয়ে যাওয়া ছেলে তার কোনো প্রমাণ পাওয়া গেছে? আজকাল তো মাঝে মধ্যে শোনা যায়, মতলববাজ লোকেরা খোঁজ খবর নিয়ে সম্পত্তি গ্রাস করার জন্য নিজেদের একজনকে হারান ছেলে সাজিয়ে পাঠিয়ে দেয়। এটা সেরকম কোনো ব্যাপার নয়তো? শুনেছি আমিনুল ইসলাম অনেক সম্পত্তি রেখে মারা গেছেন।

সামাদ মেম্বার বললেন, আমার যতদূর বিশ্বাস সেরকম কিছু নয়। আমিনুল ইসলামের মা বেঁচে আছেন। তিনি খুব ধার্মীক ও বিচক্ষণ মহিলা। প্রমাণ না পেলে তিনি কী ওকে গ্রহণ করতেন। তা ছাড়া গতকাল আমার সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। কথাবার্তায় তেমন কোনো সন্দেহ হয়নি। ওর বাবার। সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব ছিল। তেমন কিছু হলে আত্মীয়-স্বজনেরাই বা মেনে নিল কেন?

চেয়ারম্যান শফির দিকে তাকিয়ে নাম জিজ্ঞেস করলেন।

ওনার কথা শুনে শফি বুঝতে পারল, চেয়ারম্যান খুব ঘাগু লোক। নাম জিজ্ঞেস করতে নাম বলে মুখ নিচু করে নিল।

কেন কী জানি শফিকে খুব ভালো ছেলে বলে মনে হল চেয়ারম্যানের। তাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, একদিন আমাদের বাড়িতে এস, আলাপ করব। তারপর সামাদ মেম্বারকে বললেন, চলুন যাই।

যেতে যেতে সামাদ মেম্বার বললেন, কয়েকদিন মাত্র ফিরে এসেছে, এরই মধ্যে ছেলেটার অনেক গুণ প্রকাশ পেয়েছে।

চেয়ারম্যান বললেন, যেমন?

ছেলেটা খুব নামাযি পরহেজগার, সারারাত নাকী মসজিদে এবাদত করে, গরিবদের প্রতি খুব দয়ালু, তাদেরকে আর্থিক সাহায্য করে, ওর পানি পড়াতে অনেকের অসুখ ভালো হয়ে গেছে।

চেয়ারম্যান হেসে উঠে বললেন, তা হলে তো ওর জন্য এখানকার ডাক্তারদের রোজগার বন্ধ হয়ে যাবে।

সামাদ মেম্বার বললেন, আপনি যাই বলেন, আমার পাঁচ বছরের নাতি পেট ব্যথায় খুব ছটফট করছিল। আমার ছেলে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাচ্ছিল। রাস্তায় ওর সঙ্গে দেখা হতে নাতির কান্নার কারণ জেনে পাশের চায়ের দোকান থেকে এক কাপ পানি নিয়ে কিসব পড়ে ফুঁ দিয়ে খাইয়ে দিল। খাওয়ার দু’এক মিনিটের মধ্যে নাতির পেটের ব্যথা ভালো হয়ে গেল।

চেয়ারম্যান কিছু না বলে চুপ চাপ হাঁটতে হাঁটতে চিন্তা করতে লাগলেন, সামাদ মেম্বারের কথা যদি সত্যি হয়, তা হলে ছেলেটার গুণ আছে বলতে হয়।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *