দ্যাখো জাহিদ, ঠিক এইভাবে আর চলতে পারে না—
নয়কে ছয় করে, ছয়কে তিনের ঘরে দাঁড় করিয়ে
যেমন ইচ্ছে তুমি ভাঙবে
সেই বয়স, সেই হঠাৎ ভুলে যাওয়ার দিনগুলো
না, এখন আর নেই।
তোমার চোখ-টোখ দেখে মনে হচ্ছে
গতরাত্রে তুমি
ভয়ংকর স্বপ্নের মধ্যে ডুবে গিয়েছিলে।
ঘুমের ভিতরে তুমি
সপ্তদ্বীপ পেরিয়ে, রবীন্দ্রনাথের সেই পদ্মার তীরে
এখন যেখানে অশ্বমেধ আর যজ্ঞের তুমুল হৈ চৈ; সেখানে
সত্যিই তোমাকে অসহায়,
বিপদগ্রস্ত মনে হচ্ছিল।
হা, যে কথা বলছিলাম—
তোমার জন্যে আমার শিরস্ত্রাণ
চেঙ্গিস যুগের বল্লম, আর
টিপু সুলতান আমলের অশ্ব, সব
সাজিয়ে রেখেছি। তুমি,
যুদ্ধে যাবার আগে
শেষবারের মত পরীক্ষা ক’রে নাও।
–মনে রেখো
তোমার প্রতিপক্ষ সারারাত
ঘুমিয়ে নেই। তুমি,
আসমুদ্রহিমালয় জয় করবার আগে
আমাদের চৈতন্যে হানো
বজ্রের আঘাত।
–মনে রেখো
তোমার পুত্র অর্জুন আর
আমার কন্যা জয়শ্রী
ঘরে ঘুরে উড়িয়েছে
অন্তঃশীল রৌদ্রের পতাকা।
১৮/১০/৮২