আমাদেরই পাপের প্রায়শ্চিত্তে
মৃত্যুর কালো হিমছায়া
সারাদেশব্যাপী পড়েছে স্তব্ধ মিনার।
তুমি জানো, ভষ্মলীন আঁধার আর মন্বন্তরের বিবর্ণ সুপুর
প্রতিটা প্রাঙ্গণ ছেয়ে আছে, যেন বাংলার মাটিতে আবার
পাক সৈন্য নেমেছে সদর্পে, স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র সম্ভারে।
তোমার মানস বলাকায় আমি তাই
বিশ্বভ্রমণে যেতে চাই—
কোন্ দেশ, কোন্ রাজ্যে এমন হাহাকার, আর
কে আমার প্রেমের বাক্যের এবং মৃত্যুর, দিনযাপনের
স্বাধীনতা কেড়ে নিতে চায়
আমি শুধু একবার দেখে নিতে চাই।
জানি, আমার একার পক্ষে এই প্রতিরোধ সম্ভব নয়,
সম্ভব নয় মারণাস্ত্রের বিরুদ্ধাচরণ; তবু
আমাকেই যেতে হবে; কেননা
আমার ভবিষ্যৎসন্তান যদি বলে :
“অতীতে তোমার কার্যকলাপ ছিল খুবই দুঃখজনক; যখন
সারাদেশব্যাপী হাহাকার, আর স্বাধীনতা হরণের পালা
তুমি তখন জীবনের প্রেমে স্বার্থপর, অথচ
এদেশ তোমার। বলো, তবে কি ক্রুর রাবণের ভয়ে
জটায়ু বিস্তার করবে না বাহু?”
তখন, কোন্ যুক্তির আশ্রয়ে বলবো :
‘হে আমার সন্তান-সন্ততি
তোমাদের পিতা ছিল অন্ধ, বধির’।
–আমি তাই, তাই আমি একবার বিশ্বভ্রমণে যেতে চাই; যদি
আমার দেখার চোখ দু’টো বন্ধ করে দাও, জেনে রেখো
কালো মৃত্যুর ভিতরেই আমি অক্ষয় গাণ্ডীব।
২/৮/৮৩